দিনাজপুর জেলায় প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের স্থান- বড় মাঠ।
আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।আমিও ভালো আছি, আলহামদুলিল্লাহ। আজকে আমি আপনাদের সাথে ইতিহাসের পাতায় লেখা রয়েছে এমন একটি বিষয় নিয়ে লিখব । আজকে আমি আপনাদের সাথে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর দিনাজপুর জেলায় সর্বপ্রথম যে স্থানে স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় সে স্থানটি নিয়ে লিখব । চলুন শুরু করি,
দিনাজপুর জেলার বড় মাঠ বা গোর -এ-শহীদ ময়দান হলো সেই জায়গা যে জায়গায় সর্বপ্রথম দিনাজপুর জেলায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। দিনাজপুর জেলায় সর্বপ্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন এম আব্দুর রহমান। বর্তমানে এম আব্দুর রহমানের ছেলে জনাব ইকবাল রহমান হল একজন সাংসদ সদস্য এবং দিনাজপুর জেলার বহু উন্নয়নমূলক কাজে তার অবদান লক্ষ্য করা যায়।
দিনাজপুর গোর-এ- শহীদ ময়দান বা বড় মাঠ হল বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইদগাহ মাঠ। এই মাঠে প্রতিবছর ঈদে প্রায় ছয় লক্ষ করে মানুষ একত্রে জমায়েত হয়ে ইদের নামাজ পড়ে থাকেন। কিছুকাল পূর্বেও বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ঈদগাহ মাঠ ছিল শোলাকিয়া ইদগাহ মাঠ। শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠের আয়তন ছিল ৭ একর কিন্তু দিনাজপুর করে শহীদ আয়তন হলো ২২ একর।
ভারতীয় উপমহাদেশে তথা ইংরেজদের আমলে এই মাটিতে ঘোড়ার দৌড় অনুষ্ঠিত হতো এবং পাকিস্তানি আমলে তৎকালীন অত্যন্ত জনপ্রিয় খেলা নর নারায়ণ শীল্ড প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হতো। এই দুটি তথ্য আমি উইকিপিডিয়া হতে সংগ্রহ করেছি।
আমি প্রায়ই এই মাঠটিতে যাই। দিনাজপুর শহরের অনেক মানুষ বিকেল বেলায় এই মাঠটিতে গিয়ে থাকেন। এইখানে বিকেল বেলায় অনেক খাবারের দোকানের পাশাপাশি এখানে অনেক ভিড় জমা হয়। কেউ কেউ এখানে হাঁটতে যায়, কেউ কেউ বেড়াতে যান, আবার কেউ কেউ যান আড্ডা দিতে। বিকেল বেলায় বন্ধুদের সাথে আড্ডা বড় মাঠ ছাড়া আসলে ঠিক জমে না।আমিও মাঝে মাঝে আমার ফ্রেন্ডের সাথে দেখা করতে এই বড় মাঠে যাই। শেষবার যখন আমি আমার বন্ধুদের সাথে দেখা করতে বড় মাঠে যাই তখন সেখানকার কিছু ছবি তুলে রাখি। এই জায়গাটি অত্যন্ত সুন্দর এবং এর আয়তন অনেক বেশি হওয়ায় মোটামুটি খোলামেলা পরিবেশে বসে থাকা যায়।
বড় মাঠে বিভিন্ন খাবারের দোকান রয়েছে একটু পরপর। এই সকল খাবার দোকানের বেশিরভাগই হল ফুচকা এবং চটপটির দোকান। নিচে আমি আপনাদের সাথে যে ছবিটি শেয়ার করছি সেগুলো হল চটপটি বা ফুচকার দোকানের বসার চেয়ার টেবিলের ছবি।
আমি বড় মাঠে গিয়ে অনেক পুরাতন একটি নৌকার দেখতে পাই। এটি হলো খেলার নৌকা। এই নৌকায় চড়ে নাগরদোলার মত একপাশ থেকে অপর পাশে দোল দেওয়া হয়।এই নৌকাটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে এটি দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। তারপরেও আমি কিছু ছবি তুলে রাখি এই নৌকাটির। নৌকাটি নিচে চাকা লাগানো রয়েছে অর্থাৎ এটি যেকোনো সময় এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় এই চাকা সাহায্যে নিয়ে যাওয়া যাবে।
ধন্যবাদান্তে,
@pea07
টুইটার শেয়ার লিংক
https://twitter.com/pea079/status/1677708469544304641?t=6ne059kSv_n_6T-hyKk74w&s=19
বিকাল বেলা বড় মাঠে অনেক মানুষ আসে। আজকে প্রথম জানতে পারলাম যে দিনাজপুরের বড় মাঠে প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিলো। বড়মাঠ সম্পর্কে সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া
@tipu curate
;) Holisss...
--
This is a manual curation from the @tipU Curation Project.
Upvoted 👌 (Mana: 3/8) Get profit votes with @tipU :)
দিনাজপুর বড় মাঠ ক্রিকেট খেলার জন্য একটি পারফেক্ট মাঠ।সেখানে দেখতে পাওয়া যায় শিশুদের খেলনা সহ অনেক কিছু। বিশেষ করে গ্রাজুয়েট চা সেই মাঠের অনেক বেশি ভাইরাল। দিনাজপুরে প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন হয়েছে এই মাঠে আমি জানতাম না। আপনার পোস্ট করার মাধ্যমে জানতে পারলাম অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এমন একটি সুন্দর পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
গ্রাজুয়েট চায়ের দোকান এখন আর বড় মাঠে বসে না। এখন তারা শিশু পার্কের ওই দিকে তাদের দোকান নিয়ে গিয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
মেলাদিন দিনাজপুর যাওয়া হয় না আপু।
গোরে শহীদ বড় মাঠ হলো দিনাজপুরের একটি ঐতিহ্য।বড় মাঠে অনেক দোকানপাট দেখা যায় এই মাঠে অনেকেই ঘুরতে আসে তাদের অবসর সময়ে। দারুন লিখেছেন আপনার ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া
আপু এই কথাটি আমি আপনার পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম। দিনাজপুর বড় মাঠ অনেক সুন্দর এবং ঐতিহ্যবাহী একটি জায়গা। বিকেলবেলা আগে প্রায়ই সেখানে যেতাম। শুক্রবার ওখানে ঈদের দিনের মত ভিড় হয়। ওখানকার ফুচকা ও চটপটি অনেক মজা। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপু
বড় মাঠ নিয়ে সুন্দর একটা পোস্ট করেছেন।আমি দিনাজপুরে থাকা কালীন বড় মাঠে প্রতি সপ্তাহে গেছিলাম।তবে আপনি বড় মাঠ নিয়ে অনেক সুন্দর বিস্তারিত আলোচনা করছেন আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ আপনাকে
দিনাজপুরের এই বড় মাঠে জীবনের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। অসংখ্যবার এখানে গিয়েছি এবং সময় কাটিয়েছি। আপনার পোস্ট দেখে অনেক পুরনো স্মৃতি মনে পড়ে গেল। ফটোগ্রাফি গুলো অনেক ভালো হয়েছে আপু।শুভকামনা রইল আপনার জন্য
ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া
বড় মাঠে বেশ কয়েকবার গিয়েছি। এখানে অনেক ধরণের খাবারের দোকান আছে। বড় মাঠে অনেক সময় ক্রিকেট খেলার আয়োজন হয়। তবে বড় মাঠে খুব একটা যাওয়া হয়নি। সুন্দর লিখেছেন।