মঙ্গলবার,
তারিখঃ ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
আসসালামু আলাইকুম,
"স্টিম ফর ট্রাডিশন" কমিউনিটির সকল ভাই ও বোনেরা, আপনারা সকলে কেমন আছেন? আশা করি পরমকরুনাময় আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানিতে সকলেই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি। "স্টিম ফর ট্রাডিশন" কমিউনিটিতে আজ আমি কয়েকটি বার পিঠার ফটোগ্রাফি নিয়ে পোস্ট উপস্থাপন করতে যাচ্ছি। আশা করি সকলের কাছে ভালো লাগবে।
|
তাল ও রুটি পিঠার কিছু চিত্র ধারণ। |
তাল বড়াঃ |
এখন বর্তমান তালের সিজন। এই ভাদ্র মাসে তাল পাঁকা শুরু হয়। হাটে-বাজারে ও শহরের অলিতে গলিতে এখন পাঁকা তাল পাওয়া যাচ্ছে। তাছাড়া গ্রাম অঞ্চলেও পাঁকা তাল সচরাচর পাওয়া যায়। তালের বড়া পছন্দ করে না এমন মানুষ খুবই কম পাওয়া যাবে। তালের বড়া রেসিপি কম-বেশি সকলের পছন্দের একটি খাবার। আমার এই তালের বড়া মাঝে মাঝে খেতে ভীষণ ভালো লাগে। তাই তো এই সিজনে আজ প্রথম আমাদের বাসায় পাঁকা তালের বড়া রেসিপি তৈরি করা হয়। তালের বড়া রেসিপি তৈরি করা হলে হয়ে গেলে আমি কিছু ফটোগ্রাফি করে নেই।
- তাল খাওয়ার উপকারিতাঃ
তাল হলো আমাদের দেশিয় ফল। এই তাল বর্তমানে আমাদের সব জায়গায় পাওয়া যাবে। কারন এখন তালের সিজন গ্রাম থেকে শুরু করে শহরে ও পাঁকা তাল পাওয়া যাবে। পাঁকা তাল দিয়ে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করা হয়। আর তালে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। তালের রস ক্যান্সার রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে থাকে। স্মৃতিশক্তি ও মেধা বিকাশে পাঁকা তালের ভুমিকা অনন্য। এছাড়াও তালে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস রয়েছে যা আমাদের হাড় ও দাঁতের রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে থাকে।
রুটি পিঠাঃ |
আতপ চাল দিয়ে তৈরি সাদা রুটি খেতে অনেক সুস্বাদু ও মজাদার। মাংস দিয়ে রুটি খাওয়ার স্বাদে অন্যরকম। আমার কাছে মাংস দিয়ে রুটি পিঠা খেতে ভীষণ ভালো লাগে। আজ আমাদের বাসায় এই রুটি পিঠা তৈরি করা হয়েছে। মাঝে মাঝে আমাদের বাসায় সাদা প্রায় করা হয়। সাদা রুটি পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কম পাওয়া যাবে। এই সাদা রুটি শহর কিংবা গ্রামের হাট-বাজারে গেলে দোকানগুলোতে দেখা যায়৷ এই সাদা রুটি প্রচলন অনেক থেকে চলে আসতেছে।
আমার লেখায় কোন প্রকার ভুল-ভ্রান্তি হয়ে গেলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সকলে সুস্থ ও ভালো থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
ক্যামেরা | ওয়ান প্লাস |
পোস্টের ধরণ | ফুড রিভিউ। |
ক্যামেরা | ৬৪ মেগাপিক্সেল |
ফটোগ্রাফার | @md-sajalislam |
অবস্থান | পার্বতীপুর, দিনাজপুর, বাংলাদেশ। |
ধন্যবাদান্তে,
@md-sajalislam
তালের বড়া আমার খুব পছন্দের একটি খাবার। ভাদ্র মাসে তাল পাকে,গাছে গাছে এবং কি ওই তাল বিক্রি হয় বাজারে। সেটা আমি ক্রয় করে বাড়িতে নিয়ে আসি। নিয়ে আসার পরেই মাকে বলি মা এটা প্রস্তুত করে আমাকে বড়া বানিয়ে দাও। আর মা সেটা চালের গুড়া দিয়ে সুন্দরভাবে চিনি দিয়ে মিষ্টি ভড়া বানিয়ে প্রস্তুত করে ফেলে। আর আমাকে গরম গরম দেয়। খেতে আহ কি ভারি মজা লাগে। তবে আমি পিঠা বেশি পছন্দ করি না। তবে আমার মা প্রতিবছরেই সিজনের পিঠা সিজনেই খাওয়াবেই তবে আমার পিঠা বেশি পছন্দ না কিন্তু আমার মা পিঠা বানিয়ে যদি আমি না খাই তাহলে মা মন খারাপ করে আর আমার পিছনে পিছনে ঘুরবে আর বলবে বাবু খাও একটা তখন আমি একটা হাতে নিয়ে খাওয়া শুরু করি। খাওয়ার পরে অনেক মজাই লাগে তারপর আরো কয়েকটা খাই। আর চালের গুড়া রুটি পিঠা আমার সবচেয়ে পছন্দের একটি পিঠা। পিঠা পছন্দের তালিকায় যদি কোন পিঠা থাকে তাহলে এই চালের গুড়া রুটি পিঠা। আমার মা দেশী মোরগের ঝোল করে, ঝোল করার পরে আমাকে রুটি পিঠা বানিয়ে দেয় আমি ওই পিঠা দিয়ে খুব মজা করে খাই। হাঁসের মাংসের সাথে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। মাংসের একটু সামান্য ঝোল হলেই হয়। মাংসের ঝোল দিয়ে সবচেয়ে বেশি খেতে সুস্বাদু লাগে রুটি পিঠা। আমাদের গ্রামের বাড়িতে শীতের সময় পিঠার আমেজ উঠে যায়। শীতের সন্ধ্যা বেলা থেকে নিয়ে রাত পর্যন্ত প্রায় প্রতিটি বাড়িতে পিঠাপুলির আয়োজন করা হয।নানান রকম বাহারি পিঠার মধ্যে রুটি পিঠা অন্যতম। শীতের দিনে রাত্রি বেলা যখন আমার মা গরম গরম মাংসের সাথে রুটি পিঠা দেয় তখন আমি একের পর এক খেয়েই থাকি। আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে এই চালের গুড়া রুটি পিঠা। সেদিন আর আমি কোন ভাত খাইনি কারণ আমার রুটি পিঠা খেয়েই পেটটা ভরে যায়।খুব সুন্দর ফুট রিভিউ পোস্ট করেছেন ভাই অনেক ভালো লাগলো, অনেক লোভনীয় ছিলো ভাই। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ।
তাল হলো একটি মজার ফল। তালের রস দিয়ে তালের বড়া তৈরি করা হয়। তাহলে রস প্রথমে চিপে নিয়ে এরপর সেগুলোকে আটা দিয়ে মেখে এই বড়া তৈরি করা হয়। এই বড়া তৈরি করার জন্য তেল প্রয়োজন হয়। এই বড়া ডুব তেলে ভেজে নিতে হয়। এই বড়া খেতে বেশ মজাদার হয়। এই তালের বড়া তৈরি করা বেশ কঠিন। এই বরা সহজে তৈরি করা যায় না অনেক সময় নিয়ে তৈরি করতে হয়। এখন বাহির থেকে তাল যেগুলো আসে সেই তালগুলো তিতা হয় না। আগেই যে তালগুলো সেগুলো তিতা হত। সেই তালের রস বাহির করে কাপড়ে ঝুলিয়ে রেখে রস ফেলে দিয়ে তারপর বড়া বানিয়ে খেতে হতো। আমাদের বাড়িতে প্রতিবছর তাহলে রস দিয়ে বড়া তৈরি করা হয়। তালের বড়া খেতে আমার বেশ ভালো লাগে। আমরা প্রতিবছর তার রস করে ফ্রিজে রেখে দেই এবং যখন তাল পাওয়া যায় না তখন সেই তালের রস বাহির করে আমরা খেয়ে থাকি। তালের রস বাহির করে ফ্রিজে রেখে দিলে দুই তিন বছর কিছু হয় না এবং সেগুলো ইচ্ছেমতো বাহির করে বড়া বানিয়ে খাওয়া যায়। তাল আমাদের একটি ঐতিহ্যবাহী ফল তাল। গাছ আমাদের এই এলাকায় তেমন দেখা যায় না। দক্ষিণ অঞ্চলে অনেক পরিমাণে তাল গাছ দেখা যায়। আমাদের এদিকে দুই একটা তালগাছ রয়েছে। সেগুলোতে খুব কম তাল ধরে। তালের রস দিয়ে বরা ছাড়াও পিঠা তৈরি করে খাওয়া যায় এবং অনেকে তালের রস দিয়ে ক্ষীর তৈরি করে খায়। তবে আমরা এসব খাবার কম খাই আমরা সব থেকে বেশি পরিমাণে বড়া বানিয়ে খাই। তালের বড়া বানিয়ে রাখলে অনেকদিন রাখা যায় ফ্রিজে। তালের বরা বেশ চমৎকার একটি খাবার। তাদের বিচি বেশ ভালো লাগে খেতে। যখন কাঁচা থাকে আমাদের এই দিকে কাঁচা তাল এখন অনেক পরিমাণে বিক্রি হয়ে থাকে। কাঁচা তালের বিচি খেতে বেশ মজা লাগে। এই তালের বিচিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে।এছাড়া কাচা তলের বিচি বাসায় রেখে দিলে পরে সেগুলো কেটে খাওয়া যায়। সুপারির মত এই বিচিগুলো।বেশ মিষ্টি লাগে খেতে এ সময়।
ধন্যবাদ।
তালের বড়া আমার অনেক পছন্দের একটি খাবার।গরম গরম তালের বাড়া খেতে আমার অনেক ভালো লাগে । তবে এবছর এখনো তাদের বড়া খেতে পারি নাই। সামনের সপ্তাহে বাড়ি যেয়ে দেখি আম্মুকে তালের বড়া বানাইতে বলবো। আপনার এই পোস্টটা দেখে এখন তালের বড়া খাওয়ার ইচ্ছা জাগতেছে। তালের বড়া খাওয়ার জন্য হলেও সামনের সপ্তাহে বাড়ি যেতে হবে। গমের আটার রুটি আমার একটুও ভালো লাগেনা,তবে চালের রুটি আমার ভালই লাগে। তাল বড়া ও রুটি পিঠা নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করছেন ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ।
তালের বড়া ও রুটি পিঠার আপনি দারুন একটি ফুড রিভিউ শেয়ার করেছেন।তাল দিয়ে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করা হয়। এর মধ্যে তালের বড়া অন্যতম। তাল মূলত সিজনাল একটি ফল। তারের সিজনে প্রত্যেক বাড়িতেই তালের বড়া বা তাল পিঠা বানানো হয়। কিছুদিন আগে আমরা আমাদের বাড়িতে তাল পিঠা তৈরি করেছিলাম। তবে রেসিপিটি আপনাদের সাথে শেয়ার করা হয়নি। আতপ চালের সাদা রুটি খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। মূলত মিলের গমের আটা ও এসব আতপ চালেত আটার রুটির মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠান ছাড়াও কোরবানির ঈদের দিন আমাদের বাড়িতে আতপ চালের আটার রুটি তৈরি করা হয়। মাংসের ঝোলের সাথে সাদা রুটি খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ।
বর্তমান তালের মৌসুম। আর এই তালের মৌসুমে যদি তালের বড়া না খেলাম তাহলে তো হয় না ভাইয়া। তালের বড়া আমারও অনেক পছন্দের একটি খাবার। কয়েকদিন আগে আমাদেরও বাড়িতে তালের বড়া তৈরি করা হয়েছিল। এছাড়াও গ্রাম অঞ্চলের সবথেকে আকর্ষণীয় পেটা হলো রুটি পিঠা। মাংসের রস দিয়ে রুটি পিঠা আহ্ শুনলেই জিভে জল চলে আসে। তালের বড়া এবং রুটি পিঠা সম্পর্কে অনেক সুন্দর রিভিউ দিয়েছেন ভাইয়া ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ।
We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.
এদের মধ্যে রুটি পিঠা আমার অনেক পছন্দের। বাড়িতে মাকে সব সময় এই পিঠা বানাতে বলি। ঈদের সময় বাড়িতে যখন রুটি পিঠা বানায় তখন আমি একাই বেশ কয়েকটা পিঠা খেয়ে থাকি। মাংসের সাথে পিঠার স্বাদ অতুলনীয়। তাছাড়া তলের বড়া আমি একটু কমই খেয়ে থাকি। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন আর ফটোগ্রাফি গুলো ও অনেক সুন্দর হয়েছে। অনেক ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য আমাদের সাথে।
ধন্যবাদ।
This is a manual curation from the @tipu Curation Project.
Also your post was promoted on Twitter by the account josluds
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 2/7) Get profit votes with @tipU :)
তালের বড়া ও রুটি পিঠা নিয়ে চমৎকার একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন ভাই। গ্রামাঞ্চলে পিঠা পুলির উৎসব খিব ভালোভাবেই হয়। প্রতিবছর তালের মৌসুমে গ্রামের কমবেশী প্রতিটি বাড়িতেই তালের বড়া বানানো হয়। এটি আমারও খুব পছন্দের একটি খাবার। আপনাদের চিরিবন্দর এলাকায় তালের গাছ অনেক বেশী। ঐ অঞ্চলের মানুষ তালের বড়া একটু বেশীই খায়।
ধন্যবাদ।
বর্তমান এ তাল দিয়ে বড়া ও সাথে যা যা তৈরি করা যায় সবগুলোর এ সময় এটা। কারণ এই সময়টা আমরা তাল পেয়ে থাকি। আর বাকি সময়টা সেটা পাই না। তাই এই সময়ে তাল এর বড়া বা পিঠা সবার বাড়িতে বাড়িতে মজা করে নিজেদের স্বাদ মতো খাইতেছে। আর সেই জিনিসটা আমাদের সাথে অনেক সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
ধন্যবাদ।