লালমনিরহাট জেলার ঐতিহ্য বাহি বড়ো মসজিদ।

in Steem For Traditionlast year

আসসালামু আলাইকুম।বন্ধুরা আশা করি সবাই ভালো আছো। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি।

আজকের আলোচনা লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা উপজেলার বড়োখাতা ইউনিয়নে শীমন্ত এলাকায় অবস্থিত অনেক পুরানো মসজিদ যেটা বড়ো মসজিদ নামে পরিচিত।

IMG-20230914-WA0012.jpgIMG-20230914-WA0010.jpg

এই মসজিদ টি কবে কেমন করে নির্মাণ করা হয়েছে কেউ সঠিক বলতে পারেনা। তবে এই বড়ো মসজিদ পূর্ণনির্মাণ হয় ২০০০ সালে মসজিদ টা ভিত্তি প্রস্তর করা হয় চার তলা বানানোর জন্য কিন্তু দুই তলা সম্পূর্ণ হলে ভারত সরকার বড়ো মসজিদের কাজ বন্ধ রাখার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে জানায় তখন বাংলাদেশ বর্ডারগার্ড বি জি বি ও ভারতের শীমন্ত রক্ষি বাহানি বি এস এফ আর মধ্যে পতাকা বৈঠক হয় এই পতাকা বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় মসজিদের ৩ তালা ও ৪ তালার কাজ আপাতত বন্ধ থাকবে সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ বন্ধ রাখা হয়।

IMG-20230914-WA0013.jpgIMG-20230914-WA0011.jpg

এভাবে চলতে থাকে ২ বছর এমনত অবস্থায় ২০০২ সালে এলাকার লোকজন আবারো উদ্যোগ নেয় বড়ো মসজিদের কাজ আবার শুরু করবে কয়েক দিনের মধ্যে মিস্ত্রি আশে কাজ সুরু করবে এমন সময় ভারতের শীমন্ত রক্ষী বাহিনী বি এস এফ ওই বড়ো মসজিদ এলাকায় আশে তারপর আবার কাজ বন্ধ করে দেয় তখন এলাকার লোক জন ভারতের শিমন্ত রক্ষী বাহিনীর কাছে জানতে চায় আমাদের এই বড়োমসজিদের কাজ কেন বার বার বন্ধ করা হচ্ছে তখন ভারতের শিমন্ত রক্ষী বাহিনীর একজন উর্ধতন কর্মকরতা জানান ভারতের নিরাপত্তা স্বার্থে ভারত সরকার শিমন্ত এলাকায় ৪ তালা মসজিদ করতে দিবেনা। এখন পর্যন্ত ওই বড়ো মসজিদ ২ তালা অবস্থায় আছে। এই মসজিদে শুকক্রোবার অনেক মানুষ হয় যেখানে কিনা ভারতের ও মানুষ আসে নামাজ পড়তে যার কারণে ২ তালা মসজিদে মানুষের জায়গা হয়না এজন্য শুকক্রবার করে মসজিদের সামনে কার্পেট বিচিয়ে নামাজ পড়া হয় এইখানে আবার ভারতের শিমন্ত রক্ষী বাহিনীর খুব ভালো একটা দিক আছে সেটা হলো বড়ো মসজিদে শুকক্রবার যে কার্পেট বিচিয়ে নামাজ পড়ি সেই জায়গা টা হলো ভারতের আর ভারত ইচ্ছা করলে জায়গা টা নাও দিতে পারতো। শুকক্রবার বি এস এফ রা অনেক সার দেয় যেমন অনেক দূর দূর থেকে মানুষ নামাজ পড়তে আসে যদি কেউ ভুল করে ভারতের জায়গায় প্রবেশ করে ফেলে তাদেরকে বি এস এফ রা কিছু বলেনা বি এস এফ রা শুধু দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখে।

20230912_152500.jpgIMG-20230914-WA0007.jpg

আর শুকক্রবার বড়ো মসজিদ এলাকায় অনেক দোকান পাঠ বসে দেখে মনেহয় মেলা বসছে। এই বড়ো মসজিদে শুকক্রবার করে মানুষ অনেক ধরণের দান শোদকা করে থাকে অনেকে গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগি ও মসজিদে দান করে থাকে আর এই বড়ো মসজিদে প্রতি শুকক্রবার করে ২০০০০০দুই লক্ষ টাকা থেকে ২৫০০০০ দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন্ত দান শদকা আশে।


Vote for @bangla.witness

ধন্যবাদ
@mazadul

Sort:  
 last year 

মসজিদ টি দেখতে বেশ চমৎকার এবং অনেক বড় মনে হচ্ছে। এই মসজিদটি হয়তো লালমনিরহাট বর্ডার এর কাছে অবস্থিত। বর্ডার এর কাছে অবস্থিত হওয়ায় এটি আর উপরে উঠানো যাচ্ছে না দুই তলা থেকে চার তলা করতে গেলে ভারতের সীমান্ত রক্ষীদের হয়তো সমস্যা হচ্ছে। সেজন্য তারা এটি চারতলা ভবন করতে দিচ্ছে না। তবে তারা তাদের জায়গা ব্যবহার করতে দিচ্ছে এটা অনেক বড় ব্যাপার কারণ ওনারা অনেক কঠোর হয়ে থাকে। তবে আপনি যেভাবে বললেন অনেক মুসল্লি এখানে নামাজ পড়তে আসেন সেজন্য এখানকার জায়গা বড় করার দরকার কিন্তু এই ভবনটি উঁচু করা যাচ্ছে না। এটি একটি বড় সমস্যা এর বিকল্প কোন ব্যবস্থা অবশ্যই খুজে বের করতে হবে তা না হলে এভাবে বাহিরে নামাজ পড়া কেমন দেখায়। যদি আশেপাশে কোন জায়গা থেকে থাকে সেখানে আরো একটি মসজিদ নির্মাণ করা যেতে পারে বা ওই মসজিদেরই কিছু ভবন তৈরি করা যেতে পারে। লালমনিহাট জেলা আমি অনেক আগে একবার ঘুরতে গিয়েছিলাম তবে এরকম সীমান্তবর্তী এলাকায় কখনো যাওয়া হয়নি। তবে এখানকার বুড়িমারী যে বর্ডার রয়েছে এই বর্ডারের নাম আমি শুনেছি কারণ আমার বাবা বাংলাদেশ কাস্টম এ চাকরি করতো। সেই সুবাদে আমি এই বুড়িমারী বর্ডার সম্পর্কে কিছুটা তথ্য জানি। কারন সেখানে আমার বাবাকে চাকরি করতে হয়েছে। এ সকল বর্ডার এলাকা বেশ চোরাকারবারি দিয়ে ভড়া থাকে। আমি কখনো এই বর্ডার এলাকায় যায়নি তবে আমার বেশ আশা ছিল সেখানে যাওয়া তবে আমি যেতে পারিনি। এই মসজিদ এবং মসজিদের আশেপাশের পরিবেশ বেশ সুন্দর মনে হচ্ছে। এখানে প্রচুর পরিমাণে গাছপালা দেখা যাচ্ছে এবং মসজিদের ভেতরের পরিবেশ এতটাই চমৎকার যে এখানে গেলে মন এমনি ভালো হয়ে যাবে। আসলে এ ধরনের নামাজ পড়ার মসজিদগুলো এরকম সুন্দর হওয়া দরকার। তাহলে অনেক মনোযোগের সাথে নামাজ পড়া যায়। আপনি এই মসজিদ নিয়ে বেশ দারুণ কিছু তথ্য আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন এজন্য আপনাকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানানো হচ্ছে। আমাদের এলাকাতে এরকম অনেক সুন্দর সুন্দর মসজিদ রয়েছে। আশা করি আমিও ভবিষ্যতে এরকম মসজিদ নিয়ে আপনাদের কিছু তথ্য শেয়ার করব।

 last year 

ধন্যবাদ।

 last year 

মসজিদ মুসলমানদের জন্য উত্তম এবাদত খানা, প্রত্যেকটি জেলায় খুব সুন্দর সুন্দর এবং ঐতিহাসিক মসজিদ রয়েছে। লালমনিহাট জেলায় ঐতিহ্যবাহী বড় মসজিদ দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম ভাই। বহু বছর আগের পুরাতন মসজিদ, দেখার মতো। এগুলো আমাদের ঐতিহ্যের সাক্ষী। যুগ যুগ ধরে মুসলমানরা এই মসজিদে নামাজ আদায় করে আসছে। লালমনিহাটের গৌরবের স্থাপনা এটি। তবে এই মসজিদটি পূর্ণনির্মাণের জন্য ২০০০ সালে কাজ শুরু হয় ফোনে ভালো লাগলো, দুতালা হওয়ার পর মসজিদটির কাজ বন্ধ করে দিয়েছে ভারতীয় বিএসএফ। আমার মনে হয় বাংলাদেশ সরকার এবং ভারতীয় সরকারের যৌথ আলোচনায় মসজিদ নির্মাণের সমাধান আনা উচিত। মসজিদটি ঐতিহ্যবাহী হওয়ার জন্য দূর দূরান্ত থেকে মানুষ এখানে নামাজ পড়তে আসে, দুতলা হওয়া সত্ত্বেও এই মসজিদটিতে মানুষের জায়গা হয় না নামাজ আদায় করার জন্য, কার্পেট বিছিয়ে নামাজ আদায় করতে হয়। তাই অবশ্যই মসজিদে চারতালা করা উচিত। ভারতের নিরাপত্তার স্বার্থে যেহেতু মসজিদটির নির্মাণ কাজ বন্ধ করে রাখা হয়েছে, সেহেতু সরকারের উদ্যোগ নেওয়া উচিত মসজিদটিতে পূর্ণনিমানে। আপনি অনেক সুন্দর সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন ভাই । ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

ধন্যবাদ।

 last year 

লালমনিরহাট বড় মসজিদ সম্পর্কে অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া। মসজিদটি সত্যি দেখতে অসাধারণ সুন্দর। ভারতের সীমানায় ডোবার পরে বি এস এফ রা কিছু না বলা বিষয়টা খুব ভালো লেগেছে। তবে মসজিদে কাজ যদি সম্পূর্ণ হয় তাহলে মসজিদে দেখতে আরো সুন্দর হবে। আমি মন থেকে চাই বন্ধ হওয়া কাজ যেনো আবার পুনরায় চালু হয়। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

 last year 

ধন্যবাদ।

 last year 

লালমনিরহাট প্রায় সময় এ যেতাম। কিন্তু কখনো এই মসজিদটা দেখি নাই। তবে আপনি অনেক সুন্দর ভাবে মসজিদটা আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। সুন্দর ভাবে তুলে ধরার পাশাপাশি সুন্দর ভাবে বর্ণনা দিয়েছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

 last year 

ধন্যবাদ

 last year 

অসাধারণ একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। লালমনিহাটে অবস্থিত এই বড় মসজিদ সম্পূর্ণভাবে চারতলা না হওয়ার সম্পূর্ণ ঘটনাটি আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। মসজিদের কাজে বাধা আশা আমাদের সকল মুসল্লিদের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক একটি ব্যাপার। তবে এই মসজিদে প্রতি সপ্তাহে যে দান সদকা গুলো জমা হয় এর পরিমাণটা আসলেই অনেক বড়। মসজিদটির চারপাশে দেয়াল গুলো চমৎকার দেখতে। ভারতের সীমান্তে অবস্থিত এই মসজিদটি নিয়ে অনেক সুন্দর একটি বিস্তারিত আলোচনা আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার হয়েছে। এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 last year 

ধন্যবাদ আপু।

 last year 

বাহ বাইরে থেকে মসজিদটাকে দেখতে বেশ ভালোই লাগতেছে।তাছাড়া থাই আর টাইস লাগানোর কারণে এর সৌন্দর্য বহুগুণ বেড়ে গেছে।শুনে খুব ভালো লাগলো যে প্রতি শুক্রবার এতো পরিমাণ শদকা আসে। তা সত্যিই অনেক প্রশংসা জনক। যাই হোক অনেক সুন্দর লিখেছেন আপনিন।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

ধন্যবাদ।

 last year 
DescriptionInformation
plagiarism-free
#steemexclusive
Ai Content - free

We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.

 last year 

লালমনিরহাটের ঐতিহ্যবাহী বড় মসজিদ নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। মসজিদটি দেখেই মনে হচ্ছে অনেক আগের পূরাতন একটি মসজিদ। মসজিদ টি টাইলস দিয়ে সুন্দর করে সজ্জিত করা হয়েছে। এটি আমাদের দেশের সীমান্ত এলাকায় অবস্থিত।

@md-sajalislam.

20230511_105644__01.jpg

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 58630.93
ETH 2517.93
USDT 1.00
SBD 2.35