কন্টেস্ট- আমার এলাকার একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার || ৩১ জুলাই ২০২৩
হ্যালো ব্লগার,
আশা করি সকলে ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও অনেক ভালো আছি।আমি আজকে স্টিম ফর ট্রাডিশন কমিউনিটির পক্ষ থেকে আয়োজিত প্রতিযোগিতা,এলাকার ঐতিহ্যবাহী খাবার নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি।এমন সুন্দর একটি আয়োজন করার জন্য আমি প্রথমেই @toufiq777 ভাইকে অনেক ধন্যবাদ জানাই।
আপনাদেরকে আমার এই কন্টেস্টে আমন্ত্রণ জানাই:@limon88 @alicargofer @emidbr
|
---|
কভার ফটো দেখে নিশ্চয়ই আন্দাজ করতে পেরেছেন আমি কি নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি।হ্যা, আমি আজকে আমার এলাকার একটি সনামধন্য এবং ঐতিহ্যবাহী খাবার চা নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি। চা একটি পানীয় খাবার। কমবেশি সকল মানুষেই চা খেয়ে থাকে।চায়ের ইতিহাস জানলে আপনারা অনেকেই অবাক হয়ে জাবেন। চা বাঙালিদের খাওয়ানোর জন্য ব্রিটিশরা অর্থ প্রদান করত শুনতে অবাক লাগছে না? হ্যা, এটাই সত্য। কিন্তু এই চা খাওয়ার জন্য এখন মানুষ অনেক অর্থ ব্যয় করে। চা এমন একটি পানীয় যা আমাদের মন এবং মস্তিষ্ক দুইটাই ফ্রেশ করে। চা বাংলাদেশের আনাচেকানাচে পাওয়া যায়।চা ব্রিটিশদের আবিষ্কার হলেও এর সুনাম কামিয়ে নিয়েছে পার্বাতীপুর উপজেলা। আমাদের পার্বাতীপুরের চা এতো বেশি বিখ্যাত যে, দেশের অনেক অঞ্চল থেকে চা খাওয়ার জন্য পার্বাতীপুর আসে।
আমাদের এলাকার শাহ হোটেলের চায়ের কথা জানেনা এমন মানুষ খুজে পাওয়া দুষ্কর। বেশ কিছুদিন আগেও টাঙ্গাইল থেকে একদল সিনেমার নায়ক চা খাওয়ার জন্য আসে পার্বাতীপুরে। আসেন আমরা জেনে নেই কেনো এতো বেশি বিখ্যাত পার্বাতীপুর শাহ হোটেলের চা।
শাহ হোটেলের চা বিখ্যাত হওয়ার কিছু কারনঃ
প্রথম কারন হলো এই চা বানানো হয়ে থাকে গরুর খাটি দুধ দিয়ে।
চা বানানোর যে দুধ ব্যবহার করা হয় তা প্রায় ৭ দিন ধরে চুলায় জ্বাল করা হয়ে থাকে। যার কারনে এতো বেশি মজার হয়ে থাকে।
চায়ের মধ্যে একপ্রকার বিস্কুট মিশানো হয় যা একটি সিকরেট বিষয় আর বিষয়টি শাহ হোটেলের মালিক বলে না।
চায়ের কোয়ালিটি অনুযায়ী দাম অনেক কম হয়ে থাকে এবং আমি শুনেছি চায়ের প্রতি ক্যাতলিতে ৫০০-১০০০ টাকা ছাড় দিয়ে তিনি বিক্রি করেন।
আরেকটি বিষয় এই চা সম্পর্কে মানুষ বলেঃ এই চা খাওয়ার পরে যদি অন্য কিছু না খান তাহলে প্রায় ১ ঘন্টা ধরে এই চায়ের স্বাদ মুখের মধ্যে লেগে থাকে।
দক্ষিনাঞ্চলে ঘুরতে গেলে আমাদের পার্বাতীপুর কথা বললে হয়ত অনেকেই চিনবে না কিন্তু আপনারা যদি বলেন পার্বাতীপুর শাহ হোটেলের কথা তাহলে কমবেশি সবাই আপনাকে চিনে থাকবে। এই চা মূলত আমাদের এলাকাকে এতো বেশি পরিচিত করেছেন। বেশ কয়েকদিন আগে আমি একটি নাটক দেখি এবং সেখানে একজন বন্ধু অন্যজন বন্ধুর থেকে চা খাওয়ার কথা বলে কিন্তু সেই বন্ধু বলে তোরে আমি পার্বাতীপুর নিয়ে গিয়ে শাহ হোটেলের চা খাওয়াবো।
শাহ হোটেলের লাল চা বেশ মজাদার। আমি বেশির ভাগ সময়ে লাল চা খেয়ে থাকি। দোকানে চা মূলত কাস্টমার বাড়ানোর জন্য এতো ভালো করা হয়। শাহ হোটেলের একটা বানী আছে তারা চায়ে লস করে কাস্টমার ধরে এবং অন্যান্য খাবার বিক্রি করে তার লসের টাকা পূরন করে থাকে। শাহ হোটেলে এখন প্রায় ১০ প্রকার চা পাওয়া যায়।তারমধ্যে রয়েছে-বিখ্যাত সেই দুধ চা, লাল চা,স্লিমিং চা,লেমন মাল্টা চা, ব্লাক চা, অরেঞ্জ চা,গ্রীন চা সহ আরো অনেক। তবে এই চা গুলোর চাহিদা কম রয়েছে। কেউ যদি নাম ধরে বলে আমি ওই চা টা খাবো তাহলেই তাকে দেওয়া হয় নয়ত সবাইকে দুধ চা দেয়।
মূলত এই চা আমাদের পার্বাতীপুরের পরিচিতি আরো বেশি বাড়িয়ে দিয়েছে। তাই এই চা আমাদের নিকট একটি ঐতিহ্য। বাহিরের কোথাও ঘুরতে গেলে যখন কেউ শাহ হোটেলের চায়ের কথা বলে তখন গর্বে বুকটা ভরে যায়।
ডিভাইস | রেডমি নোট ১০প্রো |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mainuna |
লোকেশন | পার্বাতীপুর, দিনাজপুর। |
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
Thank you so much sir,
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
চা আমার নিজেরই অনেক পছন্দের, আর শাহ হোটেলের চা হলে তো কথাই নেই। মাঝে মাঝে পার্বতীপুর গেলে শাহ হোটেলের চা খাওয়া হয় আমার। উত্তরাঞ্চলের মানুষ বেশি চা প্রিয়। সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাই, আপনার জন্য শুভকামনা রইলো, দুই একদিনের ভিতর আসতেছি চা খাওয়ার জন্য। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আসেন ভাই আপনারে ১০ আইটেমের চা খাওয়াবো আমার পক্ষ থেকে।
শাহ্ হোটেলের চা আসলেই খেতে অনেক মজা।আমি অনেকেবা এই শাহ হোটেলের চা খেয়েছি।আমকে শাহ হোটেলের দুধ চায়ের থেকে লাল চা টাই বেশি ভালো লাগে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দারুণ হয়েছে। লিখেছেন ও অনেক সুন্দর। আপনাকে প্রতিযোগিতার শুভকামনা রইল ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপু।
শুধু মাত্র এই খাবার গুলো একা খাইলে হবে 🙄🙄 আমাদের ও দাওয়াত দাও তোমার এলাকার ঐতিহ্য বাহী খাবার খামু বাহে☺️☺️☺️
আসলাম ভাই ও আসবে ভবানীপুরে আপনিও আসিয়েন।
আহ।শাহ হোটেলের দুধ চায়ের স্বাদ মুখে লেগেই থাকে। শাহ হোটেলের চা অনেক বিখ্যাত। আপনি অনেক সুন্দর রিভিউ দিয়েছেন। আমি মূলত দুধ চা এর চেয়ে লাল চা বেশি পছন্দ করি। আমার প্রচন্ড মাথা ব্যথা হয়। তবুও শাহ হোটেলে গেলে আমি দুধ চাই খাই। অনেক সুন্দর লিখেছেন। ছবিগুলো খুবই সুন্দর হয়েছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও ধন্যবাদ আপু।
পার্বতীপুরের নাম করা হোটেল হলো শহা হোটেল। এই হোটেলে অবশ্য আমার কখনো চা খাওয়া হয়নি। তাই আমি এর স্বাদ ও বুঝবো না তবে এই হোটেলের মিষ্টি আমি খেয়েছি অনেক সুস্বাদু। এখানকার চা হয়তো আসলেই মজাদার দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
আসলে খাওয়াবোনি।
শাহ হোটেল এর চা খেতে কার না ভালো লাগে। আমরা বন্ধুবান্ধব প্রায় খাওয়া দাওয়ার পর চা খেয়ে থাকি। সেখানকার চা আমাদের পার্বতীপুর থানার মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে। ভাই আমাদের চা খাওয়াবেন কবে। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য। প্রতিযোগিতায় আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
গাল্ফ্রেন্ড নিয়ে আসিও চা ফ্রি তোমার জন্য কয়টা খাইতে পারো 🙃।
https://twitter.com/NoorAmi17031375/status/1685939331352174592?t=Irq4uDaxuGmsMY1TECze0Q&s=19
চা আমার অনেক পছন্দের একটা খাবার।আমি শাহ্ হোটেল গেলে সেখানে কিছু নাস্তা করে সেখানকার চা অবশ্যই খাবো।শাহ্ হোটেলের চা আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে বিস্তারিত আলোচনা করছেন ভাই আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই।
শীতকালের একটি জনপ্রিয় পানীয় হলো চা। শাহ হোটেলের চা কখনো খাইনি। তবে শাহ হোটেলের অনেক সুনাম এর আগেও শুনেছি। চা নিয়ে খুব সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ আপু।