কাঠ দিয়ে বানানো ব্রীজ || ১১ জুন ২০২৩
আশা করি সকলে ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও অনেক ভালো আছি। আমি আজকে আপনাদের সাথে কাঠ দিয়ে বানানো ব্রীজ নিয়ে কিছু কথা শেয়ার করব।
|
---|
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কাঠের বানানো অনেক আসবাবপত্র ব্যবহার করতে হয়। আমাদের বাসা বাড়িতে খেয়াল করলেই আমরা দেখতে পাবো আমাদের শোয়ার জন্য বানানো সোফা বা খাট কাঠ দিয়ে বানানো হয়েছে। প্রাচীনকাল থেকে কাঠ আমাদের দৈনন্দিন কাজে অনেক সহযোগী হিসেবে রয়েছে। কাঠ যেমন বাড়ির আসবাবপত্র তৈরিতে লাগে তেমনি অনেক সেঁতু, ব্রীজ বানানোর জন্যেও কাঠের ভূমিকা অনেক বেশি। অনেক এলাকায় কাঠের ব্রীজ রয়েছে যা যুগযুগ ধরে টিকে আছে। তেমনি আজকে আপনাদের একটি কাঠের বানানো ব্রীজ দেখাব। ব্রীজটি রামরামপুর ফকিরপাড়া ঈদগাঁ মাঠে তিলাই নদীর উপরে অবস্থিত।
নদীর অন্যপ্রান্তে বসবাসরত মানুষের মাঠে যাতায়াতের জন্য বানানো হয়েছে এই ব্রীজটি। ব্রীজটি ৪০ মিঃ লম্বা। ব্রীজটিতে ব্যবহার করা হয়েছে কাঠ এবং খুটি হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে ইউক্যালিপটাস গাছ। প্রায় ৮০ টি ইউক্যালিপটাস গাছ খুটি হিসাবে রয়েছে এই ব্রীজে। ব্রীজটি বেশ শক্ত ও মজবুত। নিচে ব্যবহার করা হয়েছে কাঠের বানানো বাতা। লোহা বা ইটের তৈরি ব্রীজের চেয়ে অনেক কম খরচ পড়ে কাঠের ব্রীজ বানাতে। এই ব্রীজটি বানাতে খরচ পড়েছে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা মাত্র। কিন্তু অন্যদিকে আমরা এই ব্রীজটি ইটের বানাতে গেলে খরচের পরিমান অনেক বেড়ে যাইতো।
ব্রীজটি একটি ভ্রমনের স্থান বলা চলে। এলাকায় কারো নতুন বিয়ে হলে কেউ বউ নিয়ে আবার কেউ জামাই নিয়ে ঘুরতে আসে এখানে। সবদিকেই সবুজের সমারোহ আবার একটি তিলাই নদী পাশেই বিশাল বড় বড় বট গাছ এবং খেলার মাঠ। সবমিলিয়ে এই জায়গায়র সৌন্দর্য মানুষকে বিমোহিত করে তোলে। আগেকার দিনে কাঠের ব্রীজ দেখা গেলেও এখন তেমন দেখতে পাওয়া যায় না। একদম গ্রাম এলাকা ছাড়া এমন ব্রিজ আর দেখতে পাওয়া যায় না।
বর্তমানে কাঠের ব্রিজ একটি ফ্যাশন হয়ে গেছে বিভিন্নরকম কফি শপে বা রেষ্টুরেন্টে যাতায়াত করার জন্য কাঠ দিয়ে ব্রীজ বানানো হয়ে থাকে। কিন্তু আমাদের এলাকায় এই ব্রীজ বানানো হয়েছে সরকারি কোনো বাজেট না আসায়। ঈদের নামাজ পড়তে আসার সময় অনেক মানুষ ভিজে পারাপার করত আর এই থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যই এলাকার মানুষের সাহায্যে বানানো হয় কাঠ দিয়ে ব্রীজ।
বর্ষাকালে এই ব্রীজ থেকে ছেলেরা গোসল করার জন্য লাফালাফি করে যার কারনে অনেক সময় অচল হয়ে পড়ে। বর্তমানে ব্রীজটি সচল রয়েছে। এককথায় যায়গাটি অনেক মনোমুগ্ধকর। আপনারা পার্বাতিপুর এলাকার হলে অবশ্যই একবার ঘুরে যাবেন আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
ডিভাইস | রেডমি নোট ১০প্রো |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mainuna |
লোকেশন | HWQC+HFH চৌপথী বাজার |
কাঠ দিয়ে বানানো ব্রীজ নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন।এই কাঠের তৈরি ব্রিজ তেমন একটা দেখা যায় না। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ।
This is a manual curation from the @tipU Curation Project. Your post was promoted on Twitter by the account josluds
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 8/9) Get profit votes with @tipU :)
Thank you.
https://twitter.com/NoorAmi17031375/status/1667702961118773249?t=vnfMhHV3CjFyPU9amJTw1Q&s=19
ঐতিহ্যবাহি কাঠের তৈরি ব্রিজ। কাঠের তৈরি ব্রিজ গুলা অনেক মজবুত হয়। আগে নদীর এপার থেকে ওপারে যাওয়া একমাত্র অবলম্বন ছিল কাঠের বা বাঁশের তৈরি ব্রিজ। আপনি কাঠের তৈরি ব্রিজ নিয়ে খুব সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করছেন ভাই। ধন্যবাদ
ধন্যবাদ।
তিলাই নদীর উপর নির্মিত এই ব্রীজটি দেখতে খুব সুন্দর। ব্রীজের চারদিকের পরিবেশ খুব সুন্দর। আশা করি ব্রীজটি অনেক দিন টিকে থাকবে।
জি ভাই।
এই কাঠের ব্রিজ টি বেশ পুরনো। আমি এই ব্রিজটি দেখেছি। আপনি বেশ চমৎকার তুলেছেন ছবি গুলো। এই নদীতে পানি কম দেখা যায়।
জি ভাইয়া পানি কম।
যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যম এই কাঠের ব্রিজটি অসাধারণ লাগছে। আমাদের এলাকায় ও এইরকম একটা বাঁশের ব্রিজ রয়েছে। ধন্যবাদ ভাই কাঠের ব্রিজ নিয়ে সুন্দর আলোচনা করার জন্য।
ধন্যবাদ।
কাঠের তৈরি ব্রিজ নিয়ে দারুণ লেখছেন ভাই।আমাদের এইদিকে একটা বাঁশের তৈরি ব্রিজ ছিল বর্তমান এখন সেটা নাই। আপনি কাঠের তৈরি ব্রিজের দারুণ ফটোগ্রাফি করছেন ভাই আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.