জনপ্রিয় ও ঐতিহ্যবাহী খাবার "বাতাসা "

in Steem For Traditionlast year (edited)

আসসালামু আলাইকুম,প্রিয় স্টিম ফর ট্রাডিশন কমিউনিটির ব্লগারবৃন্দরা সকলে কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহ তায়ালার অশেষ কৃপায় আপনারা সকলে ভালোই আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।আজকে আমি ঐতিহ্যবাহী খাবার বাতাসা নিয়ে কিছু কথা বলবো।

1680345021540.jpg

বাঙ্গালীরা হলো ভোজন বিলাসী। বাঙ্গালীরা খাবার খেতে ভালোবাসে। মিষ্টি খাবার খেতে অনেক পছন্দ করে। খাবার খাওয়ার শেষে মিষ্টান্ন খাবার খেতে সবাই পছন্দ করে। অনেক রকমের মিষ্টি খাবার আছে তার মধ্যে অন্যতম হলো বাতাসা। বাতাসা তৈরি করা হয় চিনি ও গুড় দিয়ে। এছাড়া আখের রস ও খেজুরের রস দিয়েও বাতাসা তৈরি করা যায়। সাধারণত সবাই চিনি দিয়ে বাতাসা তৈরি করে থাকে। চিনি ও গুড় হচ্ছে বাতাসা তৈরির প্রধান কাঁচামাল।বাতাসা শুধু আমাদের এই বাংলাদেশ নয় এটি পুরো দক্ষিণ এশিয়ার ভিতরে জনপ্রিয় একটি খাবার বাতাসা।

IMG_20230316_184430.jpg

প্রাচীন কাল থেকেই বিভিন্ন ধরনের আচার অনুষ্ঠানে এই বাতাসার প্রচলন ছিল। গ্রামে গাঁয়ে যখন মেলা বসতো তখন মিষ্টান্ন খাবার ছিল অনেক। লোক জনের সমাবেশ হতো। মিষ্টি মুখ করার জন্য বাতাসা হলো এক অন্যতম খাবার।বাতাসা ছোট বড় সবাই খেতে পছন্দ করে। এখন বাতাসার প্রচলন কমে গেছে। আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে গেছে কোথায় এইসব মিষ্টান্ন খাবার। ছোট বাচ্চাদের জন্য বাতাসা হলো একটি জনপ্রিয় খাবার।

IMG_20230217_201101_1.jpgIMG_20230217_201052_1.jpg

সব থেকে মজার বিষয় হলো,এই বাতাসা ছোট বাচ্চাদের একটি জনপ্রিয় খাবার, এই খাবার ছোট বাচ্চা গুলো দেখলে তারা সঙ্গে সঙ্গে খাবার কিনে নেই, এটা একটা পছন্দের খাবার। আমি মিস্টি জাতীয় জিনিস গুলো খুব কম খাই তবে বাতাসা খাবার টি খেতে খুব ভালো লাগে, এই খাবার মুখে দিলে সাথে সাথে গোলে যায় তাই এটা খেতে খুব ভালো লাগে। বাতাসা এখন খুব কম পাওয়া যায়,বাতাসায় সাধারণত চিনি বা গুড়ের পরিমান বেশি থাকায় আমাদের শরীর শক্তি জোগায়। বাতাসা হজমশক্তি দুর করতে সাহায্য করে। তবে বাতাসা মিষ্টিজাতীয় খাবার বলে অনেক ডায়েবিটিস রোগীর জন্য ক্ষতিকর। এই বাতাসা আমরা হাটে বাজারে গেলে দেখতে পাই তবে বর্তমান সময়ে এই বাতাসা তেমন চোখে পড়ে না।

IMG_20230316_184441.jpg

আগে গ্রাম অঞ্চলে কিছু কিছু মানুষ বাতাসা নিয়ে আসে বিক্রি করতো,আর এখন আগের মতো দেখা যায় না।আমি ছোট বেলায় বাতাসা অনেক খেয়েছি আমি এখনো বাতাসা খেতে খুব পছন্দ করি। আমি কালকে আমার আপুর বাসায় যায় তখন আমি দেখি আমবাড়ি বাজারে কিছু মিষ্টান্ন দোকান,সেখানে দেখলাম মিস্টি জাতীয় খাবারের মধ্যে এই বাতাসা খাবার ছিল। আমি সেখান থেকে কিছু বাতাসা কিনে নেই, বাতাসা এমন একটা খাবার যে কম বেশি সবার পছন্দ, এই বাতাসা বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে।আজকে আমি এখানেই শেষ করলাম আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।





ছবি সংক্রান্ত তথ্যাবলিঃ
ডিভাইসRedmi S2
ফটোগ্রাফার@jannatunbithi
লোকেশনআমবাড়ি বাজার,ফুলবাড়ি



সবাইকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ

Sort:  
 last year 

প্রাচীন কাল থেকে বাসাতা খাবার ব্যবহার হয়ে আসছে আমাদের বাসায় বাসায়। আমার অনেক প্রিয় একটি খাবারেই বাতাসা। সাধারণত এই বাতাসা এখন তেমন দেখতে পাওয়া যায় না। গ্রামীণ মেলা ও ধর্মীয় সভা ছাড়া এই খাবারের কোন দেখা মিলে না। অনেক সুন্দর লিখেছেন ধন্যবাদ।

 last year 

অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া

 last year 

বাতাশা নিয়ে অনেক সুন্দর পোস্ট করছেন আপু, বাতাশা আমার অনেক পছন্দের খাবার। হাট বাজারে গেলে বাতাশা কিনে আনি। আগে যখন ছোট ছিলাম তখন দেখতাম মসজিদে নামাজ শেষ করে মিলাদ হতো এবং মিলাদ এ তবারক হিসাবে এই বাতাশা দিতো। অনেক সুন্দর উপস্থাপন করছেন আপু অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

ধন্যবাদ আপনাকে

Loading...
 last year 

বাতাশা একটি অনেক জনপ্রিয় খাবার। ছোটরা এটি বেশি পছন্দ করে। তবে বয়স্ক,মধ্যবয়স্ক, প্রাপ্তবয়স্ক অনেকেই এটা বেশ পছন্দ করে। অনেক পুরনো একটি খাবার। এগুলোর আবার অনেক আকৃতি ও থাকে। হাতি, ঘোড়া, মাছ, রসুন এসব আকৃতির বেশি পাওয়া যায়। আমারও বাতাসা খেতে অনেক ভালো লাগে। আপনি অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের উপহার দিয়েছেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু। ভালো থাকবেন।

 last year 

ধন্যবাদ আপু

 last year 

বাতাসা নিয়ে অনেক সুন্দর লেখছেন আপনি, বাতাসা খেতে সবাই পছন্দ করে, আর বাতাসা হলো ছোট বাচ্চাদের অনেক প্রিয় একটা খাবার,আমি ছোট বেলায় অনেক বাতাসা খাইছি, তবে এখন বাতাসা খুব কম দেখা যায়, এখন শুধু বাজার বা কোন মেলায় এই বাতাসা গুলো দেখা যায়। বাতাসা অনেক ধরনের হয়ে থাকে। আপনি অনেক সুন্দর একটা পোস্ট করেছেন,আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটা পোস্ট করার জন্য।

 last year 

অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ

 last year 

বাতাস নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন।এই বাতাসা আমার অনেক পছন্দের একটি খাবার। শুধু আমারি না এটি ছোট বাচ্চাদের জনপ্রিয় একটি খাবার। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে সেয়ার করেছেন।ধন্যবাদ আপু।

 last year 

ধন্যবাদ

 last year 

বাতাসা খেতে প্রায় সবাইকে ভালো লাগে বিশেষ করে ছোট বাচ্চাদের বাতাসা খুব প্রিয় একটি খাবার। ছোটবেলায় আমি অনেক সময় এই বাতাসা খেয়েছি খুব ভালো লাগে খেতে মিষ্টি করে বাতাসা।বাতাসা সম্পর্কে খুব সুন্দর লিখেছেন ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে আপনার ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য।

 last year 

ধন্যবাদ ভাইয়া

 last year 

জনপ্রিয় ও ঐতিহ্যবাহী খাবার "বাতাসা "। এটি আগেকার যুগে গ্রামে গ্রামে বিক্রি হতো। কিন্তু সময় ও কালের পরিবর্তনে এখন আর দেখা পাওয়া যায় না। তবে গ্রামের মেলাগুলোতে বাতাসা খাবার পাওয়া যায়।

 last year 

ধন্যবাদ আপনাকে

 last year 

বাতাসা বাংলার জনপ্রিয় একটি মিষ্টি খাবার। চিনি অথবা গুড় থেকে এই বাতাসা তৈরি করা হয়।বাতাসা বিভিন্ন আকৃতির হয়ে থাকে। ছোট বাচ্চারা বাতাসা খেতে ভীষণ পছন্দ করে। হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা বাতাসা প্রসাদ হিসেবে ব্যবহার করেন। গ্রাম অঞ্চলের মেলাগুলোতে বাতাসা বেশি দেখতে পাওয়া যায়।বাতাসা নিয়ে আপনার লেখা পোস্টটি অসাধারণ হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্টটি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।

 last year 

ধন্যবাদ আপু

 last year 

বাতাসা আমার অত্যন্ত প্রিয় মিষ্টি জাতীয় খাবার। আপনি আপনার এই পোস্টে সাদা সাদা পপকর্নের মতো যে ছবিটি শেয়ার করেছেন সেই খাবার টি আমি কিছুদিন আগে একটি মেলা থেকে কিনে এনেছিলাম কিন্তু খেতে পারিনি। এই খাবারটি মূলত হল চিনির দলা যা খেতে খুব বেশী ভালো লাগে না। ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

ধন্যবাদ

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.027
BTC 58919.17
ETH 2647.00
USDT 1.00
SBD 2.43