ঐতিহ্যবাহী গ্রাম অঞ্চলের খড়ের পালা
আজ শুক্রবার
৭ জুলাই ২০২৩
প্রিয় স্টিমবাসী সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের কে গ্রাম অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী খড়ের পালা সম্পর্কে বলবো এবং দেখাবো আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে। তো দেরি কেনো চলেন শুরু করা যাক। যুগ যুগ ধরে এভাবেই গ্রাম অঞ্চলের মানুষ খড় সংরক্ষণ করে।
বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। এদেশের মানুষের পেশা কৃষিকাজ। ধান আমাদের প্রধান খাদ্যশস্য। ভাত বাঙালির প্রধান খাবার। এদেশের অধিকাংশ মানুষ কৃষিকাজের সাথে জড়িত। ধান কাটার পর, ধান মাড়াই করে রৌদ্রে শুকিয়ে খড় বানানো হয়। সেই খড় সংরক্ষণের জন্য পালা করে রাখা হয়।
খড় পালা করে রাখার উদ্দেশ্য হলো খড়ের ভিতর পানি ঢুকতে পারে না। তার ফলে খড় অনেকদিন সংরক্ষণ করা যায়। এভাবে সংরক্ষণের জন্য খড় কয়েকদিন যাবত রৌদ্রেশুকিয়ে মচমচে করে নিতে হয়। খড় গৃহপালিত পশুর খাবার। এবং জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার করা যায়।
গ্রামের প্রত্যেকটি বাড়িতে একটি করে খড়ের পালা রয়েছে। ধান কাটার মৌসুমে ধান কাটা শেষ হলে,খড় শুকানোর ধূম পড়ে যায়। প্রখর রৌদ্রে সবাই খড় শুকাতে ব্যস্ত হয়ে যায়। আমি নিজেও এই খড় শুকাইতাম, যখন গ্রামে ছিলাম। আমাদের জমিতে ধান রোপণ করতাম। সেই ধান কাটা শেষ হলে ধান মাড়াই করে রৌদ্রে শুকাইতাম। এগুলো করার মাঝেও আনন্দ লুকিয়ে থাকে।
এই পালা সবাই দিতে পারে না, হয়তো প্রতিটি বাড়িতে একজন থাকে এমন পালা দেওয়ার জন্য। যে পালাতে পানি প্রবেশ করতে পারে না। এখন মানুষ গরু লালন পালন করতে বেশি আগ্রহ প্রকাশ করছে, যার জন্য খড়ের দাম অনেক। খড় দিয়ে ঘর ও দেওয়া যায়। যে ঘর রান্না করার জন্য ব্যবহার করা হয়। খড় এর পালা হচ্ছে গ্রাম অঞ্চল এর সৌন্দর্য।
যে খড় এর পালা সুন্দরভাবে দিতে পারেনা, সে পালার মাথাতে পলিথিন দিয়ে রাখে যাতে বৃষ্টিতে পানি না প্রবেশ করে। পানি প্রবেশ করলে খড় নষ্ট হয়ে যাবে। আমাদের বাড়িতেও খড়ের পালা রয়েছে।গৃহপালিত পশুর খাদ্য হিসেবে সারা বছরের জন্য সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। আমাদের মতো আমাদের গ্রামের সবাই খড় সংরক্ষণ করে রেখেছে। কার কার বাড়িতে খড়ের পালা রয়েছে তা কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। কে কে খড়ের পালা দিতে পারেন সেটাও কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আজ এ পর্যন্তই। আবারো লিখবো অন্য কোন বিষয় নিয়ে আপনাদের মাঝে।
মোবাইল | TECNO CAMON 16 PRO |
---|---|
ধরণ | ঐতিহ্যবাহী খড়ের পালা |
ক্যামেরা | ৬৪ মেগাপিক্সেল |
ফটোগ্রাফার | @aslamarfin |
অবস্থান | টাংগাইল। |
খড়ের পালা সাধারণত উত্তর অঞ্চলের মানুষের কাছে বেশি দেখা যায় ৷ কেননা তারা এই খড় দিয়ে বিভিন্ন জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করে ৷ আবার এই খড় দিয়ে গৃহপালিত পশু যেমন গরু , ছাগল , মহিষ এদের খাবার হিসেবে ব্যবহৃত হয় ৷ খড়ের পালা নিয়ে সুন্দর লিখেছেন আপনি ৷ ধন্যবাদ
ধন্যবাদ বস
ধান কাটায় মাড়াই করার পরে খড় অনেকদিন ধরে সংগ্রহ করে রাখার জন্য এরকম পালা করে রাখা হয় আমরা গ্রামাঞ্চলে তাকে পুঁজ বলি। এতে জ্বালানি এবং পশুর খাবার হিসাবে ব্যবহার করতে সুবিধা হয়। খড় পালা আকারে রাখলে অনেকদিন ভালো থাকে।
অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয়
খড়ের পালা নিয়ে সুন্দর পোস্ট করেছেন আপনি। আমাদের এলাকায় প্রধানত গরুর খাবার সংরক্ষণ করার জন্য এভাবে খড়ের গাদা বা পালা দিয়ে রাখা হয়। বর্ষাকালে এটার ভিতর পানি প্রবেশ করলেও বর্ষা ঋতু শেষ হলে সেটা শুকিয়ে যায়। ধন্যবাদ আপনাকে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
গ্রাম অঞ্চলের প্রায় প্রত্যেক বাড়িতেই এরকম খড়ের পালা দেখা যায়।ছোটবেলায় শীতকালে খড়ের পালায় লুকোচুরি খেলতাম। ধান কাটার শেষে খড়গুলো শুকিয়ে এভাবে পালা করে রাখা হয়। চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন শুভকামনা রইল
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
খড়ের পালা সম্পর্কে সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন ভাই। আমাদের গ্রামেও অনেক খড়ের পালা আছে। এটা গ্রামের ঐতিহ্য। ছবিগুলো সুন্দর হয়েছে।
অনেক ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
গ্রামীণ সমাজের এক অন্যতম অংশ হলো খড়ের পালা। গো খাদ্যের জন্য এই খড়ের পালা গুলো তৈরি করা হয়। দারুন ফটোগ্রাফি করেছেন ভাই ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ গুরু
টুইটার লিংক -
https://twitter.com/Aslamarfin64366/status/1677327731892133895?t=McstqhS4XAgtWpbaOqRDOA&s=19
ঐতিহ্যবাহী গ্রাম অঞ্চলের খড়ের পালা নিয়ে দারুণ লেখছেন ভাই।খড়ের পালা গ্রামের একটি সৌন্দর্য।ইরি বা আমন ধান কাটার পর এগুলো খর শুকিয়ে পালা করে রাখা হয়।আপনি সুন্দর একটা পোস্ট উপস্থাপন করেছেন আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
গ্রাম অঞ্চলের খড়ের পালা নিয়ে অনেক সুন্দর একটা পোস্ট লিখেছেন। এই খরের পালা আমাদের গ্রাম অঞ্চলের ঐতিহ্য। সুন্দর একটি পোস্ট আৃাদের মাঝে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখেছেন ভাই। অসাধারণ হয়েছে পোস্ট। ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।