^{হ্যালো বন্ধুরা।}

সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি।

^{আশা করি আপনারা যে যেখানে রয়েছেন সবাই সুস্থ,সুন্দর রয়েছেন আর Steem For Tradition এর সাথেই রয়েছেন।}

^{বাঙালি সংস্কৃতির ও ঐতিহ্যর সাথে অনেক খাবারের নাম জড়িত রয়েছে। অসংখ্য খাবার ও খাবারের স্বাদ এই জাতিকে বিশ্বের দপ্রবারে ভোজন রশিক জাতি হিসেবে পরিচিত করে তুলেছে। এই হাজারো খাবারের মাঝে বিশেষ একটি খাবার রয়েছে জার পরিচতি এই দেশ ছাড়িয়ে বিশ্বের আরো অনেক দেশেই খুব প্রিয়। আজ এরকমই এক মজার খাবার ইলিশ মাছের আদ্যপান্ত আপনাদের সামনে তুলে ধরবো-}

ইলিশকে ইংরেজিতে HILSA FISH বলা হয়ে থাকে। এটি মূলত সামুদ্রিক একটি মাছ এবং এই মাছটি ডিম পাড়ার জন্য নদীতে আসে।এটি লোনা পানি এবং মিঠা পানি ঊভয় পরিবেশেই থাকতে পারে। তবে ন্দীর ইলিশ সমুদ্রের থেকে বেশ ভালো হয়ে থাকে। ইলিশ মাছ কিভাবে বাংলার ঐতিহ্যর সাথে মিশে গেল এর সঠিক কোন ইতিহাস খুজে পাওয়া কঠিন। তবে যুগের পর যুগ ধরে সব বয়সের মানুষের নিকট প্রিয় একটা খবার হলো ইলিশ মাছ। বাংলায় একটা প্রবাদ আছে”মাছ খাও তো ইলিশ আর চাকুরি করোতো পুলিশ”। এই থেকেই বোঝা জায় এই মাছের কদর কত বেশি।

উৎসব আয়োজন

ইলিশ মাছ এমন হয়ে গেছে যে কোন অনুষ্ঠানে এই মাছ ছাড়া জেন পূর্ণতা পায় না। বিশেষ করে বৈশাখ এলে এই মাছের কদর জেন আরো হাজার গুন বেড়ে জায়। বাঙ্গালি হিন্দু পরিবার তাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ইলিশ মাছের একটা পদ অবশ্যি রাখে। এই মাছের উপিস্থিতি অনেকে শুভ বলে মনে করে থাকেন। চাদপুরকে বলা হয় ইলিশের বাড়ি। মাওয়া ঘাটে কিছু হোটেল আছে যেখানে সুধু ইলিশ মাছই পাওয়া জায়। এছাড়া কিছু দিন আগে “ইলিশ” নামে নতুন একটি অভিজাত হোটেল তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন হোটেল, রেস্তোরা কিংবা অভিজাত খাবার হোটেল সব জায়গায় এই মাছের কোন না কোন পদ থাকবেই। বাঙ্গালীর ঐতিহ্যর সাথে কতটা খভীর মিতালী এই মাছের এখান থেকেই বুঝা জায়।

^{সুস্বাদু এই মাছ বিভিন্ন ভাবে রান্না করা জায় । রান্নার ভিন্নাতার কারনে এর স্বাদেরও তারতম্য ঘটে। সরিষা ইলিশ, ইলিশ মাছ ভাজা এই দুই পদ বেশী জন প্রিয়। তবে সরিষার রেল দিয়ে ইলিশ মাছ ভাজা আর গরম ভাত বেশী জনপ্রিয় আমাদের এই অঞ্চলে। ইলিশ মাছ কেটে ভালো করে ধুয়ে লবন , মরিচের গুড়া আর হলুদের গুড়া মিশিয়ে কিছুক্ষন রেখে দিয়ে এরপর গরম সরিষার তেলে কিছুক্ষন ভেজে নিলেই খাবারের উপযুক্ত হয়ে জায়। এর সাথে ইলিশ মাছের ডিম, বেগুন ভাজা আর শুকুনা মরিচ ভাজা থাকলে শতভাগ পরিপূর্ণ হয়।}

^{ইলিশ মাছের পুস্টিগুন অনেক। এই মাছের ভেরর রয়েছে মানব শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ক্যলরি,প্রোটিন, ওমেগা -৩ ফ্যাটি এসিড, পিএইচ এ, ডি এইচ এ এগুলো মানব শরিরে রোগ প্রতিরোধ, ক্যান্সার থেকে সুরক্ষা এবং মস্তিস্কের বিকাশ ঘটায়। এছাড়াও এই মাছের তেলে চোখের জন্য উপকারী উপাদান রয়েছে। ইলিশে পটাশিয়াম, সোডিয়াম, জিংক ও আয়োডিন রয়েছে এগুলো থাইরয়েডকে সুরক্ষিত রাখে এবং হাড় ও দেহের বিকাশে বিশেষ ভুমিকা পালন করে।}

সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিদায় নিচ্ছি।🌸🌸🌸