গ্রামবাংলার জনপ্রিয় খাবার খুড়িয়া কালাই রান্নার রেসিপি
স্টিম ব্যবহারকারী সকল ভাই ব্রাদার বন্ধুগণকে জানাই ভালবাসা এবং আন্তরিক মোবারকবাদ । আমার পক্ষ থেকে সকলকে সালাম যানাই, আসসালামু আলাইকুম। আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আমি জানি এই হালকা গরমে আল্লাহ-তাআলার অশেষ মেহেরবানিতে আপনারা সবাই ভালোই আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে খুড়িয়া কালাই রান্নার রেসিপি নিয়ে কিছু কথা বলবো।আশা করি সকলের ভালো লাগবে। নিচে তাহলে শুরু করা যাক। |
---|
উপকরণ | পরিমান |
---|---|
খুড়িয়া | পরিমাণ মতো |
কালাই | ১০০গ্রাম |
ঝাল | ৭-৮টা |
পিয়াজ | ২-৩টা |
তেল | দেড় পোয়া |
লবণ | ২-৪চামচ |
হলুদ | ১-২চামচ |
মসলা | পরিমাণ মতো |
প্রথমে খুড়িয়া শাক গুলো কেটে ডাটাগুলো ছিলে নিতে হবে। এরপর ডাটাগুলো ধুয়ে পরিস্কার করে একটি কড়াইয়ে নিয়ে চুলায় বসিয়ে দিতে হবে। এরপর ডাটাগুলো সিদ্ধ করে নিতে হবে। |
---|
এরপর পরিমান মতো কালাই একটি কড়াইয়ে নিয়ে সামান্য পানি দিয়ে চুলায় বসিয়ে দিতে হবে। কিছুখন পর সিদ্ধ হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে নিতে হবে। |
---|
এখন কালাইগুলো একটি বাটনায় উঠে নিতে হবে। এরপর কালাইগুলো বাটনাতে পিষে মিহি করে নিতে হবে। |
---|
এরপর একটি কড়াই চুলায় বসিয়ে দিতে হবে। চুলায় বসিয়ে দেওয়া পর পিয়াজ ও তেল পরিমাণ মতো দিয়ে ভালোভাবে পিয়াজগুলো লাল লাল করে নিতে হবে। |
---|
পিয়াজগুলো যখন লাল হয়ে যাবে তখন খুড়িয়ার ডাটা গুলো ঢেলে দিতে হবে। এরপর ঝাল বাটা, লবণ, হলুদ পরিমাণ মতো দিয়ে ভালোভাবে নাড়তে হবে। |
---|
কিছুখন নাড়ার পর কালাইর ডাল গুলো করাইয়ে ঢেলে দিতে হবে। ঢেলে দেওয়া শেষ হলে আবার কিছুক্ষণ নাড়তে হবে। |
---|
কিছুখন নাড়া শেষ করার পর কড়াইয়ে ঢাকনা দিতে হবে। এরপর ১০ - ১৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। |
---|
এরপর ঢাকনা খুলে একটু নেড়ে দিতে হবে। এখন ২-৪ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। অপেক্ষা করার পর যখন দেখবেন তরকারির পানি এটে গেছে তখন চুলা থেকে নামিয়ে নিতে হবে। |
---|
এরপর আমি তরকারির কড়াইটি রুমে নিয়ে গেলাম। রুমে নিয়ে যাওয়ার পর একটি বাটিতে করে তরকারি গুলো পরিবেশন করলাম।আজকে আমার এই ছিল খুড়িয়া কালাই রান্নার রেসিপি, কেমন হলো আমার রেসিপি সবাই আমাকে জানাবেন। |
---|
পরিশেষে সকলের সুসাস্থ কামনা করে আমি আমার বক্তব্য এখানেই শেষ করতেছি। আপনাদের মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই। সকলেই ভাল থাকবেন এবং পরবর্তী পোস্টে আবার দেখা হবে। |
---|
You can also vote for @bangla.witness witnesses
এখন এই সময়ে সবথেকে বেশি গ্রামের বাড়ি গুলোতে রান্না হয় খুড়িয়া। খুড়িয়া একটি জনপ্রিয় খাবার। আপনি প্রতিটি ধাপে ধাপে অনেক সুন্দরভাবে উপস্থাপন করে তুলে ধরেছেন। যে কেউ আপনার এই ধাপ গুলো ফলো করে রান্না করতে পারে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটি রান্নার রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য
ধন্যবাদ ভাই
ডাউল এর সাথে এমন করে ডাটা রান্না করা যায় তা আজ প্রথম দেখলাম। মনে হয় খাবারটা অনেক সুস্বাদু, কখনো এভাবে খাওয়া হয় নাই, আপনার রেসিপিটা ফলো করে এভাবে রান্না করার চেষ্টা করব। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য। ডালের সাথে খুড়িয়া শাকের খাবার অনেক লোভনীয় ছিল।
ধন্যবাদ ভাই
খুঁড়িয়া বা ডাটা খেতে খুব ভালো লাগে সবাইকে। বিশেষ করে এটি যদি কলাই দিয়ে রান্না করা হয় তবে আরো খেতে খুব মজা হয়।গ্রাম বাংলার এটি একটি বলাচলে ঐতিহ্যবাহী খাবার।গরমে সময় এই খুঁটিয়ে সব থেকে বেশি খাওয়া হয়।আমাকেও খেতে খুব ভালো লাগে ধন্যবাদ ভাই রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই।
খুড়িয়া কালাই আমার অনেক পছন্দের একটা তরকারি, গ্রাম বাংলায় এই সব তরকারি বেশি রান্না করা হয়, এই খুড়িয়া কালাই রান্না আমাদের বাসায় মাঝে মাঝে রান্না করে।এটে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে ধাপ গুলো সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন ভাই, আপনার রেসিপি পোস্ট দেখে আমার জল চলে আসতেছে, আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটা পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই
গ্রামবাংলার জনপ্রিয় খাবার খুড়িয়া কালাই সাদ অসাধারণ হয়ে থাকে। গ্রামের কম বেশি প্রতিটি বাড়িতেই দেখা যায় সবজি চাষ করতে।যার জন্য গ্রামের মানুষেরা প্রায় দিনই শাক-সবজি খেয়ে থাকে। তারা টাটকা সবজি খেতে বেশ ভালোবাসে। শাক সবজির মধ্যে খুড়িয়া দিয়ে তারা বেশ অনেক কয় ধরনের পথ রান্না করে থাকে। তার মধ্যে একটি হল খুরিয়া কালার। যার সাধ মুখে লাগার মত হয়ে থাকে। আমার এই পথটি খেতে বেশ ভালো লাগে। আপনার ফটোগ্রাফি সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি উপস্থাপন করা জন্য।
ধন্যবাদ ভাই
এই সময়ে খুড়িয়ার চাষ হয়ে থাকে। তবে খুড়িয়া কালাই ডাল জনপ্রিয় একটি খাবার। খুড়িয়া কালাই ডালের রান্নার আমার অনেক পছন্দের।গ্রামবাংলার জনপ্রিয় খাবার খুড়িয়া কালাই রান্নার রেসিপি দেখে জিভে পানি চলে আসছে ভাই।আপনি খুড়িয়া কালাই ডালের রান্নার রেসিপি অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন।
ধন্যবাদ আপু
খুড়িয়া বা ডাটা দিয়ে ডাল আমার পছন্দের একটি খাবার। আমাদের বাসায় আম্মু ডাটা দিয়ে ডাল প্রায়ই রান্না করে থাকে।গ্রামেই এসব খাবার বেশি রান্না করতে দেখা যায়। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া খুড়িয়া কালাইয়ের রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ
খুরিয়া কালায় অনেক জনপ্রিয় একটি খাবার। তার পাশাপাশি এটি আমারও অনেক পছন্দের। এটি গ্রাম বাংলার জনপ্রিয় একটি খাবার। আপনার পোস্টে আপনি রান্নার তৈরি উপকরণ গুলো অনেক সুন্দর ভাবে সাজিয়েছেন। রেসিপিটি তৈরির প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে বুঝিয়েছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।