স্টিম ব্যবহারকারী সকল ভাই ব্রাদার বন্ধুগণকে জানাই ভালবাসা এবং আন্তরিক মোবারকবাদ । আমার পক্ষ থেকে সকলকে সালাম যানাই, আসসালামু আলাইকুম। আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আমি জানি এই হালকা গরমে আল্লাহ-তাআলার অশেষ মেহেরবানিতে আপনারা সবাই ভালোই আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে বাঁশ গাছ নিয়ে কিছু কথা বলবো।আশা করি সকলের ভালো লাগবে। নিচে তাহলে শুরু করা যাক। |
কভার ফটো
উপরের যে ছবি গুলো দেখতে পাচ্ছেন সেগুলো হচ্ছে গ্রামঅঞ্চলের ঐতিহ্য বাঁশ। এই বাঁশ আমরা দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন কাজে বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার করে থাকি।বাঁশ এমন একটি উদ্ভিদ যা আমাদের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত নানা কাজে দরকার পড়ে। প্রাচীনকাল থেকে বাঁশের ব্যবহার অনেক । বাঁশবিহীন সমাজ পৃথিবীতে কখনো ছিল না, আজও নেই। একসময় প্রতিটি গ্রামেই কমবেশি বাঁশঝাড় ছিল। কিন্তু এখন গ্রামঅঞ্চল থেকে বাঁশঝাড় দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে । |
যেখানে গ্রাম সেখানে বাঁশঝাড় এমনটিই ছিল স্বাভাবিক। মানুষের জীবনে বাঁশের প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি, তা লিখে তো নয়ই, বলেও শেষ করা যাবে না। বাংলাদেশের জনজীবন থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী বাঁশ ও বেত শিল্প।মানবজীবনে বাঁশ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।এই বাশ গাছের পাতা প্রাচীনকালের মানুষ গরু ছাগলকে খাবার হিসেবে খাওয়াতো।বাঁশ গাছ সাধারণত একত্রে গুচ্ছ হিসেবে জন্মায়। এই বাঁশগুচ্ছকে গ্রাম অঞ্চলের মানুষ ‘বাঁশঝাড়’ বলে। এক একটি গুচ্ছে ৭০-৮০টি বাঁশ একত্রে থাকে। |
বাঁশ বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভিদ। বাঁশ চিনে না এমন মানুষ বাংলাদেশে পাওয়া যাবে না। কমবেশি বাংলাদেশের সর্বত্র বাঁশ উৎপন্ন হয়।তবে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামেই বাঁশ উৎপন্ন হয় বেশি। সেখানে রয়েছে বাংলাদেশের বৃহত্তম বাঁশ বন। বাংলাদেশে ২৬ প্রজাতির বাঁশ পাওয়া যায়। যেমনঃ মিতিয়া, ছড়ি, আইক্কা, বজরা, মাকালা,বড় বাশা,শাকুয়া, তল্লা বাঁশ ইত্যাদি। বাঁশ গ্রামীণ মানুষের নিত্য দিনের সঙ্গী। মানুষের জীবনের শেষ যাত্রার শেষ উপকরণটির নাম হল বাঁশ। |
মানুষের জীবনে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত বাঁশ প্রয়োজন। দালান-কোঠা, যেখানেই মারা যান না কেন, শেষ আশ্রয় বাঁশের ঘরে। বাঁশের খাটে করেই মৃত লাশকে গোরস্তানে নেয়া হয়। তারপর কবরে লাশ শুইয়ে মাটি চাপা দেওয়ার আগে বাঁশের টুকরা আড়াআড়ি করে দেওয়া হয়। তার ওপর বিছানো হয় চাটাই। সেটা চাটাইও বাঁশের তৈরি। তারপর যে কোদাল দিয়ে মাটি চাপা দেয়া হয় সেটাও বাঁশের তৈরি। এখানেই শেষ নয়। লাশ নিয়ে যাতে শিয়াল টানাটানি করতে না পারে সে জন্য দেয়া হয় বাঁশের বেড়া।পরিশেষে একটা কথাই বলবো বাঁশ আমাদের পরম বন্ধু। |
পরিশেষে সকলের সুসাস্থ কামনা করে আমি আমার বক্তব্য এখানেই শেষ করতেছি। আপনাদের মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই। সকলেই ভাল থাকবেন এবং পরবর্তী পোস্টে আবার দেখা হবে। |
আমার পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ |
![4i88GgaV8qiFU89taP2MgKXzwntUGAvkoQiKU7VxyD37q94i8e38qvF9HBknYTWLbKs3wg1cbtfZvU44CUYbBqLEEX6YDgQznQURMvBExn7FCAPjAUKLwJ1kpe.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRsJKf2r9DWRdqqiCgFRUu5YUjJBJQDYwV131Y9fgbQ7K/4i88GgaV8qiFU89taP2MgKXzwntUGAvkoQiKU7VxyD37q94i8e38qvF9HBknYTWLbKs3wg1cbtfZvU44CUYbBqLEEX6YDgQznQURMvBExn7FCAPjAUKLwJ1kpe.png)
আসসালামুআলাইকুম,আমার নাম মোঃ আহনাফ শাহরিয়ার । আমার স্টিমিট ইউজার নেম @ahanaf057। আমি দিনাজপুর জেলার, পার্বতীপুর উপজেলার যশাই হাটের তের-আনিয়া গ্রামের একজন বাসিন্দা। আমি পার্বতীপুর সরকারি কলেজে ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে পড়াশোনা করি।এখন পড়াশোনার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতেছি। আমি ফটোগ্রাফি ও ভ্রমণ করতে অনেক ভালবাসি।আমার প্রিয় খেলা হচ্ছে ক্রিকেট। আমি ক্রিকেট খেলতে ভালবাসি। আর সময় পেলে যে কোন ধরনের ফটোগ্রাফি করি।সকলেই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। |
![4i88GgaV8qiFU89taP2MgKXzwntUGAvkoQiKU7VxyD37q94i8e38qvF9HBknYTWLbKs3wg1cbtfZvU44CUYbBqLEEX6YDgQznQURMvBExn7FCAPjAUKLwJ1kpe.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRsJKf2r9DWRdqqiCgFRUu5YUjJBJQDYwV131Y9fgbQ7K/4i88GgaV8qiFU89taP2MgKXzwntUGAvkoQiKU7VxyD37q94i8e38qvF9HBknYTWLbKs3wg1cbtfZvU44CUYbBqLEEX6YDgQznQURMvBExn7FCAPjAUKLwJ1kpe.png)
You can also vote for @bangla.witness witnesses
বাঁশধাড় সম্পর্কে আপনি খুব সুন্দর লিখেছেন।বাশ আমাদের গ্রামীণ অঞ্চলে প্রায় সর্বত্রই লাগে।বাঁশ দিয়ে বিভিন্ন প্রকার জিনিস তৈরি করা হয় যা আমাদের লেগে থাকে। যেমন বাঁশের তৈরি ডালা, বাঁশের তৈরি ঝাড়ু আরো অনেক কিছুই। আপনি ঠিকই বলেছেন ভাই মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্তই বাশ দরকার।খুব সুন্দর পোস্ট উপস্থাপন করেছেন আপনি লেখাগুলো খুব সুন্দর হয়েছে ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই
বাঁশ আমাদের দৈনন্দিন অনেক কাজে লাগে। বাঁশের তৈরি শিল্পের সাথে এই বাঁশ ঝাড় এর ভূমিকা অপরিসীম। বাঁশঝাড় টিকিয়ে রাখতে হবে। তাহলেই বেঁচে থাকবে বাঁশ শিল্প।আপনি বাঁশঝাড় নিয়ে অনেক সুন্দর উপস্থাপন করছেন ভাই। অনেক সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করছেন। অনেক ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। এতো সুন্দর উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই
বাঁশ ঝাড় নিয়ে খুব সুন্দর লেখছেন ভাই, গ্রামের অঞ্চলের মানুষ আগে বাঁশ ঝাড় চাষ করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করতো,তবে এখন দিন দিন বাঁশ ঝাড় হারিয়ে যাচ্ছে, আগে যেকনো জায়গায় বাঁশ ঝাড় দেখা যেতো আর এখন বাঁশ ঝাড় উঠে ফেলে তারা সেখানে বাড়ি বা জমি চাষ করতেছে।আমরা বাঁশ ঝাড় দিয়ে অনেক ধরনের জিনিস তৈরি করতে পারি,যারা বাঁশ শিল্প তারা বাঁশ দিয়ে সুন্দর সুন্দর আসবাবপত্র তৈরি করে।আপনার পোস্ট পরে খুব ভালো লাগলো আপনি সব বাঁশের নাম পোস্টের মাধ্যমে উল্লেখ করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে ভাই, আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই
গ্রাম অঞ্চলের মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় উপকরণ হলো বাঁশ। ।ঘরবাড়ি তৈরি, আসবাবপত্র তৈরি ইত্যাদি কাজে এটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তবে পাহাড়ি অঞ্চলে কিন্তু এই বাঁশই খাওয়া হয়। স্থানীয় উপায়ে রান্না করা বাঁশ কোড়ল খেতে যেমন সুস্বাদু তেমন শরীরের জন্যও উপকারী। দৈহিক সুস্থতায় বাঁশ বেশ উপকারী। বাঁশ আরো একটি বিশেষ জায়গায় ব্যবহার করা হয় সেই জায়গাটি হলো মৃত ব্যক্তির মাথার উপরে ছাঁদ। ধন্যবাদ ভাই বাঁশ নিয়ে আমাদের সামনে সুন্দরভাবে আলোচনা করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই
বাঁশ গ্রামের মানুষের কাছে অতি পরিচিত একটি শব্দ।যা তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় একটি জিনিস। গ্রাম অঞ্চলে সাধারণত বাঁশসের ব্যবহারে সব থেকে বেশি দেখা যায়। বর্তমান সময়ে কেউ আর বাঁশঝাড় রাখতে চায় না। তবে বাঁশ আমাদের দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজে সব থেকে বেশি বাঁশেরই ব্যবহার রয়েছে। বাঁশঝাড় না থাকলে আমরা এর প্রয়োজন গুলো কিভাবে মেটাতে পারবো। আপনার ফটোগ্রাফি সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট করা জন্য।
বাঁশ আমরা সবাই চিনি। বাঁশ সবার বাড়িতে কোনো না কোনো কাজে লাগে। বাঁশ দিয়ে ডালা, কুলা,খাচা,মাছ ধরার দাড়কি,ইত্যাদি জিনিস তৈরি করা যায়।বাঁশ দিয়ে বাড়ি ঘর তৈরি করা হয়। আগে বাঁশ দিয়ে মানুষ বেশি ঘর বাড়ি তৈরি করত,এখন বাঁশের বদলে ইট দিয়ে মানুষ বাড়ি ঘর তৈরি করে। আমাদের ও একটা ছোট্ট বাঁশ ঝাড় আছে। আপনি বাঁশ ঝাড় নিয়ে খুব সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করছেন ভাই। ধন্যবাদ
বাঁশ আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক কাজে লাগে। বিশেষ করে আসবাবপত্র তৈরিতে। এছাড়াও বাড়িঘর নির্মাণেও এর ব্যবহার রয়েছে। এজন্য বাঁশ শিল্প টিকিয়ে রাখার জন্য আমাদের সকলের এগিয়ে আসা উচিত। অনেক সুন্দর লিখেছেন। ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ।
বাঁশ ঝাড় আামদের গ্রামীণ জনজীবনে ব্যবহার উপযোগী হিসেবে কাজে লাগে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বাঁশ শুধু নয় বাঁশের তৈরি অনেক জিনিসপত্র কাজে লাগে। বাঁশ আমাদেরকে ঠিকে রাখতে হবে তাহলে বাঁশশিল্প বেঁচে থাকবে।বাঁশ আমাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাঁশঝাড় নিয়ে সাজিয়ে গুছিয়ে পোস্ট উপস্থাপন করেছেন।
ধন্যবাদ আপু