গ্রামঅঞ্চলের মানুষের ঐতিহ্যবাহী মাটির চুলা তৈরির পদ্ধতি
স্টিম ব্যবহারকারী সকল ভাই ব্রাদার বন্ধুগণকে জানাই ভালবাসা এবং আন্তরিক মোবারকবাদ । আমার পক্ষ থেকে সকলকে সালাম জানাই, আসসালামু আলাইকুম। আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আমি জানি এই গরমে আল্লাহ-তাআলার অশেষ মেহেরবানিতে আপনারা সবাই ভালোই আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে ঐতিহ্যবাহী মাটির চুলা তৈরি নিয়ে কিছু কথা বলবো।আশা করি সকলের ভালো লাগবে। নিচে তাহলে শুরু করা যাক। |
---|
উপরের যে ছবিটি দেখতে পাচ্ছেন সেটি হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী মাটির তৈরি চুলা।এই মাটির তৈরি চুলা আমরা দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন রান্নার কাজে ব্যবহার করে থাকি।প্রাচীন কাল থেকে আমরা এই চুলা ব্যবহার করে আসতেছি।এই চুলা আমাদের ঐতিহ্য। আজকে আমি আপনাদের মাঝে মাটির চুলা কিভাবে তৈরি করা হয় তা বলবো।এই মাটির চুলা তৈরি করতে প্রথমে ভালো মাটির প্রয়োজন। চুলা তৈরির জন্য উপযোগী মাটি হচ্ছে এঁটেল মাটি।আমরা প্রথমে আগে এঁটেল মাটি সংগ্রহ করব।এরপর মাটিগুলো ভালোভাবে পানি দিয়ে কাঁদা তৈরি করব। |
---|
কাঁদা তৈরি করা হয়ে গেলে আমরা চুলার মাপ অনুযায়ী একটি খাল খুড়বো।খাল খুড়া হয়ে গেলে আমরা পাসুন দিয়ে ভালোভাবে সাইজ করে কালের সাইডের মাটি কেটে নিবো।এরপর কাদা গুলো খালের চারপাশে দিয়ে চুলা তৈরি করা শুরু করব। চুলা যখন এক টাকর উঠবে তখন ১-২দিন কাদাগুলো শুকিয়ে নিতে হবে। এরপর একটি কানা বসিয়ে চুলার মুখ তৈরি করব।এখানে কানা বলতে হাড়ির যে মুখটা সেটিকে বোঝানো হয়েছে। এরপর চুলার মুখ তৈরি হয়ে গেলে আবার তার উপর একটু মাটি দিব।এরপর আমরা চুলার মাঝামাঝি করে একটি সকতো কাঠ বা বাঁশের টুকরো বসিয়ে তার উপর মাটি দিব। |
---|
যেন চুলার উপর ডেসকি বসালে চুলায় তলিয়ে না যায়।এরপর আবার আমরা ২-৩ দিন অপেক্ষা করব যেন চুলাটা ভালোভাবে শুকিয়ে যায়।এরপর আমরা চুলাটি একটি পাসুন বা ছুরি দিয়ে সাইজ করে কেটে নিব।এরপর যদি চুলাটি ফেটে যায় তাহলে আবার হালকা করে কাঁদা দিয়ে ফাটা স্থান গুলো পূরণ করে দিতে হবে। এরপর যখন চুলাটি পরিপূর্ণ ভাবে শুকিয়ে যাবে তখন চুলাতে আগুন জালানো যাবে। এই চুলাগুলো বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। যেমনঃ সাধারণ চুলা ও দুই চুলা। এখানে সাধারণ চুলা বলতে এখানে এক চুলাকে বোঝানো হয়েছে। |
---|
আর দুই চুলা বলতে এখানে দুটি চুলাকে বোঝানো হয়েছে। তবে সাধারণ চুলায় অল্প জ্বালানিতে রান্না হয় এবং ধোঁয়াও কম হয়।এজন্য অনেকে আবার সাধারণ চুলা বেশি ব্যবহার করে। |
---|
পরিশেষে সকলের সুসাস্থ কামনা করে আমি আমার বক্তব্য এখানেই শেষ করতেছি। আপনাদের মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই। সকলেই ভাল থাকবেন এবং পরবর্তী পোস্টে আবার দেখা হবে। |
---|
ডিভাইস | vivo y33s |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @ahanaf057 |
লোকেশন | তের- আনিয়া, যশাইহাট,পার্বতীপুর |
You can also vote for @bangla.witness witnesses
আপনার কভার ফটোটা দেখে ভয় পেলাম। ভূতের চুলা নাম দিচ্ছি এটার আমি(হাহা)। মাটির চুলা বানানোর টিউটোরিয়াল আগে কেউ পোস্ট করেন নি, আপনিই প্রথম করলেন। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপু।
https://twitter.com/ahanaf057/status/1679116894199242753?t=RxxCghDn0BLn1S-3-9E2zA&s=19
Your post has been rewarded by the Seven Team.
Support partner witnesses
We are the hope!
অসাধারণ একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাইয়া। মাটির তৈরি চুলাগুলো আমাদের গ্রাম অঞ্চলে প্রত্যেকটি বাড়িতে রয়েছে। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য, আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ ভাই
মাটির চুলা পদ্ধতি নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন। আমাদের গ্রাম অঞ্চলের ঐতিহ্য হলো মাটির চুলা। মাটির চুলা কিভাবে তৈরি করা হয় তা সুন্দর করে লিখেছেন।
ধন্যবাদ ভাই
গ্রামাঞ্চলের মানুষের ঐতিহ্যবাহী মাটির তৈরির চুলার পদ্ধতিটি বেশ সুন্দর ছিল। মাটির তৈরি চুলা ঐতিহ্য বহন করে। মাটির চুলায় রান্না করলে অনেক স্বাদ ও মজাদার হয়। মাটির তৈরি চুলা নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন।
ধন্যবাদ আপু
ঐতিহ্যবাহী মাটির তৈরি চুলা নিয়ে দারুণ লেখছেন ভাই। আগের যুগে সবার ঘরে ঘরে মাটির তৈরি চুলা ছিল।বর্তমান মাটির তৈরি চুলা কম দেখা যায়। আপনি সুন্দর একটা পোস্ট উপস্থাপন করেছেন আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ধন্যবাদ ভাই।
!upvote 40
This post was manually selected to be voted on by "Seven Network Project". (Manual Curation of Steem Seven. Your post was promoted on Twitter by the account josluds
the post has been upvoted successfully! Remaining bandwidth: 0%
গ্রামঅঞ্চলের মানুষের ঐতিহ্যবাহী মাটির চুলা তৈরির পদ্ধতি নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন। মাটির তৈরি চুলা আমাদের গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য। মাটির চুলায় রান্না করে তা খেতে অনেক সুস্বাদু হয়।
ধন্যবাদ আপু
গ্রামগঞ্জের প্রতিটি বাড়িতেই মাটির তৈরি চুলা আছে। মাটির তৈরি চুলা ঐতিহ্য বহন করে। মাটির তৈরি চুলায় ভাত রান্না করে খাওয়ার স্বাদ অন্যরকম। মাটির তৈরি চুলা নিয়ে অসাধারণ একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন।
ধন্যবাদ ভাই