দর্শনীয় স্থান, আলাউদ্দিন আহমেদ শিক্ষাপল্লী পার্ক।
আসসালামু আলাইকুম আমি, @abdullah-44
আশা করি সবাই ভালো আছেন, আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আমিও ভালো আছি।( আলহামদুলিল্লাহ)
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার,নন্দলালপুর ইউনিয়নের, আলাউদ্দিন নগরে অবস্থিত আলাউদ্দিন আহমেদ শিক্ষাপল্লী পার্ক। দৃষ্টিনন্দন এই পার্কটি কুমারখালীর আলাউদ্দিন নগর থেকে শিলাইদহ কুঠিবাড়ি যেতেই চোখে পড়বে। বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী, একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্মদাতা ও হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দানবীর আলাউদ্দিন আহমেদ ২০১৫ সালে এই পার্কটি নির্মাণ কাজ শুরু করেন।
পার্কটি নির্মাণ কাজ শুরু করার প্রায় দেড় থেকে ২ বছর পর পার্কটি বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করে। কারণ,পাশেই বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি রয়েছে, আর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি যাওয়ার পথেই এই পার্কটি দেখা যায়। প্রতিবছর অসংখ্য মানুষ বিভিন্ন জেলা থেকে শিলাইদহ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়িতে ঘুরতে আসে। লক্ষ্য করে দেখা গেছে কুঠিবাড়িতে ঘুরতে আসা অধিকাংশ দর্শনার্থীরাই ফেরার পথে এই পার্টি পরিদর্শন করে যান।
এভাবেই প্রতিদিন শত শত মানুষের সমাগম হতো এ পার্কটিতে। পার্কটি বেশ জাঁকজমক ভাবে চলছিল কয়েক বছর। পার্কের এত নাম ডাক শুনে আমরাও দেড় বছর আগে এখানে ঘুরতে গিয়েছিলাম। পার্কের মধ্যে প্রবেশ করে দেখি অনেক সুন্দর ভাবে,দর্শনার্থীদের কথা মাথায় রেখে পার্কটি সাজানো হয়েছে। পার্ক টি দেখে এবং পার্কটিতে ঘুরে আমাদের অনেক ভালো লেগেছিল। দেড় বছর আগে আমরা যখন গিয়েছিলাম তখন একটা টিকিটের মূল্য ছিল 30টাকা।
দেড় বছর পর যখন আমরা আবার ওই পার্কটিতে ঘুরতে যাছিলাম তখন ভাবছিলাম এতদিনে পার্কটি মনে হয় আরো সুন্দর হয়েছে। এরপর পার্কের টিকিট কাউন্টারে এসে বড় একটা ধাক্কা খেলাম, একটা টিকিটের মূল্য নাকি ৫০ টাকা। পার্কের মধ্যে ঢুকে আরও বড় একটা ধাক্কা খেলাম। দেড় বছর আগেও যে পার্কটা অনেক সুন্দর ভাবে সাজানো ছিল, সেই পার্কটাই এখন অগোছালোভাবে পড়ে আছে।পার্কের মধ্যে যেন এখন আর তেমন কিছুই নেই। আমি মনে মনে ভাবছিলাম ৫০ টাকা দিয়ে কি করতে এই পার্কে আসলাম।
এরপর পার্ক কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বললাম , পার্কে এখন এই অবস্থা কেন, দেড় বছর আগেও তো অনেক সুন্দর ছিল। তো ওনারা আমাকে বলল এই পার্ক থেকে এখন রিসোর্ট তৈরির কাজ চলছে। ওনার আমাকে আরো বলল যে, লক্ষ্য করে দেখলে বুঝতে পারবে পার্কের চারিদিকে বেশ কয়েকটি বিল্ডিং এর নির্মাণ করা হচ্ছে। এই রিসোর্ট এর নির্মাণ কাজ পরিপূর্ণ শেষ হলে, এই রিসোর্ট এ থাকছে , কমিউনিটি সেন্টার, থাকার জন্য হোটেল, সুইমিং পুল, রেস্টুরেন্ট , নিরিবিলি সময় কাটানোর জন্য আরো নানা ব্যবস্থা।
ওনারা আমাকে আরো বললেন এই রিসোর্টে বিয়ে সহ আরো যাবতীয় সব অনুষ্ঠান জন্য সুব্যবস্থা করা হবে।রিসোর্ট নির্মাণ করা হচ্ছে বলে এখন টিকিটার মূল্য বাড়িয়ে 50 টাকা করা হয়েছে। এমনকি পার্কের মধ্যে যেসব রাইট অবশিষ্ট আছে সেগুলো টিকিটও ৫০ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। পার্কের মধ্যে ঢুকে তো তেমন কিছু দেখতে পেলাম না,এখানে এসে আমার পুরো ৫০০ টাকাই লস🥲।
আমার পোস্টটি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
আমার নাম,মোঃ আব্দুল্লাহ। আমার বাসা কুষ্টিয়া জেলা, খোকসা থানায়,আমবাড়িয়া ইউনিয়নে,গোসাইডাঙ্গী গ্রামে। কিন্তু ,আমি লেখাপড়ার জন্য কুষ্টিয়া সদরে থাকি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে, কম্পিউটার ডিপার্টমেন্টে লেখাপড়া করছি। আমার ফটোগ্রাফি এবং ভ্রমন করতে খুব ভালো লাগে। আমার ফটোগ্রাফি করতে ভালো লাগলেও, খুব একটা ভালো ছবি আমি তুলতে পারিনা। আশা করি খুব তাড়াতাড়িই আমার ফটোগ্রাফি গুলো আরো ইমপ্রুভমেন্ট করতে পারব। (ধন্যবাদ সবাইকে )
https://twitter.com/abdullah_steem/status/1701985805932355976?t=nU_902f8_W9HtgXDo1UvYw&s=19
পার্ক সম্পর্কে অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া। আসলে পার্কের মধ্যে ঘুরতে ফিরতে অনেকেরই ভালো লাগে বিশেষ করে ছোট বাচ্চাদের এটি সবচেয়ে পছন্দের একটি স্থান। এবং তারা এখানে ঘুরতে অনেক বেশি ভালোবাসে। তবে এখন এমন এক অবস্থায় আমরা এসে দাঁড়াইছি এখন ছোট বড় সবাই পার্কে মাঝে মাঝেই ঘুরতে যায়। কারণ ঘোরাফেরা করলে মন এবং শরীর দুটোই ভালো থাকে। পার্কের ভেতরে আপনি অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া এরকম সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সকলের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
ধন্যবাদ ভাই।
বাহ পার্ক দেখতে তো সেই সুন্দর ভাই। আপনি কি একাই ঘুরতে গিয়েছিলেন নাকি সাথে.. ছিলো। এমন পার্ক গুলোতে সবথেকে বেশি আকর্ষণ থাকে শিশুদের বিভিন্ন রাইড গুলো। এমন স্থানে রিসোর্ট দিলে অবশ্য ভালই লাগবে ভাই। ছবি গুলো সুন্দর হয়েছে।
একা একা কেউ পার্কে যাই। সাথে অবশ্যই...... ছিল।
তাহলে সালিটা আমার😊
ভাই এই কথায় কি ভাবি জানে 🙂 যে আপনি মানুষের শালী বুকিং দিচ্ছেন 😊😆
না ভাই তোমার ভাবি নাই 😀।
বাহ চমৎকার তো পার্কটা, দেখার মতো, সুন্দর এবং মনোরম পরিবেশ। কুষ্টিয়াতে আলাউদ্দিন আহমেদ শিক্ষাপল্লী পার্ক, নিয়ে দারুণ উপস্থাপন করছেন ভাই। দেখেই বুঝা যাচ্ছে এই পার্কে অনেক শিক্ষামূলক স্থাপনা রয়েছে, এবং শিশুদের বিনোদন এর অনেক সুন্দর সুন্দর মাধ্যম রয়েছে। পার্কে যেতে ভালোই লাগে, কিছু কিছু পার্ক বর্তমানে অশ্লীলতায় ভরে গিয়েছে। পরিবার নিয়ে যাওয়া যায় না। তবে আপনি অনেক সুন্দর সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করছেন ভাই, ফটোগ্রাফি দারুণ হয়েছে, অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই।
কুষ্টিয়া আমার কাছে অপরিচিত একটি শহর। কুষ্টিয়া শহরে এত সুন্দর সুন্দর পার্ক এবং ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা রয়েছে আমার জানা নেই। আপনি যে পার্ক নিয়ে আমাদের সাথে আলোচনা করেছেন সেই পার্কটি আসলেই বেশ চমৎকার। এই পার্কের পরিবেশ বেশ চমৎকার মনে হচ্ছে পার্কের এক পাশে পুকুরে অনেকগুলো নৌকা দেখতে পেলাম। যেকোনো পার্কে পুকুরে নৌকা থাকলে সেই পার্কের সৌন্দর্য অনেক গুনে বেড়ে যায়। এই পার্কে বাচ্চাদের খেলার জন্য অনেক ধরনের জিনিস দেখতে পাচ্ছি। এই রকম বিভিন্ন ধরনের রাইডগুলোতে বাচ্চারা উঠতে বেশ পছন্দ করে। আমাদের এই দিকে পার্ক খুবই কম যেগুলো রয়েছে সেগুলোতে ঢোকার মতো পরিবেশ নেই পরিবার নিয়ে। কারণ এগুলোতে ছেলেমেয়েরা বেশি ভিড় জমায়। আপনি যে পার্কটির কথা বলেছেন এটি ভবিষ্যতে আরো উন্নত হবে মনে হচ্ছে। কারণ আপনি যেভাবে বললেন যে যে স্থাপনা এবং বিল্ডিংগুলো তৈরি হচ্ছে সেগুলো চালু হলে এখানে অনেক পর্যটক ঘুরতে আসবে। আমাদের কুষ্টিয়ায় তেমন যেতে হয় না। আশা করি যদি কোনদিন ওদিকে যাই তাহলে অবশ্যই এই পার্কটিতে ঘুরতে যাব। আপনি এই পার্ক সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি ছবিগুলো বেশ চমৎকার তুলেছেন।
ধন্যবাদ ভাই।
আপনার ফটোগ্রাফি গুলোতে কুষ্টিয়ার এই পার্কটি অনেক সুন্দর দেখাচ্ছে ভাই। পার্কটি অনেক নান্দনিক ও সুন্দর দেখেই বোঝা যাচ্ছে। এখানে অনেকগুলো রাইট রয়েছে যেখানে ছোট বাচ্চারা খেলাধুলা করতে পারবে। শুনে ভালো লাগলো যে এই পার্কের ভিতর রিসোর্ট আছে যেখানে বিয়ের অনুষ্ঠান ছাড়াও অন্যান্য অনুষ্ঠান করা হয়। এরকম পার্ক বাংলাদেশের অনেক জায়গায় রয়েছে আমাদের দিনাজপুরে ও এরকম কয়েকটি পার্ক রয়েছে। দারুন একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই।
কুষ্টিয়ার এই শিক্ষা পল্লী পার্ক নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ভাই। তবে আপনার পোস্টটি পড়ে যে বিষয়টির জন্য খারাপ লাগলো সেটি হল, কিছুদিন আগেও এই পার্কটির ভিতরে গোছানো ছিল সবকিছু কিন্তু বর্তমানে অগোছালো অবস্থায় আছে। আসলে যে কোন জায়গায় পরিচর্যা না করলে সে জায়গাগুলোর সৌন্দর্য আর বজায় থাকে না। তবে আপনি সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। এখন প্রায় প্রতিটি পার্কে ঢোকার জন্য টিকিট হিসেবে সর্বনিম্ন 50 টাকায় ধরা হয়। কুষ্টিয়ার এই পার্কটি নিয়ে বেশ কিছু তথ্য আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। এত সুন্দর পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপু।