বিষাণু এবং রোগজীবাণু
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
Image Created by OpenAI
আজকে আপনাদের সাথে জীববিজ্ঞানের বিষয়ে একটি পোস্ট শেয়ার করে নেবো। মূলত আমরা বা বিভিন্ন ধরণের প্রাণীরা বিভিন্ন ধরণের রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকি। মূলত সেইসব রোগ বা ভাইরাস এর বিষয়ে এই ব্লগটি। বিষাণু এবং বিভিন্ন রোগ জীবাণু প্রতিনিয়ত আমাদের শরীরে বাসা বাঁধছে, কিন্তু আমরা কিন্তু আসলে সেটা সহজে অনুভব করতে পারিনা, যতক্ষণ না কোনো ইফেক্ট পড়ছে শরীরে। আমরা বাইরে গেলে বা বাড়িতে থাকলেও আমরা অসংখ্য পরিমানে সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম রোগ জীবাণুর সংস্পর্শে এসে থাকি, অথচ আমরা এইগুলো টের পাইনা। কারণ এইসব জীবাণু অতি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র, যা আমরা খালি চোখে কখনো দেখতে পাইনা। এইসবের মধ্যে সব থেকে ক্ষতিকারক হলো বিষাণু অর্থাৎ যাকে আমরা সহজ ভাবে ভাইরাস বলে জেনে থাকি।
এছাড়া ব্যাকটেরিয়া, প্রোটোজোয়া ইত্যাদি নানাবিধ রোগজীবাণু আছে। এইসব ব্যাকটেরিয়ার মধ্যেও আবার খারাপ, ভালো দুটোই আছে। কারণ কিছু কিছু ব্যাক্টেরিয়া আমাদের শরীরের জন্য দরকার হয়। তবে সেটা সীমিত, কারণ এর অধিকাংশই ক্ষতিকারক, যা বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি করার জন্য দায়ী। ভাইরাস সাধারণত একমাত্র জীবিত কোষ ছাড়া তাদের কোনো কার্য সঞ্চালন হয় না। কারণ এরা কোষের বাইরে থাকাকালীন অজীবের মতো থাকে। কিন্তু এরা যখন কোনো জীবিত কোষের ভিতরে প্রবেশ করে, তখন এরা খুব দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে থাকে। আর এইসব ভাইরাস আকৃতিতে খুবই ক্ষুদ্র,যা একমাত্র ইলেক্ট্রন মাইক্রোস্কোপ ছাড়া এদের দেখতে পাওয়া যায় না। এই ভাইরাস কোষের ভিতরে মূলত ডিএনএ বা rna এবং একটিমাত্র প্রোটিন কোট নিয়ে গঠিত হয়ে থাকে।
আর সব থেকে এদের প্রধান বৈশিষ্ঠ্য হলো, এরা সবকিছুতেই অর্থাৎ সব ধরণের প্রাণী বা উদ্ভিদেও আক্রান্ত করতে পারে। এছাড়া আমাদের কিছু কমন রোগ, যেমন- ইনফুলেন্জা, এটাও একধরনের ভাইরাস এর কারণে হয়ে থাকে অর্থাৎ এক কোথায় সব ভাইরাস। এছাড়া কয়েক বছর আগে ঘটে যাওয়া করোনা ভাইরাস, এটা SARS-Cov-২ দ্বারা সৃষ্টি হয়ে থাকে। আমাদের রেগুলার, এখন বেশিই বলা যায় যে-ডেঙ্গু হচ্ছে, এটাও ভাইরাস। এছাড়া হেপাটাইটিস এর বিভিন্ন ভাগ আছে, যেগুলো লিভারের ক্ষতির কারণ। এইবার ব্যাক্টেরিয়ার কথা যদি বলি, তাহলে এই ব্যাক্টেরিয়া এককোষী জীব হিসেবে স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকে। কিন্তু এই ব্যাক্টেরিয়ার মধ্যে যেগুলো আমাদের অন্ত্রে থাকে, সেগুলো উপকারী, যা হজমে সাহায্য করে।
এছাড়া বাকি যেসব ব্যাকটেরিয়া আছে, সব ক্ষতিকারক, কারণ সেগুলো বিভিন্ন ধরণের রোগ সৃষ্টি করে থাকে। কমন কিছু ক্ষতিকারক ব্যাক্টেরিয়ার কথা যদি তুলে ধরি, তাহলে দেখা যায়-কলেরা, টাইফয়েড, নিউমোনিয়া এইগুলো বিভিন্ন ক্যাটাগরির ক্ষতিকারক ব্যাক্টেরিয়ার কারণে হয়ে থাকে। এরপরে যে বিষয়টা আসে, সেটা হলো-ছত্রাক। এর মধ্যেও আবার উপকারী/অপকারী ছত্রাকের বিষয় আছে। ব্যাক্টেরিয়ার মতো কিছু ছত্রাক উপকারী আবার কিছু ছত্রাক আমাদের মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ছত্রাক এর ক্ষেত্রে মূলত আমরা যেটা দেখি, সেটা হলো-এরা মৃত জীব বা কোনো পদার্থে বসবাস করে থাকে। এই ছত্রাকের মধ্যে আমাদের জন্য একমাত্র উপকারী হলো পেনিসিলিন নামক ছত্রাক।
ছত্রাকের মাধ্যমে আমাদের যেসব সাধারণ রোগ হয়ে থাকে, তার মধ্যে হলো-ত্বকের সমস্যা, যেটা রিংওয়ার্ম নামে পরিচিত। আবার ফুসফুসেরও সমস্যা হয়ে থাকে হিস্টোপ্লাজমোসিস এর কারণে। এরপরে যে বিষয়টা আসে, সেটা হলো প্রোটোজোয়া। এই প্রোটোজোয়া মূলত সবধরণের প্রাণিকোষের মধ্যে বসবাস করে আর রোগ সৃষ্টি করে থাকে। এর মধ্যে ম্যালেরিয়া, স্লিপিং সিকনেস অন্যতম। এছাড়াও বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি করে থাকে। মূলত আসলে এই সবকিছু অর্থাৎ রোগের প্রাদুর্ভাব ছড়ায় বিভিন্ন মাধ্যমে। যার মধ্যে অন্যতম- হাওয়া, জল এবং খাদ্য এর মাধ্যমে ঘটে থাকে। মোট কথা আমাদের মানব শরীর সহ বিভিন্ন প্রাণীকুলের জীবনে ভাইরাস বা অন্যান্য বিভিন্ন রোগ জীবাণু একটা নিত্যদিনের অংশ, যা প্রতিনিয়ত আমরা গ্রহণ করছি।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |


Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দাদা আপনি আজ খুব তথ্য বহুল ব্লগ শেয়ার করেছেন আমাদের মাঝে। বিষাণু এবং রোগজীবাণু নিয়ে সুন্দর তথ্য তুলে ধরেছেন। কোন কোন ভাইরাসের কারনে কোন কোন রোগে আমরা আক্রান্ত হই তা খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। মানুষ ও নানা প্রাণীকূলে প্রতিনিয়ত নানা ভাইরাসে আমরা আক্রান্ত হচ্ছি।এইসব তথ্যবহুল বিষয় আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে আপনি এই ব্লগের কনটেন্টটি ক্রিয়েট করলেন। রোগ জীবাণু সম্বন্ধে জানা আমাদের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়। আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের খাবার এমনভাবে গ্রহণ করি যার মাধ্যমে বহু রোগ আমাদের শরীরে বাসা বাঁধতে শুরু করে। কিন্তু শরীরে তার কোন প্রভাব না পড়লে আমরা সেটি সহজে বুঝতে পারিনা। তাই সব বিষয়ে আগে থেকে সতর্ক হলে বিভিন্ন রকমের অসুস্থতা থেকে নিজেকে বাঁচানো সম্ভব। দারুন সুন্দর করে আপনি সম্পূর্ণ বিষয়টি বুঝিয়েছেন।
আপনার পোস্টটি খুবই তথ্যবহুল এবং গুরুত্বপূর্ণ। সত্যিই, বিষাণু ও রোগজীবাণু আমাদের জীবনযাত্রার অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে, এবং তাদের প্রভাব আমরা সচরাচর বুঝতে পারি না যতক্ষণ না তারা আমাদের শরীরে প্রভাব ফেলতে শুরু করে। ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক এবং প্রোটোজোয়া এই সকল জীবাণুর মাঝে কিছু উপকারী হলেও বেশিরভাগই আমাদের জন্য ক্ষতিকারক। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, এসব জীবাণু ছড়ায় হাওয়া, জল এবং খাদ্যের মাধ্যমে, তাই আমাদের সুরক্ষিত থাকার জন্য সতর্ক থাকা জরুরি। আপনার পোস্টের মাধ্যমে বিষয় টি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ দাদা।
বেশ তথ্যবহুল একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। অনেক কিছু জানতে পারলাম আপনার পোস্টটি পড়ে। আমাদের শরীর অসুস্থ হওয়ার প্রধান কারন গুলো বেশ সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। আমরা যদি সচেতন হই তবেই আমরা সুস্থা থাকতে পারবো। অনেক অনেক ধন্যবাদ পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
করোনা ভাইরাসের কথা মনে পড়লে এখনও ভয় লাগে দাদা। সারা বিশ্বের মানুষদেরকে করোনা ভাইরাসের কারণে বেশ দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। যাইহোক বেশ তথ্যমূলক একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন দাদা। আমরা বিভিন্ন ধরনের ভাইরাসের কারণে অসুস্থ হই ঠিকই, হয়তোবা সেটা বুঝতে পারি না। পোস্টটি পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম। এমন সচেতনতামূলক একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।