বর্ধমানের জোরোলোজিক্যাল পার্কের ভিতর থেকে সংগৃহিত কিছু আলোকচিত্র

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আমি আপনাদের সাথে কিছু ফোটোগ্রাফি শেয়ার করবো। আমি লাস্ট বর্ধমানে যখন জোরোলোজিক্যাল পার্কে ভ্রমণ করেছিলাম তখন তার ভিতর থেকে কিছু প্রাণী আর কিছু হাতের তৈরি কারুকার্যের ছবি ফোটোগ্রাফি করেছিলাম। এর ভিতরে বিভিন্ন ধরণের প্রজাতির প্রাণী, উদ্ভিদ, ফুল আছে তবে সবজায়গায় আর একদিনে ঘোরা সম্ভব হয়নি। যাইহোক তাহলে কিছু ছবি শেয়ার করে নেওয়া যাক এখন আপনাদের সাথে।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

জোরোলোজিক্যাল পার্কের মধ্যে ঢোকার পর প্রথমে দেখতে পেলাম কিছু বানরকে। বানরগুলো সব মনের আনন্দে নেট এর ভিতরে লাফালাফি করছে। বানরগুলোর লাফালাফি আমার কাছে অনেক ভালো লাগে, তাদের তাকানোর বিষয়গুলোও অন্যরকম। আমরা অনেকে অনেক রকম বলি যেমন বানর, বান্দর, বাঁদর। এইরকম অনেকে পছন্দ করে এইসব নামে ডাকে। আমরা সবাই জানি বানর একটা স্তন্যপায়ী প্রাণী আর এরা খুব বুদ্ধি নিয়ে চলাফেরা করে। বানর প্রাণীগুলো ক্ষতিকর প্রাণী না বরং সামাজিক, মানুষের সাথে মিশতেও পারে এরা। অনেকে আছে যারা বানরগুলোকে দেখলে মারতে যায় বা দূরের থেকে ঢিল ছুড়ে মারতে লাগে।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

আমি একবার ঝড়খালি এর ফরেস্ট এলাকার দিকে গেছিলাম তা সেখানে কিছু লোকের এইধরণের কান্ড দেখে আমি হতাশ হয়েছিলাম। যাইহোক এইরকম কিছু মানুষজন থাকে দুনিয়ায় যাদের বলার কিছু থাকে না আর। বানরগুলো সব দল বেধে থাকতে বা ঘোরাঘুরি করতে ভালোবাসে। এরা এক গাছের থেকে আরেক গাছে সহজেই লাফিয়ে চলাফেরা করতে পারে। আর এদের লম্বা লম্বা লেজের সাহায্যে অনেক সময় ডালে ঝুলে থাকে যেটা ফরেস্ট এর দিকে গেলে দেখা যায়।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

এরপরে আরেক জায়গায় কিছু উটপাখি দেখতে পেলাম। উটপাখি সম্পর্কে আমরা অনেকে কম বেশি জানি। উটপাখি হলো অন্যান্য প্রজাতির পাখির থেকে বড়ো প্রজাতির পাখি। এটি একটি পাখি প্রজাতির কিন্তু উড়তে পারে না, তবে দৌড়ে ওস্তাদ বলা যায়। উটপাখি অনেক দ্রুত দৌড়াতে পারে কারণ এরা কোনো বিপদের সম্মুখীন হলে উড়তে না পারার ফলে দৌড়ে গিয়ে কোথাও লুকিয়ে পড়ে। এমনও মাঝে মাঝে দেখা যায় যে কিছু প্রাণীদের তাদের শক্ত ঠোঁটের সাহায্যে ঠুকিয়ে ঠুকিয়ে হয় মেরে ফেলে না হলে তাড়িয়ে দেয়, আবার তাদের পায়ের সাহায্যেও ল্যাং মারে। উটপাখির পা লম্বা হওয়ার সাথে সাথে বেশ শক্তিশালীও হয়ে থাকে।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

পাখির প্রজাতির মধ্যে উটপাখি সব থেকে উচ্চতা এবং ওজনে অনেক বড়ো হয়ে থাকে। উটপাখির গলা, চোখ অনেক বড়ো হয় সাইজে। উটপাখির ডিমগুলো বেশ অনেক বড়ো বড়ো আর শক্ত হয়ে থাকে। উটপাখি অনেকে বাড়িতে পালন করে থাকে কারণ এতে অনেক লাভজনক আছে সব ক্ষেত্রে। উটপাখির এই বড়ো বড়ো ডিমগুলো সঠিক তো বলতে পারবো না তবে দেখে মনে করা যায় যে ১ কিলোর উপরে হবে কারণ বেশ ভারী ডিমগুলো । আমাদের এদিকে গ্রামে একজন এই উটপাখি পালন করতো এবং আমি এই উটপাখির ডিমগুলো একদিন হাত দিয়ে ধরেও দেখেছিলাম। আর এদের সব থেকে একটা ভালো বৈশিষ্ঠ্য হলো এরা একসাথে অনেকে মিলে ঘুরে বেড়ায়।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

উটপাখির কাছের থেকে চলে গেলাম কুমির রাখা আছে যেখানে। কুমির অনেকগুলো আছে এখানে এবং বড়ো করে এরিয়া করে রাখা তাদের। তবে বাচ্চা কুমিরগুলো বেশি রয়েছে। নেট এর মধ্যে দিয়ে অনেক দূরের থেকে তেমন ছবিও তোলা যায় না। তবে ওখান থেকে কিছুটা দূরে আরো একটা জায়গায় আবার কুমির রাখা আছে আর এটি বেশি একটা বড়ো না। আর ওখানে গিয়ে এই কুমিরটিকে দেখে আমি অবাক হয়ে গেছিলাম বিশেষ করে ওর সাইজ দেখে। আমি ছবি তুলছিলাম আর একভাবে তাকিয়ে দেখছিলাম যে এতো বড়ো কুমির কি করে হলো।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

আমি এর আগে এইরকম বড়ো কুমির কোথাও দেখিনি। কুমিরটি ডাঙায় উঠে বিশ্রাম নিচ্ছিলো, তবে ও বড়োসড়ো সাইজ এর কিছু একটা খেয়েছে সেটা ওর পেট দেখেই বোঝা যাচ্ছে। এইরকম বড়ো কুমির যদি একবার মাথা নাড়া দিয়ে ওঠে তাহলে বিষয়টা কি হবে বোঝাই যাচ্ছে। খেয়ে খেয়ে দানবের মতো দেখতে হয়েছে একদম কুমিরটি, আমি শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে কিছুক্ষন ধরে দেখছিলাম যে জেগে ওঠে নাকি তাহলে আরো কিছু হয়তো দেখা যেত।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

এরপর হরিনের কাছে চলে গেলাম কিন্তু সেখানে একটাও হরিণ দেখতে পাচ্ছিলাম না। আর হরিণগুলো যে স্থানে রাখা আছে সেখানে এতো বড়ো জায়গা আর গাছগাছালির মধ্যে পরিবেশ তৈরি করা সত্যি দেখতে অনেক সুন্দর লাগছিলো। হরিণগুলো অনেক দূরে ছিল আর সব গাছের আড়ালে ছিল। এর মধ্যে বড়ো হরিণ একটাও ছিল না, যা ছিল বড়ো সব অন্য সাইডে আর সেগুলো আমাদের দাঁড়ানো স্থান থেকে বহু দূরে, ক্যামেরাতেও ধরছিল না। যাইহোক এই ছোট হরিণগুলোর জন্য কিছুক্ষন দেরি করছিলাম যে এদিকে ধারে কাছে আসে কিনা, ধারে কাছ থেকে দেখতে হরিণগুলোকে অনেক সুন্দর লাগে। প্রথমে একটা আসতে আসতে পরে দেখি পিছে পিছে আরো খানিকটা দল বেধে আসছে।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

এই হরিনের কালারগুলো দেখতে অসাধারণ লাগছিলো আমার কাছে। ধারে কাছে দাঁড়িয়ে থাকলে তাদের বিচরণগুলো দেখতে পাওয়া যায় ভালোভাবে। হরিণ অনেকরকমের প্রজাতি বা নামের আছে যেগুলো এক একরকমের দেখতে হয় গায়ের কালারের দিক থেকে। হরিণও খুব দ্রুত গতিতে দৌড়াতে পারে, যখন কোনো শিকারের মুখোমুখি হয় তখন তাদের দৌড় আর লাফ তীব্র গতিতে চলে। তবে অনেক ক্ষেত্রে হরিণ দৌড়ানোর সময় বিপদে পড়ে যায় তাদের আঁকাবাঁকা শিঙের জেনে। তাদের শিঙগুলো গাছের ডালের মতো হয়ে থাকে আর এটাই দৌড়ানোর সময় গাছের ডালে বেধে বিপদ ঘটে যায়।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

সর্বশেষ আর বেশিকিছু দেখার সময় হয়নি, সেখান থেকে ফেরার পথে কিছু কিছু স্থানে পার্ক মতো স্থান আছে যেখানে লোকজন বসে আড্ডা, আনন্দ করে থাকে। তবে বিকালের মুহূর্তে এইরকম একটা জায়গায়, পরিবেশে সময় কাটানোর মধ্যে একটা অন্যরকম ফিলিংস কাজ করে। এখানে বসার জায়গাগুলো বেশ ডিজাইন করে তৈরি করা যা দেখতে অনেক ভালো লাগছে, এটি সম্পূর্ণ একটি বাগানের মধ্যে তৈরি করা যেটা পর্যটকদের কাছে আরো আকর্ষণীয় একটা ব্যাপার।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

যাইহোক সেখানে খানিক্ষন বসে জিরিয়ে নিলাম কারণ পাগুলোও বেশ ব্যাথা ব্যাথা করছিলো অনেক্ষন হাঁটার ফলে। এরপর সেখান থেকে সোজা বেরিয়ে আসার গেটের দিকে চলে আসলাম এবং সেখানে আরো কিছু হাতে তৈরি কারুকার্য দেখতে পেলাম যেগুলো দেখতে আমার কাছে ভীষণ সুন্দর লেগেছিলো। এখানে একটা সাইকেলের উপরে একজনের কারুকার্য করে বসানো হয়েছে এবং সাইকেল চালাচ্ছে এইরকম বিষয় ফুটিয়ে তুলেছে আর্ট এর মাধ্যমে।


All Photos what3words location: https://w3w.co/originate.meanwhile.escaping

শুভেচ্ছান্তে, @winkles

ক্যামেরারেডমি নোট ৭
ক্যাটাগরিফোটোগ্রাফি
লোকেশনবর্ধমান জোরোলোজিক্যাল পার্ক
তারিখ১২.০২.২০২২


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  
 2 years ago 
বর্ধমানের জোরোলোজিক্যাল পার্কের ভিতরটা অনেক সুন্দর। অনেক অনেক সুন্দর প্রাণীতে ভরপুর পার্কটি। বানরগুলো দেখে খুব ভালো লাগলো। আপনি ২ টা কলা হাতে নিয়ে গেলে আরো ভালো হতো। একদম কাছ থেকে হাত থেকে কলা নেওয়ার দৃশ্য ক্যামারা বন্দি করতে পারতেন।
এর পর কুমির দেখে তো ভয়ই লাগলো যে ভাবে শুয়ে আছে বাপরে বাপ। আর হরিণের ছবি দেখে আমি প্রথমেই বুঝতে পারি নাই এটা হরিণ। বাচ্চা হরিণ তাই অন্য রকম দেখতে লাগছে। আপনি আরো অসাধারণ কিছু দৃশ্য আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার প্রতিটি ছবি দেখে মনটা ভরে গেলো।
দাদা, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। বর্ধমানের জোরোলোজিক্যাল পার্কের ভিতর থেকে সংগৃহিত কিছু আলোকচিত্রগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো দাদা। ❣️❣️❣️
 2 years ago 

দাদা আপনার আজকের বর্ধমানের জোরোলোজিক্যাল পার্কের ভিতর থেকে সংগৃহিত কিছু আলোকচিত্র দেখে আমাদের এখানকার চিড়িয়াখানার কথা মনে পড়ে গেল।আমি আমাদের বাংলাদেশের বেশ কিছু জায়গায় চিড়িয়াখানায় গিয়েছিলাম। আপনার বানরের চিত্র গুলো দেখে আমার দার্জিলিঙে বানর দেখেছিলাম সেই চিত্র মনে পড়ে গেল।বানর বাদাম খেতে দারুণ পছন্দ করে।

আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন দাদা হরিণের কালার গুলো কিন্তু অসাধারণ।আর খুব ধারে থেকে ওদেরকে দেখলে ওদের বিচরণ গুলো ভালোভাবে লক্ষ্য করা যায়।
বুঝতে পারছি দাদা অনেক হাঁটার পর আপনার পাগুলো অনেক ব্যথা হয়ে গিয়েছিল।এমনটা আমারও হয়।
এবং গেটের দিকে চলে যাওয়ার সময় দেখলেন সেখানে আরো কিছু হাতে তৈরি কারুকার্য। যেগুলো দেখতে আমার কাছে ও ভীষণ সুন্দর লেগেছে। ককি সুন্দর করে কটা সাইকেলের উপরে একজনের কারুকার্য করে বসানো হয়েছে এবং সাইকেল চালাচ্ছে এইরকম বিষয় ফুটিয়ে তুলেছে আর্ট এর মাধ্যমে। সত্যি দারুন ছিল।বর্ধমানের জোরোলোজিক্যাল পার্কের ভিতর থেকে সংগৃহিত কিছু আলোকচিত্র আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতা এবং ভালোবাসা।
♥♥

 2 years ago 

এখানে একটা সাইকেলের উপরে একজনের কারুকার্য করে বসানো হয়েছে এবং সাইকেল চালাচ্ছে এইরকম বিষয় ফুটিয়ে তুলেছে আর্ট এর মাধ্যমে।

দাদা আপনাকে প্রথমেই ধন্যবাদ জানাচ্ছি এত সুন্দর ভাবে এই ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে বর্ধমানের জোরোলোজিক্যাল পার্কের ভিতরের ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন। আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে শেষের দিকের ফটোগ্রাফি গুলো। কি সুন্দর কারুকার্য করা এগুলো। তবলা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তিটিকে দেখে মনে হচ্ছে যেন সত্যিকারের কেউ দাঁড়িয়ে আছে। একটি ব্যক্তি সাইকেল চালাচ্ছে এই কারুকার্যটিও আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আপনি অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন এবং সেই মুহূর্তগুলো উপভোগ করেছেন এটা বোঝাই যাচ্ছে। দাদা আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো। ❤️❤️

 2 years ago 

ভাইরে ভাই,ওটা কি কুমির ছিল!!ছবিতেই যেমন আকার দেখা যাচ্ছে,বাস্তবে কেমন সেটাই ভাবছি।
সবগুলো ফটোগ্রাফিই সুন্দর ছিল।শুভ কামনা রইলো দাদা 🌺

 2 years ago 

এ ধরনের পার্কে ঘুরতে আমার দারুন লাগে। বানর একটি চঞ্চল প্রাণী। বিশেষ করে দুষ্টুমিতে সেরা। তবে কিছু কিছু মানুষ বদমাইশিতে এই বানর কেও ছাড়িয়ে গেছে। অকারণেই তারা খাচার প্রাণীগুলোকে বিরক্ত করে। তাদের সম্পর্কে আসলেই কিছু বলার নেই। এছাড়া পার্কের প্রাণী গুলির সম্পর্কে বর্ণনা গুলো খুবই ভালো লাগলো। অত্যন্ত সহজ ভাষায় সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। সবচেয়ে ভালো লেগেছে কুমিরটা দেখে। মনে হচ্ছে মরে পড়ে আছে। ভাস্কর্যগুলোও কিন্তু দারুণ চমৎকার। সবশেষে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা। ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন❤️👍

 2 years ago 

দাদা আপনি খুব সুন্দর ভাবে আপনার জোরোলজিক্যাল পার্কের ভিতরে বিভিন্ন ধরনের পশু পাখি ও কৃত্রিম ভাস্কর্যগুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আপনি প্রথম থেকে খুব সুন্দর ভাবে বানর, উটপাখি, কুমির, হরিণ এর কিছু অসাধারণ ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন ।সেই সাথে এই প্রাণীগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য, তাদের বৈশিষ্ট্য আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ছোটবেলায় বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ করে মেলাতে বানর খেলা দেখতাম। এছাড়াও আমাদের রংপুর শহরের একটি পার্ক আছে সেখানে বিভিন্ন ধরনের পশু পাখি রয়েছে। এছাড়া এই পার্কের ভিতর আপনি অনেক কৃত্তিম ভাস্কর্যগুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। এই পার্কটি অনেক সমৃদ্ধ বিশেষ করে বাচ্চারা এখানে এসে অনেক আনন্দ উপভোগ করতে পারে পরিবারের সাথে কাটানো দারুন জায়গা হতে পারে এটি। আপনি খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে গুছিয়ে পার্কের বিভিন্ন বিষয়ে বলি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন সেজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 2 years ago 

বর্ধমানের জুয়োলজিক্যাল পার্ক এর সমস্ত প্রাণীগুলোর ফটোগ্রাফি এবং ধারাবাহিকভাবে আপনার বর্ণনা শুনে আমার খুব ভাল লাগছিল। আমার শুধু বার বার মনে হচ্ছিল যদি সম্ভব হত আমিও ছেলে মেয়েদের নিয়ে সেখানে গিয়ে ঘুরে আসতাম। এতোটুকুর মধ্যেই আপনি খুব চমৎকার করে আমাদের মাঝে সমস্ত পার্কের বর্ণনা করেছেন। আমি খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছি এই পার্কের মধ্যে শিক্ষণীয় অনেক কিছুই আছে। আপনি অনেক চমৎকার করে সবগুলো প্রাণীর ফটোগ্রাফি করেছেন আমার কাছে বিশেষ করে উট পাখির ফটোগ্রাফি টা খুব ভালো লেগেছে। আমি নিজেও কখনো এতো কাছে থেকে উটপাখি দেখিনি। একটা জায়গায় শুধুমাত্র মাথা দেখে একদম উটের মতোই লাগছিল। আর ভাস্কর্যগুলোও অনেক দৃষ্টিনন্দন ছিল তারমধ্যে সাইকেলের উপর বৃদ্ধ চাচার ভাস্কর্যটি আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ দাদা আপনাকে।

 2 years ago 

বানরের উচিত ছিল মানুষকে তাড়া করা। কিন্তু তারা সেটা না করলেও মানুষ কিন্তু ঠিকই তাদের দেখলে ঢিল মারে তাড়া করে তাহলে ভালো কারা।। বানরের বুদ্ধি বেশ ভালো। আমি অনেক কাছ থেকে এদের দেখেছি। তবে কখনো উঠপাখি দেখি নাই। ওটা নিয়ে অনেক মুভি দেখেছি কিন্তু সরাসরি কখনো দেখা হয়নি। কুমিরের পড়ে থাকাটা আমার বেশ লাগে। দেখলে মনে হয় মারা গিয়েছে কিন্তু ওটাই ওদের ফাঁদ। তবে হরিণগুলো কেমন জানি ছিল। হরিণগুলো গুলো দেখে আমার ছাগল ছাগল লাগছিল। দারুণ ঘুরেছেন বর্ধমানের পার্কটাই।।

 2 years ago 

দাদা আমরা যারা বাইরে গিয়ে বেশিরভাগ সময় ঘোরাফেরা করতে পারিনা তারা আপনার পোষ্টের মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে পারবো। আপনি বর্ধমানের জোরোলোজিক্যাল
পার্কে গিয়ে অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন আমাদের জন্য। বানর, কুমির, হরিণ সবগুলো ফটোগ্রাফির বৈশিষ্ট্য তাদের চলাফেরা সবমিলিয়ে আপনি অনেক তথ্য শেয়ার করেছেন আমাদের মাঝে।এদের সম্পর্কে সামান্য কিছু তথ্য জানতাম তবে উটপাখি বাড়িতে পালন করা যায় সে সম্পর্কে আমার কোন ধারণা ছিল না। আর আপনি পার্ক থেকে ফেরার পথে যে দুটো ছবি ফটোগ্রাফি করেছেন সেগুলো আরো সুন্দর। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

দারুন কিছু ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো খুবই ভালো লাগছে বর্ধমানের জেরওলজিক্যাল পার্কের ভিতর ফটোগ্রাফি হলো আপনি দারুণভাবে করেছেন। আর আমার কিন্তু সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে আপনার শেষের ফটোগ্রাফি টা। আসলেই বোঝা যাচ্ছে যে কেউ সাইকেল চালাচ্ছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এই মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 60078.84
ETH 3197.52
USDT 1.00
SBD 2.45