টিভি সিরিজ রিভিউ: ম্যানিফেস্ট - Airplane Bottles ( নবম পর্ব -সিজন ২)
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে ম্যানিফেস্ট টিভি সিরিজটির দ্বিতীয় সিজনের নবম পর্ব রিভিউ দেব। আজকের পর্বটির নাম হলো "Airplane Bottles" . আগের পর্বটিতে লাস্ট দেখেছিলাম 'টি জে' কে একটা বন্ধ জায়গায় আহত অবস্থায় খুঁজে পেয়েছিলো এবং সেখান থেকে তাকে নিয়ে হসপিটালে গিয়েছিলো। আজকের পর্বটিতে দেখা যাক কি হয়।
❂কিছু গুরুত্ত্বপূর্ণ তথ্য:❂
❆মূল কাহিনী:❆
শুরুতেই দেখা যায় জোশ এর ছেলে জ্যাক হঠাৎ করে তার আগের সেই ঘটনা মানে ৮২৮ প্লেনে থাকার সময় যেটা দেখেছিলো সেইটা আবার সে দেখতে পায় এবং সবাই একে অপরের সাথে কানেক্টেড সেইটা বলে। এরপর সে চিৎকার করে উঠলে তার মা এবং বাবা যায় আর দেখতে পায় জ্যাক নিজে নিজে কিছু একটা তৈরি করছে অর্থাৎ কিছু কাঠ আর দড়ি দিয়ে কিছু একটা করছে। জোশ আর এথেনা জিজ্ঞাসা করলে জ্যাক বলে যে আমি মনে করতে পারছিনা কি দেখেছিলাম কারণ আমি এটা স্বপ্নের ঘোরে দেখেছি। এদিকে 'টি জে ' হসপিটালে কিছুদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকার পরে আস্তে আস্তে রিকোভারি হয় এবং জোশ তাকে তার বাড়িতে নিয়ে আসে। যদিও এখনো 'টি জে' পুরোপুরি রিকোভারি হয়ে উঠতে পারিনি, বেশ টাইম লাগবে কারণ পায়ের উপরে তার সেই জ্বলন্ত কাঠ জাতীয় কিছু একটা পড়েছিল নাইট ক্লাবে যখন দুর্ঘটনাটা ঘটে। এখন 'টি জে' মোটামুটি সুস্থ হলেও হাঁটতে গেলে তাকে সাপোর্ট নিয়েই হাঁটতে হচ্ছে। অলিভও 'টি জে' এর ফিরে আসায় অনেক খুশি হয় আর তাকে সেবা শুশ্রূষা সবাই মিলে করতে লাগে। তবে এখানে 'টি জে' বলে যে আমিও সেভ হিম এই কলিংটাও শুনতে পেয়েছি বার বার ওই বন্ধ ঘরে। যাইহোক এদিকে জেক পারভীনের কাছে যায় এবং প্যাসেঞ্জারদের বাঁচানোর জন্য যে এন্টিব্যাকটেরিয়াল জাতীয় কিছু একটা ভ্যাকসিন তৈরি করেছিল সেটা জেকের উপরে প্রয়োগ করতে যাচ্ছিলো, যদিও এটা জেকের অনুমতির উপর নির্ভর করে। জেক গিয়ে তার শরীরে প্রয়োগ করতে বললে পারভীন ভয়ে কাঁপতে থাকে আর ঘামতেও থাকে কারণ যদি কোনোরকম ভুল কিছু সাইড ইফেক্ট পড়ে তাহলে অনেক বড়ো সমস্যা হয়ে যাবে।
অলিভ আর 'টি জে' সেই আলজুড়াস বইয়ের ড্রয়িং আর সেখানে যেসব বিষয়ে লেখা ছিল সেগুলো নিয়ে আলোচনা করতে লাগে, বিশেষ করে নাইট ক্লাব এর ওই দুর্ঘটনার বিষয়ে। এদিকে পারভীন এতটা ভয়ে কাঁপছিলো যে কোথায় কোনটা কি রাখছে নিজেরই মনে থাকছে না, জেক বলে দিলে তারপর সেগুলো করছে। পারভীন এর এই কান্ড দেখে জেক বুঝতে পারে যে কোনোকিছু একটা সমস্যা আছে নাহলে পারভীন এইরকম করতো না, ফলে জেক ভ্যাকসিন এই মুহূর্তে না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, কিন্তু পারভীন দিতে চায় আর বলে আমার সব কমপ্লিট হয়ে গেছে আর একটু সময় বাকি আছে সব রেডি করতে তারপর দেবো। জেক তারপরও তাকে বলে তোমার একজন ডাক্তার দেখানো উচিত এই মুহূর্তে কারণ পারভীনের অবস্থা দেখে জেকের মনে হয়েছিল যে তার শারীরিক অবস্থা তেমন সুবিধার না। এরপর এই ব্যাপারে জেক মেলিসাকে মেসেজ করে জানায় কিন্তু মেলিসা কোনো উত্তর দেয় না, কারণ মেলিসা একটা সমস্যায় ফেঁসে গেছে। উপরের কিছু অফিসার মেলিসাকে কোনো একটা কেসের বিষয়ে জেরা করতে লাগে অর্থাৎ কেউ তার বিরুদ্ধে কোনো কিছু একটা অভিযোগ করেছে। রামিরেজ আবার এদিকে মেলিসাকে সাপোর্ট করার উদ্দেশে বারবার তার বসের সাথে গিয়ে কথা বলছে আর এইগুলো থামাতে বলছে কিন্তু এই ক্ষেত্রে তারা কিছুই করতে পারবেনা, কারণ অফিসারদের এইসব বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা উচিত না। এদিকে জ্যাক, জোশ আর এথেনা অলিভ আর 'টি জে' এর কাছে আসে এবং সেখানে জ্যাক আর জোশ দেখতে পায় বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে কিন্তু অলিভ বাইরে দরজা খুলে দেখে আবহাওয়া পরিষ্কার আর তাপমাত্রাও ফোনে দেখিয়ে দেয়। এরপর জোশ একটু হতভম্ব হয়ে যায় বিষয়টা দেখে আর বলে সামনে বড়ো কিছু আবার আসতে যাচ্ছে।
জ্যাক যে কিছু একটা তৈরি করতে যাচ্ছিলো সেইটা সে কোনোমতেই করতে পারছে না অর্থাৎ তার মনের মতো করতে পারছে না। এখানে তার মা এথেনা তাকে সাহায্য করে কিন্তু তাও বিষয়টা ইনকমপ্লিট থেকে যায় আর এতেই জ্যাক হঠাৎ করে আবার রেগে যায় আর যতদূর তৈরি করেছিল সব ভেঙে ফেলে। সে এক্সাক্টলি কি তৈরি করতে চায় সেইটা সে বলেই কাউকে বোঝাতে পারছে না এখানে। তার কাছে যতই শুনছে আর যতই কথা বলছে ততই জ্যাক প্রচন্ড পরিমানে রেগে যাচ্ছে। এদিকে 'টি জে' যে শব্দটা শুনতে পেয়েছিলো সেইটা ভেবে ভেবে অস্থির হয়ে যেতে লাগে কিন্তু অলিভ কিছু না বলে সান্তনা দিতে লাগে। এরপর জোশ আল-জুরাস বইয়ে কিছু একটা দেখে সেখান থেকে বেরিয়ে যায়। এদিকে জেক পরে পারভীনকে নিয়ে ডক্টরের কাছে যায় দেখাতে এবং তার চেকাপ করে কিন্তু তার আচরণগুলো তেমন যেন স্বাভাবিক ছিল না, তাকে দেখে যেন মনে হচ্ছিলো সে একটা চরম অস্থিরতায় ভুগছে।
পারভীনকে পরে একটা ঘুমের ইনজেকশন এবং অন্যান্য কিছু ঔষধ যেগুলো ইনজেকশন এর মাধ্যমে দেয় আর অজ্ঞান করে রাখে বেশ খানিক্ষন। এরপর দেরি করার পরে পারভীনের জ্ঞান ফিরে আসে আর আগের থেকে অনেকটা স্বাভাবিক হয় তার আচরণ। এদিকে এইবার জোশ আর জ্যাক একসাথে বানাতে যায় যেটা জ্যাক বানাতে চাচ্ছিলো কিন্তু বানাতে গিয়ে আবারো ভেঙে যায় আর জ্যাক রাগ করে সেখান থেকে চলে যায়। এখানে আবার এথেনা আর জোশ সামনে কিছু দেখতে পায় অর্থাৎ তারা দেখতে পাচ্ছে যে তাদের সামনে টেবিল নড়াচড়া করছে কিন্তু সবকিছুই স্বাভাবিক ছিল। এরপর জোশ বাইরে দরজা খুলে বজ্রপাত সহ বৃষ্টি হতে লাগে এবং এইটা দেখে সোজা সে আল-জুরাস বইয়ের পেজ খোলে কারণ এর রহস্যটাও এই বইয়ে লুকিয়ে ছিল। একদম বাইরে সেম যেমনটা দেখছিলো বইয়ে হুবহু সেইরকমই দৃশ্য দেখতে পায় বজ্রপাত সহ। এরপর সেখানে দেখেই জোশ বুঝতে পারে যে জ্যাক আসলেই কি বানাতে চাচ্ছিলো। এদিকে রামিরেজ মেলিসাকে বাঁচানোর জন্য একটা নাটক করে এবং মেলিসার কাছ থেকে হঠাৎ করে ব্যাজ কেড়ে নিয়ে গ্রেফতার করে লকআপে ঢুকিয়ে দেয়। কারণ এইটা না করলে অফিসাররা তাকে প্রশ্নের জালে পেঁচিয়ে অবস্থা খারাপ করে ফেলতো, আর এই পরিস্থিতি তাদের হাতের বাইরেও চলে গেছিলো তাই রামিরেজ বাধ্য হয়ে এই কাজটা করে।
❆ব্যক্তিগত মতামত:❆
আজকের পর্বের কলিংগুলো আসলে এতটাই খারাপ ছিল যে সবার মধ্যে একটা অদ্ভুত উন্মাদনা সৃষ্টি করে। প্রথম থেকেই জ্যাক একটা কিছু প্লেনের মধ্যে থেকে বাইরে কিছু দেখতে পেয়েছিলো এবং সে তখন বলেছিলো অল কানেক্টেড। এখানে এই কাহিনীটা আর কেউ বুঝতে পারছিলো না, আর জ্যাক বিষয়টা বোঝাতেও পারছিলোনা কারণ এটা সে স্বপ্নের মধ্যে দেখেছিলো ফলে তার মনে মনে বিষয়টা রয়ে গেছে। আসলে এইরকম অনেক কিছু আমাদের মনের মধ্যে থাকে কিন্তু বোঝানো সম্ভব হয় না। যাইহোক এরপর জোশ পরে যখন আল-জুরাস বই দেখে বুঝতে পারে তখন সেইটা জ্যাককে ডেকে বানাতে যায়। এখানে জ্যাক যেটা তৈরি করতে চেয়েছিলো সেটা হলো আল-জুরাস শিপ। এরপর সেই মতে তারা তৈরিও করে ফেলে আর সেখানে দাঁড়িয়ে সেই মুহূর্তে অলিভ বাদে বাকি ৪ জন সেই শীপে কল্পনায় চলে যায় আর সেখানে বজ্রপাত হতে লাগে, এইগুলো দেখতে পায়। এরপর 'টি জে' সেখান থেকে চলে যেতে চায় কারণ সে মনে করছে সে আছে বলেই এইসব ঘটনা ঘটছে কিন্তু অলিভ বলে এইগুলো রিয়েল না, সব কাল্পনিক ঘটছে আর মনে হচ্ছে। এদিকে জেকের উপরে পারভীন তার তৈরি ভ্যাকসিন প্রবেশ করিয়ে ডেথ ডেট চেঞ্জ করতে চেয়েছিলো কিন্তু সেটা আর হয়ে উঠিনি, কারণ পারভীনের নিজেরই স্মৃতি শক্তি লোপ পাচ্ছিলো, ফলে অনেক কিছু ভুলে যাচ্ছে বিষয়গুলো। আর এইজন্যই জেক বিষয়টা সাময়িক এর জন্য স্থগিত করে দেয়।
❆ব্যক্তিগত রেটিং:❆
৯.৮/১০
❆ম্যানিফেস্ট সিজন ২ এর ট্রেইলার লিঙ্ক:❆
রহস্যময় এই ওয়েব সিরিজ যত পড়ি ততই যেন রহস্য বেরিয়ে আসছে। আজকের পর্বটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো।আর জ্যাক বিষয়টা ভালো করে বুঝতে পারছিলো না কারণ জ্যাক স্বপ্নের মধ্যে দেখেছিলো। আর সেটা মনের মধ্যে রয়ে গেছে।আমরাও স্বপ্নের মধ্যে অনেক কিছু দেখিয়ে।আর সেটা নিয়ে ভাবি কখনো কখনে সেটা বাস্তবে মনে হয়। আসলে আমাদের প্রতিনিয়ত এরকম অনেক ঘটনা আমাদের সাথে হয়।এই গল্পটির রহস্য যেন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, খুবই রহস্যময় গল্প।এদিকে জেকের উপর পারভীন তার ভ্যাকসিন পরীক্ষা করতে চেয়েছিল কিন্তু পারভীন তার স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলছে। সেও যেন অন্যরকম একটা রহস্য দিকে যাচ্ছে।সত্যি দাদা এই গল্পটি যত পড়ি ততই যেন রহস্যময় হয়ে আমাদের সামনে আসছে। আজকের পর্বটি খুবই ভালো লেগেছে।
এই টিভি সিরিজের প্রত্যেকটি পর্ব যেন নতুন নতুন চমক। যাইহোক প্রত্যেকটি পর্ব পড়তে ভালই লাগছে। তবে পারভীন যেহেতু ধীরে ধীরে নিজের স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলছে তাতে করে সে নিজের কাজ সফল ভাবে করতে পারছে না। পারভীন জেকের উপরে তার তৈরি ভ্যাকসিন প্রবেশ করিয়ে ডেথ ডেট চেঞ্জ করতে চেয়েছিল। কিন্তু সেটা হয়ে উঠছে না। অন্যদিকে অলিভ বাদে বাকি ৪ কল্পনায় সেই শীপে চলে যায়। কিন্তু সেখানে বজ্রপাত ঘটে। যদিও টি জে মনে করে সেই পর্ব বজ্রপাতের কারণ সে নিজেও হতে পারে। তাই তো সে সেখান থেকে চলে যেতে চায়। কিন্তু অলিভ তাকে বোঝায় এটা শুধুই কাল্পনিক। সত্যি দাদা ধীরে ধীরে রহস্যের গভীরতায় আমরা প্রবেশ করছি। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম দাদা।
পারভীন আসলে নিজের উপর অনেক বেশি রিস্ক নিয়ে ফেলছে, সে তার স্মৃতি শক্তি হারাতে বসেছে। আবার সে এই ভেকসিন জ্যাকের উপর প্রয়োগ করতে গেছে, ভাগ্যিস আপাতত স্থগিত রেখেছে না হলে জ্যাকের উপর খারাপ প্রভাব পরতো।
আল জুরাস বইটি অদ্ভুত ওখানে যা দেখা যায় তাই ঘটে যায়, এদিকে অলিভ বাদেই ওরা কল্পনায় সেই শীপে চলে যায়। দেখা যাক সামনের পর্বে কি ঘটে।
দোয়া রইল পুরো পরিবারের জন্য 🥀
দাদা আজকের পর্বটার মধ্যে সবার মাথা গুলমাল হয়ে গেছে। জ্যাক একটি ব্যাপার বুঝাতে গিয়ে বারবার ব্যার্থ হচ্ছে। আবার বেশি সমস্যা করেছে কল্পনা গুলো। এগুলো হয়তো এক সময় ঠিক হয়ে যাবে বাট পারভীনের বিষয়টা চিন্তায় ফেলে দিলো। কারন সে সব কিছু ভুলে যাচ্ছে। সে যদি স্মৃতি শক্তি হারিয়ে ফেলে তাহলে অনেক বড় প্রবলেম হবে। যায়হোক দেখা যাক সামনে কি হয়। ধন্যবাদ দাদা।
ভাইয়া আমি সিস্টার দেখিনি। তবে আপনি যেভাবে সৃষ্টি রিভিউ করেছেন তাতে আর দেখার প্রয়োজন হবে বলে আমার মনে হয়। অত্যন্ত সুন্দরভাবে প্রত্যেকটি পয়েন্টভাবে আলোচনা করেছেন।
পারভীনের সাথে সাথে আমারও স্মৃতি শক্তি হারাতে বসেছি।তাই তার সাথে সাথে প্রথম দিকের সিরিজ গুলো আমি ভুলে গেছি,আর পারভীন তার কাজগুলো সফলভাবে করতে পারছে না।🤣🤣।যাই হোক অলিভ বাদে ৪ জন কল্পনায় চলে যায়,যার জন্য বজ্রপাত দেখতে পায়।এই দিকে জ্যাকের উপর
ভ্যাকসিন প্রবেশ করিয়ে ডেথ ডেট চেঞ্জ করতে চেয়েছিলো,স্মৃতি হারাতে বসেছিলো বিদায় এটা আর হয়ে উঠেনি।ইশ কেন যে পরিচালকের স্মৃতি শক্তি হারায় না🤣🤣?তাহলে তো দাদা, এটা বাদ নতুন একটা সিরিজ দেখা শুরু করতো😂😂।ভালো ছিলো আজকের পর্বটা।ধন্যবাদ
জ্যাক স্বপ্নে জাহাজ দেখে জাহাজ বানাতে চাচ্ছিলো। তাহলে সে সবাইকে জাহাজ বানানোর কথা বলে নাই কেন? ওই বইতেই সব রহস্যের জাল রয়েছে। যেসব ঘটনা ঘটছে তা পূর্বেই ওই বইতে রয়েছে। তা না হলে জোশ বই দেখে কিভাবে বুঝলো যে জাহাজ বানাতে চাচ্ছে। জেক ও সেফ হিম এই কলিং শুনছিলো। সামনে কারো হয়তো বিপদ হতে যাচ্ছে। যার বিপদ হতে যাচ্ছে সে কি জেক নাকি? কারণ পারভীন জেকের উপর এক্সপেরিমেন্ট চালাতে যাচ্ছে যা নিয়ে সে নিজেই শিওর না। নিজেই উল্টা পাল্টা আচরণ করছে। এদিকে আবার মেলিসাও অফিসারদের কথার জালে আটকে বিপদে পরতে যাচ্ছিলো। রামিরেজ বুদ্ধি করে না আটকালে বিপদেই পরে যেত মনে হয়। আজকের পর্ব আবারো বেশ জটিল হয়েছে। আমার মনে হয় ওই বইটা ভালোভাবে দেখলে এই রহস্য দূর হবে।
যাক টি জে নামক লোকটি প্রাণে বেঁচে গিয়েছে জেনে ভালো লাগলো।তবে দাদা, জ্যাক নিজে নিজে কাঠ আর দড়ি দিয়ে কি তৈরি করেছিল?আবার পারভীনের হঠাৎ কি হলো?মেলিসা নতুন কি সমস্যায় পড়লো?সবই রহস্যের সৃষ্টি করছে মনে।দাদা প্রথম প্রশ্নের উত্তর পরের পাঠ পড়ে জানলাম।রামিরেজ মেলিসাকে বাঁচানোর জন্য দারুণ একটি বুদ্ধি বের করেছিল।আল-জুরাস শিপ তৈরি ও করে ফেলে এটা আপনার মতামত পড়ে জানতে পারলাম।পরেরপর্ব আরো জমজমাট হবে অপেক্ষায় রইলাম।ধন্যবাদ দাদা।