ঔষধি উদ্ভিদ
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
Image Created by OpenAI
আজকে আপনাদের সাথে উদ্ভিদের বিষয়ে কিছু আলোচনা করবো। তবে এই উদ্ভিদের বিষয়টা একটু ভিন্ন ধরণের অর্থাৎ এটি ঔষধি উদ্ভিদের বিষয়ে। ঔষধি উদ্ভিদ কিন্তু বলতে গেলে আমাদের প্রকৃতির একটা আশীর্বাদ স্বরূপ। এই ঔযধি উদ্ভিদের জন্যই আমরা বিভিন্ন রোগবালাই এর হাত থেকে বেঁচে আছি। কেননা দেখুন, আগে প্রাচীন কালের দিকের কথা যদি ভাবি, তাহলে সেই সময়ে এখনকার মতো কিন্তু কোনো আধুনিক ভাবে ঔষধি তৈরির ব্যবস্থা ছিল না, তখন একমাত্র অবলম্বন ছিল এই উদ্ভিদগুলো। আর প্রাচীন কালের মানুষজন এইসব ঔষধি উদ্ভিদ এর বিষয়ে প্রচুর জ্ঞানও রাখতো। আর কোনো কিছু হলেই তারা এই উদ্ভিদের পাতা বলুন বা ছাল/শিকড় ইত্যাদি অংশ ব্যবহার করে রোগের নিরাময় করতো।
এইসব কিছু প্রকৃতির সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের সাথে অতোপ্রতোভাবে জড়িয়ে রয়েছে। হাজার হাজার বছরের পুরোনো ঔষধি গাছগুলো কিন্তু এখনো অনেক আছে, যা আমাদের আজও বিভিন্ন সমস্যার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। প্রাচীন সময় থেকে এখনো পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন সভ্যতায় এই ঔষধি গাছ ব্যবহার করে আসছে। আমাদের ভারতের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার কথা যদি বলি, তাহলে প্রায় তখনকার সময় থেকে এখন পর্যন্ত আনুমানিক ৫০০০ সালেরও বেশি সময় ধরে নিম, তুলসী, অশ্বগন্ধা এবং এলোভেরা এইসব উদ্ভিদ ব্যবহার হয়ে আসছে। আজকাল এইসব দিয়েও বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক প্রোডাক্টও তৈরিকৃত জিনিস দেখতে পাওয়া যায়, যা ত্বকের জন্যও অনেক উপকারী। তবে যাইহোক, এইগুলো এইভাবে সময় সময়ে বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় ব্যবহার হয়ে আসছে এবং পরেও চলবে।
এছাড়া চীনের হারবালের ক্ষেত্রেও যদি দেখা যায়, তাহলে তাদের এইসব চিকিৎসার ক্ষেত্রে জিনসেং, গোটুকোলা ইত্যাদি এইসব উদ্ভিদ ব্যবহার হয়ে থাকে। এইরকম বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ঔষধি গাছ অনেক জনপ্রিয়। এছাড়া আমরা নরমালি বাড়িতেও কিন্তু বিভিন্ন ধরণের সাধারণ চিকিৎসা কিছু কিছু উদ্ভিদের পাতা, কান্ড বা শিকড় ব্যবহার করতে পারি। যেমন আমাদের সাধারণ সর্দি-কাশির ক্ষেত্রে তুলসী পাতার রস খেয়ে থাকি। এছাড়া এর আরো অন্যান্য অংশ বিভিন্ন ক্ষেত্রে চিকিৎসা অনুযায়ী ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তারপর নিম গাছের অনেক উপকারিতা রয়েছে, যেমন-এর পাতা, ফল, ছাল, কান্ড অনেক উপকারী।
এইগুলো আমাদের যেমন চর্মরোগ, দাঁতের ক্ষেত্রে, ব্রণ ইত্যাদি আরো নানাবিধ ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তারপর অশ্বগন্ধা একটা দারুন কার্যকরী উদ্ভিদ, অনেক পাওয়ারফুল বলা যায় । এটি আমাদের স্ট্রেস এবং উদ্বেগ কমানোর কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এছাড়া আদা, আমরা যেটা মশলার উপকরণ হিসেবে রান্নার ক্ষেত্রে ব্যবহার করি! এটাও অনেক উপকারী, কারণ এটি যেমন হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে, তেমনি আবার বমিভাব দূর করতেও অনেক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। এলোভেরা, একটা অসাধারণ ঔষধি উদ্ভিদ। এটির রস খুবই উপকারী, এটি আমাদের ত্বকের যত্ন, চুলের বৃদ্ধি এবং পেটের নানা সমস্যার ক্ষেত্রে দারুন কাজ করে থাকে।
বর্তমানে ঔষধি উদ্ভিদের মধ্যে অশ্বগন্ধা আর এলোভেরা মোস্ট পাওয়ারফুল, বেশিই ব্যবহার হয়ে থাকে। তবে যাইহোক, সব ঔষধি উদ্ভিদের নিজস্ব গুণাবলী অনুযায়ী সব বিভিন্ন চিকিৎসার ক্ষেত্রে উপকারী। এইসব উদ্ভিদ যেমন প্রাচীন কালে ব্যাপক ব্যবহার হতো, তেমনি এখন আধুনিক যুগে দাঁড়িয়েও এইসব উদ্ভিদেরও চাহিদা বেড়েছে, কারণ এখন বর্তমানে এইসব থেকে বেশি হোমিপ্যাথিক এবং হারবাল ঔষধ ব্যবহার হচ্ছে। এইসব কিছু কিছু ঔষধি উদ্ভিদ যা বাড়িতেও লাগানো যায়, যা প্রয়োজনে নিজেরাও ব্যবহার করা যায়।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
জিনসেং সাউথ কোরিয়াতেও বেশ জনপ্রিয়। বেশিরভাগ কোরিয়ান বিভিন্নভাবে জিনসেং নিয়মিত খেয়ে থাকে। তাছাড়া রেড জিনসেং এর উপকারিতা অনেক। যাইহোক ঔষধি উদ্ভিদের গুরুত্ব আমাদের জীবনে অপরিসীম। ঔষধি উদ্ভিদ নিয়ে দারুণ আলোচনা করেছেন দাদা। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ঔষধি হিসেবে উদ্ভিদের ব্যবহার বহু পুরনো ভারতবর্ষে। আপনি সেই দিকটি দারুন সুন্দর করে আপনার পোস্টে তুলে আনলেন দাদা। আমাদের প্রাচীনকালে চরক বা সুশ্রুতর মত চিকিৎসক মহাঋষিরা যে ধরনের চিকিৎসাশাস্ত্র আমাদের দেখিয়ে গিয়েছিলেন, আজও আমরা সেই সব উদ্ভিদের অনুসারী। দারুন সুন্দর একটি পোষ্ট ব্যাখ্যা সমেত আমাদেরকে উপহার দিলেন। অনেক না জানা উদ্ভিদের গুনাগুন সম্বন্ধে জানতে পারলাম।