ব্যস্তময় একটা দিন ।। ০৯.১০.২০২১

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago

হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।


Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

আজকে আপনাদের সবার সাথে আমি একটা ব্যস্তময় দিন নিয়ে কথা বলবো। এটা গত শনিবারের কথা। মূলত ঐদিন হঠাৎ করে বাড়িতে চলে আসলো আত্মীয়স্বজন, তাও আবার একই দিনে দুই জায়গার থেকে। তালদি থেকে এক দাদা আর তার পরিবার এবং সোনারপুর থেকে পিসিমা। এইবার বিষয় হলো আমিতো প্রায় সকালে উঠি দেরি করে, ঐদিনও বিষয়টা ব্যতিক্রম হয়নি।

আমি প্রায় সকালে ১১ টা থেকে ১২ টা অব্দি ঘুমিয়ে থাকি আর আমি ওই ঘুমিয়ে থাকলে বাড়িতে কেউ ডাকতে চায় না লোকজন আসলেও। যাইহোক ব্যাপারটা হলো এখন ঐদিন ১১ টার দিকে ঘুম ভাঙলে শুনতে পেলাম বাইরে কয়েকজনের এক সাথে গল্পগুজব চলছে, আমি ভাবলাম কারা আসলো আবার সকাল সকাল। তখন বাইরে বেরিয়ে দেখি এই অবস্থা, সবাই মোটামুটি এসে হাজির হয়ে গেছে।

এরপর আর কি এখন যত্নআত্তি তো করতেই হবে, তখন বাড়িতে বললো দুটো দেশি মুরগি আনতে। ওই বেলায় ধারে কাছে কোনো দোকানে তো পাবোই না, তাই সকালে একটু কাজ সেরে তালবান্ধা অর্থাৎ সাজিরহাটের লাইনে যেতে হলো আনতে। আমাদের বাড়ির থেকে সাজিরহাট প্রায় অনেকটা পথ, সাইকেল করে যেতে প্রায় ঘন্টাখানিকের মতো লাগে।

তারপরেও মূল বিষয়টা হলো ঐদিন সকাল থেকে ভীষণ কড়া রৌদ্র ছেড়েছিলো , আর এইটা দেখে আমার যেন মনে হলো আজকে অতো পথ যেতে যেতে পুড়েই যাবো 😁। যাইহোক ভেবে তো আর লাভ নেই, যেতেই হবে। এরপর পনি ১২ টার দিকে বেরিয়ে পড়লাম আর গিয়ে পৌঁছালাম ১২:৩২ টার দিকে। একটু কম সময় লেগেছিলো কারণ ভিতরের অলিগলি দিয়ে শর্টকার্ট মেরে দিয়েছিলাম।


Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

এরপর সেখানে পৌঁছানোর পর লোকজনের ভিড়ও ছিল বেশ, আর তালবান্ধা তে লাইন দিয়ে পর পর সব মুরগি থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেশীয় জিনিস নিয়ে বসে থাকে। একপ্রকার প্রতিদিন সকালের দিকে একটা বড় বাজারের মতো বসে থাকে সেখানে। যাইহোক আমার চেনাপরিচিত দোকান থেকে নেবো বলে সেখানে মোটামুটি আবার বেশ কিছুক্ষন অপেক্ষা করলাম।

এর মধ্যে আবার হঠাৎ করে আকাশের দিকে একটু ঘন কালো মেঘ জমা হয়েছে এবং কিছুক্ষনের মধ্যে আলগা মেঘে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিও শুরু হলো। আকাশে কিন্তু সব জায়গায় মেঘ জমেনি তবুও গুড়ি গুড়ি পড়তে পড়তে এক পশলা বড়ো করে হয়ে গেলো। এই অবস্থায় ওদের ছাউনির নিচে সময় কাটালাম। বৃষ্টি তবে বেশিক্ষন হয়নি, মাত্র ৫-৬ মিনিটের মতো হলো।

বৃষ্টি থামলে কি হবে লোকজনের ভিড় কমেনি, তাই আবার একটু বাজারের অন্যান্য স্থান থেকে একটু ঘুরে আসলাম যেমন মাছ বাজার, সবজি বাজার। তবে এখানে সবজিগুলো আর মাছগুলোর দাম আমাদের এদিকের মতোই শুনে যা বুঝলাম, যদিও আমি বেশি একটা জিজ্ঞাসা করেনি কিন্তু ২-৩ পদের মাছের দাম শুনে তাই মনে হলো।

যাইহোক এদিক থেকে ঘুরে ফিরে যেয়ে দেখি অন্তত তাও কমেছে কয়েকজন, আর ৩ জনের পরে আমি ছিলাম। এখানে এরা মুরগি, হাঁস বা যেকোনো কিছু একই দামের মধ্যে গরম জল করে লোম ফেলানো থেকে শুরু করে কেটে দেওয়া অব্দি করে দেয়। আবার আমাদের এদিকের এসব লোকাল দোকানের থেকে দামও কম।

আমি ২টো মুরগির সাথে একটা হাঁসও নিয়ে নিয়েছিলাম। যাইহোক এরপর নেওয়া হয়ে গেলে বাড়িতে এসে আবার বেশ খাটাখাটনিও করতে হলো সব দিকে। বাড়িতে এসে এতগুলো মাংস সব ধুয়ে নিলাম এবং রান্নার কাজে একটু হেল্প করলাম কারণ এতো কিছু একজনের পক্ষে সম্ভব না। এই ছিল মোটামুটি একটা ব্যস্তময় দিনের কার্যক্রম।


All Photos What3words Location: https://w3w.co/trouble.shorthand.tumblers

শুভেচ্ছান্তে, @winkles

ক্যামেরারেডমি নোট ৭
ক্যাটাগরিফোটোগ্রাফি
লোকেশনকলকাতা, ইন্ডিয়া
তারিখ০৯.১০.২০২১

______

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  
 3 years ago 

ওয়েদার টা তো দেখতে দুর্দান্ত লাগছে । কিন্তু ব্যাপারটা হল আপনিতো ফেঁসে গেছেন বাজারে যেয়ে। এমন ওয়েদারে বাড়িতে বসে চা খেতে খেতে বৃষ্টি পড়তে দেখার মজাই আলাদা।

যাইহোক,,মোটামুটি বাংলাদেশে বসে আপনার সাথে আপনাদের বাজার দর্শন করে আসলাম । ভালই লাগলো।

 3 years ago 

ফেঁসে তো একপ্রকার গেছিলাম সকালে উঠেই। আমি আবার চা শীতকাল না পড়লে খাইনা😁, তবে হ্যা বাইরে গেলে মাঝে মধ্যে একটু দোকান থেকে খাওয়া পড়ে।

মোটামুটি বাংলাদেশে বসে আপনার সাথে আপনাদের বাজার দর্শন করে আসলাম

তাহলে স্বপ্নের মধ্যে দিয়ে চলেও আসেন আর বাজার করে যান 😁.

 3 years ago 
  • একটু কম সময় লেগেছিলো কারণ ভিতরের অলিগলি দিয়ে শর্টকার্ট মেরে দিয়েছিলাম।

আমি একদিন এক জায়গায় তাড়াতাড়ি পৌছানোর জন্য কাবিলাতি করে সিএনজি চালককে এদিকে সেদিকে দেখিয়ে নিয়ে গেলাম শর্টকার্টে। আর এরপর দেখি আমি নিজেই চিনিনা, সিএনজি চালক ও চিনে। 😅
আপনার এই লাইন পড়ে হঠাৎ ওই ঘটনা মনে পড়ে গেলো।
কষ্ট হলেও শেষে মনে হচ্ছে ভালোই খাওয়া দাওয়া হয়েছে ভাইয়া।

 3 years ago 

আমি একদিন এক জায়গায় তাড়াতাড়ি পৌছানোর জন্য কাবিলাতি করে সিএনজি চালককে এদিকে সেদিকে দেখিয়ে নিয়ে গেলাম শর্টকার্টে। আর এরপর দেখি আমি নিজেই চিনিনা, সিএনজি চালক ও চিনে

বিষয়টা বেশ মজার হলো তো তাহলে। চালক মশাই ভাবছিলো নিশ্চই যে আমারে কোথায় যে নিয়ে যাচ্ছে কিজানি। আপনি চালক বাবুকে এক প্রকার ঘোল খাইয়েছেন ভালই 😄.

কষ্ট হলেও শেষে মনে হচ্ছে ভালোই খাওয়া দাওয়া হয়েছে ভাইয়া।

তা বেশ ভালোই হয়েছিল।

আপনার দিনের গল্পটা অনেক সুন্দর লাগলো ভাই। তবে সবকিছু ছেড়ে রান্নার কাজটাও যে আপনি করেছেন বিষয়টা অনেক চমৎকার। আপনার প্রতিটি দিন অনেক সুন্দর কাটুক আনন্দঘন মুহূর্তের মধ্য দিয়ে।

 3 years ago 

রান্না বান্না আমার একটু ভালো লাগে, বেশ মজার সাথে করি। আপনি পুরো বিষয়টি পড়েছেন এবং আপনার ভালো লাগা দেখে আমারও অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

 3 years ago 

হুম বুঝতে পারছি বেশ ঝাক্কি গেছে আপনার উপর দিয়ে, আর দেখুন আবহাওয়াটাও কি সুন্দর আপনার পক্ষে থেকে বৃষ্টি দিয়ে আপনাকে শান্ত করার চেষ্টা করেছে, হি হি হি

ফটোগ্রাফিগুলো দারুণ ছিলো, অনেকটাই পরিচিত দৃশ্যের মতো।

 3 years ago 

এটাই হলো সমস্যা, বাড়িতে লোকজন আসলে চাপ একটা বাড়তি ঘাড়ের উপরে চলে আসে। তবে আবহাওয়া একটু নরম হয়ে বৃষ্টি নামলেও গরম টা যাইনি, রৌদ্র ছাড়ার সাথে সাথে আবার সেই গরম পড়লো😁, অদ্ভুত বিষয় একটা। ধন্যবাদ।

 3 years ago 

প্রথমেই ঘুম থেকে উঠেই দেখলে তালদি ও সোনারপুর থেকে আসা আত্মীয় স্বজনদের। তারপর অনেক টা দূরে যেয়ে বাজার করে দুইটি মুরগি ও একটি হাঁস নিয়ে বাড়ি ফেরা। সবমিলিয়ে এক ফুল প্যাকেজ বলা চলে। তোমার কাজগুলি আমাদের ভাগ করার জন্য শুভেচ্ছা।

 3 years ago 

ধন্যবাদ তোমাকে মন্তব্যের জন্য।

 3 years ago 

আসলে বাড়িতে অতিথি আসলে কাজের চাপ একটু হলেও আলাদা আনন্দ পাওয়া যায় মনে।যদিও আপনি অনেক ব্যস্ততার মাঝে সময় কাটিয়েছেন গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মধ্যে।ছবিগুলো খুব সুন্দর ছিল দাদা।ধন্যবাদ আপনাকে।

 3 years ago 

হ্যা এটা ঠিক বলেছো , বাড়িতে লোকজন আসলে চাপের আর সীমা থাকে না। এখানে ওখানে দৌড়ানো লাগে। ধন্যবাদ তোমাকে ভালো মন্তব্যের জন্য।

 3 years ago 

দাদা মুরগী কিনতে গিয়ে ভালোই ঝামেলা পোহাতে হলো তাহলে। আমার হাঁসের মাংস বেশি ভালো লাগে। অনেক ব্যস্ত দিন পার করেছেন বাসায় আত্বীয় আসলে এরকম একটু দায়িত্ব পালন করতে হয়।

 3 years ago 

শুধু ঝামেলা না, একপ্রকার মহা ঝামেলা পোহাতে হলো আমাকে। হাঁসের মাংস আমারো পছন্দ আপনার মতো। তবে আমি মুরগিটা একটি বেশি খাই, হাঁস মাঝে মাঝে চলে।

বাসায় আত্বীয় আসলে এরকম একটু দায়িত্ব পালন করতে হয়।

এটা ঠিক, এগুলো না করলেতো হয় না আবার, নইলে অন্য কিছু ভাববে। যাইহোক ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

 3 years ago 

ভাইয়া আপনার দিনটা সত্যি খুব ব্যস্ততার মাঝে কেটেছে। বাড়িতে আত্মীয় স্বজন আসলে শত ব্যস্ততা বেড়ে যায়। মোটমাট তাদের খাতির-যত্ন করতেই দিন থেকে রাত কাবার হয়ে যায়। বোঝাই যাচ্ছে আপনি অনেক কাজ করে ফেলেছেন।

 3 years ago 

একদম ঠিক কথা বলেছেন। আসলেই বাড়িতে লোকজন আসলে চাপের অন্ত থাকে না আর। তাদের খাতির যত্ন করে খুশি রাখতে গেলে এইটুকু করতেই হবে। যাইহোক আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 64623.67
ETH 3421.73
USDT 1.00
SBD 2.51