নবমীতে বনগাঁর দুর্গা পুজোতে ঘোরাঘুরি -পর্ব ২

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

বনগাঁর দুটি স্থানের পুজোর ফোটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। আজকে বাকি আরো ২-৩ টি স্থানের ফোটোগ্রাফি শেয়ার করবো। গত পর্বে আমরা দেখেছিলাম অভিযান সংঘ আর গান্ধী পল্লী বিবেকানন্দ স্পোর্টিং ক্লাব। গান্ধী পল্লীতে দেখার পরে সেখান থেকে আমরা গিয়েছিলাম "আয়রন গেট স্পোর্টিং ক্লাব" এর দিকে। আয়রন গেটের দিকে যেতেই খুবই সুন্দর সুন্দর সৌন্দর্যপূর্ণ লাইটিংগুলো চোখে পড়লো। যেকোনো ক্লাবের দিকে যেতে গেলেই সমস্ত রাস্তা জুড়েই বিভিন্ন ক্যাটাগরির লাইটিং থাকে, যা দেখতেই চোখ জুড়িয়ে যায়।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

খুবই সুন্দর লাগে, মনে হয় এক জায়গায় দাঁড়িয়ে শুধু লাইটিংগুলো দেখতে লাগি আর ছবি তুলতে লাগি। আয়রন গেট স্পোর্টিং ক্লাব এর এইদিকে একটু কাদা মতো হয়েছিল, কারণ এই প্যান্ডেলটি বড়ো মাঠ জুড়ে তৈরি করা, আর প্যান্ডেলটি দেখে বুঝতেও পারছেন বিষয়টা। যদিও এখানে সবাইকে ভিআইপি আর জেনারেল হিসেবে যাওয়ার জন্য আলাদা ব্যবস্থা করেছে কাঠের পাটাতন দিয়ে, ফলে যাওয়ার সময় তেমন একটা কোনো সমস্যা হয়নি কারো। আমরা যে মুহূর্তে গিয়েছিলাম তখন একটু লোকজন কম ছিল, কারণ আগেতো এইসব জায়গায় পুজো দেখতে যেতাম থাকতো অসম্ভব ভীড়।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

বনগাঁর দিকে বৃষ্টি হলে তেমন কেউ আসতে চায় না কাদা-জলের জন্য। যাইহোক মাঠের গেটে পৌঁছানোর পরে সেখানে দাঁড়িয়ে প্যান্ডেলের কিছু ছবি তুলতে লাগলাম আর সামনে এগোতে লাগলাম। আমি ভুল করে ছবি তুলতে তুলতে ভিআইপি গেটে ঢুকে পড়েছিলাম, যদিও আমি চলে যেতে পারতাম কিন্তু মাসি আর বোনেরা আসতে পারিনি, তাই আবার জেনারেল গেটের দিকে চলে গিয়েছিলাম। এরপর আস্তে আস্তে প্যান্ডেলের ভিতরে ঢুকে পড়লাম আর মায়ের প্রতিমার কিছু ছবি তুলতে লাগলাম আর কিছু সুন্দর সুন্দর ডিজাইন এর ছবি তুললাম।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

এরপর সেখান থেকে বেরিয়ে আসতেই ফাস্টফুডের দোকান চোখে পড়লো, ভাবলাম এখান থেকে কিছু খেয়ে নেই, পরে আর খাওয়ার সময় হবে না অন্যদিকে গেলে। তাই এরপর আমি একটা এগ-চিকেন-নুডুলস নিলাম আর দুই বোন এগ-চিকেন-রোল নিলো। তা সত্যি কথা বলতে চিকেনের পরিমান আর আমার নুডুলস দেখে খাওয়ার রুচি হারিয়ে যাচ্ছিলো তার উপর আবার দাম বলে ১০০ টাকা করে, এর থেকে লোকালে ৩০ টাকায় আরো বেশি দেয়। যাইহোক কি আর করার দিলাম, আর পরে পাশের দোকান থেকে আমি লেমন জুস্ আর বোন ম্যাংগো জুস্ খেয়ে বেরিয়ে আসলাম। আসলে পুজোর সময় জনগণের কাছ থেকে ইচ্ছা মতো লুটে নিচ্ছে।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

আয়রন গেট স্পোর্টিং ক্লাব দেখার পরে আমরা "সুভাষ নগর সেবা সমিতি" এর দিকে রওনা হয়েছিলাম। এইদিকে রাস্তার সাইড দিয়ে বেশ সুন্দর সুন্দর ফুলের ডিজাইন এর লাইটিং করেছিল। লাইটিংগুলো আসলে খুবই চমৎকার ছিল, প্যান্ডেলের ধারে পর্যন্ত যেতে যেতে আসলে এইসব মনোমুগ্ধকর লাইটিং দেখলে মনে হবে শুধু লাইটিং আর লাইটিং দেখি, আমারতো মাঝে মাঝে মনে হয় যদি সারাবছরই সমস্ত রাস্তা জুড়ে এইরকম মনোমুগ্ধকর লাইটিং থাকতো তাহলে দৃশ্যটা কত সুন্দর হতো।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

তবে বিষয়টা হলো দেখতে সুন্দর লাগলেও বছরে কয়টা দিনে যে আকর্ষণটা আসে সেইটা আর পাওয়া যাবে না যদি এইরকম সারা বছর থাকে। যাইহোক আস্তে আস্তে এই সেবা সমিতির প্যান্ডেলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলাম এবং এই প্যান্ডেলের ডিজাইনটা সবার থেকে আলাদা, যেন একটা অন্যরকমভাবে তৈরি করা। প্যান্ডেলটি অন্যান্য প্যান্ডেলের থেকে ছোট হলেও একটা আকর্ষণীয়তা আছে। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন সম্মুখভাগের ডিজাইনটা দেখতে কত সুন্দর করেছে। সামনে একটা ষাঁড়ের সুন্দর মূর্তিও তৈরি করেছে। আসলে হাতের কতটা দক্ষতা থাকলে একটা বিষয়কে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা যায়, যা একদম বাস্তবের মতো দেখতে লাগে, দূরের থেকে কেউ দেখলে ভাবতে পারবে না যে এটি বাঁশ অথবা কাঠ দিয়ে তৈরি।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

যাইহোক আস্তে আস্তে ভিতরের দিকে পদার্পন করলাম এবং ভিতরের দৃশ্যগুলোও দেখে আমি মুগ্ধ। প্যান্ডেলের উপরের ডিজাইনটা দেখে আমি ভেবেছিলাম হয়তো কাঁচ দিয়ে তৈরি করা কিন্তু এইগুলো পিতলের ছোট ছোট টুকরা এক সাথে জুড়ে দিয়ে তৈরি করা এবং এই ডিজাইনটার ভিতরেও বিভিন্ন কালারের লাইটিং দিয়ে বিষয়টাকে আরো সৌন্দর্যপূর্ণ করে তুলেছে সবার সামনে। এছাড়া আসল বিষয়টা হলো মায়ের মূর্তিটাও একদম আলাদা ভাবে তৈরি করা আর মাকে সাজিয়েছেও খুব সুন্দর ভাবে। মোটকথা এই সুভাষ নগর সেবা সমিতির বিষয়টা ছোটোখাটোর মধ্যে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আজকে এই পর্যন্ত থাকুক, পরের দিন আরেকটা পর্ব দেব।

All photos what3words location: https://w3w.co/hardly.decorated.irritated

শুভেচ্ছান্তে, @winkles

ক্যামেরারেডমি নোট ৭
ক্যাটাগরিফোটোগ্রাফি
লোকেশনবনগাঁ, পশ্চিমবঙ্গ, ইন্ডিয়া
তারিখ০৪.১০.২০২২


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  
 2 years ago 

নবমীতে বনগাঁর দুর্গা পুজোতে ঘোরাঘুরি অসাধারণ মুহূর্তের কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে আজকে শেয়ার করলেন দাদা।সত্যি ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। অসাধারণ লাইটিং এবং ডেকোরেশন করেছে। সত্যি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আপনি বনগাঁতে গিয়েছেন সেখানে বৃষ্টি হলে কেউ আসতে চাযময় না। কারণ কাঁদা থাকে তারপরেও আপনি সেখানে দাঁড়িয়ে ফটোগ্রাফি করতে লাগলেন এবং ফটোগ্রাফি করতে করতে ভিআইপি গেট দিয়ে ঢুকে গিয়েছেন। যাই হোক তারপরে আপনি ঢুকে যেতে পারতেন কিন্তু আপনার মাসি এবং বোনেদের জন্য আবারো জেনারেল গেট দিয়ে ঢুকলেন।অনেক আনন্দ উপভোগ করেছেন, যাইহোক দাদা আজকে আপনার প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে। দেখে খুবই ভালো লাগলো। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

 2 years ago 

দাদা আপনার পোস্ট পড়ে জানতে পারলাম। বনগাঁর দিকে বৃষ্টি হলে তেমন কেউ যেতে চায় না। কাদা-জলের জন্য। যাইহোক আপনি মাঠের গেটে পৌঁছানোর পরে সেখানে দাঁড়িয়ে প্যান্ডেলের কিছু ছবি তুলেছিলেন। দাদা অলরেডি বনগাঁর দুটি স্হানের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছে ইতিমধ্যে।নবমীতে বনগাঁর দুর্গা পুজোতে ঘোরাঘুরির অনুভূতি এবং ফটোগ্রাফি গুলো সত্যিই অসাধারণ হয়েছে। এত চমৎকার ফটোগ্রাফি এবং অনুভূতি শেয়ার করার জন্য, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি প্রিয় দাদা।♥♥

 2 years ago 

আসলে হাতের কতটা দক্ষতা থাকলে একটা বিষয়কে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা যায়, যা একদম বাস্তবের মতো দেখতে লাগে, দূরের থেকে কেউ দেখলে ভাবতে পারবে না যে এটি বাঁশ অথবা কাঠ দিয়ে তৈরি।

দেখতে দেখতে পুজো শেষ হয়ে গেল। কিন্তু পুজোর আমেজ এখনো রয়ে গেছে। এখনো উৎসবমুখর পরিবেশের রেস কাটেনি। সবার মাঝেই পুজোর স্মৃতিগুলো এখনো রয়ে গেছে। তাইতো মোবাইলে ধারণ করা এই ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এক একটি ফটোগ্রাফি যেনো এক এক সৌন্দর্য বহন করে। দেখে মনে হচ্ছে যেন চোখের সামনে সব কিছু দেখতে পাচ্ছি। প্রত্যেকটি প্রতিমা দেখতে অনেক সুন্দর। কিছু কিছু প্যান্ডেল ছোট হলেও এর প্রতিমা গুলোর সৌন্দর্য এবং ডেকোরেশন বেশ আকর্ষণীয়। দেখতে অনেক সুন্দর লাগে। আর পুজোর সময় রেস্টুরেন্টগুলোতে খাবারের দাম দ্বিগুণ হয়ে যায়। যেকোন উৎসবেই রেস্টুরেন্ট মালিকরা তাদের খাবারের দাম দ্বিগুণ করে দেয়। এতে করে সাধারণ মানুষ আরো বেশি ভোগান্তির মধ্যে পড়ে। বনগাঁর দুর্গা পুজোতে ঘোরাঘুরি করার ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা।

 2 years ago 

আয়রন গেট স্পোর্টিং ক্লাব এর পূজা মন্ডপটি মাঠের মধ্যে না করলে কিভাবে সম্ভব এত বিশাল একটি মন্ডপ তৈরি করা। তাছাড়া কাঠের পাটাতন দেওয়ার কারণে আপনাদের যেতে সুবিধা হয়েছে। তা না হলে তো কাঁদার মধ্যে দিয়ে যাওয়া খুবই কষ্টকর হতো। ১০০ টাকায় মাত্র এতোটুকু নুডুলস? অবশ্য পূজা বলে কথা। যা চাইবে লোকজন তো তাই দিতেই রাজি হবে। আসলে এরকম লাইটিং দেখলে তো সেখান থেকে আসতে মন চাইবেই না। যারা এই প্রতিমা গুলো তৈরি করে আসলেই তাদের দক্ষতার প্রশংসা করলেও কম হবে। এত নিখুঁতভাবে তৈরি করে। মাসি এবং বোনের উপলক্ষে বেশ কিছু পূজা মন্ডপ ঘোরা হয়ে গেল আপনার। ভালই সময় কাটিয়েছেন মনে হচ্ছে।

 2 years ago 

আয়রণ গেটের পুজো প‍্যান্ডেলের ফটোগ্রাফি ভালো ছিল তবে সুভাষ সংঘ সমিতি এর প্রতিমা গুলোর ফটোগ্রাফি বেশি ভালো ছিল। সাধারণত এই জায়গা গুলোতে খাবারের দাম বেশি কিন্তু মান কম হয়ে থাকে। তবে কিছু কিছু ব‍্যতিক্রমও আছে।

 2 years ago 

বনগাঁয় দুর্গাপূজার নবমীতে খুব উপভোগ করেছেন তা আপনার ছবি দেখে বোঝা যাচ্ছে। পুজার লাইটিং খুব দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। অনেক সুন্দর হয়েছে আপনার শেয়ার করা ছবিগুলো। পুজো বা মেলায় দোকানদারেরা সবকিছুর দাম বাড়িয়ে দেয় বিশেষ করে খাবারের দাম বেড়ে যায়। আপনার নুডলসের পরিমাণ দেখে আমারও মনে হচ্ছে ১০০ টাকা অনেক বেশি নিয়েছে। ধন্যবাদ দাদা।


This post was selected for Curación Manual (Manual Curation)

@tipu curate 2

 2 years ago 

নবমীতে বনগাঁর দুর্গা পুজোতে যে গেইট গুলো করেছে সে গুলো চোখে পড়ার মত। অনেক শ্রম দিয়েই গেইট গুলো সাজিয়েছে। দাদা আপনি একটি পুজো মন্ডপের উপরের অংশের একটি ছবি সেয়ার করেছেন। যেটা দেখে আমি রীতিমত অবাক হয়ে গেলাম। এত সুন্দর কারুকার্য আর অন্য কোথায় দেখেছি বলে মনে হয় না। আর একটি বিষয় বললেন যে ১০০ টাকার নুুডুলস অন্য জাগায় ৩০ টাকার থেকেও কম। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তারা এভাবেই জনগনের পকেট কাটে। ধন্যবাদ দাদা।

 2 years ago 

দাদা নমস্কার
আপনার নবমীতে বনগাঁর দুর্গা পুজোতে ঘোরাঘুরি দ্বিতীয় পর্ব টি দেখলাম সত্যি অসাধারণ ৷প্রতিটি ছবি ছিল অনেক সুন্দর ৷ বিশেষ করে লাইট সো গুলো ছিল দেখার মতো ৷ দেখতে রাজ প্রসাদ ঠাকুর গুলো ও কি সুন্দর মা দশভুজা ৷
দেখে ভালো লাগলো দাদা আপনাদের ওই দিকে বেশ সুন্দর পুজো হয় ৷

 2 years ago 

বনগাঁ পুজো দেখার দ্বিতীয় অংশের অপেক্ষায় ছিলাম দাদা। বিশেষ করে আমার সুন্দর সুন্দর আলোকসজ্জা দেখতে ভীষণ ভালো লাগে, সত্যি বলতে একটি মোহনীয় পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

আয়রন গেটের আলোকসজ্জা থেকে চোখ সরানো যাচ্ছিল না। আমি তো বেশ খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে ছবিগুলো দেখছিলাম। আর দাদা আমিও যখন বাইরে কোথাও যাই ভীষণ খিদে চেপে যায়। তবে এগ-চিকেন-নুডুলসের দাম বেশ চড়া বলছিলেন। পুজো বলে কথা এই সুযোগে কিছু কামিয়ে নিচ্ছে।

সুভাষ নগরের আলোকসজ্জা এবং প্রতিমা দুটোই বেশ সুন্দর ছিল। দেখি তৃতীয় পর্বে কি নিয়ে হাজির হয় দাদা 🤗

দোয়া রইল পুরো পরিবারের জন্য 🥀

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.14
JST 0.028
BTC 59305.10
ETH 2602.12
USDT 1.00
SBD 2.44