ওয়েব সিরিজ রিভিউ: মার্ডার ইন দ্যা হিলস- শোডাউন ( সিজন ১-সপ্তম পর্ব )

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে মার্ডার ইন দ্যা হিলস ওয়েব সিরিজটির সপ্তম পর্ব রিভিউ দেব। সপ্তম পর্বের নাম হলো "শোডাউন"। গত পর্বের শেষ দেখা গিয়েছিলো যে অর্জুন এর বাড়িতে শিলা গুরুতর আহত অবস্থায় এসেছিলো। আজকের পর্বটা কি হয় দেখা যাক।


স্ক্রীনশর্ট: ইউটিউব


☀কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:☀

সিরিজটির নাম
মার্ডার ইন দ্যা হিলস
প্লাটফর্ম
hoichoi
সিজন
পর্ব
শোডাউন
পরিচালকের নাম
অঞ্জন দত্ত
অভিনয়
অর্জুন চক্রবর্তী, অনিন্দিতা বোস, সৌরভ চক্রবর্তী, রাজদীপ গুপ্তা, সন্দীপ্তা সেন, রজত গাঙ্গুলি ইত্যাদি
মুক্তির তারিখ
২৩ জুলাই ২০২১ ( ইন্ডিয়া )
সময়
২৬ মিনিট ( সপ্তম পর্ব )
ভাষা
বাংলা
কান্ট্রি অফ অরিজিন
ইন্ডিয়া


❂মূল কাহিনী:❂


স্ক্রীনশর্ট: hoichoi

এই পর্বের কাহিনীতে দেখা যায় সেই শিলা আহত অবস্থায় যখন অর্জুনের কোলে ঢলে পড়ে তখন অর্জুন তাকে জিজ্ঞাসা করে কে করেছে তোমার এই অবস্থা কিন্তু শিলা বলতে গিয়েও কিছু বলতে পারে না, তার আগেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। অর্জুন তাকে কিছুক্ষনের জন্য সেখানে রেখে বাইরে দেখতে যায় কেউ আছে কিনা এখানে। এরপর ফিরে এসে ববকে ফোন করে ডেকে আনে। এরপর তারা দুইজন মিলে শিলাকে নিয়ে হসপিটালে যায় আর ডাক্তার নিমাকেও ফোন করে হসপিটালে আসতে বলে। ডাক্তার নিমার অধীনেই আছে চিকিৎসাধীন অবস্থায়। এখনো শিলার জ্ঞান ফেরেনি। আর এদিকে অর্জুন, বব, DSP, সৌরভ, নিমা সবাই টনির বাড়িতে যায় আর সবকিছুর জন্য অর্জুনকে দায়ী করতে লাগে টনির বন্ধু আর তার স্ত্রী। শিলার এই অবস্থার জন্য তাকে দায়ী করে কারণ জায়েসওয়াল এর মতো লোকজনের সাথে পাঙ্গা নেওয়ার জন্য তার উপর হামলাটা করেছে। আর টনির বিষয়ে অর্জুন তাদের সামনে সব সত্যিটা বলে কিন্তু রজত বাবু, রমা দেবী মোটেও সেটা বিশ্বাস করতে চায় না, কারণ প্রমান ছাড়া তারা কিছুই শুনতে রাজি না, তবে DSP প্রথম দিকে অর্জুনের সাথে ছিল কিন্তু হঠাৎ পাল্টি খেয়ে বলে বসে যে পোস্টমর্টেম এর রিপোর্টটা আমার বাড়ির থেকে চুরি করে নিয়েছে।


স্ক্রীনশর্ট: hoichoi

অর্জুন তাও সেখানে জোর গলায় বলে যে টনির যে সব অপকর্মের প্রমান আমার কাছে আপাতত আছে তাতে মামলা করার জন্য যথেষ্ট কিন্তু আদালতে টেকা আর না টেকা পরের বিষয়। তবে ডাক্তার নিমাকেও বলে যে সে যদি এখন সব সত্যিটা না বলে তাহলে কোর্টে সবার সামনে মুখ খোলাই লাগবে। মানে ওখানে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি নিয়ে একটা ধস্তাধস্তি বেধে যায়, শেষমেশ মারামারির পর্যায়ে চলে যায়। তবে অর্জুন সেখানে রমা দেবীর বাড়ি দাঁড়িয়ে সোজাসুজি রমা দেবীর দিকে আঙ্গুল তুলে দেয় যে টনির খুনের সাথে আপনার লিঙ্ক আছে। কারণ টনির সমস্ত প্রপার্টি যখন জায়েসওয়াল এর কাছে বন্দক রেখে টাকা নিয়েছিল তখন সেই টাকার এক পয়সাও জায়েসওয়ালকে ফেরত দিতে পারিনি আর সেই সম্পত্তির সবটুকু ভোগ করার জন্য রমা দেবীও জায়েসওয়াল এর সাথে হাত মিলিয়ে ব্রান্ডিতে বিষ মেশাতে পারে। টনি যদি মরে যায় তাহলে সব সম্পত্তি রমা দেবীর নামে হয়ে যাবে আর সেখান থেকে জায়েসওয়াল চা বাগানের জন্য রমা দেবীকে প্রচুর টাকা দিতে পারে সেই হিসেবে আঙ্গুলটা তার দিকে তুলে দেয়। এদিকে আবার সৌরভ এর সাথেও লেগে গেছে, মাথা গরম হয়ে গেলে যা হয় আর কি। সৌরভ আবার এদিকে অর্জুনের পত্রিকার অফিসে ফোন করে।


স্ক্রীনশর্ট: hoichoi

অর্জুন এর বসের কাছে ফোন করে বলে যে অর্জুনকে এইসব করতে মানা করুন না হলে আপনাদের পত্রিকার অফিস বন্ধ হয়ে যাবে। এখানে সৌরভও জোর গলায় বলতে পারে কারণ তাদের থেকে সৌরভ এর সোশিয়াল জায়গাগুলোতে ফলোয়ার বেশি, ফলে সে যদি তাদের নিয়ে কিছু খারাপ লেখে তাহলে তাদের জন্যও ভালো হবে না বলে থ্রেড দিয়ে দেয়। অর্জুন আবার সেই মাতালের কাছে যায় কিছু ইনফরমেশন নেওয়ার জন্য কিন্তু ওই মাতালের আবার নীতি আছে যে কোনো কিছু জানতে হলে এক বোতল আগে আনতে হবে তারপর বাকি কথা। ওরে যে মদ কিনে দেবে তাকেই বলে দেয় সবকিছু, তাই অর্জুন যে সবকিছু ইনফরমেশন তার কাছ থেকে নিচ্ছে সেটাও DSP সাহেবকে বলে দেয় একদিন। এরপর ওই লোকটা অর্জুনের কাছে একটা চিঠি দেয় যেখানে অনেক সত্যি কথা লেখা ছিল টনির ব্যাপারে আর এটা সেইসময় দিয়েছিলো টনির সেক্রেটারি উদয় বলে একজন লোক। আর বাদবাকি যেসব রিপোর্ট, পোস্টমর্টেম এর কাগজপত্র অরিজিনাল ছিল সেগুলো একজনের কাছে দিয়ে কলকাতায় পাঠিয়ে দেয় দার্জেলিং থেকে। এরপর কিছু লোকজন ওইসময় আসে সেই কাগজপত্রগুলো নেওয়ার জন্য কিন্তু উদয় লোকটি হাসতে হাসতে নিজের জীবনটা দিয়ে দেয় অর্থাৎ কোনো কিছু না বলায় তাকে গুলি করে দেয়।


স্ক্রীনশর্ট: hoichoi

এদিকে সৌরভ কলকাতায় অর্জুনের পত্রিকার মূল অফিসের যেসব লোকজনদের সাথে ফোনে কথা বলেছিলো তারা আলোচনা করতে লাগে যে অর্জুনকে এইসব বিষয়ে না মানা করলে আমাদের পত্রিকার না কোনো ক্ষতি হয়ে যায় কারণ সৌরভ একজন বিখ্যাত ফিল্ম ম্যাকার আর তার ফ্যান, ফলোয়ারও বেশি তাই সে কিছু লিখলে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। কিন্তু অন্যজন বলে অর্জুন যে খবরের জন্য লড়ছে টনির বিষয় নিয়ে এটা যদি যথাযথ প্রমান সহ ছাপানো যায় তাহলে আমাদেরও অনেক নাম হতে পারে। এরপরে তারা সিদ্ধান্ত নেয় যে অর্জুন এই খবরটা জনগণের সামনে আনুক। এরপর তার বস কলকাতা থেকে দার্জেলিং এর উদ্দেশ্যে রওনা হয় এবং অর্জুনকে ফোন করে বলে যে নিউজটা আজকে রাতেই লিখে ফেলো আর আমাকে মেইল করে দাও। অর্জুন সেই হিসেবে বব এর কাছে যায় যে ভালো ইন্টারনেট এর সুবিধা আর একটা ল্যাপটপ লাগবে, কারণ অনেক ফাইল এটাচ্ড করে মেইল করতে গেলে স্ট্রং নেটওয়ার্ক না হলে পাঠানো যাবে না। আর ববকে বলে যে একটা রাত তার সাথে থাকতে কারণ জায়েসওয়াল এর লোকজন যদি আবার হামলা করে তাহলে বিপদ। এরপর বব রাজি হয়ে যায় তার সাথে থাকার জন্য। অর্জুন বাড়িতে বসে আর্টিকেল লেখা শুরু করেছিল সবে, তখন একজন তার ঘাড়ে কেরাতে মেরে অজ্ঞান করে দেয়।


❂ব্যক্তিগত মতামত:❂

দার্জেলিং এর এই মার্ডার এর কাহিনীর প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে সেটা গল্প দেখে বোঝা যাচ্ছে। শিলারও জ্ঞান ফিরে এসেছে অনেক্ষন পরে। আর এদিকে অর্জুন টনি আর তার বাবার কুকর্মের বিষয়গুলো নিয়ে আর্টিকেল লেখা শুরু করে দেয়। তবে তার বসও তাকে ফোনে বলে দিয়েছিলো যে আজকের রাতটা তোমার জন্য খুব ভয়ানক হতে পারে, কারণ যারা তোমার এই কাজে অসন্তুষ্ট তারা চাইবে না যে এই খবর দার্জেলিং এর একটা চার দেওয়ালের মধ্যে আটকে থাকার মতো থাকুক, এতে করে অনেকের ক্ষতি হয়ে যাবে যারা অসৎ পথে এখনো চলছে । সেই হিসেবে অর্জুন ববকে এক রাতের জন্য পাহারা দিতে বলে যায় এবং ঘরের ভিতরে ঢোকার চাবিও দিয়ে যায় যে তুমি ছাড়া আর কেউ ঢুকতে পারবে না, কারণ আমি ভিতর থেকে বন্ধ করে দেব। এরপর অর্জুন আর্টিকেল লিখতে থাকলে তখন সেই রহস্যময়ী সেলফোন থেকে বারবার ফোন আসতে থাকে। অর্জুন ওটাতে বেশি পাত্তা না দিয়ে তার নিজের কাজে বেশি গুরুত্ব দেয়। এরপর বাইরের থেকে দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশ করে একজন, প্রথম প্রথম মনে হয়েছিল যে বব কিন্তু যখন তার মাথার থেকে টুপিটা সরালো তখন দেখা গেলো DSP সাহেব। সে অর্জুনকে অজ্ঞান করে তার কাছে থাকা সমস্ত প্রমান নিয়ে নেয়। পরের পর্বটায় কেস সব বোঝা যাবে।


❂ব্যক্তিগত রেটিং:❂
৯.৬/১০


❂ট্রেইলার লিঙ্ক:❂


শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  
 2 years ago 

আজকের পর্বটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো এবং এই পর্বটি অনেক রহস্যময় ছিল। আসলে দুর্ভাগ্যবশত শিলা কিছু বলার আগেই অজ্ঞান হয়ে যায় এবং অর্জুন চারদিকে সে দেখল কিছুই দেখতে পায় না।শিলার জ্ঞান ফিরে আসলো।অর্জুন টনি আর তার বাবার কুকর্মের কথা লিখতে থাকে।তাদের বস যেটা ধারণা করেছিল সেটাই সত্যি হলো।বস ফোন করে তাদের আগে অবশ্য সতর্ক করে দিয়েছিল।গল্পটি যেন আরো রহস্যময় হয়ে যাচ্ছে। আর এখন দেখার বিষয় অর্জুন টনি এই রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারে কিনা। আগামী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম দাদা।

 2 years ago 

শিলা কোন কিছু বলার আগেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে,অর্জন চারদিকে চেয়ে কোন কিছুই দেখতে পেলো না।যাই হোক অবশেষে জ্ঞান ফিরে আসলো।অর্জুন টনি আর তার বাবার কুকর্মের কথা লিখতে থাকে।
বসও তাকে ফোনে বলে দিয়েছিলো যে আজকের রাতটা তার জন্য ভয়ানক হতে পারে।যাই হোক আস্তে আস্তে শেষের দিকে চলে এসেছে জেনে ভালো লাগলো🤣🤣।

 2 years ago 

শিলা কে কারা ধরেছিল সে বিষয়ে কিছু জানা গেল না। তাছাড়া অর্জুন টনির বাড়িতে গিয়ে এই ঝামেলাটা না করলেই মনে হয় ভালো হতো। এই ঝামেলা বাধার কারণে সবাই বুঝে গেল যে সে এই খবর প্রকাশ করে দিবে। তাছাড়া ডিএসপি হঠাৎ করে এমন পাল্টে গেল কেন? অর্জনকে দোষারোপ করছে। তাছাড়া শেষে গিয়ে তো সমস্ত ফাইলই নিয়ে নিল ডিএসপি। তাহলে বব কি ডিএসপি সঙ্গে জড়িত, না হলে ববের কাছে চাবি ছিল ভিতরে ঢোকার ডিএসপি কিভাবে ঢুকতে পারলো। প্রথমে ভেবেছিলাম যে অর্জুনের বস হয়তো রাজি হবে না এই খবর ছাপার জন্য। কিন্তু নিজের পত্রিকার সুনামের জন্য ঠিকই রাজি হয়ে গেল। এখন দেখার বিষয় যে আসলে অর্জুন টনির এই কুকীর্তি ফাঁস করতে পারে কিনা। আগামী পর্বে নিশ্চয়ই শেষ দাদা।

 2 years ago 

তাছাড়া ডিএসপি হঠাৎ করে এমন পাল্টে গেল কেন?

এটাইতো একটা রহস্য। এইবার শেষ পর্বে এর কেচ্ছাটা বোঝা যাবে কে কি করেছে।

 2 years ago 

DSP সাহেব প্রথম দিকে অর্জুনের সাথে থাকলেও শেষের দিকে এসে একেবারে পাল্টে যায়। হয়তো উনি সেই গভীর ষড়যন্ত্রের সাথে যুক্ত আছেন এবং খারাপ লোক গুলোর সাথে যুক্ত আছেন। আমার যতটুকু মনে হয় সেই রহস্যময় ফোনকলের সাথেও উনার কোন হাত থাকতে পারে। অর্জুন টনি আর তার বাবার কুকর্মের বিষয়গুলো নিয়ে আর্টিকেল লিখছিল আর সেই সময় DSP সাহেব তার রুমে প্রবেশ করে এবং তাকে আঘাত করে। সেই সাথে সমস্ত প্রমান নিয়ে নেয়। এ থেকে বোঝা যায় সে DSP সাহেব অনেকভাবেই অপরাধীদের সাথে জড়িত। DSP সাহেবের এভাবে পাল্টে যাওয়া অর্জুনের জন্য আরও বেশি ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিলা আহত হয়ে অর্জুনের বাড়িতে এসেছিল তাই তো জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে। তবে অবশেষে শিলার জ্ঞান ফিরে এসেছে জানতে পারলাম।দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয় পরবর্তী পর্বে জন্য অপেক্ষায় রইলাম দাদা।

 2 years ago 

“প্রবাদ আছে যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই রাত হয়” অর্জুনের বস যেটা ধারনা করেছিল সেটাই সঠিক হলো। শত সতর্ক থাকা সত্বেও DSP সাহেব অর্জুনকে অজ্ঞান করে তার কাছে থাকা সমস্ত প্রমান নিয়ে গেল। ঐদিকে শিলারও জ্ঞান ফিরে এসেছে,পরের পর্বে হয়তো রহস্যময়ী সেলফোন সহ আরো কিছু রহস্য প্রকাশ পেতে পারে। ধন্যবাদ দাদা।

 2 years ago 

এই পর্বটা দারুন।
এতো দেখছি সর্ষের মধ্যে ভূত, ডিএসপি নিজেই তাকে সতর্ক করে আবার সব প্রমান হাতিয়ে নিয়েছে। তবে বব এটার সাথে জড়িত রয়েছে বলে আমার মনে হচ্ছে। তবে আমি বলতে পারি সামনের পর্বটা আরো দারুন হতে চলেছে। অর্জুন এতো সহজে ছেড়ে দেবে না।
সামনের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা।

দোয়া রইল পুরো পরিবারের জন্য 🥀

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.15
JST 0.029
BTC 62613.64
ETH 2438.01
USDT 1.00
SBD 2.67