কলকাতার শিয়ালদহ স্টেশন এর কিছু আলোকচিত্র
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
আজকে আমাদের কলকাতার স্টেশন এর কিছু আলোচিত্র শেয়ার করে নেবো। গতদিন সকালের দিকে গিয়েছিলাম কলকাতার দিকে। এমনিতেও যাওয়ার কোনো ইচ্ছা ছিল না, কারণ কিছু কাজের জন্য প্রায় কলকাতায় এই গরমের মধ্যে যাওয়া আশা করতে হচ্ছে তাই একদিন না যেতে পারলে যেন মনে শান্তি লাগে। কিন্তু কি আর করার এই শান্তিতে জল ঢেলে দিলো আমার এক মামা, ভোরে ঘুমোতে যাওয়ার সময় মেসেজ দিয়ে বলে সকালের দিকে কলকাতার এন.আর.এস হসপিটালে যেতে হবে। এখন কি আর বলি, আমিও বললাম ঠিক আছে চলো যাই, আর আমারতো সকালে ঘুম থেকে উঠতে গেলে ঝামেলা হয়ে যায়। আর এইজন্য আমি যা করার সব কাজ করে তারপর নিশ্চিন্তে ঘুম পড়ি। একবারে ঘুম না পড়ে যাওয়া এক কথা আর ঘুম একবার পড়ার পরে যদি অ্যালার্ম বা কেউ ডেকে দিতে লাগে একভাবে তখন যা লাগে না কি আর বলি, আমি ঘুম চোখে উঠে আবার ঘুমিয়ে পড়ি এই আরেক সমস্যা।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
মাঝে একটা ঘটনা বলি একদিন সকাল ৯ টার মধ্যে শিয়ালদহ স্টেশন এ পৌঁছানোর কথা আর আমি সেই মতে সকাল ৬ টায় অ্যালার্ম দিয়ে রেখেছি কারণ আমার ৭ টার মধ্যে ট্রেন ধরে পৌঁছাতে হবে সেখানে । কিন্তু ঘুম চোখে একবার উঠে আবার চিত হয়ে পড়লাম আর পরে উঠে দেখি পনি ৮ টা বাজে তখন কি আর বলি সত্যি কথা বলতে দাঁত আর মাজিনি, উঠেই ড্রেজ পরে দৌড় স্টেশন এ। আর আমাদের বাড়ির এখান থেকে স্টেশন অনেক দূর প্রায় গাড়িতেই লাগে ১৫ মিনিট আর সেখান থেকে শিয়ালদহ পৌঁছাতে লাগে আরো ৪৫ মিনিটের মতো। এইজন্য আমি খুব সকালে কোথাও যাওয়ার হলে আর ঘুমাই না, কারণ ঘুমালেই সব গেলো আমার 😄। যাইহোক গতদিন আমরা দুইজন মোটামুটি ৯ টার দিকেই বেরিয়েছিলাম।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
একমাত্র রবিবার ছাড়া আমাদের এদিকে লোকাল ট্রেনে অসম্ভব আকারে ভিড় হয়, যেতেই ইচ্ছা করে না দেখলে। তবে একদম লাস্ট বগিতে যদি ওঠা যায় তাহলে অনেকটা কম থাকে ভীড়, অন্তত হ্যাঙ্গার ধরে দাঁড়িয়ে যাওয়া যায়। সবথেকে কষ্ট হয় ওই ভিড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে মাস্ক পরে যেতে, মনে হয় দমটা আটকে গেলো, আমি মাঝে মাঝে অসহ্য এর পরে খুলে ফেলি। যাইহোক আমরা শেষমেশ ৪৫ মিনিটের মধ্যে শিয়ালদাহ স্টেশন এ পৌঁছিয়েছিলাম। শিয়ালদহ হলো কলকাতার মেইন স্টেশন, আর এখান থেকেই যাবতীয় সব ট্রেন বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে চলে যায়। সব থেকে বড়ো স্টেশন, নর্থ আর সাউথ মিলিয়ে অনেকগুলো প্লাটফর্ম আছে। সকাল টানে শিয়ালদহ স্টেশন এ গেলে বোঝা যায় মানুষের কর্মব্যস্ততা, যেন মানুষ রকেটের মতো ছুটছে সেখানে।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
স্টেশন এ যখন ট্রেনগুলো এসে পৌঁছায় তখন যেন ভেন্ডরগুলোর সামনে মাল বহনকারী লোকজনেরা সব হামলা করে আর কে কোনটা আর কতটা নিতে পারে সেই দৌড় প্রতিযোগিতা চলে। শিয়ালদহে স্টেশন এ সকালে গেলে রুটি আর তড়কা পাওয়া যায় যেটা খুবই সুস্বাদু খেতে, আমি আগে যখন অনেক সকালে প্রায় কলেজ লাইফে যেতাম তখন প্রায় খেতাম, ১০ টাকায় পেট ভরে যেত । এখান থেকে বিভিন্ন দূরপাল্লার ট্রেনগুলো যায় ইন্ডিয়ার মধ্যে। শিয়ালদহ থেকে ইন্ডিয়ার যেকোন স্থানে ট্রেনে ভ্রমণ করা যায়।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
আর আমাদের যে ভারত-বাংলাদেশ একটা ট্রেন যায় সেটা কলকাতার আরেকটা চিত্পুর স্টেশন নামে স্টেশন থেকে যেটা শিয়ালদহ থেকে বেশি দূরে নয়, কাছেপিঠেই অবস্থিত । এই স্টেশন এ কেবল এক্সপ্রেস ট্রেনগুলো যাওয়া আশা করে। ভারত-বাংলাদেশ এর যে ট্রেনটা কলকাতা টু ঢাকা যায় সেটা এই স্টেশন থেকে মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনটা যায়। আমাদের এখান থেকে কয়েকটি বাসও যায় তবে বাসে যাওয়ার থেকে ট্রেনে যাওয়া অনেক ভালো কারণ সময় কম লাগবে বাসের থেকে। আমারও অনেকদিন থেকে ইচ্ছা আছে এই মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন করে বাংলাদেশ এ যাওয়ার, একদিন আশা করি যাবো।
All Photos what3words location: https://w3w.co/trouble.shorthand.tumblers
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
ক্যামেরা | রেডমি নোট ৭ |
---|---|
ক্যাটাগরি | ফটোগ্রাফি |
লোকেশন | কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ |
তারিখ | ০৩.০৪.২০২২ |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি জীবনে একবার ট্রেন ভ্রমন করেছিলাম। সেই ভ্রমণ ছিলো বেশ মজার। তবে স্টেশনে ছবি তুলার জন্য অনেক বার গিয়েছি। ট্রেন লাইনে বসে দাঁড়িয়ে ছবি তুলার মজাই আলাদা। লাইনগুলো একদম সোজা। ছবি তুললে অনেক দূর পর্যন্ত দেখা যায়। আমার ট্রেনের রাস্তাগুলো অনেক ভালো লাগে।
আমি আপনার সাথে একমত দাদা, আসলেই এই লোকগুলো কই থেকে উড়ে আসে বুঝায় জায় না। মনে হয় জিনিস পত্রগুলো তারা নিজেদের জন্য অর্ডার দিয়ে আনিয়েছে। হাহাহাহা। কেউ না করলেও শুনে না। স্টেশনে ট্রেন আসলেই এই চিত্র দেখা যায়। আমি এটা সদর ঘাটেও দেখেছি। এভাবে জিনিসপত্র টানা টানি করতে।
দাদা, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ অসাধারণ ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। স্টেশনের প্রতিটি ছবি অনেক ভালো লাগলো। শুভ কামনা আপনার জন্য। 💞💞
শিয়ালদহ স্টেশনের ফটোগ্রাফি খুবই সুন্দর ছিল। আর সেই সাথে আপনার লেখাগুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো।ভাইয়া আপনার মত আমার এই সমস্যাটা সকাল সকাল কোথায় যাওয়ার কথা হলে মোবাইলে এলার্ম দিয়ে রাখি পরে যখন অ্যালার্ম বাজে তখন উঠে এলাম বন্ধ করে ভাবি আর একটু ঘুমিয়ে নেই। আর পরে উঠে দেখি খুব দেরি হয়ে গেছে। আসলে সকালের ঘুমটাইতো সবচেয়ে মজার ঘুম এই জন্য সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠতে সবারই খুব কষ্ট হয়। আর ভাইয়া সবচেয়ে ভালো লেগেছে এটা শুনে যে আপনি বাংলাদেশে একদিন আসবেন। আপনার আমন্ত্রণ রইলো ভাইয়া অবশ্যই বাংলাদেশ এসে ঘুরে যাবেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
ঠিক বলেছেন দাদা,সকালে ঘুম থেকে ওঠা খুবই বিরক্তিকর ।কারণ গরমকালে সকালে আমারও বেশি ঘুম পায়,কেউ ডাকলে রাগ হয়ে যায়।ট্রেনগুলোতে ভিড় সবসময় লেগেই থাকে।এত অসহ্য গরমে মাস্ক পড়ে আমার তো মাঝে মাঝেই বমি পেয়ে যায়।
দাদা আপনি দাঁত না মেজেই রুটি আর তড়কা খেয়ে নিয়েছেন নাকি!😄 😄 ছবিগুলো খুব সুন্দর হয়েছে, তবে স্টেশনে ছবি তোলা বিপদজনক কার্ড না থাকলে আবার টি টি ধরে ফাইন করে।স্টেশনের পাশের বিল্ডিংটি খুব সুন্দর।ধন্যবাদ দাদা,ভালো থাকবেন।শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
কলকাতার শিয়ালদহ স্টেশন এর ফটোগ্রাফি গুলো সত্যিই অসাধারণ, দেখে খুবই ভালো লাগলো। আসলে স্টেশনে অনেক সুন্দর পরিবেশ আমার অনেক ভালো লেগেছে। আপনি খুবই সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে স্টেশনের পরিবেশ আমাদের সাথে শেয়ার করেন। আসলে যাত্রাপথে মাক্স পড়ে দাঁড়িয়ে যাওয়া খুবই কষ্টকর। তাই আপনি মাঝে মাঝে খুলতে ছিলেন এবং পড়তে ছিলেন। শেষমেষ ৪৫ মিনিট পরে আপনি শিয়ালদা স্টেশনে আসলেন.। শিয়ালদা স্টেশন সবচাইতে বড় এবং এই স্টেশন থেকে যাত্রা করতে হয় খু।বই ভালো লাগলো আপনার ফটোগ্রাফি গুলো সত্যিই অসাধারন। এই সৌন্দর্য মুহূর্ত এবং ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
দাদা আমি যখন আপনার এই লেখাগুলো পড়ছিলাম তখন বারবার নিজের অভ্যাস গুলোর মাঝে গুলিয়ে ফেলেছিলাম। আসলে আমার ক্ষেত্রেও এরকম হয়। যদি কোন প্রয়োজনীয় কাজের জন্য সঠিক সময়ে এলার্ম দিয়ে রাখি এলাম যখন বাজে তখন ঠিকই জাগনা পাই। কিন্তু আবার এলাম বন্ধ করে ভাবি যে আরেকটু ঘুমিয়ে নেই। কখন যে ঘণ্টা দুয়েক পার হয়ে যায় বুঝতেই পারিনা 😅😅। তবে দাদা আপনি অনেক পরিশ্রমী মানুষ এটা বোঝাই যায়। কারণ আপনি আপনার কাজ গুলো সঠিক ভাবে সম্পন্ন করে এরপরে ঘুমাতে যান। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে কলকাতার শিয়ালদহ স্টেশনের আলোকচিত্র আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আসলে স্টেশনে বিভিন্ন লোভনীয় সব খাবার পাওয়া যায়। যেগুলো খেতে ভালোই লাগে। তবে যাইহোক বর্তমানে গরমের কারণে জার্নি করা খুবই কষ্টের ব্যাপার। দাদা আপনার বাসার কাছেই যেহেতু স্টেশন আর এই স্টেশন থেকে যেহেতু সব খুব সহজেই বাংলাদেশে আসা যায় তাই আশা করছি আপনি বাংলাদেশে আসবেন খুব শীঘ্রই। দাদা আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
দাদা আপনি যদি বাংলাদেশে আসেন তাহলে আমরা সকলেই অনেক খুশি হব। আশা করছি আপনি খুব শীঘ্রই বাংলাদেশে আসবেন। আপনার সাথে যদি কখনো দেখা হয় তাহলে নিজেকে ধন্য মনে করবো। তবে যাই বলুন না কেন দাদা আজকে কিন্তু আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আপনার এই পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আসলে সকালে যদি অ্যালার্ম বাজে কখন যে এলাম বন্ধ করে আবারো ঘুমিয়ে পড়ি তা বুঝতেই পারিনা। তবে যাই হোক দাদা আপনি আজকে অনেক সুন্দর ভাবে কলকাতার শিয়ালদহ স্টেশনের কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। দেখে ভালো লাগল। আসলে এই জায়গায়গুলোতে হয়তো কখনো যাওয়া হবে না। তাই এই ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে পেয়ে ভালোই লাগলো। তবে বর্তমানে গরমের জন্য যেখানেই যান না কেন ভোগান্তির শেষ নেই। সবখানে ভিড় লেগেই আছে। তবুও চাই আপনি সবসময় ভালো থাকুন এবং সুস্থ্য থাকুন। আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো দাদা।💓💓💓💓💓
কলকাতার শিয়ালদহ স্টেশনের দারুন কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে আপনি তুলে ধরেছেন। আপনার মাধ্যমে দারুন কিছু ফটোগ্রাফি দেখার সৌভাগ্য হলো। আসলেই শৈশবকালে 10 টাকায় পেট ভরে যেত এখন 1000 টাকা পেট ভরে না 🥺।তখন বুঝতাম না জীবনের মানে কি। সর্বোপরি দারুন ছিল ফটোগ্রাফি
কলকাতার শিয়ালদহ স্টেশন এর আলোকচিত্র দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। সত্যি বলতে এটি দেখতে আমাদের কমলাপুর রেলস্টেশনের মতোই লাগলো। ছবিগুলো বেশ সুন্দর তুলেছেন। আর ছবি পরিষ্কার হলে দেখতেও বেশ দারুন লাগে।
শুভ কামনা রইল দাদা।
ভাইয়া আমি তো আপনার চেয়েও ট্যালেন্ট।
ঘুম থেকে উঠে গিয়ে মুখ ধুয়ে এসে আবার ঘুমিয়ে পরি।
আসলেই তাই,গরমের মাঝে মাক্স পরা আর দম আটকে মরে যাওয়া দুটোই আমার কাছে সমান লাগে।
কলকাতার শিয়ালদহ স্টেশন এর আলোকচিত্র গুলো অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন দাদা । সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার পাশাপাশি বর্ণ গুলো অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল