মুভি রিভিউ : হীরক জয়ন্তী
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
আজকে আপনাদের সাথে একটি বাংলা মুভি রিভিউ শেয়ার করে নেবো। আজকে আমি "হীরক জয়ন্তী " নামক একটি বাংলা মুভি দেখেছি। এই মুভিটি আমি আগে কয়েকবার দেখেছি কিন্তু তারপরও বার বার মন চায় দেখতে। আজকে আবার অনেকদিন বাদে দেখলাম আর আপনাদের সাথে বিষয়গুলো শেয়ার করতে বসে গেলাম। এটিও অনেক পুরানো একটা মুভি, আশা করি কাহিনীটা আপনাদেরও ভালো লাগবে আমার রিভিউ এর দ্বারা।
☬কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:☬
✔মূল কাহিনী:
মুভির শুরুতে দেখা যায় যে চুমকি আর দিলীপ রায় গাড়ি করে শহর থেকে গাড়িতে করে গ্রামের ভিতরে প্রবেশ করে কিন্তু গ্রামের হিরু নামক ছেলেটা ঢিল মেরে গাড়ির কাঁচ ভেঙে ফেলে। মূলত হিরু ঢিল মেরে মেরে গাছের থেকে বেল পাড়ছিল আর ভুলবশত সেটি গাড়ির কাঁচে গিয়ে লাগে। এরপর দিলীপ এর মেয়ে চুমকি গাড়ির থেকে নেমে ছেলেটির জামার কলার ধরে হির হির করে টেনে আনে এবং কাঁচ ঠিক করতে বলে কিন্তু চুমকির বাবা ছেড়ে দিতে বলে। এরপর তারা গ্রামের একজনের পরিচিতের বাড়িতে গিয়ে ওঠে। এরপর হিরু রঞ্জিত মল্লিকের কাছে গিয়ে বলে ইংরেজিতে আমাকে যা তা না গালি করলো, তাই তুমিও আমাকে কিছু ইংরেজিতে গালি শিখিয়ে দাও যাতে আমিও দৌড়িয়ে গিয়ে কিছু বলে আসি। এরপর রঞ্জিত মল্লিক নিজে বাড়িতে যায় আর গিয়ে দেখে যে তারই পরিচিত লোকজন এসেছে । এরপর রঞ্জিত মল্লিক সেখান থেকে তার ডাক্তারি চেম্বারে এসে হিরুকে বলে যে মেয়েকে যা দেখে আসলাম তাতে একটা শক্ত গালি দিতে হবে ইংরেজিতে। তাই রঞ্জিত মল্লিক হিরুকে শিখিয়ে দেয় যে চুমকি মেয়েটির সামনে গিয়ে আমি তোমাকে ভালোবাসি কথাটা ইংলিশে বলে দিতে। কথাটা বলে দেওয়ার পরে আবার রঞ্জিত মল্লিকের কাছে চলে আসে আর আনন্দের সাথে বলে যে সে ইংলিশতে গালি দিয়ে এসেছে, কারণ হিরু ইংলিশ জানে না তাই রঞ্জিত মল্লিক যা শিখিয়ে দিচ্ছে হিরুও তাই বলে দিয়ে আসছে। এরপর রোগীর ঔষধ খাওয়ার নিয়ম অনুযায়ী ওই কথাটা চুমকি কে ৩ বেলা বলতে বলেছে তাই হিরুও কথা মতো কোনোকিছু না বুঝেশুনে দিনে ৩ বার আমি তোমাকে ভালোবাসি কথাটা বলে। এরপর দেখা যায় গ্রামের একটা ছেলের পায়ে সাপে কাটলে হিরু মুখ দিয়ে বিষ টেনে তুলে ছেলেটিকে বাঁচায়।
চুমকি মেয়েটির বন্ধুরা শহর থেকে গাড়িতে করে গ্রামে আসে আর হিরু সেই পথে একটা বড়ো কাঠের গুঁড়ি ফেলে রাখে। তারা সবাই এসে থামতেই হিরু সবার সামনে চুমকি কে আই লাভ ইউ বলে দেয় আর সবাই একটু হাসাহাসি করে মজা উড়াল। এরপর গ্রামের একটা ফাংশানে হিরু খুবই সুন্দর একটা গান উপস্থাপন করে যেটা সবার কাছে অনেক ভালো লাগে আর সেখানে চুমকি মেয়েটিও ছিল কিন্তু এসব গান না শুনে তোয়াক্কা করে চলে যায়। এরপর চুমকির বাবা দিলীপের হঠাৎ করে বুকে ব্যাথা ওঠে আর ওই মুহূর্তেই খুব জোরে ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়। এরপর চুমকি বাইরে গিয়ে রঞ্জিত মল্লিককে ডেকে আনে এবং এসে সবকিছু ভালোভাবে দেখে বলে এখন এই পরিস্থিতিতে যে ইনজেকশন লাগবে সেটাই আমার কাছে নেই। এই ইনজেকশন নিতে গেলে ১০ মাইল দূরে গিয়ে শহর থেকে আনতে হবে আর এই ঝড় বৃষ্টির রাতে সেটা সম্ভব না। তবে রঞ্জিত মল্লিক চুমকিকে বলে যে তুমি যদি হিরুকে গিয়ে বলো তাহলে হতে পারে কারণ এই ঝড় বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে ওই একমাত্র ওই ইনজেকশন আনতে পারবে। এরপর হিরু সেই ইনজেকশন সময় মতো নিয়ে এসে রঞ্জিত মল্লিকের হাতে দিলো আর চুমকির বাবা দিলীপ বিপদ থেকে মুক্তি পেয়ে যায়। এরপর দেখা যায় চুমকির সাথে হিরুর একটু ভাব জমে যায়। হিরু আর চুমকি একটা মন্দিরে পুজো দিতে যায় আর হিরু সেখানে চুমকির কাছ থেকে ১০ টাকা নিয়ে গ্রামের একজন বৃদ্ধ মানুষটিকে দেখতে যায় আর ১০ টাকা দিয়ে বলে কিছু কিনে খেতে। হিরু ওই বৃদ্ধ লোকটিকে এমনিতেই সবসময় দেখাশুনো করে থাকে। এরপর হিরু আর চুমকি রঞ্জিত মল্লিকের সাথে দেখা করতে যায় আর তাদের সাথে তার জীবনের কিছু ফেলে আশা দুঃসময়ের কথা বলতে শুরু করে। মূলত তার বোনের সাথে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার ঘটনাটা চুমকিকে বলে, তার বোন তাকে কোনোকিছু না বলে একটা ছেলের সাথে চলে গিয়েছিলো। আর সেখান থেকেই তার সাথে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিলো।
হিরু একদিন গ্রাম থেকে শহরে রঞ্জিত মল্লিকের চেম্বারে আসে। তখন হিরুর সাথে রঞ্জিত মল্লিকের কোনো চেনাপরিচিত ছিল না, রঞ্জিত মল্লিকের বোন তাদের গ্রামের হসপিটালে ভর্তি আছে তাই ভালো চিকিৎসার জন্য শহরে ডাক্তার নিতে আসে আর তার বোন রঞ্জিত মল্লিককে ডাকছে তাই নিতে আসে কিন্তু রঞ্জিত মল্লিক একদমই যেতে রাজি হয়নি। এরপর রঞ্জিত মল্লিক রাতে অনেক চিন্তাভাবনার পরে সকালে গাড়ি নিয়ে গ্রামের হসপিটালের দিকে যেতে লাগে কিন্তু পৌঁছাতে পৌঁছাতে তারবোন মারা যায় আর সেখান থেকে রঞ্জিত মল্লিক শহর ছেড়ে গ্রামে সবাইকে বিনা চিকিৎসায় চিকিৎসা শুরু করে। এরপর রঞ্জিত মল্লিক আর হিরু চুমকির বাবা কে চেকাপ করতে যায় কিন্তু সেখানে হিরু গেলে অনেকটা রেগে যায় চুমকির বাবা কারণ সে অশিক্ষিত আর গ্রামের ছেলে হয়ে তার মেয়ের সাথে ঘোরাঘুরি করে তাই। এরপর চুমকির বাবা অপমান করে আর টাকা দিয়ে তার মেয়ের পিছু ছাড়তে বলে কিন্তু সেখানে রঞ্জিত মল্লিকও কড়া জবাব দিয়ে দেয় যে আপনি ওকে কি দেবেন আপনার নিজেরই তো দাম নেই কারণ মানুষের মধ্যে যে কৃতজ্ঞতাবোধটা থাকে সেটাই নেই আপনার মধ্যে। এরপর সেখান থেকে চলে যাওয়ার পথে চুমকি হিরুকে ইংরেজিতে ভালোবাসি বলে আর হিরু সেটা গালাগালি ভেবে একটা ঠাস করে চড় মেরে চলে যায়। এরপর সেই কথাটা আবার রঞ্জিত মল্লিকের সাথে বললে বিষয়টা তাকে বুঝিয়ে দেয় এবং হিরু বুঝতে পেরে ছুটে গিয়ে গানে গানে তার ভালোবাসার কথা ব্যক্ত করে। এরপরে চুমকির বাবা বিষয়টা ভালো চোখে দেখলো না আর বাড়ির থেকে একা একা বেরোতে মানা করে দিলো। বেরোলে চন্দনকে নিয়ে বেরোতে হবে তাই তাকে নিয়ে বেরোলো আর হিরুর সাথে নদীর পাড়ে দেখা করতে যায়। তবে সাথে চন্দন ছিল তাই ওটাকে ভুলভাল বুঝিয়ে দূরে পাঠিয়ে দেয় আর তারা দুইজন সময় কাটায়। এরপর সন্ধ্যার দিকে হিরু তার বাড়িতে দিদির সাথে দেখা করাতে নিয়ে যায়।
হিরুর বাড়ি গিয়ে তার দিদির সাথে যে দেখা করেছে সেটা চন্দন জেনে ফেলেছে আর সেটি চুমকির বাবাকে এসে বলে দেয়। এরপর চুমকি বাড়ি এসে দেখে যে তার বাবা সবকিছু গুছিয়ে শহরে চলে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছে। এরপর তার মেয়ে চুমকি যেতে মানা করলে বলে আমি এখানে আমি থাকতে পারি একটা শর্তে যদি তুমি হিরুকে ডেকে এনে অপমান করে তাড়িয়ে দিতে পারো। এরপর চুমকি তার বাবার কথা মতো হিরুকে ডেকে এনে অনেক অপমান করে তাড়িয়ে দেয় আর সাথে যে নাড়ু এনেছিল সেটাও হাত থেকে ফেলে দেয় আর কুকুরের খাবারের সাথে তুলনা করে। এরপরে হিরু সেখান থেকে চরমভাবে অপমানিত হয়ে বাড়িতে চলে যায়। বাড়িতে যাওয়ার পরে হিরুর জ্বর মতো আসে এবং রঞ্জিত মল্লিক গিয়ে দেখে ইনজেকশন দেওয়ার পরে চুমকির বাড়িতে গিয়ে তার কাছে জানতে চায় এইরকমটা করার কারণ কি। সেখানেও রঞ্জিত মল্লিককে তার বাবার কথা মতো অপমান করে আর দোষারোপ করে যে নিজের স্বার্থে হিরুকে পড়াশুনা না শিখিয়ে নিজের কাজে রেখে দিয়েছো। তাই রঞ্জিত মল্লিক কারণগুলো তুলে ধরে তাদের কাছে হিরুর পড়াশুনা না করার কারণ কি। মূলত রঞ্জিত মল্লিক হিরুকে তার চেম্বারে পড়াশুনা শেখাতো কিন্তু একদিন সেখানে গ্রামের এক বৃদ্ধ লোক তার ছেলের লেখা চিঠি নিয়ে এসে বলে একটু পড়ে দিতে। তখন হিরু চিঠিটা পড়ে আর বৃদ্ধ লোকটি শুনে কষ্ট পায় কারণ তার ছেলে লিখেছিলো যে সে আর কোনোদিন গ্রামে আসতে পারবে না তাই তার বাবা যেন তাকে ছেড়ে চলে যায়। আর এইসব দেখে হিরু আর পড়াশুনা করে না কারণ সেও যদি পড়াশুনার কারণে শহরে গিয়ে সবাইকে ভুলে যায়। এইসব কথা শোনার পরে চুমকি রঞ্জিতের কাছে ক্ষমা চায় কারণ সে না বুঝে অপমান করেছিল তাকে।
রঞ্জিত মল্লিক হিরুর অসুস্থতা সারিয়ে তোলার জন্য চুমকি কে বার বার করে একবার দেখা করে আসতে বলতে লাগে কিন্তু তার বাবা মোটেও যেতে দিতে রাজি হয় না। এরপর রাতের বেলা চুমকি ঘরের জানালা দিয়ে কাপড় বেঁধে নেমে হিরুর কাছে চলে যায় এবং সে গিয়ে ডাকার পরেই তার জ্ঞান ফিরলো। আর এদিকে চুমকির বাবা তার রুমে গিয়ে দেখে সেখানে নেই। এরপর হিরু ঘুমিয়ে পড়লে চুমকি উঠে চলে যেতে চায় কিন্তু সেই মুহূর্তে রাতে তার বাবাই চলে আসলো সেখানে আর নিয়ে গেলো আর পরেরদিন গ্রাম থেকে শহরে চলে যায়। চুমকির জন্মদিনে হিরুকে বলে যায় আর ওইদিন হিরুও শহরে চলে যায় কিন্তু তাকে ভিতরে ঢুকতে দেয় না। চুমকি আর তার মা তারপর দারোয়ানকে বলে দেয় যেন তাকে ঢুকতে দেয় আর এইসব দেখে তার বাবার শরীর জ্বলে যায়। তবে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার পরে সবাই মোটামুটি ভালো ইনজয় করে। এরপরে হিরু চলে যাওয়ার পরে চন্দন প্ল্যান করে হিরুর কাছে নিয়ে যাওয়ার নাম করে গ্রামে তাদের একটা গোপন স্থানে নিয়ে যায় আর এদিকে তার বাবা ভুল বুঝে পুলিশকে ফোন করে হিরুকে ধরে নিয়ে যেতে বলে। পুলিশ গ্রামে এসে হিরুকে ধরে নিয়ে যেতে লাগে কিন্তু সেই সময় রঞ্জিত মল্লিক এসে তার সাথেও যায় কিন্তু মাঝপথে হিরু গাড়ির থেকে লাফ দিয়ে পড়ে আর একটা খড়ের গাদা এর দিকে যায় কারণ হিরু একদিন চন্দন এর মুখে ওই স্থানটির নাম শুনেছিলো। এরপর সেখানে পৌঁছাতেই চন্দন আর তার সাঙ্গপাঙ্গগুলোকে মারধর শুরু করে এবং পুলিশ আসার পরে তাদের ধরিয়ে দেয়। এরপর চুমকির বাবা হিরু কে তার বাড়িতে নিয়ে গিয়ে পড়াশুনো শিখিয়ে তার ব্যবসায় বসাতে চায় কিন্তু হিরু গ্রাম ছেড়ে কোথাও যেতে চায় না। এরপর তার বাবা শেষমেশ হার শিকার করে তাদের বিষয়টা মেনে নিলো।
✔ব্যক্তিগত মতামত:
এই মুভিটি আসলে একটা রোমান্টিক গল্পের উপর ভিত্তি করে করা। এই মুভি মেয়ের বাবা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত বড়োলোক আর টাকার দম্ভ দেখিয়েছে আর গ্রামের মানুষগুলোকে তুচ্ছ মনে করেছিল অর্থাৎ এককোথায় অপছন্দ করতো। তারপর হিরু নামক ছেলেটির অশিক্ষিত হওয়ার বিষয়টাও ভীষণ বাজে চোখে দেখেছিলো কিন্তু তার ভিতরে যে অন্য কোনো গুন্ থাকতে পারে সেটা আর দেখার ইচ্ছা করিনি আর তাদের দুজনের সম্পর্কের মাঝে একটা দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। কিন্তু সবকিছুর যেমন শেষ হয় তেমনি শেষ মুহূর্তে তাকে গ্রামের মানুষগুলোর মাঝে হার মেনে নিতে হলো। অঞ্জন চৌধুরীর লিখিত কাহিনীগুলো দুর্দান্ত আর যেখানে রঞ্জিত মল্লিক অভিনয় করে সেখানে তো প্রশ্নই থাকে না। এই মুভিতে "তোমার মনের মতো করে আমায় তুমি সাজিয়ে নাও" এই গানটি জাস্ট অসাধারণ লেগেছে আমার কাছে আর এই গানটিও আমার কাছে অনেক প্রিয়।
✔ব্যক্তিগত রেটিং:
০৯/১০
✔মুভির লিঙ্ক:
দাদা এই সময়কার সব গুলো মুভিতে একটি কাহিনী বারবার দেখা যায় যে মেয়ের বাবা সবসময় বড়লোক এবং সেই বড় লোকের দম্ভ দেখিয়ে বেড়াতো। নিয়ে সব সময় গরিব ঘরের কোণে এক ছেলেকে পছন্দ করে বিয়ে করতে চাই তো এই নিয়েই দুই বাড়ির বিভিন্ন টানাটানি। তবে এই ছবিগুলোতে রঞ্জিত মল্লিক খুব ভালো অভিনয় করে। ছবিটি রিভিউ পড়ে মনে হল আমি অনেক আগে মুভি দেখেছিলাম। তবে পুঁথিগত শিক্ষা অর্জন করলে যে ভালো মানুষ হওয়া যায় সে ধারণা সম্পূর্ণ ভুল ।শিক্ষা অর্জন না করে মানুষের মধ্যে অনেক গুণ থাকতে পারে অনেক প্রতিভা থাকতে পারে আর সেটাকে কাজে লাগিয়েই সে অনেক উপরে উঠতে পারে। এত সুন্দর একটি মুভির রিভিউ দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
রঞ্জিত মল্লিক ও চুমকি চৌধুরী অসাধারণ অভিনেতা ।এদের অভিনয় আমার কাছে দারুণ লাগে।বিশেষ করে রঞ্জিত মল্লিকের প্রতিটি মুভির চরিত্র আমার খুবই ভালো লাগে।আমি এই মুভিটি দেখেছি।সবসময় পুঁথিগত শিক্ষা প্রধান বিষয় নয়, মানুষের মধ্যে লুকিয়ে থাকা প্রতিভা ও গুনই প্রধান।দারুন রিভিউ দিয়েছেন দাদা,সবটা আবার পড়লাম।হিরুকে অপমানের জায়গাটি খারাপ লাগে।অনেক ধন্যবাদ দাদা।
দাদা,হীরক জয়ন্তী ছবিটির কাহিনী পরলাম,আপনার এই পোস্টের মাধ্যমে। আমার কাছে ভালো লেগেছে।মজাও লেগেছে হীরুর ইংরেজি গালিটা।চুমকির বাবা অসুস্থ হওয়ার পর হীরক ১০ মাইল দূর থেকে ইনজেকশন এনে দিয়েছে,কিন্তুু তাও চুমকির বাবা উপকারীর উপকার শিকার করলো না।এইটাই এখনকার সমাজের বাস্তবতা।
হীরক জয়ন্তী মুভি আমি অনেক আগে একবার দেখেছিলাম দেখে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আসলে এই মুভিটার মাধ্যমে অনেক কিছু শিক্ষানীয় ব্যাপার আছে। আপনি খুব সুন্দর করে এই মুভি রিভিউটা আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। আপনি খুব সুন্দর করে মুভি রিভিউ টা আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন রিভিউটা পড়ে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। এবং আমার আবারো ছবিটা দেখতে খুব ইচ্ছে করছে। সুন্দর একটি রোমান্টিক ও শিক্ষানিয় মুভি রিভিউ আমাদের সামনে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
দাদা এই মুভি আমি দেখেছি খুবই ভালো লাগে। এই মুভি তে যে চরিত্রে তুলে ধরা হয়েছে তা প্রতিটি মানুষের জন্যে শিক্ষণীয়। খুব সুন্দর ভাবে মুভি রিভিউ তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ দাদা।
হিরু ও চুমকির দুষ্টু মিষ্টি প্রেমের গল্প পড়ে খুবই ভালো লাগলো দাদা। আসলে রোমান্টিক মুভি গুলো খুবই ভালো লাগে। সেটা হোক পুরনো বা নতুন। পুরনো মুভি গুলোর মধ্যে অনেক বেশি ভালো লাগা কাজ করে। কারণ এই মুভিগুলো যেমন রোমান্টিক মুভি পাশাপাশি অনেকটা কাহিনীনির্ভর হয়। মুভি গুলো যেমন রোমান্টিক তেমনি কাহিনী গুলো অনেক সুন্দর করে সাজানো। এই মুভিগুলো সাধারণত একটি প্রেমের গল্পকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে। হিরু ও চুমকির এই মজার প্রেমের গল্প পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে দাদা। "হীরক জয়ন্তী" এই মুভিটি আমি আগে দেখিনি। আমি খুব মনোযোগ দিয়ে আপনার লেখা প্রতিটি কথা পড়েছি। যখন আমি আপনার লেখাগুলো পড়ছিলাম তখন মনে হচ্ছিল যেন চোখের সামনে সবকিছু ভেসে বেড়াচ্ছে। আসলে এই মুভিটির সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হলো তাদের সুন্দর প্রেমের গল্প। প্রেমে বাধা থাকবে এটা নতুন কিছু নয়। তারপরও তারা সব বাধাকে অতিক্রম করে নিজেদের মিষ্টি প্রেমের গল্প রচনা করেছে এটা জেনে ভালো লাগছে আমার। চুমকির বাবা হাজার চেষ্টা করেও তাদেরকে আলাদা করতে পারেনি। কারণ তাঁদের প্রেমের মধ্যে কোন খাদ ছিল না। সত্যি কথা বলতে পুরনো দিনের মুভি গুলো দেখতে খুবই ভালো লাগে। বিশেষ করে অবসর সময়ে যদি পুরনো দিনের ভালো লাগার সেই মুভি গুলো দেখা হয় তখন মনের মধ্যে আলাদা রকমের এক ফিলিংস আসে। মাঝে মাঝে যদি আমরা এই দুষ্টু মিষ্টি প্রেমের গল্প ভরা মুভি গুলো দেখি তাহলে আমাদের মন ভালো হয়ে যাবে। মুভিটি একদিকে যেমন রোমান্টিক মুভি অন্যদিকে এই মুভির প্রথম দিকে অনেক মজা হয়েছিল এটা বোঝাই যাচ্ছে। এই মিষ্টি প্রেমিক যুগল সব বাধাকে অতিক্রম করেছে এবং মিলিত হয়েছে এটার জন্য আমাদের শ্রদ্ধেয় পরিচালক ও লেখক অঞ্জন চৌধুরী স্যারকে অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। দাদা আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি অনেক সুন্দর একটি মুভি "হীরক জয়ন্তী" মুভির একটি রিভিউ পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
অনেকেই মুভি দেখে মজা পাওয়ার জন্য কিন্তু আমি সবসময় মুভি দেখে কিছু না কিছু শেখার চেষ্টা করি। আমরা অনেক সময় মানুষের বাহ্যিক দিক দেখে বিবেচনা করে ভুল করে বসি। আসলে কারো সম্পর্কে সম্পূর্ণ না জেনে বিচার করলে অনেক ভুল হতে পারে। আরেকটি বিষয় আমি শিখতে পেরেছি কেউ যদি আমার উপকার করে আমি তাকে অবশ্যই তার ক্রেডিট দেবো কোনদিন তার উপকার ভুলে যাবো না। কেউ যদি উপকার করে তবে সে মন থেকেই করে ।কিন্তু দিন শেষে তার পরেও আমাদের উপকারের শিকার করা উচিত।