চিংড়ি দিয়ে মুলোর পাতা ভাজি রেসিপি

in আমার বাংলা ব্লগlast year
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে রেসিপি শেয়ার করে নেবো। আজকে আমি একটি ভাজি রেসিপি তৈরি করেছি। এই ভাজি রেসিপিটা হলো মুলোর পাতা ভাজি। মুলোর পাতা ভাজি করে খেতে অনেক টেস্ট লাগে। শুধু মুলোর পাতা বললে ভুল হবে, যেকোনো সবজির পাতা ভাজি করে খেলে অনেক ভালো লাগে। আমার কাছেতো অনেক ভালো লাগে, তাই মাঝে মাঝে অনেক সবজির পাতা রেখে দেই। পরে এই পাতাগুলো দিয়ে হয়তো কোনোকিছু ভাজা করে খাই নাহলে যেমন তেমন ভাবে চপ বা পকোড়া টাইপ এর করে খেয়ে ফেলি। পাতা দিয়ে চপ মতো করে খেতেও ভালো লাগে সন্ধ্যায় মুড়ির সাথে। আর মুলোর পাতাতেও অনেক উপকারিতা আছে, যেমন বিশেষ করে মুলোর পাতার রসে অনেক উপকারী গুনাগুন আছে যেগুলো আমাদের শরীরের অনেক পুষ্টিগুণেও সহায়তা করে থাকে। রস আসলে অনেকসময় আয়ুর্বেদিক হিসেবেও কাজ করে থাকে। আমাদের বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার ক্ষেত্রেও অনেক কাজ করে থাকে। আর এইগুলো সব ন্যাচারালি হওয়ায় তেমন কোনো সাইড ইফেক্ট এর বিষয়ও থাকে না। যাইহোক এই মুলোর পাতার ভাজিটা আলু আর চিংড়ির সাথে খেতে অনেক মজাদার হয়েছিল। এখন এই ভাজি রেসিপিটার মূল উপকরণের দিকে চলে যাবো।


✠প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:✠

❣উপকরণ
পরিমাণ❣
চিংড়ি
১৫০ গ্রাম
মুলোর পাতা
পরিমাণমতো
গোল আলু
১ টি
পেঁয়াজ
২ টি
কাঁচা লঙ্কা
১০ টি
কালো জিরা
পরিমাণমতো
সরিষার তেল
পরিমাণমতো
লবন
৩.৫ চামচ
হলুদ
৩ চামচ


মুলোর পাতা, গোল আলু, পেঁয়াজ, কাঁচা লঙ্কা


কালো জিরা, সরিষার তেল, লবন, হলুদ


❣এখন রেসিপিটা যেভাবে প্রস্তুত করলাম---


❂প্রস্তুত প্রণালী:❂


❖চিংড়িগুলো সব কেটে ধুয়ে রেখে দেওয়া ছিল আগে থেকে। এরপর আমি মুলোর পাতাগুলো ছুরি দিয়ে কুচি কুচি করে কেটে নিয়েছিলাম এবং পরে জল দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছিলাম।

❖গোল আলুটির খোসা ছালিয়ে নিয়েছিলাম এবং পরে কেটে কুচি মতো করে জল দিয়ে ধুয়ে রেখেছিলাম।

❖পেঁয়াজ দুটির খোসা ছালিয়ে নিয়েছিলাম এবং পরে কেটে ধুয়ে রেখেছিলাম। এরপর কাঁচা লঙ্কাগুলো কেটে নেওয়ার পরে ধুয়ে রেখে দিয়েছিলাম।

❖চিংড়িগুলোতে ১ চামচ করে লবন আর হলুদ গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর চিংড়ির গায়ে ভালোভাবে মিক্স করে নিয়েছিলাম।

❖প্যানে তেল দেওয়ার পরে তেলটা গরম করে নিয়েছিলাম। এরপর তাতে চিংড়ি সব দিয়ে দিয়েছিলাম এবং ভালো করে ভাজা হয়ে আসলে তুলে নিয়েছিলাম।

❖চিংড়ি ভাজা হয়ে গেলে পরে প্যানে আরেকটু তেল দিয়ে আলু কুচিটা দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর আলুটা ভালোভাবে ভাজা হয়ে আসলে তুলে রেখেছিলাম।

❖আলু ভাজা হয়ে গেলে প্যানে আরেকটু তেল দিয়ে তাতে গোটা কালো জিরা দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে কেটে রাখা পেঁয়াজ দিয়ে দিয়েছিলাম এবং পেঁয়াজ কালো জিরার সাথে ভাজা মতো করে নিয়েছিলাম।

❖পেঁয়াজ ভাজা হয়ে গেলে তাতে মুলোর কুচানো পাতা দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে আলুর ভাজা অংশটা দিয়ে দিয়েছিলাম।

❖আলু দেওয়ার পরে তাতে চিংড়ি দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে কাঁচা লঙ্কা দিয়ে দিয়েছিলাম।

❖লঙ্কা দেওয়ার পরে তাতে স্বাদ মতো লবন আর হলুদ গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর মুলোর পাতার সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছিলাম। মেশানো হয়ে গেলে কিছুক্ষন ঢেকে দিয়েছিলাম ভালোভাবে সেদ্ধ হয়ে আসার জন্য।

❖সবজিগুলো ভালোভাবে সেদ্ধ হয়ে আসলে ঢাকনাটা তুলে নিয়েছিলাম। এরপর ভাজিটা হয়ে আসার জন্য আরো কিছুক্ষন নেড়েচেড়ে দিয়েছিলাম।

❖মুলোর পাতাটা ভালোভাবে ভাজি মতো হয়ে আসলে আমি জ্বাল নিভিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর ভাজিটা পরিবেশনের জন্য একটি পাত্রে তুলে নিয়েছিলাম।

রেসিপি বাই, @winkles

শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  
 last year 

চিংড়ি মাছ ও মুলোর পাতা দিয়ে খুব মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন দাদা। আসলে চিংড়ি মাছ আমার খুব প্রিয়। আর এই চিংড়ি মাছ অন্যান্য পাতা দিয়ে তৈরি করলে খুবই মজাদার হয়। তবে মুলো দিয়ে তৈরি করলে আমার খুবই ভালো লাগে। আজকে আপনার চিংড়ি মাছের সুস্বাদু রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে খুবই মজাদার হয়েছিল। যার কারণে এই রেসিপি আমার খুবই ভালো লেগেছে। ধাপগুলো দেখে খুব সহজেই শিখতে পারলাম। এই রেসিপিটি পরবর্তীতে তৈরি করবেন ইনশাল্লাহ। আজকে আপনার রেসিপি দেখে আমার খুবই ভালো লেগেছে। এত মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

 last year 

মুলোর শাক আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। মুলার শাক ভাজি করে খেয়েছি তবে চিংড়ি মাছ দিয়ে এভাবে ভাজি করে কখনো খাওয়া হয়নি। চিংড়ি মাছের যেকোনো রেসিপি খেতে খুবই ভালো লাগে। চিংড়ি মাছ দিয়ে ভাজি করার এর স্বাদ দ্বিগুণ হয়েছে নিশ্চয়ই। দেখে বোঝা যাচ্ছে রেসিপিটি খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে দাদা সুস্বাদু ও ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

 last year 

মুলো শাক আমার ভীষণ প্রিয়। যেকোনো প্রকারের শাক আমার অনেক প্রিয়। মুলো শাকের গুনাগুন সম্পর্কে খুব একটা জানা নেই। তবে আজকে অনেক কিছু জানতে পারলাম দাদা। আগে থেকেই আমি মুলো শাক খুবই পছন্দ করি। কিন্তু চিংড়ি মাছ দিয়ে কখনো খাওয়া হয়নি। সত্যি দাদা আপনার মাথায় সব ইউনিক আইডিয়াগুলো আসে। আর আপনি ইউনিক সব রেসিপি গুলো তৈরি করে শেয়ার করেন। চিংড়ি মাছ আমার ভীষণ প্রিয়। যে কোন সবজির সাথে চিংড়ি মাছ খেতে ভালো লাগে। মুলা শাক দিয়ে একদিন অবশ্যই চিংড়ি মাছ রান্না করে খেয়ে দেখব। গরম ভাত আর সাথে মুলা শাকের এই রেসিপি হলে একেবারে জমে যাবে। খাওয়ার আগে আমাকে একটু দাওয়াত দিলেই হতো দাদা। তাহলে আর এভাবে চেয়ে চেয়ে দেখে আফসোস করতে হতো না।
🤪🤪

 last year 

মুলা শাক আমারও ভীষণ পছন্দের একটি খাবার। তবে এই অসময়ে মুলার শাক খেতে বেশ ভালো লাগবে আরো।শাক দিয়ে আলু এবং চিংড়ি মাছ দিয়ে খুবই মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন দাদা। যা দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে। ধন্যবাদ দাদা সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

মুলা শাক আমার অনেক পছন্দ আর সাথে যদি থাকে চিংড়ি মাছ তাহলে তো কোন কথায় নেই। আপনি অনেক সুন্দর করে আলু গুলো ভেজে শাকের ভিতর দিয়েছেন। আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে।প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

টু

 last year 

দাদা ভাল আছেন আশাকরি। আপনি আজ মজার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। আমার খুব পছন্দ। মূলা শাক বা মূলা পাতা চিংড়ি মাছ দিয়ে আমিও ভাজি করি। আমার খুব ভাল লাগে। তবে আমি আলু কুচি দেইনা। আপনি আলু ভেজে নিলেন,স্বাদ অনেকগুন বেড়ে গেল।আপনার রেসিপিটি খুব লোভনীয় লাগছে। আপনি ধাপে ধাপে তুলে ধরেছেন এজন্য অনেক ধন্যবাদ। ভাজিটি খেতে খুবই মজার হয়েছে দেখেই বুঝতে পারছি। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ দাদা।

 last year 

মুলার পাতা কিংবা মুলো শাক ভাজি করে খেয়েছি কিন্তু চিংড়ি দিয়ে খাওয়া হয়নি।দাদার চিংড়ি খনি এখনও শেষ হয়নি,তাই না🤣🤣।যাই হোক মনে হচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু হয়েছে। গরম ভাতের সাথে এমন শাক ভাজি খেতে বেশ ভালোই লাগে।কালার টা বেশ ভালো হয়েছে।পুষ্টিকর উপাদান ও বিদ্যমান মুলো শাকে।ভালো লাগলো।ধন্যবাদ মজার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য

 last year 

দাদার চিংড়ি খনি এখনও শেষ হয়নি,তাই না🤣🤣

😅. এই খনি জীবনেও শেষ হওয়ার না, এইটা না থাকলে কোনো কিছুতে স্বাদ পাওয়া যাবে না ভালো। আমার সবসময় চিংড়ি কেনা থাকে, ভাজাভুজিতে চিংড়ি না হলে ভালো লাগেনা।

 last year 

মুলার শাক ভাজি খেয়েছি আর এই শাক আমার অনেক পছন্দের। কিন্তু এভাবে কখনো আলু মুলার পাতার সাথে মিক্সড করে চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করা হয়নি। আপনার উপস্থাপনা দেখে বুঝতে পারছি খেতে কতটা সুস্বাদু হয়েছিল। আমি একদিন অবশ্যই খেয়ে দেখবো। দাদা আপনার প্রতিটা রেসিপি যেমন ইউনিক থাকে তেমনি সেই রেসিপি থেকে কিছু না কিছু শিখা যায়।

 last year 

রস আসলে অনেকসময় আয়ুর্বেদিক হিসেবেও কাজ করে থাকে।

দাদা মূলার অনেক উপকারিতা শুনেছি তবে আয়ুর্বেদিক হিসেবেও যে কাজ করে আজ জানলাম। মূলার শাক আমার হোম ম্যানেজার ভীষণ পছন্দ করে, তাই মাঝে মাঝেই আমিও কিনে আনি। তবে এভাবে কখনো চিংড়ি মাছ দিয়ে কখনো খাওয়া হয়নি। খুব তাড়াতাড়ি আমি এটা রান্না করবো আশাকরি। আপনার পোস্ট সবসময়ই নতুন কিছু আমার কাছে।

দোয়া রইল পুরো পরিবারের জন্য 🥀

 last year 

জী দাদা মুলো পাতার ভাজি আমার কাছেও খেতে ধারুন লাগে। কারন মুলো পাতার মাঝে অনেক পুষ্টি গুনাগুন সহ আয়ুর্বেদিক উপকারিতা রয়েছে। যা শরীরের জন্য অনেক উপকারি। আবার মুলো পাতার সাথে বেসন বা ময়দা দিয়ে পাকোড়া তৈরী করলে খালি বা মুড়ির সাথে খেলে ধারুন লাগে। মুলো পাতার সাথে চিংড়ি দিলে সেই স্বাদ টা হাজার গুর বেড়ে যায়। রেসিপিটা অনেক সুন্দর হয়েছে। চিংড়ি মাছের ততরার মত লাগছে। ধন্যবাদ দাদা।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 59190.13
ETH 3187.58
USDT 1.00
SBD 2.45