আলু, পটল এবং বেগুন দিয়ে শিং মাছের সুস্বাদু রেসিপি
| হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
|---|
আজকে আপনাদের সাথে আমি একটা রেসিপি শেয়ার করে নেবো। গতকাল আমি শিং মাছের রেসিপি তৈরি করেছিলাম । শিং মাছ আসলে তেমন খাওয়া হয়ে ওঠে না এতো দামের কারণে, এই মাছের দাম বাড়া ছাড়া কমেই না। আগের তারিখ সন্ধ্যার দিকে বাজার থেকে কিনে এনেছি ৭০০ টাকা কিলো দরে। কম নিলে যা উঠবে তাতে সবার হবে না, তাই ৫০০ গ্রাম কিনে এনেছিলাম। এর আসলে গ্রামের বাজার বা শহরের বাজার বলে কোনো ছাড়ের বিষয় নেই, সব জায়গায় একই রেটে চলছে। এই শিং মাছের রেসিপিটা আলু, বেগুন এবং পটল দিয়ে রান্না করেছিলাম। এই পুরানো পটলেরও অসম্ভব দাম, ১৪০ টাকা কিলো আমাদের এখানে বড়ো বাজারে বিক্রি হচ্ছে, শুনে মনে হবে যেন ডাকাতি করছে। এইরকম দাম শুনলে মনে হয় ব্যাগটা আবার ভাঁজ করে বাড়ি ফিরে যাই হা হা। পটল আমার সাধারণত কেনা হয় ভাজা করে খাওয়ার জন্য, কারণ পটল আমি ভাজা করে খেতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করি । তরকারিতে মাঝে মধ্যে রান্না করে খাওয়া হয়, কিন্তু প্রায় দিন আমার পটল কম-বেশি ভাজা খাওয়া চলে। একদিন দই পটল রান্না করার ইচ্ছা আছে, ওটা পরেরবার করবো। যাইহোক, এই শিং মাছের তরকারিটা পটল আর বেগুনের স্বাদে দারুন লেগেছিলো। এই রেসিপিটার এখন মূল প্রস্তুতির দিকে চলে যাবো।

☫প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:☫
✔এখন রেসিপিটি যেভাবে প্রস্তুত করলাম---
☬প্রস্তুত প্রণালী:☬

❖শিং মাছগুলো মা কেটে রেখেছিলো এবং আমি একবার ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছিলাম রান্নার সময় । এরপর আলুগুলোর খোসা ভালোভাবে ছালিয়ে নিয়েছিলাম এবং কেটে পিচ করার পরে জল দিয়ে একবার ধুয়ে নিয়েছিলাম।
❖পটলগুলোর খোসা ভালো করে ছালিয়ে নিয়েছিলাম এবং পরে কেটে নিয়ে ধুয়ে রেখেছিলাম।
❖বেগুনটিকে কেটে পিচ করে পরে ধুয়ে রেখেছিলাম। এরপর পেঁয়াজ এর খোসা ছালিয়ে নেওয়ার পরে কেটে নিয়েছিলাম এবং পরে ধুয়ে নিয়েছিলাম। কাঁচা লঙ্কাগুলো কেটে নেওয়ার পরে ধুয়ে নিয়েছিলাম।
❖শিং মাছের পিচগুলোতে ২ চামচ করে লবন আর হলুদ গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর হাত দিয়ে মাছের গায়ে ভালো করে মাখিয়ে নিয়েছিলাম।
❖একটি প্যানে তেল দিয়ে গরম করে নিয়েছিলাম এবং পরে তাতে মাছের পিচ দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর ভালো করে মাছগুলো ভাজা হয়ে গেলে তুলে রেখেছিলাম।
❖অন্য আরেকটি কড়াইতে তেল দিয়ে তাতে আলুর পিচগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর খানিক্ষন নেড়েচেড়ে লাল মতো করে ভেজে তুলে রেখেছিলাম।
❖আলু ভাজা হয়ে গেলে বেগুনের পিচগুলো কড়াইতে দিয়ে দিয়েছিলাম আর অল্প করে তেল দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর ভালো করে বেগুন ভাজা হয়ে গেলে তুলে রেখেছিলাম।
❖বেগুন ভাজা হয়ে গেলে ওই কড়াইতে আরেকটু তেল দিয়ে তাতে পটলের পিচগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর ভালো করে ভেজে নিয়ে তুলে রেখেছিলাম।
❖পটল ভাজা হয়ে গেলে কড়াইতে হালকা তেল দিয়ে কেটে রাখা পেঁয়াজ দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর ভালো করে ভেজে তুলে নিয়েছিলাম।
❖সব সবজি ভাজাভুজি হয়ে গেলে কড়াইতে তেল দিয়ে পরিমাণমতো জিরা দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর জিরাটা হালকা ভেজে নিয়েছিলাম এবং পরে তাতে ভেজে রাখা আলুর পিচগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম।
❖আলু দেওয়ার পরে তাতে ভেজে রাখা পটল আর বেগুন দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর ভাজা পেঁয়াজ দিয়ে দিয়েছিলাম।
❖ভাজা পেঁয়াজ দেওয়ার পরে তাতে কাঁচা লঙ্কা এবং স্বাদ মতো লবন, হলুদ আর লঙ্কার গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর সবজির সাথে ভালোভাবে মিক্স করে নিয়েছিলাম।
❖মিক্স করার পরে তাতে পরিমাণমতো জল দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তরকারি বেশ খানিক্ষন ফুটিয়ে নিয়েছিলাম।
❖আলুগুলো সেদ্ধ হয়ে গেলে কিছু আলুর পিচ তুলে রেখেছিলাম। এরপর হাতা দিয়ে চেপে ভালোভাবে গলিয়ে নিয়েছিলাম।
❖গলানোর পরে তরকারিতে ভেজে রাখা শিং মাছের পিচগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে গলিয়ে রাখা আলুর অংশটা দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তরকারির সাথে মিশিয়ে দেওয়ার পরে কিছুক্ষন দেরি তরকারিটা সম্পূর্ণভাবে হয়ে আসার জন্য।
❖তরকারিটা গাঢ় হয়ে আসলে আর ঝোলটা একটু কমিয়ে নিয়ে চুলা অফ করে দিয়েছিলাম। এরপর তরকারিতে জিরা গুঁড়ো ছড়িয়ে দিয়েছিলাম এবং তরকারিটা পরিবেশনের জন্য একটি পাত্রে তুলে রেখেছিলাম।
রেসিপি বাই, @winkles
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |






পটল, আলু, বেগুন দিয়ে মজাদার শিং মাছের রেসিপি কথা শুনে যেন জিভে জল চলে আসলো। শিংমাছ আমার খুবই প্রিয়, আর এই শিং মাছের রেসিপির পরিবেশন করেছেন অসাধারণ। ৭০০ টাকা কিলো করে শিং মাছ কিনে এনেছেন। মাছের দাম যেন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমিও গতকাল শিং মাছের রেসিপি তৈরি করেছিলাম। আজকে আপনার পটল, আলু, বেগুন দিয়ে শিং মাছের মজাদার রেসিপি দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে এই মজাদার রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন।খুব সহজে আপনার রেসিপি ধাপগুলো দেখে শিখে নিয়েছি, পরবর্তীতে তৈরি করবেন ইনশাল্লাহ।
আলু, পটল এবং বেগুন দিয়ে শিং মাছের সুস্বাদু রেসিপির কালারটা খুব সুন্দর হয়েছে দাদা। শিং মাছ খেতে যেমন সুস্বাদু, এই মাছের উপকারিতাও অনেক। দেখেই বুঝা যাচ্ছে রেসিপিটা খেতে খুব মজা হয়েছে। এতো মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
আলু, পটল এবং বেগুন দিয়ে শিং মাছের সুস্বাদু রেসিপি অনেক সুন্দর হয়েছে। সবজি দিয়ে চমৎকার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। শিং মাছ খেতে ভীষণ সুস্বাদু লাগে। দাদা আপনার রেসিপি পোস্ট দেখে অনেক ভালো লাগলো।
দাদা আপনাদের ওখানের তুলনায় বাংলাদেশে মাছের দাম আরো বেশি। যার কারণে সহজে বড় মাছ গুলো তে হাত দেওয়া যায় না।
আপনি অনেক চমৎকার ভাবে রেসিপিটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। দেখেই তো খেতে ইচ্ছা করছে। মাছের সাথে পোটল আমার ও অনেক ভালো লাগে। আপনাকে ধন্যবাদ দাদা।
পটলের দাম শুনে তো আমার নিজেরই পটল তুলতে ইচ্ছে করছে😱😱। ১৪০ টাকা কেজি পটল কখনো কিনে খেয়েছি কিনা মনে পড়ছে না। আমার মনে হয় সর্বোচ্চ ৮০ টাকা কেজি কিনেছিলাম। আপনাদের ঐ দিকে তাহলে পটলের দাম অনেক বেশি মনে হচ্ছে দাদা। শিং মাছের দাম সব জায়গাতেই বেশি। তবে বাংলাদেশের তুলনায় আপনাদের এরিয়াতে শিং মাছের দাম বেশি মনে হচ্ছে। আমাদের এখানে খুব সম্ভবত ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজির মধ্যেই দেশী শিং মাছ পাওয়া যায়। আলু এবং বেগুন দিয়ে শিং মাছ খেয়েছি অনেক। তবে পটল দিয়ে কখনো খাওয়া হয়নি। মনে হচ্ছে আলু, বেগুন এবং পটলের সমন্বয়ে তৈরি করা শিং মাছের রেসিপি দারুন হয়েছে। এভাবে একদিন শিং মাছের রেসিপি তৈরি করে খেয়ে দেখতে হবে। ধন্যবাদ আপনাকে দাদা মজার একটি রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করার জন্য।
পটলের দাম বর্তমানে এত বেশি হয়ে গেছে মাঝেমধ্যে বাজারে গেলে মনে হয় পটল খাবো নাকি তুলব। হা হা হা... আর শিং মাছের কথা তো বাদই দিলাম। দিনে দিনে ইলিশ মাছের থেকেও দাম বেশি হয়ে যাচ্ছে। তবে তোমার রান্নাটা দেখে সত্যিই বেশ ইন্টারেস্টিং লাগছে, মনে হচ্ছে গিয়ে খেয়ে আসি।
শিং মাছ যেটা খুবই পুষ্টিকর এবং উপকারী মাছ। এই মাছ বাজারে খুবই কম পাওয়া যায় বর্তমান দেখাই যায় না। যে জিনিস বাজারে খুব পাওয়া যায় সেটার দাম সব সময় কমই থাকে শিং মাছ যেটা আমার খুবই পছন্দের। কিলো সাতশ টাকা দরে কিনেছেন যেটা অনেক মূল্য তবুও খেতে মন চাইলে টাকার কথা চিন্তা করলে তো আর হবে না। আলু এমন একটা সবজি বেশিরভাগ মানুষ প্রত্যেকটা রেসিপির ভিতরে দিতে পছন্দ করে। পোটল আমার খুবই পছন্দের যেটা ভাজি খেতে আমার খুবই ভালো লাগে কিন্তু এই সময় পটল খুব কম পাওয়া যায়। আমাদের দিকে বাজারে নাই বললেই চলে দাদা আপনি দেখছি আকাশ চুম্বি দামে কিনেছেন। পটল সবজি আপনার খুবই পছন্দের সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না । দাদা অপেক্ষায় থাকলাম দই পটল রেসিপি দেখার যেটা আপনার খুবই পছন্দের।😋😋
শিং মাছ খুবই উপকারী এবং পাওয়া যায় ও কম। তাই এর দাম আকাশ ছোঁয়া কিন্তু ১৪০ টাকা করে পটলের দাম।সত্যিই ডাকাতি ব্যবসা এটা কিন্তু চাষীরা ঠিকমতো দাম পায় না।পটল ভাজি আমার ও খুবই প্রিয়।তবে সত্যি বলতে আমি শিং মাছ খাই না কিন্তু আপনার রেসিপিটা বেশ সুস্বাদু ও লোভনীয় হয়েছে দেখেই বুঝতে পারছি।দই পটল ও বেশ লাগে আমি খেয়েছি।তবে আপনার রেসিপি দেখার অপেক্ষায় রইলাম, ধন্যবাদ দাদা।
আপনি খুবই সুন্দর একটা রেসিপি তৈরি করেছেন দাদা। আমার এই ঝোলের রেসিপি খেতে খুবই ভালো লাগে। যেহেতু এখন গরমকাল পড়ে যাচ্ছে বাজারে টুকটাক পটল পাওয়া যাচ্ছে। আপনার রেসিপি ধাপ গুলো আমার কাছে ভিন্ন রকম লেগেছে একদম ইউনিক ছিল। ধন্যবাদ দাদা দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
দাদা আলু,পটল আর বেগুনের সাথে শিং মাছ দিয়ে ধারুন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। দাদা সত্যিই বলেছেন বাজারে গিয়ে জিনিষ পত্রের দাম শুনলে খালি ব্যাগ নিয়ে চলে আসতে মন চাই। শিং মাছটা সবসময় দাম। তারপরও শিং মাছ ৭০০ টাকা কিলো মানা যায় তবে পটল ১৪০ টাকা কিলো এটা মানা যায় না। দাম কিভাবে কমানো যায় বুদ্ধি দেন দাদা। ধন্যবাদ।