ঘুম এবং শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া
হ্যালো বন্ধুরা, আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
Image Created by OpenAI
আজকে আপনাদের সাথে বায়ো সম্পর্কিত একটি বিষয়ের উপরে আলোচনা করবো। বিষয়টা মূলত ঘুম নিয়ে। আমাদের প্রত্যেকের বা যেকোনো প্রাণীর জীবনে ঘুমের প্রয়োজনীয়তা অনেক গুরুত্বপূর্ন। কিন্তু আমরা কিন্তু আসলে বেশিরভাগ মানুষই অনেক সময় কাজের চাপে সেটার প্রতি গুরুত্ব কম দিয়ে ফেলি। আমাদের জীবনকে সুস্থ ভাবে পরিচালনা করার জন্য এই ঘুম নামক বিষয়টা প্রধান চাবিকাঠি হিসেবে কাজ করে। এই ঘুম বিষয়টা একটা জটিল এবং গভীর শরীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া।
ঘুম শুধু আমাদের বিশ্রামের জন্য প্রয়োজন তা কিন্তু না, এটা আরো অনেক কিছুর জন্য আমাদের জীবনের সাথে অতোপ্রতো ভাবে জড়িয়ে আছে। আমরা প্রত্যেকেই সারাদিন কাজ কর্ম বা যেকোনো কিছু করে অনেক ক্লান্তি অনুভব করি। আর এই ক্লান্তি দূর করার জন্য এবং আমাদের শরীরকে পুনরায় চাঙ্গা বা সতেজ করে তুলতে ঘুমের কোনো বিকল্প নেই। তবে এই ঘুম চলাকালীন আবার আমাদের শরীরে অনেক কিছু ঘটে থাকে। আসলে ঘুম জিনিষটা কি! এই ঘুম আসলে বলতে গেলে একধরণের জৈবিক ছন্দের মতো, সবকিছুতেই একটা ছন্দের মতো কাজ করে থাকে।
এই জৈবিক ছন্দ মূলত আমাদের মস্তিষ্কের একটা নির্দিষ্ট অংশের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। অর্থাৎ হাইপোথ্যালামাস এবং সার্কাডিয়ান রিদম নামক বিষয়ের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। আমরা যে এই ঘুমের সময়টা অর্থাৎ একটা নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমোতে যাই, সেটা যেকোনো নির্দিষ্ট সময় হতে পারে। তারপর আবার একটা নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী জেগে ওঠা। ক্লান্তি অনুভব করা ইত্যাদি মূলত এই সমস্ত বিষয়গুলো এই ছন্দ অনুযায়ী পরিচালিত হয়ে থাকে। আবার এই ঘুম আসলে দুই ক্যাটাগরি অনুযায়ী বিভক্ত অর্থাৎ REM Sleep & Non-REM Sleep.
এই দুটি মাধ্যম ঘুমের সময় পালাক্রমে ঘটে থাকে। ঘুমের সময়ে আমাদের মস্তিষ্কে নানারকম কার্যক্রম ঘটতে থাকে। আমরা সারাদিনে যা কিছু করিনা কেনো, আবার অনেক সময় অনেক কিছু একসাথে মনে করতে পারিনা। তো এই বিষয়গুলো ঘুমের সময় অর্থাৎ যখন মস্তিষ্ক বিশ্রামে থাকে, তখন পুনরায় সবকিছুই আমাদের মস্তিষ্কে একটা দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতি হিসেবে জমা হয়ে যায়। তারপর আরো অনেক বিষয় আছে, যেমন- ঘুমের সময়ে আমাদের কোষ মেরামতের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখে। তাছাড়া গ্রোথ হরমোন এর ক্ষেত্রে অনেক ভূমিকা রাখে, যেটা শিশুদের জন্য প্রয়োজন।
তাছাড়া আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করার জন্য ঘুমটা পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রয়োজন, তা নাহলে রোগ সহজেই আমাদের শরীরের এটাক করে বসে। এইরকম আরো নানাবিধ ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ন। ঘুম আসলে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ-এ না হয়ে থাকে, তাহলে শরীরে অনেক কিছু বড়ো সমস্যা হতে পারে। যেমন আমরা অনেক সময় নিজেরাই দেখে থাকি যে, ঘুম ঠিকমত না হলে মন মানসিকতা ভালো থাকে না।
স্মৃতি শক্তির উপরেও খারাপ প্রভাব পড়ে এবং মনোযোগ ছিন্ন হয়ে যায় যেকোনো কাজ করার ক্ষেত্রে। আর সব থেকে আরেকটা যে সমস্যা হয়ে থাকে, সেটা হলো ডায়াবেটিস আর ওজন দুটোই বৃদ্ধি পেতে থাকে। এইরকম আরো নানাবিধ খারাপ প্রভাব পড়ে ঘুমের ওভাবে। ঘুম হলো আমাদের জীবনের একপ্রকার প্রাকৃতিক ওষুধ এর মতো। ফলে এই ঘুমের উপর আমাদের গুরুত্ব দেওয়াটাও দরকার, কারণ শরীর এবং মানসিক দিক থেকে সুস্থ থাকতে গেলে ঘুম দরকার খুব।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |


Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমাদের প্রত্যেকের জন্যই ঘুম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঘুম আমাদের মস্তিষ্ককে যেমন ভালো রাখে তেমনি শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। দাদা আপনার লেখাগুলো পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আমার মনে হয় প্রত্যেকের উচিত পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানো। খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।