চিংড়ি দিয়ে ঢেঁড়শ-আলুর তরকারি

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে আমি একটা রেসিপি শেয়ার করে নেবো। আজকে আমি ঢেঁড়শ তরকারি রান্না করেছি। ঢেঁড়শ এর এই রেসিপিটা আমি চিংড়ির সাথে করেছি। ঢেঁড়শ আমাদের বাঙালিদের সবথেকে জনপ্রিয় একটা সবজি তরকারি যা বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যায়। তবে অনেকের কাছে ভাজিটা খুবই পছন্দের হয়ে থাকে যেমন আমি একজন ঢেঁড়শ ভাজি খুব পছন্দ করি, তাছাড়া ভর্তাও দারুন লাগে আমার কাছে। ঢেঁড়শ এর তরকারি বা ভর্তার একটা সুবিধা আছে সেটা হলো খুবই অল্প পরিমান ঢেঁরশে এক থালা ভাত চাইলে খেয়ে ফেলা যায়, কারণ এর নালা ভাবটা থাকে খুব। আর শুধু ঢেঁড়শ যে খাওয়ার দিক থেকে টেস্ট লাগে তা কিন্তু না, এর আছে নানান গুনাগুন আর উপকারিতা। এতে এন্টিঅক্সিডেন্ট এর পরিমান মেলা থাকে যা কিছু কিছু জটিল রোগের ক্ষেত্রে কাজে লাগে। এছাড়া এইসব ঢেঁড়শ খেলে আমাদের শরীরে অনেক লোহিত রক্ত কণিকাগুলো উৎপন্ন হয় ফলে শরীরের রক্তশূন্যতার ভয় থাকে না, তবে মাঝে মাঝে খেলে কাজ হবে না, মোটামুটি প্রায় খেতে হবে বলতে গেলে। যাইহোক এখন এই ঢেঁড়শ এর রেসিপিটার মূল পর্বের দিকে চলে যাবো।


❂প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:❂

উপকরণ
পরিমাণ
চিংড়ি
৩০০ গ্রাম
ঢেঁড়শ
পরিমাণমতো
আলু
২ টি
পেঁয়াজ
২ টি
কাঁচা লঙ্কা
১২ টি
জিরা
পরিমাণমতো
সরিষার তেল
৪ চামচ
লবন
২.৫ চামচ
হলুদ
৩ চামচ
জিরা গুঁড়ো
১ চামচ


ঢেঁড়শ, আলু, পেঁয়াজ


কাঁচা লঙ্কা, সরিষার তেল, লবন, হলুদ, জিরা গুঁড়ো


✔এখন রেসিপিটা যেভাবে প্রস্তুত করলাম----

✠প্রস্তুত প্রণালী:✠


❖সব চিংড়িগুলোকে প্রথমে ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে( চিংড়ি আগে কেটে রাখা ছিল )। এরপর আমি ঢেঁড়শ সব সাইজ মতো করে কেটে নিয়েছিলাম এবং জল দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছিলাম।

❖আলু দুটির খোসা ছালিয়ে নিয়ে মাঝারি লম্বাটে সাইজ মতো করে কেটে নিয়ে ধুয়ে নিয়েছিলাম। পেঁয়াজ এর খোসা ছাড়িয়ে নেওয়ার পরে কেটে নিয়েছিলাম। এরপর কাঁচা লঙ্কাগুলো কেটে নিয়ে জল দিয়ে ধুয়ে নিয়েছিলাম।

❖কেটে রাখা চিংড়িগুলোতে লবন আর হলুদ দিয়ে দিয়েছিলাম এবং গায়ে ভালো করে মাখিয়ে নিয়েছিলাম।

❖চিংড়িগুলো সব ভালো করে ভেজে নিয়েছিলাম। এরপর পেঁয়াজ এর কাটা অংশটা ভালো করে ভেজে নিয়েছিলাম।

❖আলুগুলো একটু লাইট করে ভেজে নিয়েছিলাম। এরপর কড়াইতে তেল দিয়ে তাতে জিরা দিয়ে দিয়েছিলাম।

❖জিরা একটু ভাজা মতো হয়ে আসলে তাতে কেটে রাখা ঢেঁড়শ দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে ভাজা আলুর পিচগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম।

❖আলু দেওয়ার পরে তাতে ভেজে রাখা চিংড়ি সব দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে পেঁয়াজ এর ভাজা অংশটা দিয়ে দিয়েছিলাম।

❖ভাজা পেঁয়াজ দেওয়ার পরে তাতে কেটে রাখা লঙ্কাগুলো আর স্বাদ মতো লবন আর হলুদ দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর মশলাগুলোর সাথে উপাদানগুলো সব ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছিলাম।

❖মেশানোর পরে তাতে পরিমাণমতো জল দিয়ে দিয়েছিলাম। জল দেওয়ার পরে তরকারি ফুটিয়ে নিয়েছিলাম খানিক্ষন ধরে সিদ্ধ করার জন্য। এরপর তরকারি ভালোমতো হয়ে আসার জন্য আমি ৭-৮ মিনিটের মতো অপেক্ষা করেছিলাম।

❖ঢেঁড়শের তরকারিটা হয়ে গেলে আমি চুলা অফ করে কিছুক্ষন রেখে দিয়েছিলাম। তরকারির একটু দম বসে আসলে পরে আমি তাতে জিরা গুঁড়ো ছড়িয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তরকারিটা একটি পাত্রে পরিবেশন করে খাওয়ার জন্য তুলে নিয়েছিলাম। আর এটি খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল।

রেসিপি বাই, @winkles

শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  
 2 years ago 

ঢেঁড়শ এর তরকারি বা ভর্তার একটা সুবিধা আছে সেটা হলো খুবই অল্প পরিমান ঢেঁরশে এক থালা ভাত চাইলে খেয়ে ফেলা যায়

দাদা আমি আপনার এই কথাটির সাথে সহমত পোষণ করছি। ঢেঁরশের তরকারি খেতে যেমন ভালো লাগে তেমনি ঢেঁরশ ভর্তা খেতে অনেক ভালো লাগে। গরম ভাতের সাথে তরকারি বা ঢেঁরশ ভর্তা খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। এক টুকরো ঢেঁরশের সাথে এক লোকমা ভাত মুখে দিলে কখন যে গলার ভেতরে চলে যায় বুঝতেই পারিনা। আর সাথে যদি হয় চিংড়ি মাছ তাহলে তো আরো মজাদার হয়। এছাড়া ঢেঁরশ আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। তাই প্রত্যেকেরই ঢেঁরশ খাওয়া উচিত। ঢেঁরশ ও আলু দিয়ে চিংড়ি মাছের লোভনীয় একটি রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন এজন্য আপনাকে জানাচ্ছি অনেক অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো দাদা।❤️❤️❤️❤️❤️

 2 years ago 

তবে অনেকের কাছে ভাজিটা খুবই পছন্দের হয়ে থাকে যেমন আমি একজন ঢেঁড়শ ভাজি খুব পছন্দ করি, তাছাড়া ভর্তাও দারুন লাগে আমার কাছে।

দাদা আপনি তো আমার মনের কথাই বলে দিলেন।ঢেঁড়শ চিংড়ি মাছ দিয়ে ভাজিটাই আমরা বেশি খাই।আর শুকনো ভাজা মরিচ ঢেঁড়শ এর সঙ্গে লাল লাল করে মেখে ভর্তা করেও খাওয়া হয় প্রায়।এই দুটি ভাবেই আমি পছন্দ করি খেতে।তবে মাঝে মাঝেই ঝোল করা হয় আপনার মত করে দাদা তবে সত্যি বলতে আমার কাছে তেমন ভালো লাগে না।তবে ঢেঁড়শ দিয়ে ভাত মাখলে কম সময়ে সুরসুর করে খাওয়া হয়ে যায়।আমার তো বেশ ভালো লাগে।অনেকে আবার একটু শক্ত জাতীয় ঢেঁড়শ ঝোল করে চিবিয়ে খেতে পছন্দ করেন।
ঢেঁড়শ নালযুক্ত হলেও অনেক উপকারিতা রয়েছে।আপনার পোষ্টের মাধ্যমে সেগুলো জেনে ভালো লাগলো,আপনার রেসিপিটা দারুণ হয়েছে। ধাপগুলো সুন্দর ছিল,ধন্যবাদ দাদা।ভালো থাকবেন।

 2 years ago 

দাদা ঢেঁড়স ভাজি আমার খুবই প্রিয়। সেইসাথে আমার মা ঢেঁড়সের ভর্তা খুব পছন্দ করে। এক কথায় ঢেঁড়স আমাদের পরিবারের খুব প্রিয় সবজি সবার কাছে।আপনি ঠিকই বলেছেন বাঙ্গালীদের খুব প্রিয় সবজি ঢেঁড়স।হাইড্রাসটিস শুধু খেতেই ভালো লাগে তা কিন্তু নয় এর পুষ্টিগুণ ও আছে ব্যাপক। আর আপনি চিংড়ি দিয়ে ঢেঁড়শ-আলুর তরকারি রেসিপি খুবই চমৎকার ভাবে আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন বরাবরের মতই।নতুন করে আপনার রেসিপির আরকি প্রশংসা করবো কারন আপনি রেসিপিতে সেরা।সেটা আমি আমার কবিতায় ও উপস্থাপন করেছি

এত চমৎকার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এবং কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। প্রিয় দাদা আগামীতে আরো সুন্দর সুন্দর রেসিপি আপনার কাছে প্রত্যাশা করছি। ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন। সপরিবারে দোয়া ও ভালোবাসা অবিরাম♥♥

 2 years ago 

চিংড়ি দিয়ে ঢেঁড়শ-আলুর তরকারি অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে। আপনি খুবই মজাদার রেসিপি তৈরি করলেন দাদা। আজকে আপনার রেসিপির উপস্থাপন ও পরিবেশন আমার খুবই ভালো লেগেছে। আসলে চিংড়িমাছ আমার খুবই প্রিয়, আর এই চিংড়ি মাছ দিয়ে যেকোনো রেসিপির খেতে খুবই ভালো লাগে। বিশেষ করে চিংড়ি মাছের বড়া আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আজকে আপনার এই রেসিপির উপস্থাপন এবং পরিবেশন খুবই সুন্দর ভাবে করেছেন।দেখে শিখে নিলাম, পরবর্তীতে তৈরি করব।

 2 years ago 

ভাইয়া নতুন করে আপনার রেসিপির কথা আর কি বলব আপনি তো সব সময় ভালো ভালো রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করেন। তেমনি আজকে চিংড়ি দিয়ে ঢেঁড়স আলুর তরকারি খুবই লোভনীয় হয়েছে। ভাইয়া আপনার মত আমারও ঢেঁড়স ভাজি খুবই পছন্দ। তবে ঢেঁড়স রান্না করে খেতেও আমার কাছে ভালো লাগে।আপনি সব সময় খুব সুন্দর করে রেসিপি গুলো তৈরি করেন। আপনার রেসিপি গুলো সব সময় আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আপনি খুব যত্নসহকারে রেসিপি গুলো তৈরি করেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

চিংড়ি মাছের তরকারি বরাবরই আমার অনেক ফেভারেট আপনি আলু এবং ঢেঁড়স দিয়ে লোভনীয় ভাবে রেসিপিটি প্রস্তুত করেছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে খুব মজা হবে

 2 years ago 

চিংড়ি মাছ আমার খুবই পছন্দের একটি মাছ। চিংড়ি মাছ যেকোনো ভাবে রান্না করে খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে ঢেঁড়স দিয়ে চিংড়ি মাছের রেসিপি তৈরি করেছেন। দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

চিংড়ি এমন একটি মাছ যা সকল ধরনের শাকসবজি দিয়ে খাওয়া যায়।চিংড়ি মাছ খেতে আমি খুব পছন্দ করি। বিশেষ করে আলু দিয়ে চিংড়ি মাছ ভুনা আমার খুবই প্রিয়। তবে কখনো ঢেঁড়স দিয়ে চিংড়ি মাছ খাওয়া হয়নি। আজকে আপনার তৈরি আলো এবং ঢেঁড়স দিয়ে চিংড়ি মাছের রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হবে। রেসিপিটি তৈরীর প্রত্যেকটা ধাপ আমাদের মাঝে খুবই সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন যার ফলে আমরা খুব সহজেই এটি তৈরি করতে পারব। এত সুন্দর ভাবে আলু এবং ঢেঁড়স দিয়ে চিংড়ি মাছের মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা।

 2 years ago 

চিংড়ি মাছ দিয়ে সব ধরনের রেসিপি তৈরি করা যায়। তাছাড়া ঢেঁড়স আর আলু সমন্বয়ে চিংড়ি মাছের রেসিপি তৈরি করেছেন দেখে বেশ লোভনীয় দেখাচ্ছে। বিশেষ করে চিংড়ি মাছ গুলো বেশি লোভ জাগিয়েছে। এমন লোভনীয় কি রেসিপি তৈরি করে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

 2 years ago 

দাদাভাই আপনার রেসিপির নতুন করে আর কি প্রশংসা করবো। ঢেড়শ তরকারি আমার অনেক অনেক পছন্দের। চিংড়ি মাছ ও ইলিশ মাছের সাথে এই তরকারি খেতে আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। আপনার চিংড়ি মাছের সাথে ঢেড়শ তরকারি রান্না দেখেই বোঝা যাচ্ছে কতটা মজাদার হয়েছে। আমি তো লোভ সামলাতে পারছিনা। রেসিপির কালারটা জাস্ট অসাধারণ এসেছে দাদাভাই। অনেক ধন্যবাদ এবং ভালবাসা আপনার জন্য কারণ আপনি প্রতিনিয়ত আমাদেরকে সুন্দর সুন্দর রেসিপি উপহার দিয়ে যাচ্ছেন। সব সময় ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন দাদাভাই এই কামনাই করি।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.027
BTC 60699.39
ETH 2655.06
USDT 1.00
SBD 2.59