দেশি হাঁসের মাংসের রেসিপি
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
আজকে আমি আপনাদের সাথে একটা সুস্বাদু রেসিপি শেয়ার করে নেবো। আজকে আমি দেশি হাঁসের মাংসের রেসিপি তৈরি করেছি। হাঁসের মাংস অনেকদিন বাদে খেলাম বলতে গেলে। আর অনেকদিন বাদে খেলে খাওয়ার রুচিবোধটা যেমন বৃদ্ধি পায় তেমনি খেতেও বেশ মজাদার লাগে। আর এখন শীতকালে হাঁসের মাংসের টেস্ট অসাধারণ লাগে, একটু ঝোল ঝোল করে রান্না করলে তরকারি বেশ জমজমাট হয়ে ওঠে । যাইহোক, এখন আমি রেসিপিটির মূল পর্বের দিকে চলে যাবো।
❂প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:❂
✔এখন রেসিপিটি যেভাবে তৈরি করলাম---
✠প্রস্তুত প্রণালী:✠
➤হাঁসের মাংসগুলো প্রথমে ভালো করে জল দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছিলাম। আলুগুলোর খোসা ছালিয়ে নিয়েছিলাম এবং কেটে পিচ করে নেওয়ার পরে জল দিয়ে ধুয়ে নিয়েছিলাম।
➤পেঁয়াজ, রসুনের খোসা ছাড়িয়ে নেওয়ার পরে পেঁয়াজ কুচি করে নিয়েছিলাম এবং রসুনের কোয়াগুলো আলাদা করে নিয়েছিলাম। এরপর আদার খোসা ছালিয়ে নেওয়ার পর কেটে নিয়েছিলাম। চুইঝালটির উপরের ছাল মতো অংশটা ছালিয়ে নেওয়ার পরে কেটে তিন টুকরো করে ছিলাম।
➤পেঁয়াজ, রসুন এবং আদা মিক্সারে দিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিয়েছিলাম।
➤জিরা, মরিচ, লবঙ্গ, দারুচিনি, শুকনো লঙ্কা মিক্সারের বাটিতে ঢেলে দেওয়ার পরে একটু জল দিয়ে ঘুরিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিয়েছিলাম।
➤কড়াইতে খুব অল্প তেল দিয়ে আলুর পিচগুলো লাল মতো করে ভেজে নিয়েছিলাম।
➤কড়াইতে পরিমাণমতো সরিষার তেল দিয়ে দেওয়ার পরে মাংসগুলো ঢেলে দিয়েছিলাম।
➤মাংস দিয়ে দেওয়ার পরে তাতে পেস্ট করে রাখা সমস্ত মশলা, তেজ পাতা, লবন এবং হলুদ দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর মাংসের সাথে সমস্ত মশলা উল্টেপাল্টে মিক্স করে নিয়েছিলাম।
➤মিক্স করার পর বেশ কিছু সময় ধরে মাংস ভালো করে কষিয়ে নিয়েছিলাম। মাংস কষানোর পরে তাতে ভাজা আলুর পিচগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম।
➤আলুগুলো কষা মাংসের সাথে মিশিয়ে নেওয়ার পরে তাতে পরিমাণমতো জল দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর মাংসের তরকারিটা ভালো মতো হয়ে আশা পর্যন্ত অপেক্ষা করেছিলাম।
➤বেশ অনেক্ষন দেরি করার পরে সুস্বাদু হাঁসের মাংসের তরকারিটা তৈরি হয়ে গেছিলো। আর এখন এই মজাদার মাংসের তরকারিটা পরিবেশন করে গরম ভাতের সাথে খাওয়ার জন্য প্রস্তুত।
রেসিপি বাই, @winkles
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
দাদা,আপনি সবসময় খুবই সুস্বাদু এবং ইউনি রেসিপি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেন। আপনার রেসিপি গুলো সত্যিই খুবই সুস্বাদু এবং লোভনীয় হয়ে থাকে। দাদা,আজকেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। দাদা,আপনার রান্না করার দেশি হাঁসের মাংস দেখে সত্যিই আমার জিভে জল এসে যাচ্ছে।অনেকদিন হচ্ছে দেশি হাঁস খাচ্ছি না। ঠিক বলেছেন দাদা, অনেকদিন পরে খেলে খাবার রুচি টা একটু বাড়ে আর শীতকালে হাঁসের মাংস সত্যিই অনেক সুস্বাদু।দাদা, আপনার রান্না করা দেশি হাঁসের ঝোল তরকারি প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন।অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা, এতো সুস্বাদু রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া আপনি সব সময় খুব সুন্দর রেসিপি তৈরি করেন। আজকেরটা ও তার ব্যতিক্রম নয়। দেশি হাঁসের মাংসের রেসিপি দেখতে খুবই লোভনীয় হয়েছে। আপনি চুই ঝাল দিয়ে হাঁসের মাংস রান্না করেছেন। চুই ঝাল দিয়ে রান্না করা মাংসগুলো খেতে খুবই ভালো লাগে। আপনার হাঁসের মাংসটি মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন যা দেখে সবাই খুব সহজেই রেসিপিটি তৈরি করতে পারবে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য শুভকামনা রইল।
হাঁসের মাংস আমার অনেক প্রিয় একটি খাবার। আপনার হাঁসের মাংসের রেসিপি দেখে মন ভরে গেলো। আপনি অসাধারণ ভাবে রেসিপিটি তৈরি করেছেন। দেখতে খুবই লোভনীয় হয়েছে। আপনাত উপস্থাপনা অনেক ভালো লাগছে। রেসিপির প্রতিটি ধাপ খুবই সুন্দর ভাবে আপনি উপস্থাপন করেছেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
দাদা হাসের মাংস রান্না করা ঠিক যতটা কঠিন খেতেও ঠিক ততটাই সাদ। রান্নার কালার দেখেই বোঝা যাচ্ছে এটি খেতে খুব সুস্বাদু হবে। আর আলু ভেজে দেয়ার কারণে মনে হচ্ছে রান্নাটা আরো ভালো হয়েছে। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ
এটা সত্যি যে কোনো খাবার যদি অনেকদিন বাদে খাওয়া হয় তাহলে তার স্বাদ অনেকটাই বেশি পাওয়া যায়। অনেকদিন হয়ে যায় হাঁসের মাংস খাওয়া হয় না। আসলে গ্রামে দাদা দাদি ও নাই তারা দুই জনই ইন্তেকাল করেছেন যার জন্য গ্রামে যাওয়া হয়না আর ঢাকাতে তেমন একটা হাঁস ভালো পাওয়া যায় না। তবে আপনার হাঁসের রেসিপি দেখে সত্যিই খুব লোভনীয় লাগছে। ধন্যবাদ দাদা এমন সুন্দর রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য
শীতকালীন হাঁসের মাংস অনেক জনপ্রিয়। আমাদের এদিকে তো শীতকাল আসলেই সবাই হাঁস কিনে কিনে এরকম সুন্দর ভাবে রান্না করে। আর আপনিতো অসাধারণভাবে হাঁসের মাংস রেসিপিটি করলেন। দাদা আপনি ঠিকই বলেছেন হাঁসের মাংস একটু ঝোল ঝোল করে রান্না করলে খেতে আরো বেশি ভালো লাগে। আর আপনি রেসিপিটা এত সুন্দর ভাবে একটু একটু করে দেখিয়েছেন আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আর বিশেষ করে গোটা মরিচসহ সবগুলো মসলা ব্লেন্ডার করে দিয়েছেন বলে নিশ্চয়ই এর স্বাদ আরো বেড়ে গেছে। আমাদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
শীতকালে হাঁসের মাংস খাওয়ার মজাই আলাদা😋
আপনার রেসিপিটি দেখেই জিভে পানি চলে আসলো ভাইয়া। উপপ কালারটাতো একদম পারফেক্ট হয়েছে। দেখেই বুঝা যাচ্ছে যে কেমন মাজাদার হয়েছিল রেসিপি টি। একা একাই খেলেন ভাইয়া,,,,
যাইতে ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য
ঠিকই বলেছেন দাদা যে কোনো খাবারই অনেক দিন পর পর খেলে এর স্বাদটা অনেক বেশি পাওয়া যায় আর হাঁসের মাংস তো কোন কথাই নেই হাঁসের মাংস এমনিতে খুবই মজার খাবার আমার মনে হয় এই খাবারটা যেকোনো সময় খেলেই ভাল লাগে তবে প্রতিদিন না ।আপনার খাবার গুলো দেখলে আমার কাছে মনে হয় অন্যরকম একটি টেস্ট আসে কারণ আপনি শুকনা মরিচগুলো পর্যন্ত ব্লেন্ডার করে ব্যবহার করেন এতে খাবার টেস্ট যেমন বৃদ্ধি পায় তেমনি কালারটা অনেক ভালো আসে। খুব সুন্দর করে আপনি মাংস রেসিপি শেয়ার করেছেন দেখতে অনেক লোভনীয় হয়েছে মাংসটি।
হাঁসের মাংস খেতে শুনেছি দারুন হয়। আর শীতকালে তো হাঁসের মাংস খেতে দারুন মজাই হয়।কিন্তু আমার কখনো খাওয়া হয়নি।আর আপনি খুব সুন্দর ভাবে দেশি হাঁসের মাংস রেসিপি তৈরি করেছেন।অনেক ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর রেসিপি তৈরি করে আমাদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য।শুভকামনা রইল আপনার জন্য।