টিভি সিরিজ রিভিউ: ম্যানিফেস্ট - ফলস হরাইজন ( তৃতীয় পর্ব-সিজন ২)
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে টিভি সিরিজ ম্যানিফেস্ট এর দ্বিতীয় সিরিজের তৃতীয় পর্ব রিভিউ দেব। তৃতীয় পর্বটির নাম হলো "ফলস হরাইজন"। গত পর্বের লাস্টে দেখা গিয়েছিলো যে কয়েকজনের মধ্যে খুব ঘন ঘন একটা কম্পন আকারে সৃষ্টি হচ্ছিলো। আজকের পর্বটিতে দেখা যাক ঘটনাটা পরে কি হয়।
❂কিছু গুরুত্ত্বপূর্ণ তথ্য:❂
☫মূল কাহিনী:☫
প্রথমে দেখা যায় পারভীন একটা প্লেনের ভিতরে বসে কারো জন্য অপেক্ষা করছে অর্থাৎ এইটা সেই প্লেন ৮২৮ এর কথা। পারভীন সেই ব্যক্তিকে আবার পছন্দও করতো, এখন এখানে সেই লোকটির জন্য অনেক্ষন অপেক্ষা করার পরে সেই লোকটি তাকে মেসেজ দেয় যে আমি যাচ্ছি না। আর এইসব কথাগুলো পারভীন তার সাথে প্লেনের আগের মুহূর্ত এবং পরের মুহূর্তগুলো করেন স্টোন নামক এক মহিলার কাছে তার বায়োগ্রাফি বলতে থাকে আর এইগুলো সে প্রতিদিন তার কাজের ফাঁকে ফাঁকে গিয়ে দিয়ে আসে। এরপর মেলিসা তার ভাই জোশ এর বাড়িতে চলে আসে এবং জ্যাক সেখানে আবার একটা ড্রয়িং ধরিয়ে দেয় , সম্ভবত ওটা জেককে নিয়েই এঁকেছে। এথেনাও এদিকে বাড়ির থেকে বেরিয়ে কোথাও একটা জায়গায় যায় এবং সেখানে তার এক বন্ধুর সাথে কথা বলতে বলতে যখন গাড়ির কাছাকাছি যায় তখন এথেনা হঠাৎ কিছু একটা শব্দ শুনতে পায় এবং তার বন্ধুর গাড়ির ছাদে তার দৃষ্টিতে দেখতে পায়। এদিকে জেক জেলের ভিতরে যে অস্বাভাবিক আচরণ করছিলো তার জন্য তাকে জেলের ভিতরেই ডক্টরের কাছে নিয়ে যায় আর তার হাত, পা বেঁধে রাখে।
জেকের যখন জ্ঞান ফেরে তখন আরো উত্তেজিত হয়ে যায় কারণ তার হাত, পা বেঁধে রেখেছে। জেক ভেবেছে তার সাথে উল্টোপাল্টা কিছু করতে যাচ্ছে তারা কিন্তু ডাক্তার তাকে ভালোভাবে বুঝিয়ে আবার শান্ত করে। মেলিসা জেলে গিয়ে জেককে খোঁজ করতে লাগে কিন্তু তারা দেখে জানায় যে তাকে এখান থেকে ট্রান্সফার করা হয়েছে। এরপর রামিরেজ মেলিসার সাথে কথা বলতে আসে এবং তারা দুইজন বর্তমানে একটা ঝগড়া করার মুডে আছে সেই ঘটনার পরের থেকে। তো এখানে মেলিসা জেকের খোঁজ নিতে এলে রামিরেজ রাগ করে কিন্তু মেলিসা জেককে হেল্প করতে চায় এই কথাটা বলে চলে যায়। এরপর ড্যারিল জোশকে ডেকে ছোটোখাটো কিছু একটা ইনফরমেশন দেয় আর জোশ সেই বিষয়টা নিয়ে একটু সার্চিংও শুরু করে দেয় আর মেলিসাকে ফোন করেও জানায়। মেলিসা এদিকে জেকের সাথে কথা বলার জন্য বার বার ফোন করে সবজায়গায় খোঁজ লাগাতে লাগে। এরপর একজায়গায় ফোন করে তার খোঁজ পায় এবং তার সাথে কথা বলতে চায় কিন্তু কথা বলতে দিতে চায় না। মেলিসা তাদের ডিটেক্টিভ বলে পরিচয় দিলেও তাও দিতে চায় না কিন্তু ওই মুহূর্তে যেন আবার একটা ঘটনা মেলিসা আর জেকের সাথে ঘটলো যেহেতু দুইজনই এটাচটেড। এরপর দেখা যায় জোশ একটা জায়গায় যায় এবং সেখানে "TJ'" সহ আরো অনেক লোক ছিল স্টুডেন্ট হিসেবে এবং সেখানে জোশ তাদের কিছু বিষয়ে ক্লাস নিচ্ছিলো।
জোশ ক্লাস নেওয়ার পরে সেখান থেকে বেরিয়ে পারভীনের ওখানে যায় ল্যাবে এবং সেখানে গিয়ে জোশ কিছু বিষয় তার সামনে তুলে ধরে। কিন্তু বিষয়গুলো এমন ছিল যে শোনার সাথে সাথে পারভীন রেগে যায় আর জোশকে চলে যেতে বলে সেখান থেকে। এরপর এমন কি হলো যে রাগের মাথায় নিজের ফোনটাই ভেঙে ফেলে আর ডাস্টবিনে ফেলে দেয়। এরপর এথেনা আর জ্যাক হাটতে হাটতে একটা খেলার মাঠের জায়গায় যায় যেখানে বাচ্চাদের ফুটবল খেলা শেখানো হয় এবং ওখানে তার সেই বন্ধুটিকে দেখতে পায়। এরপর এথেনা সেখানে আবারো একটা শব্দ শুনতে পায় আর একটা টাওয়ার এর উপরে সে প্রাণীটিকে দেখতে পায় আর এই বিষয়টা নিয়ে একটু আতঙ্কিত মতোও হয়। এরপর দেখা যায় মেলিসা ফোন করে যে হসপিটালে খোঁজ লাগিয়েছিল যে জেক ওখানে চিকিৎসাধীন আছে সেখানে চলে যায় কিন্তু সেখানে পুলিশের কিছু লোকজনও ছিল। পরে মেলিসা ভিতরে চলে যায় এবং জেকের এই অবস্থা দেখে অখুশিই হয়। যাইহোক জ্যাক জেকের যে ড্রয়িংটা এঁকেছিল সেই ড্রইংটা তার হাতে ধরিয়ে দেয়, কিন্তু জেকের সাথে কথাই বলতে দেইনি, টেনে বাইরে নিয়ে চলে যায়। এরপর মেলিসা পুনরায় কেসটাকে কোর্টে তোলার আপিল করে।
আপিল করার পরে বিষয়টা তারা মঞ্জুর করে এবং কোর্টে কেস উঠলে উইটনেস সাক্ষী হিসেবে মেলিসা কথা বলে উকিল আর জজ এর সামনে। মেলিসা সব বিষয় ক্লিয়ার করে বলে দেয় যে এটা একটা নেহাতই এক্সিডেন্ট ছিল আর সে আমাকে মারতে চাইনি বরং আমাকে সেফ করতে চেয়েছিলো ফলে এখানে তার কোনো অপরাধ নেই। তবে মেলিসা অন্য ডিটেক্টিভ এর উপরে বিষয়টা বলে দেয় যে তারাই তাকে ফ্লো করতো এবং রামিরেজ গিয়ে ভাংচুরও করেছে। এরপর উইটনেস সাক্ষী হিসেবে সবকিছু জজ এর সামনে ক্লিয়ার হয়ে যায় এবং জজ সাহেবা জেককে মুক্তি দিয়ে দেয়। এরপর জেক আর মেলিসা দুইজনই তাদের বাড়িতে চলে যায় আর সবাই খুশিও হয় এতে। এরপর পারভীন একদিন হঠাৎ করে জোশ এর বাড়িতে আসে আর তাকে বলে তুমি যা বলেছিলে তা ঠিকই বলেছিলে। এরপর জোশ আর পারভীন দুইজনই ড্যারিল এর কাছে চলে যায় আর এই বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করে।
☫ব্যক্তিগত মতামত:☫
এই পর্বে দেখা গেলো যে, যে শব্দগুলো আগে মেলিসা, জোশ, জ্যাক এরা শুনতে পেতো ঠিক এখন এথেনাও বিষয়টা অনুভব করতে পারছে। মোট কথা এথেনার সাথে তার বন্ধুর যখনি দেখা হয় তখনি এই বিষয়টা তার ফেস করতে হয়। আর এথেনা যে শব্দটা শুনতে পাচ্ছিলো সেটা হলো 'ওপেন হার আইস'। আর এই বিষয়টার মাধ্যমে একটা অদ্ভুত প্রাণীকেও তার নজরের সামনে দেখতে পেতো। আর এথেনার সাথে তার পরিচয় শুরু হয় ব্যায়াম করার স্থান থেকে। তো একদিন ওই মহিলাকে দেখতে পেয়ে এথেনা তার কাছে যায় আর তার সাথে কথা বলতে চাইলে বলে তুমি আমাকে ফ্লো করছো সর্বক্ষণ? এথেনা এই বিষয়টার মাধ্যমে একটু হলেও বুঝতে পেরেছিলো যে এই মহিলার সাথেই খারাপ কিছু মনে হয় হতে যাচ্ছে কিন্তু এথেনা বিষয়টা আসলে ভালোভাবে বুঝতেই পারিনি কি হচ্ছে। এদিকে জ্যাক জেকের যে দৃশ্যটা অঙ্কন করে দিয়েছিলো সেটা ছিল প্লেনের ভিতরের। জেক যে প্লেনে ছিল সেই প্লেনটা আসলে ক্রাশ করেছিল অর্থাৎ প্লেনের পিছনের অংশটা ভেঙে গিয়েছিলো আর জেক সেই হাওয়ায় প্লেন থেকে ছিটকে পড়ে যায়, এইরকম দৃশ্য ফুটিয়ে তোলে। এদিকে যে বলেছিলাম জোশ পারভীনকে এমন কি বলেছিলো যে সে নিজের ফোন পর্যন্ত আছাড় দিয়ে ভেঙে ফেলে। এখানে পারভীন আসলে যাকে ভালোবাসতো সে ওই হসপিটালের ল্যাবেই কাজ করতো আর ওকেই নিয়ে জোশ তার কাজের বিষয়ে কথা বলেছিলো অর্থাৎ সে ল্যাবের থেকে কিছু জিনিস মিসিং করেছে আর এই কথা বলতেই সে রেগে যায়। আর ফোনে ওকে নিয়েই কিছু মেসেজ লিখছিলো ফলে রাগটা আরো ফোনের উপরে চলে যায় আর যা হওয়ার তাই হলো। পোে পারভীন ভিডিও ফুটেজ চেক করলে বিষয়টা সামনে আসে আর পরেতো গিয়ে ড্যারিল এর সাথে আলোচনা করে। আর এর আগে যে মেজর ছিল সে ছিল ফেক, আসল মেজর হচ্ছে যে পারভীনের বায়োগ্রাফি নিচ্ছিলো।
☫ব্যক্তিগত রেটিং:☫
৮.৯/১০
☫সিজন ২ ট্রেইলার লিঙ্ক:☫
দাদা আজকের পর্বটি আপনি খুবই সুন্দরভাবে রিভিউ করেছেন। এই রিভিউটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো আসলে আজকের পর্বের মাধ্যমে আমরা জানতে পারলাম,মেলিসা, জোশ, জ্যাক যে শব্দ শুনতে পেতো ঠিক এখন এথেনাও বিষয়টা অনুভব করতে পারছে।আবার এথেনার সাথে তার বন্ধুর যখনি দেখা হয়, ঠিক তখনি ঐ বিষয়টা তার সামনে ফেস করতে হয়।এটি খুব রহস্যজনক আজকের এই পর্বের ওয়েবসাইটটি পড়েখুবই ভালো লাগলো এবং সামনের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।দিন দিন শুধু আরো রহস্যময় ঘটনা সামনে আসছে, দেখি কি হয় সামনের পর্বগুলোতে।
টিভি সিরিজ রিভিউ এর বেশ কিছু পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন দাদা। প্রত্যেকটি পর্বে নতুন নতুন চরিত্রের আগমন ঘটছে। আসলে সেই প্লেনের যাত্রীরা কিভাবে যে একে অন্যের সাথে কানেক্ট হচ্ছে সেটা আস্তে আস্তে প্রকাশ্যে আসছে। হয়তো সবার মাঝে আলাদা রকমের কানেকশন তৈরি হচ্ছে। তাই তো এথেনা অন্যান্যদের মতো কিছু শব্দ শুনতে পাচ্ছিল। এছাড়া এথেনা বুঝতে পারছিল ওই মহিলাটির বিপদ হতে চলেছে। সবার মাঝে আলাদা রকমের এক অদ্ভুত অনুভূতি চলে এসেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই গল্পের মোর কোথায় গিয়ে ঠেকবে বুঝতে পারছি না। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা।
পারভিন প্লেনে বসে যেই লোকটার জন্য অপেক্ষা করছিল সেই লোকটা শেষ মুহূর্তে হঠাৎ কেন আসতে চাইলো না । এখানে কি কোন রহস্য রয়েছে কিনা? জ্যাক আবারো কিছু একটা এঁকে বোঝাতে চাচ্ছে। এদিকে জেক জেলখানায় অস্বাভাবিক আচরণ করার কারণে তার হাত-পা বেঁধে রাখা হলো। মেলিসাও জেককে খুঁজে পাচ্ছে না। অনেক খোঁজাখুঁজির পর যখন পেল তাও তাকে দেখা করতে দিতে চাচ্ছে না। যাক অবশেষে জেকের সঙ্গে দেখা করতে পারলো এবং কেসটিকে পুনরায় কোর্টে উঠিয়ে জেককেউ মুক্তি করাতে পারল জেনে ভালো লাগছে। পারভীনের রাগ করে মোবাইল ভাঙ্গার বিষয়টি আপনার মতামতের ভেতরে জানতে পারলাম। তা নাহলে এটা একটা রহস্য থেকে যেত। আবার এদিকে মেজর পারভীনের বায়োপিকের সাক্ষাৎকার নিচ্ছে আবারও এখানে রহস্য রয়ে গেল। দেখি পরবর্তীতে কি হয়?
পারভীনের ভালোবাসার মানুষ আসতে চাইনি কারণ সে তাকে ধোকা দিয়েছিলো, আর ইচ্ছা করেই আসেনি। আর এখানে জ্যাক জেকের যে বিষয়টা এঁকে বোঝাতে চেয়েছে এটা সাধারণত জেকের সাথে যেভাবে দুর্ঘটনা ঘটেছিলো তার অংশমাত্র দেখাতে চেয়েছে। এই সিরিজ পুরোটাই রহস্যময়, কিছুই বুঝে ওঠা সম্ভব না। একদিকে কাহিনীতে রহস্য থাকাটা ভালো, কারণ রহস্য না হলে মজা লাগে না, এতে করে পরের কাহিনী কি হবে একটা ব্যাকুলতা থেকে যায় জানার জন্য।
এই পর্ব আবার বেশ গোলমেলে লেগেছে আমার কাছে। মেলিসা, জ্যাক , জোস ওরা যা শুনতে পাচ্ছিল এথেনাও সেরকম কিছু শুনতে পাচ্ছিল, ব্যাপারটা বেশ অদ্ভুত। মনের সংযোগ কিভাবে সম্ভব? এথেনা যে মহিলার সাথে কথা বলার চেষ্টা করেছে সামনে হয়তো তার ভাগ্যে খারাপ কিছু ঘটতে যাচ্ছে । সামনের পর্বে তা বোঝা যাবে। এদিকে পারভীন অযাচিত মেসেজ পেয়ে ফোনটা আছাড় দিয়ে ভেঙ্গে ফেলেছে । আবার একজন নকল মেজরের সন্ধান পাওয়া গেছে। দেখা যাক সামনে কি হয়।
দোয়া রইল পুরো পরিবারের জন্য 🥀
এখানে বিষয়টা হয়েছে যে এথেনা যে মা হতে চলেছে, এখন এই বেবিটা জোশ এর আর যেহেতু এটা হয়েছে জোশ এর ফিরে আসার পরে। ফলে এথেনার এই সংযোগ হওয়ার বিষয়টা তার প্রেগন্যান্ট হওয়ার সাথে সম্পর্কিত, আর এই ধারণাটা তাদের নিজেরই।
টিভি সিরিজ রিভিউ: ম্যানিফেস্ট - ফলস হরাইজন ( তৃতীয় পর্ব-সিজন ২) আজ আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। দাদা এই ধরনের টিভি সিরিজ রিভিউ গুলো বিশাল বড় কাহিনীর হয়ে থাকে। তাই সবগুলো পর্ব না দেখলে মজা বুঝা যায় না। দাদা এখানে কাহিনীতে দেখতে পাচ্ছি পারভীন যাকে ভালবাসত সে ওই হাসপাতালেই কাজ করতো। আর সেখানে কি ঘটেছিল পারভিন ভিডিও ফুটেজ না দেখলে ক্লিয়ার হতো না। রহস্য যেন বেড়েই চলেছে।
আগের পর্বে TJ' নামক লোকটি নতুন উদয় হয়েছিল দেখেছিলাম।পারভীন রেগে গিয়ে ফোন ভাঙার বিষয়টি বুঝলাম দাদা।কিন্তু জ্যাক যেটা একেছিল প্লেন ক্র্যাশ হয়ে পিছনের অংশটা ভেঙে যায় আর জেক সেই হাওয়ায় প্লেন থেকে ছিটকে পড়ে যায় এটা কি সত্যিই ঘটেছিল?
এখানে বেশি রহস্যময় লেগেছে আমার কাছে।জেক মুক্তি পেয়েছেজেল থেকে এটা জেনে ভালো লাগলো।সুন্দর রিভিউ করেছেন দাদা,পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।ধন্যবাদ আপনাকে।