টিভি সিরিজ রিভিউ: ম্যানিফেস্ট - আনক্লেইমড ব্যাগেজ( পর্ব ৪-সিজন ১)
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে টিভি সিরিজ "ম্যানিফেস্ট" এর সিজন ১ এর চতুর্থ পর্ব রিভিউ শেয়ার করে নেবো। আজকের চতুর্থ পর্বের নাম হলো "আনক্লেইমড ব্যাগেজ"। আগের পর্বে পারভীন কেলির এমআরআই করে দেখেছিলো যে একটা স্ট্রোক যেটাকে ইস্কেমিক টাইপ এর বলে এবং এটা একপ্রকার রক্ত প্রবাহ হ্রাস পেলে ঘটে এবং অনেক সময় মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয় জীবন আর ওখানেই কাহিনী ইন্ড করে এই ফলাফলের ভিত্তিতে। আজকের পর্বে কি হয় দেখা যাক।
❂কিছু গুরুত্ত্বপূর্ণ তথ্য:❂
❦মূল কাহিনী:❦
এই কাহিনীর শুরুতে দেখা যায় যে অফিসার ড্যারিল ৫ বছরের গায়েব হয়ে যাওয়া সেই প্লেনের যাত্রীদের মধ্যে ১৯ জনকে সন্দেহের তালিকায় নিয়ে এসেছে। তার ধারণা যে প্লেন গায়েব এর ঘটনার সাথে ১৯ জনের কানেক্শন আছে। ড্যারিল একজন পুলিশ অফিসার আবার এদিকে মেলিসাও একজন অফিসার তাও তাকে সন্দেহ করছে। ড্যারিল আর মেলিসা সহ তাদের ডিপার্টমেন্ট এর সাথে একটা রাগারাগি বা মতবিরোধ রয়েছে। যাইহোক এখানে এও ওর মতো করে ইনভেস্টিগেশন করছে আর ওরাও ওদের মতো করে ইনভেস্টিগেশন করছে। তবে মেলিসা আর রামিরেজ এর সাথে এখানে একজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে জোশ ,কারণ সে সব কেসের বিষয়ে মেলিসাকে সাহায্য করছে। যাইহোক এখানে এখন সেই ডাক্তার পারভীন ফ্লাইট ধরে এক জায়গায় যায় এবং অন্য একজন ডক্টরের সাথে ব্রেনের কিছু সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে লাগে। এদিকে পারভীন এর নিজের মধ্যে একটা হ্যালুসিনেশন এর প্রব্লেম হচ্ছে, সামনে যা নেই সে সেই জিনিসটাকে মাঝে মাঝে দেখছে আবার উধাও হয়ে যাচ্ছে। তবে এখানে ফ্লাইট এর একজন কেবিন ক্রু বেথানি নামক মহিলার উপর কিছুটা সন্দেহের দৃষ্টি পড়ে কারণ সে প্লেনের ভিতরে লুকিয়ে কিছু একটা পাল্টাপাল্টি করছিলো আর এটা পারভীন জোশকে বলে। এদিকে মেলিসা আর রামিরেজ সহ আরো অফিসারকে তাদের হেড কিছু ফটো দেখায় আর তাদের বিরুদ্ধে কারবাই শুরু করতে বলে, যদিও এই কাজের জন্য মেলিসা আর রামিরেজকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে ধরা হয়। এরপর তারা দুইজন গিয়ে একজনের পিছু করতে লাগে।
মেলিসা এবং রামিরেজ একজনকে পিছু করতে করতে কিছু সন্ত্রাসীর আড্ডাখানার সামনে গিয়ে দাঁড়ায় এবং সেখানে মেলিসা কফি খেতে চাইলে রামিরেজ কফি আনতে যায়। কিন্তু সে ভুল করে ফোনটা গাড়িতে ফেলে যায় আর সে যাওয়ার পরে কে একজন এসএমস পাঠায় যেটা দেখে মেলিসা ভীষণ রেগে যায় রামিরেজ এর উপর। এখানে পারভীন এর সাথেও যে হ্যালুসিনেশন হচ্ছিলো সেটা মেলিসার সাথেও হতে লাগে ওই মুহূর্তে, সেও সামনে একজনকে দেখতে পাচ্ছে যে বলতে লাগছে "সেভ হিম"। এরপর ইনফরমেশন পেতেই তারা দুইজন আড্ডাখানায় ঢোকে আর সন্ত্রাসীগুলোকে গ্রেফতার করে নেয়। এদিকে জোস আর এথেনা একটা বিপদের মধ্যে পড়ে যায় সেটা হলো ওই ৫ বছরের মধ্যে এথেনা ঘরের বিষয়ে লোন নিয়েছিল এবং সেই সাথে জোশ এর একটা ডেথ ইন্সুরেন্সও করেছিল। এখন হঠাৎ করে একটা চিঠি আসে সেই লোনের টাকা পরিশোধ করার কিন্তু সেই লোন বেড়ে হাফ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছিয়েছে। এই বিষয়টা জোশকে জানালে জোশ এই টাকা পরিশোধ করার একটা পরিকল্পনা বের করতে লাগে। জোশ একটা ছোটোখাটো বিসনেস চালু করতে চায় যেটা দিয়ে এই লোন শোধ করতে পারবে এবং তার একটা রোড ম্যাপও তৈরি করে ফেলে প্ল্যান করে। এদিকে পারভীন যে বেথানি নামক সেই কেবিন ক্রু এর উপর সন্দেহ করেছিল যে সে কিছু একটা করেছে তাই পারভীন বেথানির বাড়িতে চলে যায় এবং কি করেছিল সেইটা জানতে চায়। ওইদিন আসলে ফ্লাইটে একজনের কাছে কিছু টাকা আর একটা কিছু দিয়েছিলো যেটা পুলিশের নজর থেকে লুকাতে চাচ্ছিলো , ফলে ওর নিচে দিয়ে একটা দরজা আছে যেটা দিয়ে লাফ দিয়ে সেই লোকটা বেরিয়ে যায়।
পারভীন বেথানিকে সব খুলে বলে পরে এবং পারভীন পরে হসপিটালে যায় আর তার সিনিয়রের সাথে কিছু কথা বলার পরে বেথানি দেখা করে এবং জিজ্ঞাসা করে কি সমস্যা। এখানে সব বিষয়গুলো শোনা এবং জানার পরে পারভীনের কাছে বড়ো সমস্যা বলে মনে হয়। এদিকে এথেনা জোশ এর বিজিনেস প্ল্যান দেখে ভীষণ খুশি হয় কিন্তু তাদের মেয়ে লুনার একটা ফোন আছে হঠাৎ করে এবং তার কথা শুনে আপসেট মনে হয় ভীষণ। লুনা পার্লারে গিয়েছিলো এবং সেখানে তার কাজ হয়ে যাওয়ার পরে যখন ফিরে আসছিলো তখন ভিতরে একজন তাকে ডেকে নিয়ে যায় আর পরে ড্যানিয়েল নামক লোককে লুনা ফোন করে ডেকে আনে এবং পরে তার বাবা জোশ সেই পার্লারে গিয়ে ওখানকার লোকদের কাছে জিজ্ঞাসা করে লুনা কোথায় তখন ওরা বলে সে তো চলে গেছে এবং পরে তার মেয়ে পিছন থেকে ডাক দেয়। ওখানে আসলে কিছু একটা সমস্যা হয়েছিল যেটা সে গোপন করতে চাইছে বা বলতে চাইছে না। তারপরে ঘরে আসার পরে মেয়ের কাছে ভালোবেসে জিজ্ঞাসা করে এবং সে পরে কান্নাকাটি করতে লাগে নিজের ভুলের জন্য। এদিকে মেলিসা আর রামিরেজ ইনভেস্টিগেশন থেকে ফিরে আসলে তাদের সিনিওয়র রামিরেজকে বকাঝকা করতে লাগে ঠিকমতো ইনভেস্টিগেশন না করার জন্য এবং তাকে সাসপেন্ডেড করে দেয়। যদিও এটা রামিরেজ এর কোনো ভুল ছিল না, আসলে মেলিসাকে রক্ষা করতে গিয়ে সমস্যাটা হয়েছিল।
বেথানি আর পারভীন পরে যখন হসপিটালে যায় তখন বেথানির ছেলে থোমাস সেখান থেকে পালিয়ে যায়। কারণ ওই যে আগে বলেছিলাম যে প্লেনে একটা ঘটনায় এদের সন্দেহ করেছিল। আর পুলিশ অফিসার একজন ড্যারিল এদের উপর কড়া নজরে রেখেছে, সর্বক্ষণ প্রায় নজরদারিতে রাখছে। তো বেথানি আর পারভীন দুইজন গিয়েছিলো ডক্টরের সাথে পরামর্শ করে রিলিজ করতে কিন্তু তারা সেখানে গিয়ে দেখে সে নেই আর অফিসার ড্যারিল তাদের হন্যে হয়ে খোঁজার জন্য উঠে পড়ে লাগে। পারভীন আর বেথানি যখন হসপিটালের বাইরে চলে যায় তখন সেখানে মেলিসাও এসে হাজির হয় পারভীন এর সাথে কিছু বিষয় আলোচনা করার জন্য। কিন্তু তারা ব্যস্ত থাকে আর মেলিসার গাড়িতে করে থোমাসকে খুঁজতে লাগে আর সেই বিষয় নিয়েও আলোচনা করতে লাগে। তখন দেখা যায় যে পারভীন আর মেলিসা দুইজনের সাথেই একই ঘটনা ঘটছে। তারপর তারা দেখে থোমাস একটা স্ট্যাচুর পাশে বসে আছে ভয়ে। মূলত সে ওই ৫ বছরের ঘটনা নিয়ে ভীষণ আতঙ্কে যেন দেখে মনে হয়, তখন তারা বলে আমরা সবাই জীবন থেকে ৫ বছর হারিয়ে ফেলেছি। এরপর থোমাসকে নিয়ে তারা ৩ জন একটা নিরাপদ জায়গায় যায় আর সেখানে থোমাসকে রাখে কারণ বাইরে থাকা মানে তার জন্য বিপদ।
❦ব্যক্তিগত মতামত:❦
এখানে প্রথমে যে পারভীন প্লেনে করে এক জায়গায় যাচ্ছিলো এইটা আসলে প্রথমে সেই ৮২৮ নম্বর প্লেনের কাহিনী। এখানে পারভীন বেথিনাকে দেখে ফেলেছিলো কিছু একটা করতে তার ছেলে থোমাস এর সাথে। সম্ভবত কিছু একটা ডিভাইস তার হাতে দিয়েছিলো এবং তাকে বলেছিলো সময় মতো এখান দিয়ে লাফ দিতে এবং সে প্যারাসুট দিয়েও লাফ দিয়েছিলোও পরে। প্রথম থেকেই সে ঘাবড়িয়ে ছিল। এরপর সেও ৫ বছর হসপিটালে পড়ে ছিল জ্ঞানহীনভাবে। মূলত এই বিষয়গুলো পারভীন বেথিনা এর বাড়িতে গিয়ে তার মুখ থেকে সবকিছু শুনতে পারে। এরপর পারভীনও তার সাথ দেয়, কারণ মূলত সে কারো ক্ষতির জন্য কিছু করিনি কিন্তু কিছু একটা কারণে এইটা করেছিল এখনো বোঝা যায়নি, হয়তো সামনের পর্বগুলোতে ভালো বোঝা যাবে। তবে যতজন যাত্রী ছিল তার মধ্যে ড্যারিল ১৯ জনকে বাছাই করে সন্দেহের চোখে রেখেছে ফলে এই থোমাসকে খুঁজে বের করে যাত্রীদের লিস্ট থেকে যারা ওই ফ্লাইট এর প্যাসেঞ্জার লিস্টে ছিল। যাইহোক এদিকে একমাত্র পারভীন আর মেলিসার হ্যালুসিনেশন হচ্ছিলো যে একটা তাদের সামনে পাথরের স্ট্যাচু মতো হাজির হচ্ছে। আর পারভীন পায়ের ছাপও দেখতে পায় হসপিটালের ভিতরে।
❦ব্যক্তিগত রেটিং:❦
৭.৯/১০
❦ট্রেইলার লিঙ্ক:❦
টিভি সিরিজ রিভিউ এর এই চতুর্থ পর্ব পড়ে অনেক ভালো লাগলো দাদা। এই পর্বে আরো অনেক কিছু জানতে পারলাম। টিভি সিরিজ গুলো পড়তে যেমন ভালো লাগে তেমনি বেশ উপভোগ করি। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে আপনি খুব সুন্দর ভাবে ওয়েব সিরিজ বা টিভি সিরিজ রিভিউগুলো উপস্থাপন করেন। পাঁচ বছর পর যাত্রীদের ফিরে আসা অনেক আশ্চর্যের ব্যাপার ছিল। আশা করছি পরবর্তী পর্বে আরো নতুন কিছু তথ্য জানতে পারবো। ধন্যবাদ আপনাকে দাদা এই টিভি সিরিজ রিভিউ শেয়ার করার জন্য।
বেশ ইন্টারেস্টিং গল্প।৫ বছর গায়েব হওয়া প্লেনের ১৯ জন যাএীকে সন্দেহের তালিকা করছে।ড্যারিল একজন পুলিশ অফিসার হয়েও বাদ পরেননি।পারভিনের আগে হ্যালুসুলেশন হলো আবার মেলিসার হ্যালুসুলেশন হলো। কেবিন ক্রু বেথানি কি এমন পাল্টাপাল্টি করলো।যাই হোক সব মিলিয়ে বেশ ইন্টারেস্টিং গল্প। ভালো লাগলো।ধন্যবাদ
গল্পটি পড়ে অনেক কিছু বুঝতে পারছি আবার অনেক কিছু বুঝতে পারছি না। কিছু কিছু ঘটনা মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে। আজকের পর্বটি পড়ে অনেক কিছু বুঝতে পারলাম। আসলে সন্দেহের তালিকায় ১৯ জন রয়েছে। তার মধ্যে একজন পুলিশ অফিসার রয়েছে। এ বিষয়গুলো সত্যিই অদ্ভুত। তাদের জীবন থেকে সবাই পাঁচটি বছর হারিয়ে ফেলেছে, সত্যি বিষয় গুলো খুবই অদ্ভুত লাগছে আমার কাছে।বাকিটা সামনে পর্বে ভালোভাবে বুঝতে পারব অপেক্ষায় রইলাম।
দারুন তো কাহিনীটা , আমি পড়ার মাঝে আবার একটু ভিডিও টা ও দেখে নিয়েছি,আসলে এই কাহিনী পুরোপুরি বাস্তব কল্পনা কে তুলে ধরেছে , এই অব্দি অনেক প্লেন হারিয়ে গিয়েছে যেগুলোর খবর আজ অব্দি মেলেনি। খবুই রহস্য জনক
এমন টিভি সিরিজ গুলো আবার দেখা হয়নি কখনো। তাও আবার ইংরেজি।
আরে টিভিসিরিজ টির মধ্যে ভিন্নধর্মী একটি কাহিনী ফুটে উঠেছে। দেখতে দেখতে চতুর্থ পর্ব শেষ হয়ে গলো।যাই হোক পরে কি হয় তা দেখার অপেক্ষায়।
আসলে পুরো গল্পটা বেশ ধোঁয়াশায় ভরা। অনেক কিছু মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে।
এখানে সন্দেহের তালিকায় ১৯ যাত্রী রয়েছে এবং একজন পুলিশ অফিসার রয়েছে। আমার কাছে মনে হচ্ছে সম্মোহন জাতীয় কিছু ঘটেছিল প্লেনের ভেতরে। যাক অপেক্ষা করছি জানার জন্য সামনে কি হয়।
দাদা দোয়া রইল পুরো পরিবারের জন্য 🤗
ভিন্ন ধরনের একটি টিভি সিরিজ রিভিউ সকালের মাঝে তুলে ধরেছেন দাদা। গত পর্বের মতো এবারের পর্বটিও বেশ আকর্ষণীয় ছিল। পাঁচ বছর পর প্লেনের যাত্রীরা জীবিত ফিরে এসেছে এটা একেবারে অবাক করা বিষয়। হয়তো এর পিছনে অনেক রহস্য লুকিয়ে আছে। তাই তো অনেকেরই হ্যালুসিনেশন হচ্ছে। ব্যতিক্রমধরনের টিভি সিরিজ দেখতে যেমন ভালো লাগে তেমনি রিভিউ পড়তেও ভালো লাগে। দাদা এই টিভি সিরিজের মাঝে ভিন্নতা ছিল। একেবারে ভিন্ন অভিজ্ঞতার কথা আমরা জানতে পারলাম। প্রতিটি বিষয় তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা। সেইসাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো। ❤️❤️
এখানে ১৯জন প্লেনের যাত্রীকে কেন সন্দেহ করা হচ্ছে বুঝলাম না। ওরাই তো পরিস্থিতির স্বীকার। তার মধ্যে দুইজন পুলিশ অফিসার। আবার কেবিন ক্রু বেথানি কি ওলটপালট করছে? পারভীনের পাশাপাশি মেলিসার হ্যালুসিনেশন শুরু হলো। জোস আর এথেনা হাফ মিলিয়ন ডলারের লোন শোধ করতে পারবে তো। আজকের পর্বটি বেশ জটিল ছিল। সবার পাঁচ বছরে একটা এলোমেলো অবস্থা হয়ে গিয়েছে। তারপরও দাদা আপনি খুব চমৎকার ভাবে পর্বগুলো উপস্থাপন করছেন। শেষ পর্যন্ত এই রহস্যের সমাধান হয়ে যাবে এবং তখন সমস্ত বিষয়ও পরিষ্কার হয়ে যাবে। খুব ভালো লাগছে সিরিজটি পড়তে।
ড্যারিল এর সন্দেহ যে এই ১৯ জনের মধ্যে হয়তো কেউ এই প্লেনটি গায়েব করার পিছনে ছিল । ড্যারিল বিশেষ করে থোমাসকে বেশি সন্দেহের নজরে রেখেছে। আর বেথানি এখানে উলটপালট বলতে প্লেনে উড়ন্ত অবস্থায় যখন অন্য রুমে গিয়ে তার ছেলে থোমাসকে একটা ডিভাইস দিয়ে বলেছিলো কোনো সমস্যা হলে এখান থেকে পালাতে। কিন্তু মূল বিষয়টা আসলে বেথানিই জানতো তাই পারভীন বেথানিকে সন্দেহ করেছিল ওকে প্লেনের ভিতরে ওইসব দেখে। পরে পারভীন বিষয়টা ক্লিয়ার হওয়ার জন্য তার বাড়িতে গিয়েছিলো এবং বেথানি তাকে সব খুলে বললে সন্দেহ দূর হয়।
ধন্যবাদ দাদা আবারো সুন্দর করে বুঝিয়ে দেয়ার জন্য। এখন বিষয়টি অনেক পরিস্কার হয়েছে আমার কাছে।
বেথিনা ঘাবড়ে থাকা সত্ত্বেও অনেক বড় একটি ঝুঁকি নিয়েছিল।ফলে সে 5 বছর জ্ঞানহীনভাবে হসপিটালে ছিল সেক্ষেত্রে সে কুমায় চলে গিয়েছিল বলা যায়।তার কাছে কিসের ডিভাইস ছিল এটি রহস্যের জটলা সৃষ্টি করেছে।পারভীন আর মেলিসার হ্যালুসিনেশন দুইজনেরই হচ্ছিলো ফলে তাদের সামনে পাথরের স্ট্যাচু ও কিসের ছিল এটাও চিন্তার বিষয়।গল্পের পরের পর্ব পড়েই জানতে পারবো আশা করি।অপেক্ষায় রইলাম,খুবই সুন্দর ও সাজিয়ে গুছিয়ে রিভিউ দিয়েছেন, ভালো লাগলো পড়ে।ভালো থাকবেন দাদা,ধন্যবাদ আপনাকে।