মহাসপ্তমীতে কলকাতায় ঘোরাঘুরি -পর্ব ২ ( শেষ )
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
গত প্রথম পর্বে সাউথ কলকাতার এক ডালিয়া আর সিংহি পার্কের কিছু ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। আজকে দ্বিতীয় পর্ব অর্থাৎ শেষ পর্বে তিনটি স্থানের ছবি শেয়ার করবো। বেশি একটা দেখা হয়নি, একদিনই গিয়েছিলাম আর এই টোটাল পাঁচটা দেখতে দেখতে রাত দেড়টা বেজে গিয়েছিলো আর পরে ট্রেন পাবো না বলে চলে এসেছিলাম। তবে চলে আসলেও কোনো লাভ হয়নি, আসতে আসতে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিলাম রাত ১২ টার পরে। সেই রাত তিনটার দিকে ট্রেন, ফলে আসাটাও বেকার হয়েছিল, নাহলে এই সময়ের মধ্যে আরো ২-৩ টা প্রতিমা + প্যান্ডেল দেখা হয়ে যেত। কিন্তু এতো পথ এসে আবার ফিরে যাওয়াওটাও সম্ভব ছিল না। যাইহোক পরে স্টেশনে বসেই সময়টা পার করে বাড়ি আসতে আসতে ভোর হয়ে গেছিলো।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
এইবার কিছু স্থানের প্রতিমা আর প্যান্ডেলের ছবি শেয়ার করবো। তো সিংহি পার্কের পরে গিয়েছিলাম হিন্দুস্থান ক্লাবের প্রতিমা আর প্যান্ডেল দেখতে। এটা গড়িয়াহাট এর ওখানে অবস্থিত। এই ক্লাবের সম্মুখের লাইটিং এর থিমগুলো ছিল মনমুগ্ধকর। একে একে সমস্ত গেট লাইটিং দিয়ে এমনভাবে সাজিয়েছে যে মনে হবে ওখানেই দাঁড়িয়ে শুধু লাইটিং এর ঝলক দেখি। লাইটিংগুলো যখন ভিডিও আকারে দেখা হবে তখন দেখতে আরো ভালো লাগবে। এই হিন্দুস্থান ক্লাবের সম্মুখ থেকে যতদূর এক টানা এই লাইটিংগুলো করা আছে তার একটা ভিডিও ক্লিপ সব শেষে দিয়ে দেব।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
এইসব লাইটিং দেখলে আর চোখ সরানো যায় না। কলকাতার প্রত্যেকটি প্রতিমা আর প্যান্ডেল দেখতে গেলে অনেকগুলো লাইটিংয়ে সজ্জিত গেট অতিক্রম করে দেখতে হয়। আর লাইটিংগুলোও এতো সুন্দর থাকে যে এইসব দেখতে লাগলে আর বোরিং ফিলটাও হবে না, বরং মনে হবে এখানে আরো কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে থাকি। যাইহোক অনেকগুলো লাইটিং দেখতে দেখতে মণ্ডপের কাছাকাছি চলে গেছিলাম আর মণ্ডপে ঢোকার আগে বিষয়টা তারা এমনভাবে উপস্থাপন করেছে সবার সামনে যেটা একটা স্মরণীয় বিষয় হয়ে থাকবে।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
এখানে মন্ডপে যাওয়ার আগে যেন একটা ফাঁসির মঞ্চ সাজানো হয়েছে অর্থাৎ এখানে তারা যেটা দেখিয়েছে সেটা হলো দেশকে ইংরেজদের হাত থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য যত জন মহান ব্যক্তি বিভিন্ন ভাবে লড়াই করেছিল বা রুখে দাঁড়িয়েছিল তাদেরকে পরে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। তাই এখানেও তারাও সেই বিষয়টা তুলে ধরেছে। এখানে সেইসব প্রত্যেকটি ব্যক্তির ছবি দিয়ে সাজিয়েছে আর ফাঁসির দড়ি ঝুলিয়ে বিষয়টা সেইভাবে বুঝিয়েছে।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
হিন্দুস্থান ক্লাব এর এইবারের বিষয়বস্তুগুলো সম্পূর্ণ ভিন্ন রকম ছিল। এরপর আস্তে আস্তে ভিতর দিয়ে মণ্ডপের দিকে যেতে লাগলাম , মণ্ডপটি কত সুন্দরভাবে সাজিয়েছে সেটা আসা করি আর বলার উপেক্ষা রাখে না। এইখানের প্রতিমা আর প্যান্ডেল দেখা নিয়ে প্রায় ৩০ মিনিটের উপরে লেগে গেছে। এখানে মায়ের মূর্তিটাও এমনভাবে সাজিয়েছে আর ভিতরের দিকের বিষয়গুলোও বেশ আকর্ষণীয়। যাইহোক হিন্দুস্থান ক্লাবের পর্ব এখানেই শেষ হয়ে গেছিলো।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
হিন্দুস্থান ক্লাবের পরে আমি গিয়েছিলাম ত্রিধারা ক্লাবের প্রতিমা আর প্যান্ডেল দেখতে। তবে এখানে ছিল বীভৎস ভিড়। আর তারপর এখানে লিখে দিয়ে রেখেছে প্রতিমা, প্যান্ডেলের ছবি তোলা যাবে না। এইটা লিখলে কি আর তাই হয়!এতোদূরের থেকে লোকজন এসেছে কিসের জন্য শুধু কষ্ট করে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে জায়গায় পৌঁছিয়ে গিয়ে যদি এইসব সুন্দর সুন্দর দৃশ্য ক্যামেরা বন্দি না করা যায় তাহলে আর মনে শান্তি আসে না। যাইহোক প্রথম প্রথম আমি তো ভেবেছিলাম আর হলো না, ছবিই যদি না তোলা যায় তাহলে আর লাইনে দাঁড়ালাম কেন।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
ত্রিধারাতে বাইরের থেকে অনেকটা ভিতরে প্যান্ডেল করা প্রায় ১০-১২ টা লম্বা গেট অতিক্রম করে তারপর। আর এখানে এই প্যান্ডেল দেখার জন্য এতো লোকজনের ভিড় সে না দেখলে বলা যাবে না। আমি মানে দাঁড়িয়ে ছিলাম যেন অন্যের উপর ভর দিয়ে, সামনে, পিছনে, সাইডে সব দিক দিয়ে চাপিষ্ট হয়ে ছিলাম আর তারপর এতো গরম লাগছিলো ঘেমে একাকার। তারপর তো আরো ওইসব জায়গার লোকাল কিছু বদমায়েশ টাইপ এর ছেলেপিলে থাকে যাদের তো আবার ভিড়ের মধ্যে মেয়েছেলে থাকলে ধাক্কাধাক্কির জোর বেড়ে যায় তার সাথে আশেপাশের মানুষগুলো পড়ে আরো বিপদে।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
আর এখানে কোনো গেটেই লাইটিং কিছুই করিনি যার ফলে সবাই একপ্রকার দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে যেন বোরিং ফিল করছে, আমারও লাগছিলো অসহ্য। আর এতো বীভৎস ভিড় ছিল যে সেখান থেকে পিছন ফিরে বা পাশ কাটিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার পথও নেই, ধাক্কাধাক্কি করেই যেতে হলো পুরো সময়টা। বাইরে কোনো লাইটিঙে সজ্জিত না করলেও এতো ভিড় দেখে মনে করছিলাম প্যান্ডেলের ভিতরে না কি খাজনা তৈরি করেছে যে ভিড় বেড়েই যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। এখানে প্যান্ডেলের ধারে গিয়ে পৌঁছাতেই ১ ঘন্টার উপরে লেগে গেছে, এইটা দেখার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে ভাবছিলাম আর দেখবো না এইটা দেখে, স্বাদ মিটে যাচ্ছে গরমের চাপে এই ভিড়ে।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
যাইহোক একটা দীর্ঘ সময় পরে প্যান্ডেলের ধারে কাছে গেলাম তারপর দেখলাম সবাই ফোন বের করছে ছবিও তুলছে, তাই আমিও কেন আর পকেটে ঢুকিয়ে রাখবো তাই আমিও শুরু করে দিলাম। তবে ২ টো সেকেন্ড দাঁড়িয়ে যে ছবি তুলব কোনোকিছুর উপায় নেই, ছবি তুলতে গেলে পিছন থেকে পাবলিকগুলোও গালি দিচ্ছে সবাইকে যে এদের ছবি তোলার জ্বালায় আর লাইন এগোয় না হা হা। ছবিগুলো তুলতে হচ্ছে চলতে চলতে, আর এতে ভালো করে কোনোকিছু ক্যাপচারও করা যায় না। মণ্ডপের ভিতরে গেলাম, তা আসলেই দৃশ্যটা ছিল অন্যরকম মনোমুগ্ধকর, ভিড় আর এমনি এমনি হচ্ছিলো না।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
ভিতরে লাইটিং এর স্টাইল আর মণ্ডপের ভিতরের বিষয়গুলো এমনভাবে সাজানো যে বলে বোঝানো যাবে না, ছবিতে যতটা দেখতে পাচ্ছেন দেখে নিশ্চই বুঝতে পারছেন কতটা সৌদর্যপূর্ণ প্যান্ডেলটি। তবে বিষয়গুলো আরো ভালোভাবে ক্যাপচার করা যেত যদি একটু দাঁড়িয়ে তুলতে পারতাম, যা তোলা হয়েছে সব চলন্ত অবস্থায় তোলা হয়েছে। মায়ের মূর্তিটাও ঠিকভাবে ক্যাপচার করতে পারিনি সিকিউরিটি গার্ড এর জন্য, ধারে কাছে যেতেই দিচ্ছে না যেন। তবে মূর্তিটা এক মুহূর্তের জন্য দেখে মনে হয়েছিল যেন সোনা দিয়ে তৈরি করা, ভীষণ সুন্দর লাগছিলো আমার কাছে সবকিছু এর ভিতরে। এতো লং টাইম দাঁড়িয়ে থেকে ভিতরে গিয়ে এইসব দৃশ্য দেখে আসলেই সার্থক হওয়া গিয়েছিলো।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
ত্রিধারার পরে সর্বশেষ একটা গিয়েছিলাম দেশপ্রিয় পার্ক। প্রতি বছর কলকাতায় পুজো দেখাটা এই দেশপ্রিয় পার্ক দিয়েই শুরু করতাম কিন্তু এইবার বিষয়টা একটু উল্টো হয়ে গেছে, সবার শেষে দেখা হয়েছে। যাইহোক এই দেশপ্রিয় পার্কে দেখতে গিয়ে অতটা ঝামেলা পোহাতে হয়নি, মোটামুটি ১৫-২০ মিনিটের মধ্যে দেখে কমপ্লিট করতে পেরেছিলাম। বেশি একটা ভিড় দেখিনি, এটাতে মোটামুটি আরামসে জায়গায় দাঁড়িয়ে ছবি তোলা যাচ্ছিলো।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
তবে এরা বাঁশ দিয়ে দিয়ে এমনভাবে চরকি পাকের মতো করেছে যে ঘুরে যেতে যেতে সময় লেগে যায়, দুটি গেট করা একটা ভিআইপি আরেকটা সাধারণের জন্য। দূরের থেকে প্যান্ডেলটিকে দেখে মনে হচ্ছিলো যেন আমি ভিক্টরিয়াতে চলে এসেছি, আমার কাছে এইরকমই মনে হচ্ছিলো প্যান্ডেলের কারুকার্য দেখে। যাইহোক প্যান্ডেলের ভিতরের দিকে যেতে যেতে বাইরের দিক থেকে কিছুটা ছবি তুলে নিয়েছিলাম।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
প্যান্ডেলের ভিতরের সাজসজ্জাটাও দারুন করেছে। বিষয়টা একদম রাজ্ ঘরানার মতো লাগছে দেখতে, ঝাড়বাতিটাও কত সুন্দর লাগছে। আসলেই ভিতরের দৃশ্যটা রাজ্ ঘরানার মতোই দেখতে হয়েছে। উপরে সাইডে যে পায়রা আর কাক দেখতে পাচ্ছেন দূরের থেকে দেখলে মনে হবে যেন অরিজিনাল বসে আছে। তবে এটা কিন্তু কাগজের তৈরি তবে এমনভাবে ম্যাচ করেছে যে বোঝা যাবেনা সহজে, আমি খানিক্ষন তাকিয়ে দেখার পরে বিষয়টা অনুধাবন করলাম। মায়ের মূর্তিটাও অনেক সুন্দর করেছে, দেখতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগছিলো।
এই ছিল আমার কলকাতার পুজো দেখা একদিনের জন্য। এইবার আর বেশি দেখতে পারিনি, একদিনিই গিয়েছিলাম আর বাড়িতে ঝামেলা ছিল যার জন্য আর বেরোতে পারিনি কলকাতার দিকে। পরেরবার নর্থ, সাউথ দুটোই বেশিরভাগ জায়গায় দেখানোর চেষ্টা করবো। তবে কল্যাণীর টুইন টাওয়ার দেখার খুব ইচ্ছা ছিল এই দিনেই , কাঁচ দিয়েই তৈরি করেছে পুরোটাই। ভেবেছিলাম যাবো কিন্তু সেখানে অত্যাধিক ভিড় আর সেখানে এই দেখা নিয়ে মারামারিও হয়েছে, কয়েকজনের মাথাও ফাটিয়ে দিয়েছে, তাই আর যাইনি ইচ্ছা থাকা সত্বেও।
হিন্দুস্থান ক্লাবের একটা সৌন্দর্যপূর্ণ লাইটিং এর ভিডিও ক্লিপ নিচে দেওয়া হলো--
All photos What3words location: https://w3w.co/cloth.century.entitles
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
ক্যামেরা | রেডমি নোট ৭ |
---|---|
ক্যাটাগরি | ফোটোগ্রাফি |
লোকেশন | সাউথ কলকাতা, ইন্ডিয়া |
তারিখ | ০২.১০.২০২২ |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
দাদা প্রথম পর্বে আপনি সাউথ কলকাতার এক ডালিয়া আর সিংহি পার্কের অসাধারন কিছু ছবি আমাদের সাথে শেয়ার করেছিলেন। তবে মহাসপ্তমীর এই শেষ পর্বে আরো অনেকগুলো ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। যে ফটোগ্রাফি গুলো দেখে চোখ ঝলসে যাচ্ছিল, তার সৌন্দর্য।প্রতিটি পূজা মণ্ডপে ছবিগুলো অসাধারণ হয়েছে এবং লাইটিং গুলোর কথা কি আর বলব।প্রতিটি ফটোগ্রাফি মুগ্ধ হয়ে দেখলাম।অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্য এত চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করে, আমাদেরকে দেখার সুযোগ করে দেয়ার জন্য,,অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
♥♥
দাদা মহাসপ্তমীর দ্বিতীয় পর্বের ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। সত্যি অসাধারণ ফটোগ্রাফি করেছেন। এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। বিশেষ করে লাইটিংয়ের ডেকোরেশন সুন্দর চোখ ধাঁধানো ছিল। আপনি প্যান্ডলয়ে কাছে পৌঁছাতে পৌঁছাতে একঘন্টা সময় লেগেছে। তারপরে গরমের অবস্থা খারাপ সত্যিই এত সুন্দর এবং মানুষের মধ্যে আপনি অনেক সুন্দর সময় পার করেছেন। গরমে ঘেমে গেছেন কষ্ট হয়েছে তারপরে ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে। এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ট্রেন যেহেতু দেরি ছিলো ওই ফাঁকে স্টেশনের আশেপাশে দুই একটা প্যান্ডেল ঘুরে দেখতে পারতেন। হিন্দুস্তান ক্লাবের লাইটিং গুলো আসলেই অসাধারণ।ফাঁসির দড়ির থিমটা খুব ভালো লেগেছে। একটু অন্য রকম চিন্তা ধারা। ছবি তুলতে বারণ করেছে যাতে সময় একটু কম লাগে। কিন্তু বাঙালি বলে কথা। যেটা নিষেধ করবে সেটা তো বেশি করে করতেই হবে। অবশ্য আপনি ছবি না তুললে কি আর সুন্দর ছবি দেখতে পেতাম।দেশপ্রিয় পার্কের প্যান্ডেলটা অনেকটা রাজার বাড়ির মত লাগছে দেখতে। কল্যানিতে না গিয়ে ভালো করেছেন। যেখানে পুজো দেখা নিয়ে মাথা ফাটা ফাটি হয়েছে সেখানে না জানি কত ভিড়। আর ভিডিওটিতে লাইটিং অসাধারণ লাগছে। সামনা সামনি না জানি কত সুন্দর ছিলো।
দাদা অবশেষে আপনি এত এত থিমস শেয়ার করেছেন, যতই দেখেছি ততই অবাক হয়েচ্ছি। এক একটা পূজা মন্ডপ তৈরি করতে মনে হয় কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। তবে মহা সপ্তমীর দিন আপনি যে অনেক বেশি ঘোরাঘুরি করেছেন তা বুঝতেই পারছি। আমাদের সাথে মহা সপ্তমীর এতগুলো ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য আপনার প্রতি রইল ভালোবাসা অবিরাম দাদা।
কাঁচ দিয়ে তৈরি টুইন টাওয়ারের কথা শুনেই দেখার প্রতি আগ্রহ তৈরি হলো দাদা। হয়তো আপনি যদি সেখানে যেতেন তাহলে আমরাও ফটোগ্রাফির মাধ্যমে সেই সৌন্দর্য দেখতে পেতাম। যাই হোক হয়তো সময় স্বল্পতার কারণে সেখানে যাওয়া হয়ে ওঠেনি। হিন্দুস্থান ক্লাবের লাইটিং গুলো সত্যিই অসাধারণ ছিল দাদা। আমি তো প্রথমে ভেবেছিলাম কোন কারুকার্য করা। এরপর যখন ভিডিওগ্রাফিটি ভালো করে দেখলাম তখন বুঝতে পারলাম সম্পূর্ণ কারুকার্যের ভিতরে লাইটিং করা। সব মিলিয়ে অসাধারণ ছিল দাদা। এছাড়া অন্যান্য ফটোগ্রাফি গুলো দেখেও অনেক ভালো লাগলো। প্রত্যেকটি প্যান্ডেল যেন একেবারে আলোয় আলোয় ভরা। দেখতে দেখতে পুজো শেষ হয়ে গেল। আশা করছি এরপরের পুজোয় আমরা নতুন নতুন প্রতিমার সৌন্দর্য দেখার সুযোগ পাবো। ট্রেন মিস করার কারণে হয়তো আপনাকে অনেকটা কষ্ট করতে হয়েছে। যাই হোক দাদা তবে বাকি সময়টা বেশ উপভোগ করেছেন এটা বুঝতেই পারছি।
মহা সমাপ্তিতে কলকাতার অপরূপ সৌন্দর্যময় জায়গায় ভ্রমণ করেছেন এবং খুবই সুন্দর সুন্দর প্যান্ডেলের ফটোগ্রাফি দিয়েছেন। লাইটিং গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। এত সুন্দর ভাবে ডেকোরেশন করেছে যা ছিল অসাধারন। আমার খুবই ভালো লেগেছে দাদা। এত সুন্দর সুন্দর ফটো শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
এত চমৎকার সব পূজোর আয়োজন ছেড়ে কেউ রাতে বাড়ি ফিরতে চায়! সেজন্যই ট্রেন মিস হয়ে গেছে 🤪। স্টেশনে বসে সময় কাটানোর বদলে পূজোর প্যান্ডেল ঘুরলেও অনেক শান্তি পাওয়া যেত। আর আমি তো ছবি দেখে রীতিমতো আফসোস করে মরছি,, এত অসাধারণ ডেকোরেশন হতে পারে ভাবতেই পারছিনা। সত্যি বলছি দাদা প্রতিটা পূজার প্যান্ডেলের লাইটিং মন ছুয়ে গেছে। মা যেন খুব তাড়াতাড়ি সামনাসামনি এরকম আয়োজন দেখার সুযোগ করে দেন এটাই প্রার্থনা করি।
সাউথ কলকাতার দেশপ্রিয় পার্ক এবং ত্রিধারা সম্মিলনী ক্লাবের পুজো প্যান্ডেল দেখতে আমি নিজেও গেছিলাম। দেশপ্রিয় পার্কে গিয়ে খুব একটা ভিড়ের সম্মুখীন না হলেও ত্রিধারা সম্মিলনী ক্লাবের পুজো প্যান্ডেল দেখতে গিয়ে অনেকটা ভিড়ের সম্মুখীন হতে হয়েছিল আমাকে। ত্রিধারা পুজো প্যান্ডেলের থিমটি জাস্ট অসাধারণ ছিল । আমিও আজকে ত্রিধারা সম্মিলনী ক্লাব থেকে তুলে নিয়ে আসা ফটোগ্রাফি এবং সে সম্পর্কে বর্ণনা শেয়ার করেছি সবার সাথে আমার আজকের পোস্টে ।
দাদা,আমরাও কল্যাণীতে টুইন টাওয়ার দেখতে যায়নি।সত্যিই খুবই মারপিট হয়ে রক্তাক্ত অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল সেখানে।আমি শুনলাম শেষমেষ সেখানে নাকি প্যান্ডেল দেখাই বন্ধ করে দিয়েছে।রাত 12 টার পর ট্রেন চলাচল বন্ধ কেন পূজার সময় দাদা!আমি জানতাম সারারাত ট্রেন চলাচল করে, যাইহোক আপনি আরো কয়েকটি প্রতিমা দর্শন করে আসতে পারতেন অত পরে ট্রেন জানলে।ভিড়ের মধ্যে সবসময় কিছু বদমায়েশ থাকে।ছবি তোলা মুশকিল হলেও আপনি দারুণ ছবি তুলেছেন, সোনার প্রতিমা ও কাগজ দিয়ে তৈরি প্রতিমা অপূর্ব সুন্দর হয়েছে।বোঝায় যাচ্ছে না কাগজ দিয়ে তৈরি, ধন্যবাদ দাদা।
দাদা পূজো দেখতে গিয়ে বেশ কষ্ট করেছেন, সেই ভোর রাতে ট্রেনে করে বাড়ি ফিরেছেন। সত্যিই দাদার ধৈর্য আছে বলতে হবে।
হিন্দুস্তান ক্লাবের আলোকসজ্জা থেকে কিছুতেই চোখ সরানোর উপায় নেই। আমি তো ভিডিওটা বেশ কয়েকবার দেখলাম। আর ত্রিধারাতে সাজগোজ আর প্রতিমা ভালোই লেগেছে। ইস ঐ কাঁচের সাজসজ্জা যদি দেখতে পেতাম। আপনি বলেছিলেন সেখানে মারামারি হয়েছে, থাক বাবা ঝামেলায় যাননি ভালোই হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা এতো কষ্ট করে আমাদের এই চমৎকার ছবিগুলো আর চমৎকার সব প্রতিমা দেখানোর জন্য।
দোয়া রইল পুরো পরিবারের জন্য 🥀