কালো জিরা দিয়ে পেঁপে ভাজি রেসিপি
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে একটা রেসিপি শেয়ার করে নেবো। গতকাল পোস্ট করবো করবো করে আর করার সময় করে উঠতে পারিনি, সকালে উঠে ভাবলাম করবো তার মধ্যে পড়ে গেলো এক কাজ আবার ভাবলাম সন্ধ্যার দিকে বসে করবো তার মধ্যে আবার বাইরে যেতে হলো একটা কাজের জন্য। আমার আবার একটা সমস্যা কি বাইরে গেলে আর একটু দেরি হয়ে গেলে বাড়ি এসে আর লিখতে ভালো লাগে না, তার উপর তো আরো আছে কাজবাজ। যাইহোক আজকে যে রেসিপিটা শেয়ার করবো সেটা হলো পেঁপে ভাজি। এই রেসিপিটা গতকাল রাত ১১ টার দিকে করে রেখেছিলাম সকালে টাইম পাবো না বলে। আর এমনিতেই আমার কোনো সময় বলে কিছুই নেই, যখন যা মনে ওঠে তাই করে ফেলি সে রাতে হোক আর দিনে হোক। তাই রাতে একদিকে কাজ করলাম আরেকদিকে রান্না চাপালাম হা হা। পেঁপে ভাজি আগে অনেকবার খেয়েছি তবে পাঁচফোড়ন দিয়েই খেয়েছি, কালো জিরা আমি তেমন একটা ব্যবহার করিনা। তবে আজকে কালো জিরা দিয়ে করে দেখলাম কেমন লাগে। সত্যি বলতে কালো জিরা দিয়ে এই পেঁপে ভাজি খেতে খুবই ভালো লেগেছিলো, আর এমনিই পেঁপে ভাজি করলে ভালো লাগে খেতে। পেঁপে কাঁচাও খাওয়া যায় পিচ করে, তেমন কোনো কাঁচা বা কিছু মনে হয় না, যেমনটা ফল খাওয়ার মতো ঠিক তেমনটা, তবে স্বাদ তেমন কিছুই অনুভূতি হয় না, নরমালি খাওয়ার মতো খাওয়া যায়। যাইহোক পেঁপে ভাজিটি কালো জিরা আর সাথে চিংড়ি দিয়ে বেশ মজাদার হয়েছিল খেতে। যেকোনো ভাজিতে চিংড়ি যদি একটু পরিমানে বেশি দেওয়া যায় আর খাওয়ার সময় যদি চিংড়ি গালে পড়ে তাহলে স্বাদটা যেন আরো বেশি বেড়ে যায়। এখন আর বেশি কথা না বাড়িয়ে রেসিপির মূল পর্বের দিকে চলে যাবো।
ꕥপ্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:ꕥ
✦এখন ভাজি রেসিপিটা যেভাবে তৈরি করলাম---
❂প্রস্তুত প্রণালী:❂
➤চিংড়িগুলোকে প্রথমে ভালো করে পা এবং মাথার দিক থেকে সামান্য কেটে ফেলতে হবে এবং পরে জল দিয়ে কয়েকবার ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর আমি পেঁপের খোসা ছালিয়ে নিয়ে কেটে কুচি কুচি করে নিয়েছিলাম এবং পরে জল দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছিলাম।
➤পেঁয়াজ এর খোসা ছাড়িয়ে নেওয়ার পরে কেটে কুচি করে নিয়েছিলাম। এরপর কাঁচা লঙ্কাগুলো কেটে নিয়েছিলাম।
➤ধুয়ে রাখা চিংড়িগুলোতে ১ চামচ করে লবন আর হলুদ গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর হাত দিয়ে চিংড়ির গায়ে ভালো করে মাখিয়ে নিয়েছিলাম।
➤হলুদ মাখানো চিংড়িগুলোকে ভালো করে ভেজে তুলে নিয়েছিলাম। এরপর একটি প্যানে সরিষার তেল দিয়ে দিয়েছিলাম। তেলটা গরম হলে তাতে কালো জিরা দিয়ে দিয়েছিলাম।
➤কালো জিরা দেওয়ার পরে তাতে পেঁয়াজ কুচিটা দিয়ে দিয়েছিলাম। পেঁয়াজ ভালো মতো ভাজা হয়ে আসলে তাতে ধুয়ে রাখা পেঁপে সব দিয়ে দিয়েছিলাম।
➤পেঁপে দেওয়া হয়ে গেলে তাতে ভেজে রাখা চিংড়িগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর স্বাদ মতো লবন আর হলুদ দিয়ে দিয়েছিলাম।
➤লবন আর হলুদ দেওয়ার পরে তাতে কেটে রাখা কাঁচা লঙ্কাগুলো ধুয়ে দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর পেঁপের সাথে ভালো করে সব মিক্স করে নিয়েছিলাম।
➤মিক্স করার পরে কিছুক্ষন ঢেকে রেখেছিলাম পেঁপে সিদ্ধ হয়ে আসার জন্য। পেঁপে ভালো মতো সিদ্ধ হয়ে আসলে আমি ঢাকনাটা তুলে নিয়েছিলাম এবং আরো ভালোমতো ভাজা হয়ে আসার জন্য লো আঁচে রেখে কিছুক্ষন নেড়েচেড়ে দিয়েছিলাম।
➤ভাজাটা আমার সম্পূর্ণ হয়ে আসলে আঁচ নিভিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর এই পেঁপে ভাজিটি একটি পাত্রে তুলে নিয়েছিলাম পরিবেশন করার জন্য।
রেসিপি বাই, @winkles
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আসলে দাদা আপনি গতকাল ব্যস্ততার কারণে পোস্ট করতে পারেননি। আমি আপনার পোস্ট চেক করলাম দেখি পোস্ট করেছেন কিনা। তা দেখলাম পোস্ট করেননি। অনেক ব্যস্ততার কারণে পোস্ট করতে পারেননি। তবে আজকে আপনি খুবই মজাদার রেসিপি পোস্ট করেছেন। চিংড়ি মাছের সাথে পেঁপে ভাজি তারপর কালোজিরা দেখে মনে হচ্ছে খুবি সুস্বাদু হয়েছে। আসলে পেঁপে এমনিতেই আমার খুবই পছন্দ। কাঁচা পেঁপে আমি পিস পিস করে কেটে কাঁচা মরিচ ও সরিষার তেল দিয়ে বানিয়ে খেতে খুব পছন্দ করি।ভাজিও অনেক মজাদার হয় খেতে। আজকে আপনার কালেজিরা দিয়ে এই মজাদার সুস্বাদু রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে। আপনার রেসিপি পরিবেশন দেখর শিখে নিলাম পরবর্তীতে তৈরি করবো। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
দাদা আপনি হচ্ছেন একজন মহা ব্যস্ত মানুষ। বৌদি যখন ঘরে আসবে তখন সব ব্যস্ততা কেটে যাবে😃। কালোজিরা হচ্ছে সর্ব রোগের ঔষধ। বিভিন্ন রেসিপিতে কালোজিরা ব্যবহার করা হয়। পেঁপে দিয়ে কালোজিরা কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার কাছে যেহেতু এই রেসিপি খেতে ভালো লেগেছে তাই মনে হচ্ছে খেতে ভালোই লাগবে। আর চিংড়ি মাছ দিয়ে পেঁপে ভাজি খেতে খুবই মজার হয়। চিংড়ি মাছ আমার ভীষণ প্রিয়। যেকোন রেসিপি তৈরিতে চিংড়ি মাছ দিলে খেতে আরো বেশি ভালো লাগে। এছাড়া কাঁচা পেঁপে যদি কাঁচা মরিচ, লবণ ও সরিষার তেল দিয়ে মাখিয়ে খাওয়া যায় তাহলে খেতে কিন্তু দারুন লাগে। দাদা একদিন এভাবে খেয়ে দেখবেন। কাঁচা পেঁপের সবজি খাওয়া যেমন উপকারী তেমনি ভাজি করলেও খেতে বেশ ভালো লাগে। দারুন ছিল আজকের রেসিপি।
দাদা চিংড়ি মাছ আমার অতি প্রিয় একটি মাছ। অনেকদিন চিংড়ি মাছ খাওয়া হয় না তাই আপনাদের রেসিপি দেখে যেন একটু বেশি লোভ হয়ে থাকে। খুবই চমৎকার ভাবে আপনি আজকের কাজ সম্পন্ন করেছেন। পেঁপের সাথে চিংড়ি মাছ এবং কালোজিরা! হয়তো অনেক টেস্ট হয়েছিল আপনার এই মাছের রেসিপিটা।
এটা আপনি ঠিক বলেছেন দাদা বাইরে থেকে আসার পর আর কোনকিছু করতে একদম ভালো লাগে না এটা আমার ক্ষেত্রেও সবসময়ই হয়। পেঁপে ভাজিতে আমিও কালোজিরে ফোড়ন দেই তাহলে খেতে অনেক ভালো লাগে, কিন্তু চিংড়ি মাছ দেইনা আজকে আপনার রেসিপি টি বেশ ইউনিক হয়েছে কালোজিরে ফোড়ন তার উপর সুস্বাদু চিংড়ি মাছ সবমিলিয়ে অনেক মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন দাদা। সুন্দর ইউনিক রেসিপি টি শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা।
কালোজিরা চিংড়ি দিয়ে পেপে ভাজি রেসিপি আমার কাছে একদম ইউনিক লেগেছে। পেপে আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। আর চিংড়ি মাছ দিয়ে যা রান্না করা যায় তা খেতে ভালো লাগে। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল দাদা।
দাদা, আমিও আছি আপনার মত পেঁপে ভাজি করেছি তবে আমি কালোজিরা ব্যবহার করিনি এবং চিংড়ি মাছও দেইনি। মাঝে মাঝে যে কালোজিরা দেয়া যায় এটা আমি জানতাম না। তবে এটা জানি কালোজিরা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। আর চিংড়ি মাছ ব্যবহার করার কারণে নিশ্চয়ই খেতে অনেক মজা লেগেছে। কারণ যে কোনো বাজির সাথে চিংড়ি মাছ ব্যবহার করলে এর স্বাদ অনেকগুণ বেড়ে যায়। তাতে আমিও এক সময়ে পেঁপে ভাজি করতে কালোজিরা ব্যবহার করে খেয়ে দেখব কেমন লাগে।
আমারও বাইরে কোন কাজ থাকলে সেখান থেকে এসে আর কোন কাজ করতে ভালো লাগে না। খুবই টায়ার্ড লাগে। আপনি তো তাও আবার এসে রাত এগারোটার সময় পেপে ভাজি করেছেন। তাও আবার এত সুন্দর চিংড়ি মাছ দিয়ে। এই চিংড়ি মাছগুলো যে কোন ভাজির মধ্যে দিলেই খেতে খুবই ভালো লাগে। খাওয়ার সময় মুখে পরার আগেই তো আমি বেছে বেছে খেয়ে ফেলি🙈। এত মজা লাগে। আপনিও নিশ্চয়ই রান্নার সময় কয়েক পিস খেয়ে ফেলেছেন আমার মত😛। পাঁচফোড়ন দিয়ে তেলে দিতে দেখেছি। কালোজিরা দিয়ে তেলে দিতে এই প্রথম দেখলাম। নিশ্চয়ই স্বাদটা অন্যরকম হয়েছিল । কালোজিরা তো খুবই উপকারী শরীরের জন্য। এরপর ভাজি রান্না করলে এভাবে কালোজিরা দিয়ে দেখব। খেতে নিশ্চয়ই অনেক মজা লাগবে। দেখতে তো বেশ লোভনীয় লাগছে।
আমাদের ও কখনো কালোজিরা দিয়ে পেপে ভাঁজি করা হয়নি।একদিন করে দেখতে হবে, দেখে তো বেশ মজা হয়েছেই মনে হচ্ছে।