বাংলা মুভি রিভিউ: ছোট বউ
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
আজকে আমি একটা বাংলা মুভি রিভিউ দেবো। এই মুভিটি অনেকদিনের পুরানো একটি মুভি। সম্ভবত এই মুভিটি অনেকে দেখেছেন এর আগেই। এটা একটা পারিবারিক মুভি। মুভিটি হলো ছোট বউ। এই মুভিটি অনেকবারই দেখেছি এবং আজকে আবার দেখার স্বাদ জাগলো। তাই দেখে নিলাম এবং আপনাদের সাথে সেটি শেয়ারও করতে যাচ্ছি এখন। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
☬কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:☬
⚘মূল কাহিনী:⚘
মুভির শুরুতে বাড়ির বড়ো বউয়ের হাত থেকে চায়ের কাপ পড়ে ভেঙে যায় আর এই শব্দ শুনে তার শ্বাশুড়ি রুমের থেকে বেরিয়ে এসে বলে কি যেন একটা ভাঙার শব্দ হলো বড় বউ!? তখন কাপ ভাঙা দেখে বড় বউকে গালি দেয় এবং তার ছোট ছেলেকে মারধর করে। এরপর তার শ্বাশুড়ি মেঝো বউ সহ বাড়ির সবাইকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে জড় করে এবং সবাই মিলে দোষারোপ করতে থাকে। এরপর তার শ্বশুর মশাই এসে বড় বউকে সাপোর্ট দেয়। সবাইকে সবার কথার হাসিমুখে কথার যথাযথ উত্তর দিয়ে দেয়। তারপর তার মেঝ ছেলে বাড়ির থেকে চলে যেতে চাইলে তার মাও সাথে যেতে চাইলে কর্তা তার গিন্নিকে বলে বার বার বাড়ি না পাল্টে নিজের চরিত্রটা একটু পাল্টাও। এখানে বড় বউয়ের ছোট ছেলে হিসেবে অভিনয় করছে সোহম চক্রবর্তী। যাইহোক এরপর বাড়ির বড় বউ থালা বাসন মাজা থেকে শুরু করে সবাইকে সবার কাজ করে দেয়। এরপর চলে আসে বাড়ির গিন্নির ভাই এবং আসার সাথে সাথে কর্তা একটা মজার ছলে দারুন কথা বলে দিলো অর্থাৎ বললো যে ভাই এসেছে, এইবার দুই ভাই-বোন মিলে কীর্তন শুরু করো। এরপর তার ভাই নেতাই বলে বসে আমার খিদে পেয়েছে কিন্তু বাড়িতে আর নেই ভাত, শেষ পর্যন্ত বড় বউয়ের ভাতটুকু দিয়ে দিলো। এরপর তার শ্বশুর মশাই তাকে ডাকে এবং বলে এই বাড়িতে আসার পরের থেকে সবাইকে শুধু দিয়েই গেলে নিজে কিছুই নিলে না অর্থাৎ তার যে খাওয়া কপালে জুটিনি সেটা বুঝতে পেরেছে এবং তখন কিছু বিস্কুট দিয়ে বললো আমার সামনে দাঁড়িয়ে খাও এইগুলো নইলে আবার কার কখন কিভাবে এইগুলোও দিয়ে দেবে। এরপর তার স্বশুর বাড়িতে কচু শাক রান্নার কথা শুনলে আনন্দ পায় এবং তার গিন্নিকে বলে কচু শাক ইলিশ মাছের মাথা দিয়ে রান্না করেছে কিনা, গিন্নি এই কথা শুনে একটু খোটা দিয়ে বললো নেই দুই পয়সা রোজগার আবার ইলিশ মাছ খাওয়ার ইচ্ছা হচ্ছে ওনার। এরপর তার বড় ছেলে রঞ্জিত মল্লিক এই কথা শুনে তার বাবাকে ইলিশ মাছ খাওয়ানোর জন্য ইলিশ মাছ কেনার কথা ভাবে কিন্তু তার মাসের শেষ হাতে টাকা নেই। এরপর সে চিন্তা করে অফিসে যাওয়ার টিফিন খাওয়ার খরচ বন্ধ করে টাকা বাঁচিয়ে ইলিশ কিনবে।
এরপর প্রসেনজিৎ এর সাথে দেবিকার দেখা হয় কলেজে, তারা দুজনই একই কলেজে পড়ে। প্রসেনজিৎ এবং তার বন্ধুরা সবাই প্রায় তাদের পিছনে লাগতো এবং মজা করতো। এই নিয়ে তাদের মধ্যে একটু কথা কাটাকাটি শুরু হয় এবং এরপর মাঝখানে একটা সুন্দর নাচ- গান শুরু হয়। এরপর আবার বড় বউ কে মেঝ বউ এবং তার ননদ মিলে গালমন্দ করে খুব বাড়ির সবজায়গা পরিষ্কার না করার জন্য । এরপর তার স্বশুর গিন্নিকে বলে এখনতো বড় বউকে ঘরের ময়লা সাফ করতে পাঠালে কিন্তু তোমার মেঝ বউয়ের মনের ময়লা কি এতে সাফ হবে? কারণ মনে যে ময়লা জমেছে তা শত বার ঝাড় দিলেও পরিষ্কার হবে না যতক্ষণ না ঝেটিয়ে বিদায় করা হচ্ছে। এই কথা মেঝ বউ তার স্বামীকে বললে তার বাবার সাথে কথা কাটাকাটি করতে আসে এবং বলে তোমার মতো ভেড়া কে নিয়ে আমি ব্যবসায় বসবো ভাবছি। এই কথা শুনে তার বাবার উপর রিয়াক্ট করে বলে তুমি আমাকে ভেড়া বললে? তখন তার বাবা বললো ও আচ্ছা তাহলে তোমাকে পাঁঠা বললে বেশি খুশি হতে বুঝি। এরপর আবার প্রসেনজিৎ চায়ের দোকানে বসে দেবিকাকে বাড়ির ছোট বউ করে নিয়ে যাওয়ার প্ল্যান করে। এরপর প্রসেনজিৎ আর তার বন্ধুরা তাদের বাড়িতে পুজোর চাঁদা তোলার নাম করে যায় এবং গিয়ে মাথা ঘুরে পড়ার ভান করে। তখন তার বন্ধুরা বলে ডাক্তার লাগবে না, এই রোগ এক গ্লাস গরম দুধ খেলেই ঠিক হয়ে যাবে। তখন দেবিকা জিজ্ঞাসা করে দুধ কেমন করে খেলে সেরে যাবে, তখন বলে ঢকঢক করে খেলে সেরে যাবে। তখন দেবিকা দুধ বানাতে যায় এবং দুধে এক গাদা লবন ঢেলে নিয়ে যায় এবং খেয়ে অবস্থা খারাপ হয়ে যায় এক প্রকার, এরপর খেয়েই পালিয়ে চলে যায়।
এরপর রঞ্জিত মল্লিক সেই ইলিশ মাছ আনলে বড় বউ কচু শাক দিয়ে রান্না করে তার শ্বশুরের জন্য নিয়ে আসে লুকিয়ে এবং তার স্বশুর খেয়ে খুব আনন্দ পায়। এরপর খাওয়ার টেবিলে তার মামা কচু শাক আরো বেশি খাওয়ার কথা বললে বড় বউকে বলে হা করে দাঁড়িয়ে না থেকে আরেকটু কচু শাক এনে দাও, কিন্তু তখন বলে আর তো একদমই কচু শাক নেই। কি আর করার সবাই আর কিছু না বলেই খেয়ে উঠলো। এরপর প্রসেনজিৎ দেবিকাকে বিয়ে করে বাড়িতে চলে আসে এবং সবাইকে বলে বাড়ির ছোট বউকে নিয়ে এসেছি। তখন তার মা বলে আমি এই বিয়ে মানিনা তখন তার কর্তা বলে তুমি না মানলে ওর বয়েই গেছে, যার পছন্দ তার পছন্দ হলেই হবে। এরপর ছোট বউকে বাড়িতে দিয়ে প্রসেনজিৎ আবার চলে গেলো। এরপর তার মা ঘরে ঢুকে বড় বউকে বলে ছোটো বউয়ের সাথে এতো পিরিত করলে চলবে না, বাইরে থালা বাসন আছে মেজে এসো গিয়ে। তখন তার ননদ এসে বলে কি সব শাড়ি নিয়ে এসেছে, এসব শাড়ি বাড়ির ঝিও পড়ে না। তখন একটা শাড়ি পছন্দ হলে সেইটা নিয়ে যাওয়ার চিন্তা করে কিন্তু ছোট বউ সেটাকে নিতে দেইনি এবং তা নিয়ে বেশ কথা কাটাকাটি হয়ে যায়। এরপর ছোট বউ বলে যেসব শাড়ি ছুড়ে ফেলেছো সেইসব শাড়ি গুছিয়ে তারপর বিয়ে বাড়িতে যাবে। এরপর বাড়ির কর্তা ছোট বউকে ডাকে এবং ছোট বউ বলে আমি আপনার পা টিপে দেই আপনি শুয়ে পড়ুন। তখন বলে আমার পা টিপতে হবে না বরং তোমার শ্বাশুড়ির গাল দুটো টিপে দাও। এরপর পরেরদিন ছোট বউ বড় বউয়ের সাথে তাদের বিয়ের কাহিনীটা বললো। তখন শ্বাশুড়ি সকাল সকাল দুই বউয়ের উপর চিল্লায় চা দেওয়ার জন্য। এরপর ছোট বউ সবাইকে বলে যার যার কাজ সে করে নাও। এদিকে বড় বউয়ের ছেলের জ্বর হওয়ায় কারো কোনো চিন্তা নেই, সবার কাজ তাকেই করে দিতে হবে। এরপর বড় বউ অভিমান করে বলে যার বাবা অল্প টাকা দেয় তার বেঁচে থেকে লাভ নেই, আমি সবার কাজ করে দিচ্ছি। এরপর ছোট বউ ছেলেটাকে গান শুনিয়ে ঘুম পড়ানোর চেষ্টা করে। আর এদিকে একে একে সব কাজ করতে করতে বড় বউ ক্লান্ত হয়ে পড়ে একপ্রকার তাও তাকে আরো কাজ চাপিয়ে দেয় শ্বাশুড়ি।
এরপর দেবিকার অর্থাৎ ছোট বউয়ের মামা তাকে দেখতে আসলে তাকে চরমভাবে অপমান করতে থাকে বাড়ির গিন্নি। এরপর কর্তা এসে গিন্নির কথার পাল্টা জবাব দিয়ে দেয়। এরপর বড় বউ মামাকে বসে চা খাওয়ার কথা বলে কিন্তু ছোট বউ বলে যে বাড়িতে এতো অপমান সেখানে আর চা খেয়ে লাভ নেই তখন সিঁদুরের দিব্বি দিয়ে বলে তুমি আর কখনো আসবে না আমার বাড়িতে, আমি মরে গেলেও না। এরপর একটা আংটি দেওয়ার কথা বললে তার শ্বাশুড়ি সেটাকে কম দামি বলে ছুড়ে ফেলে দেয়। এরপর বড় বউয়ের ছেলে অসুস্থ অবস্থায় কান্নাকাটি করছে এবং ছোট বউ এসে বোকাবকি করতে লাগে বড় বউকে। এরপর তার ননদ এসে ঝামেলা শুরু করে আবার পুঁটি মাছ কাটা নিয়ে। এরপর বড় বউয়ের ছেলে হরলিক্স খাওয়ার কথা বললে সেই কথা ননদ শুনে ফেলে এবং সেই কথা তার মাকে গিয়ে বলে। তখন রান্না ঘরে হরলিক্স বানানোর সময় শ্বাশুড়ি আর ননদ গিয়ে হাজির এবং ছেলেটার হাতের হরলিক্স ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। এরপর শ্বাশুড়ি আর ননদ সেই হরলিক্স এর কৌটা নিয়ে ঘরে চলে আসে এবং ঘরে দুইজন ফল খেতে লাগে তখন ছোট বউ এসে বাধা দিয়ে দেয়। এরপর বলে আপনি যেমন বলে এসেছেন যার স্বামী যেমন রোজগার করবে তার ঘরে তেমন খাওয়াদাওয়া হবে, ঠিক তেমনি আপনার স্বামীতো মাত্র ১৫০ টাকা পেনশন পায় তাহলে আপনি এইসব দামি ফল না খেয়ে বাজার থেকে ২০ টাকা দিয়ে পানি ফল খাবেন। এরপর বাড়ির কর্তা তার মেয়েকে বলে আমি একটা গল্প বলে যাবো তুই একটু লিখে দিবি তখন রাজি হয়ে লিখতে বসে চুপিচুপি চলে যায় না লিখে। তখন ছোট বউ ঘরে এসে বলে বাবা আপনি কাকে গল্প বলছেন এখানেতো কেউ নেই, তখন বলে আমি অন্ধ তো তাই সবাই করুনা করে।
এরপর ছোট বউ বলে আপনি গল্প বলুন আমি লিখে দিচ্ছি। এরপর তার বড় বৌদি কে বলে বাবাতো দেখতে পান না তাই বাবাকে যদি ২০০ টাকা আর এই পত্রিকা দিয়ে বলি যে আপনার লেখা প্রকাশিত হয়েছে এবং টাকাও পাঠিয়েছে তাহলে খুব খুশি হবে। তখন তাদের শ্বাশুড়ি আর ননদ এসে বলে কোথায় ছাপিয়েছে দেখি তখন বলে এখানে শুধুতো বিজ্ঞাপন ছাপানো আছে পাতা জুড়ে। তখন তার স্বশুর খুব দুঃখ পেলো এই কথা শুনে। ছোট বউ তখন বললো আমি আপনাকে ঠোকাতে চাইনি বরং অন্যের করুনার হাত থেকে বাঁচানোর জন্য এইটা করেছিলাম কিন্তু আমি বুঝতে পারিনি এইরকম একটা কান্ড ঘটে যাবে। তখন তার স্বশুর এই কথা শুনে রাগ না করে বরং আরো আশীর্বাদ করলো তাকে। এরপর তার ননদ এর বাড়িতে একটু ঝামেলা হয় বাড়ির কোনো কাজ না করে একভাবে ওই বাড়িতে যাওয়ার জন্য। এরপর প্রসেনজিৎ এসে তার বউকে জিজ্ঞাসা করে তুমি মায়ের মুখের থেকে আপেল কেড়ে নিয়েছো এখন ক্ষমা চাও এবং সে বলে আমি কোনো অন্যায় করিনি আর ক্ষমাও চাইতে পারবো না। এরপর প্রসেনজিৎ আবারো বলে যে আমি বার বার বলছি ক্ষমা চাও নইলে আজকে আমার হাত থেকে তোমাকে কেউ বাঁচাতে পারবে না, তখন রঞ্জিত মল্লিক পিছন থেকে এসে দরজা বন্ধ করে দিয়ে মার্ শুরু করে দেয় বাড়ির ছোট বউয়ের গায়ে হাত দেওয়ার জন্য। এরপর উল্টো করে তাকে বলে তুমি আমার ভাই না, আর আমার মা তোমার মা না। তখন এই কথা বলে ওরা যার যার ঘরে চলে যায়। এরপর প্রসেনজিৎ বলে আমি এখনই একে নিয়ে বাড়ির থেকে চলে যাবো। তখন প্রসেনজিৎ তাকে নিয়ে যাওয়ার কথা বললে বলে বলে নিজে রোজগার করে বাড়ি ঠিক করবে তারপরে নিয়ে যাবে। তখন বলে ঠিক আছে কিন্তু তার মধ্যে আমি এসে যেন না শুনি যে তুমি আমার মায়ের পিছনে লেগেছো। উত্তরে দেবিকা বলে আমার পিছনে যদি লাগে তাহলে আমিও ছেড়ে কথা বলবো না, কারণ তুমি বিয়ের আগে থেকেই আমাকে চেনো যে আমার পিছনে কেউ লাগলে তাকে আমি ছাড়িনা। এই বলার পরে প্রসেনজিৎ তার মামার কাছে চলে যায় এবং তখন সব ঘটনা তাকে খুলে বললে প্রসেনজিৎ তখন বললো মা আপনাকে এতো বড়ো অপমান করেছে আর আপনি আমাকে বলেননি। তখন শুনে বড্ডো আপসোস করলো প্রসেনজিৎ। এরপর বাড়ির বড় বউ আর ছোট বউ বাড়ির অন্যদের কাজ করা বন্ধ করে দেয়। এরপর তাদের শ্বাশুড়ির দিয়ে একদিন সব কাজ করিয়ে নেয় এবং বুঝিয়ে দেয় কে আপন আর কে পর। এরপর কাজ করতে করতে কল তলায় মাথা ঘুরে পড়ে যায় এবং তখন দুই বউ তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ডাক্তার ডাকলে বলে বুকে প্রেসমেকার বসাতে হবে। চিকিৎসা করাতে ২০-২৫ হাজার টাকা লাগবে এই কথা শুনে সবাই চিন্তায় পড়ে যায় কিন্তু যাদের দেওয়ার ক্ষমতা আছে তারাই মুখ ফিরিয়ে বসে থাকে। এরপর বড় বউ ঠাকুরের কাছে গান গেয়ে প্রার্থনা করতে লাগে আর রঞ্জিত মল্লিক টাকা জোগাড়ের জন্য চেষ্টা করতে লাগে চারিদিকে এবং শেষ পর্যন্ত অফিস থেকে টাকা নিয়ে চাকরি ছেড়ে দেওয়ার চিন্তা করে। অন্তত এইসব করার পরে শেষ পর্যায়ে মায়ের জ্ঞানচক্ষু খোলে এবং বুঝতে পারে আর রঞ্জিত মল্লিক আর দুই বউকে আশীর্বাদ করে।
✔শিক্ষা:
এই মুভিতে অহংকারের দিকটা ফুটে উঠেছে। একজন মা তার নিজের ছেলে আর মেয়ের উপরে যে অহংকার নিয়ে থাকতো শেষে তারাই তাকে ফেলে দিলো। আর যাকে সৎ ছেলে ভাবতো শেষে সেই তার পাশে দাঁড়ালো। এই অহংকার শেষে তার চুরমার হয়ে গেলো এবং বড়ো শিক্ষা পেলো আর বুঝলো যাকে সারাজীবন নিন্দা করলাম সেই আমাকে আপন করে নিলো।
✔ব্যক্তিগত মতামত:
এই মুভিটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। একটা পারফেক্ট পারিবারিক মুভি। আর এইরকম কিছু কিছু পুরানো মুভি থাকে যা একবার নয় বরং বারংবার দেখতে মন চায়। অঞ্জন চৌধুরীর মুভি মানে একটা অন্যরকম আকর্ষণীয় মুভি। আমিও এইসব মুভি সময় পেলেই দেখি। আপনাদেরও বলবো এই মুভিটি দেখবেন এবং দেখে আপনারাও পরবর্তীতে আবার দেখতে চাইবেন।
✔ব্যক্তিগত রেটিং:
৭/১০
মুভির লিংক:
দাদা ছোট বউ, বড় বউ ও মেজ বউ সব গুলো ছবিই অনেকবার দেখা হয়ে গেছে। আপনার মুভি রিভিউ টা অসাধারন ছিল এবং সুন্দর করে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেছেন। শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন রইল দাদা।
এইরকম আরো বউ ভিত্তিক পারিবারিক মুভি আছে যেগুলো আমি পরবর্তীতে রিভিউ দেবো, দেখবেন খুবই ভালো মুভি সবগুলো। অঞ্জন চৌধুরীর মুভি মানেই একটা আকর্ষণীয় ব্যাপার।
মুভিটা আমিও অনেকবার দেখেছি। বিশেষ করে ছোট বউ বড় বউ ছবিগুলোতে সোহমের অভিনয় অসাধারণ ছিল। এই মুভিতে একটি বিষয় পরিষ্কার যে ছেলে সংসারে কম টাকা দেয় তাদের বউকে ভালো অত্যাচার সহ্য করতে হয়। এবং অন্যদিকে শেষ মূহুর্তে ছোট বউয়ের কাজ খুবই প্রশংসনীয়।মুভিটার রিভিউ অনেক ভালো করেছেন দাদা।
এই মুভিটা খুবই ভালো। শুধু এইটা না, এর যতগুলো পর পর সিরিজ আছে সবগুলোই ভালো। আমি প্রায় দেখি, আগেরকার পারিবারিক মুভিগুলো বেশ ইন্টারেষ্টিং আছে এবং শিক্ষণীয়। আমি এর পরেরগুলোও আস্তে আস্তে দেবো। সোহম এর ছোটবেলার অভিনয়টা দারুন হয়েছে এবং মানিয়েছেও।
👌👌👌
কথায় আছে old is Gold.
মুভি অনেক পুরানো, তারপরেও বারবার দেখতে ইচ্ছা করে। আমি বেশ কয়েকবার দেখেছি মুভিটি।বাস্তব সামাজিক চিত্র তুলে ধরা হয়েছে এতে।যাকে অপদস্ত করলো,সেও আবার পর, তাও তার পাশ্বে রইল,আর রক্তের লোকগুলো দুরে ঠেলে দিল।যাইহোক অনেক সুন্দর লেখার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
একদম ঠিক বলেছেন, আসলেই অনেক পুরানো মুভি বছরের পর বছর চলে গেলেও যেন পুরানো হয় না। সবার অভিনয় অসাধারণ। বাস্তবিক চিত্র কে সামনে রেখে তৈরি করা যেটা শিক্ষণীয়। আসলে আজকাল এটাই হয়, যে আপন সেই দূরে ঠেলে দেয় আর যে পর সেই কাছে আপন করে টেনে নেয়।
দাদা ছোট বউ, বড় বউ ও মেজ বউ সব গুলো ছবিই অনেকবার দেখা হয়ে গেছে। পরিবারকে কেন্দ্র করে ছবি গুলো করা।ছবি গুলো অনেক বার দেখা হলেও মনে হয় আবারও দেখি।খুবই ভালো লাগে আমার কাছে।
হ্যা, বউ কেন্দ্রিক অনেকগুলো পারিবারিক মুভি আছে অঞ্জন চৌধুরীর। প্রত্যেকটা মুভিতেই সামাজিক চিত্রকে সামনে রেখেছে এবং শিক্ষার বিষয়গুলো ফুটিয়ে তুলেছে। এইসব ছবি একবার কেন ১০০ বার দেখলেও মন ভরবে না।
আমাদের চারপাশেও এমনটা অনেক বেশি হয়। যাদের নিয়ে মাথা ঘামানোর দরকার নেই,মানুষ তাদের নিয়েই পরে থাকে।
অহংকার সবসময় চুরমার ই করে। ভালো লিখেন ভাইয়া আপনি।
আজকাল সময়টাই এইরকম হয়েছে সত্যি যেটা সেটা হয়ে যায় মিথ্যা আর যেটা মিথ্যা সেটা হয়ে যায় সত্যি। এখানেও বিষয়টাকেও বাস্তবের মতো তুলে ধরেছে, কে আপন আর কে পর তার বিচার সবাই করতে পারেনা। বিপদে পড়লে তখনি বোঝা যায় বিষয়গুলো।
হ্যা ভাইয়া একদম ঠিক বলেছেন।😪
এই মুভিটা আমিও দেখেছিলাম। পারিবারিক মুভি হিসেবে খুবই সুন্দর এবং কি খুবই আকর্ষণীয় ছিল এই মুভিটা। এই মুভিটা তে অঞ্জন চৌধুরী পারিবারিক গৃহে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। এবং কেউ নেই এই মুভিতে সফলও হয়েছেন। সত্যি কথা বলতে কি আমাদের সমাজে এরকম অহরহ ঘটনা ঘটছে। কিছু কিছু শাশুড়ি আছে তারা অন্যের মেয়েকে মনে করে বউ।নিজের মেয়ে নয় আর নিজের মেয়ে তো মেয়েই দোষ করলেও মেয়ে তার গুণকীর্তন শেষ নেই। এই মুভিটা তে আমাদের গ্রাম বাংলা যা হচ্ছে তার সবকিছু তুলে ধরেছেন অঞ্জন চৌধুরী। একটা কথা আছে কয়লা ধুলে ময়লা যায় না। ঠিক তেমনি কিছু মানুষের ভেতরে এত বেশি ময়লা যা হাজার চেষ্টা করলেও পরিষ্কার করা যায় না। অর্থহীন লোকের ব্যর্থ জীবনটা আমরা কম বেশি সবাই জানি। শশুরের যে পেনশনের টাকা সেই টাকা অনারি খরোচ হয়না সংসার কিভাবে চলবে এ কারণে সেই মূল্য হীন হয়ে পড়েছে। বড় বউ বলেন আর বড় ছেলে বলেন সংসারের তাদেরকে গাধার সাথে তুলনা করা হয়। আসলে কি তারা গাধা এতই বোকা না ঠিক নয়। তারা সবকিছু জেনে বুঝেও সংসারের ঘানি টানে সংসারের একটু সুখ শান্তির জন্য। তাদের মধ্যে ভালোবাসা থাকে সীমাহীন। আপনি অনেক সুন্দর করে মুভিটা রিভিউ করেছেন এটা বলা বাহুল্য। আপনি অনেক সুন্দর করে গুছিয়ে লিখতে পারেন। আমাদেরকে এত সুন্দর করে মুভি রিভিউ দেওয়ার জন্য ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া
এইরকম আরো অনেকগুলো পারিবারিক মুভি আছে এবং প্রত্যেকটাই আকর্ষণীয় আর শিক্ষণীয়। সবগুলোতে অঞ্জন চৌধুরী পারিপার্শ্বিক সমাজের বাস্তবতাকে একটা উদাহরণস্বরূপ তুলে ধরেছে। বর্তমানে প্রায় পরিবারে এইগুলো হয়ে থাকে। অনেক সৎ মা আছেন যারা এই বিষয়টাকে আঁকড়ে ধরে বসে থাকে অন্যের ছেলে বা মেয়েকে আপন করে নিতে পারে না। আপনি পুরো মুভির রিভিউটি পড়ে সুন্দর একটা মন্তব্য করেছেন তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
মুভিটি আমি অনেকবার দেখেছি ।এই মুভিটা এখনও টিভিতে দেয় মাঝেমধ্যেই। এই মুভিটি যতবারই দেয় ততোবারই আমার পরিবারের সবাই দেখতে বসে যায়। এখনকার মুভি ও পুরনো দিনের মুভিগুলোর কাহিনীর মধ্যে আকাশ-পাতাল তফাৎ। কথাই আছে ,ওল্ড ইজ গোল্ড। এই মুভিটি একটি বাস্তবধর্মী সংসারী সামাজিক জীবনের গল্প। আপনি অনেক সুন্দর একটি মুভির রিভিউ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
এইসব পারিবারিক মুভি এখনো সব জায়গায় প্রায় চলে, এমনকি টিভিতে দুইদিন অন্তর অন্তর একটা করে দিয়ে দেয়। এইরকম আরো পারিবারিক মুভি আছে অঞ্জন চৌধুরীর। খুবই ভালো মুভি সবগুলো। এখনকার নতুন মুভি এইসব মুভির কাছে কিছুই না, আমি বলবো এক কোথায় শূন্য। আগেরকার মুভিগুলোর মধ্যে একটা আকর্ষণ আছে যেটা বার বার টানে দেখার জন্য।
দাদা,,,এই ছবিটা আমি কতবার দেখেছি সেটার সংখ্যা বলা মুশকিল। কারণ অনেকবার ছবিটা দেখেছি। ছবিটাতে অনেক কিছু শিক্ষা দিয়ে যায়। বিশেষ করে অহংকারের বিষয়টা বেশি ফুটে উঠেছে এবং মায়ের সন্তানের প্রতি অবহেলাটাও দেখা যায়। তবে সব মায়েরা এমন হয় না। অনেক সুন্দর একটা ছবির খুব সুন্দর ভাবে রিভিউ করেছেন। শুভ কামনা রইল দাদা।
আপনার মতো আমারও কোনো ধারণা নেই যে মুভিটা কতবার দেখেছি। একবার দেখার পরেও যেন এইসব মুভিতে মন ভরে না, মনে হয় আবার দেখি। এইরকম আরো কয়েকটা এদের নিয়ে তৈরি পারিবারিক মুভি আছে, যেগুলো আমি আস্তে আস্তে শেয়ার করবো। খুবই সুন্দর মুভি, শিক্ষার বিষয়ও আছে অনেক।
মুভির রিভিউগুলো দেখার অপেক্ষায় রইলাম দাদা। আপনার জন্য শুভ কামনা।
এই মুভিটি আমি অনেকবার দেখেছি এবং যতবার দেখেছি ততোবারই আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আমি অনেক গুলা মুভি আছে বড় বউ মেজ বউ সব গুলো আমি দেখেছি অসাধারণ লেগেছিল আমার।
মোটকথা, অঞ্জন চৌধুরীর যতগুলো বউ কেন্দ্রিক মুভি আছে সবগুলোই অসাধারণ। সবাই বিষয়গুলোকে অভিনয়ের মাধ্যমে বাস্তবতাকে তুলে ধরেছে। খুবই সুন্দর মুভিগুলো, মন ছুঁয়ে যায় দেখার পরে।
ছোট বউ সিনেমাটা সেই সময়ে খুবই হিট করেছিলো। গ্রামের দিকে বিশাল জনপ্রিয়। আমিও তোমার সাথে একমত, সিনেমাটা আদ্যোপান্তে পারিবারিক সিনেমা।
সোহমের সেই হরলিক্স সিনটা নিয়ে প্রচুর মিম আছে😆।
শুধু ছোট বউ না, অঞ্জন চৌধুরীর পারিবারিক সবগুলোই মুভিই হিট করেছে প্রথম থেকে এখনো পর্যন্ত। এখনো এইসব মুভি কারো কাছে পুরানো হয়নি, এখনো হিট করে যাচ্ছে। অঞ্জন চৌধুরীর মুভির আকর্ষণটা অন্যরকম। অঞ্জন চৌধুরী যেসব মুভি তৈরি করে সেগুলো হিট না হয়ে পারবে না, এখনো পর্যন্ত তার সব মুভিই ভালো হয়েছে । সোহম এর চেহারাটা আর চেঞ্জ হলো না, ছোটর থেকে এখনো একই ঢকের রয়ে গেলো।