গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে অতিবাহিত করার কিছু মুহূর্ত
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন? সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
গতদিন বিকালের দিকে গিয়েছিলাম একটা গ্রাম্য এলাকায়। প্রায় বহুদিন বাদে গিয়েছিলাম বলতে গেলে। আগের মতো এখন আর তেমন বেরোনোর সময় হয়না। আগে যেমন বিকালে প্রায় চলে যেতাম গ্রামের প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলো উপভোগ করার জন্য, কিন্তু এখন ইচ্ছা থাকা সত্বেও যাওয়া হয় না। আর এখন একটা আলস্য ভাবটাও এসে গেছে, একবার শুয়ে পড়লে যেন আর উঠতে ইচ্ছা হয় না, ব্যাস ঘুমই চলে আসে। যাইহোক আজকে মূলত গ্রামের দিকে গিয়েছিলাম বাজার করার জন্য। এই সময়টায় গ্রামের দিকে মাঠের থেকে টাটকা সবজি তুলে তুলে একটা ঘরের ভিতরে স্টকে জমা রাখে, আর সেখান থেকে মূলত কিনতে পারলে বাজার মূল্যের থেকে হাফ দামে কেনা যায়। এখন সবধরণের শীতকালীন সবজি সেখানে পাওয়া যায়।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
আর আজকে সেই উদ্দেশ্যে বাড়ির থেকে বেরিয়েছিলামও ৩ টার দিকে যাতে হাতে সময় নিয়ে যাওয়া যায়। আর গ্রামের ভিতর দিয়ে রাস্তাগুলো খারাপ তাই যেতেও অনেক সময় লাগবে। আর আস্তে আস্তে গ্রামের ভিতর দিয়ে যেতে যেতে গ্রামের সৌন্দর্যগুলো উপভোগ করতে লাগলাম। অনেকদিন পর গ্রামের ভিতরে ঢোকার পরে একটুর জন্য হলেও যেন মনে হচ্ছিলো কোনো এক নতুন জগতের ভিতরে প্রবেশ করলাম। চারিদিকে মাঠেঘাটে যেন সবুজে ঘেরা সমারোহ, দেখলেই মনটা জুড়িয়ে যায় । আর সবথেকে বড়ো বিষয় হলো গ্রামের ভিতরে ছেলেমেয়েদের ছোটাছুটি করে খেলাধুলা করার দৃশ্যগুলো, এইগুলো ছোটবেলার স্মৃতিকে মনে করিয়ে দেয়।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
আমরাও একসময় এইসব বাচ্চাদের মতো কত রাস্তা, মাঠে-ঘাটে ছোটাছুটি করে খেলাধুলা করে বেড়িয়েছি। আর এদিকে মিরহাটির এই গ্রামটিতে মাঠে সারাবছরই নানা ধরণের সবজির ফলন হয়ে থাকে, আর আমার কাছে মাঠে সবুজে শ্যামলে ভরা এইসব দৃশ্যগুলো উপভোগ করতে অনেক ভালো লাগে। গতদিন যেতে যেতে আমি গ্রামের মধ্যে একটি মাঠের স্থানে দাঁড়িয়েছিলাম তার প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করার জন্য। সেখানে মাঠের ভিতরে সবুজে মোড়ানো দৃশ্যগুলো দেখে আমি একপ্রকার মুগ্ধ হয়ে যাই, আর কিছুক্ষন সেখানে দাঁড়িয়ে সময় অতিবাহিত করি।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
গ্রামটির ভিতর দিয়ে যেহেতু যাত্রাটা অনেক লম্বা তাই এইরকম রাস্তার মাঝে মাঝে সবুজে ঘেরা মাঠের পাশে দাঁড়াতে দাঁড়াতে গেছি। আর অনেকদিন বাদে গিয়ে যেন আর শহরমুখী হতে ইচ্ছা হচ্ছিলো না সেই মুহূর্তে। এখন ম্যাক্সিমাম ফলন তারা উঠিয়ে স্টকে জমা করে রাখবে আর সারাবছর ধরে সেইগুলো বিক্রি করবে বাজারে এনে। মাঠের ভিতরে তাদের সবসময় ফসল লাগানোর ধুম চলতে থাকে, একটি সিজনের ফসল উঠে যাওয়ার সাথে সাথে আরেকটা শুরু করে দেয়, তাদের কাছে যেন দেরি করার সময় নেই।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
এখন মাঠের বেশিরভাগ জায়গা জুড়ে রয়েছে ফুলকপি, পেঁয়াজ কালী, বেগুন ইত্যাদি অন্যান্য ফসল। তবে আজকে আমার দৃষ্টিতে বেশিরভাগ স্থান জুড়ে ফুলকপির দৃশ্যই নজরে পড়লো। আর তার মধ্যে যেগুলো খাওয়ার মতো হয়ে গেছে সেইগুলো তুলে তুলে বস্তায় ভরছে আর গুদাম ঘরে মেপে মেপে ঢুকিয়ে দিচ্ছে দেখলাম । আর তার পাশেই বিভিন্ন সবজি নিয়ে বিকালের দিকে বাজার বসেছিলো, ফলে আমি সেখান থেকে কম দামে কিছু সবজিও কিনে নিয়েছিলাম।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
এরপর সেখান থেকে আস্তে আস্তে আবার বাই রোড ধরে বাড়ির দিকে রওনা হয়েছিলাম, তবে হাতে যেহেতু আরো অনেক সময় ছিল তাই সন্ধ্যা হওয়ার আগে পর্যন্ত রাস্তার পাশে একটি ফাঁকা স্থানে দাঁড়িয়ে একটু রেস্ট নিলাম আর কিছু ফোটোগ্রাফিও করলাম । রাস্তা দিয়ে কত মানুষের আনাগোনা হচ্ছে সেই দৃশ্যগুলোও দেখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। রাস্তার পাশে দুটি মেহগনি গাছের চারা দেখতে পেয়েছিলাম আর তার কচি কচি পাতাগুলোর লাল কালারের দৃশ্য আমাকে মুগ্ধ করে তুলেছিল, বেশ আকর্ষণীয় লেগেছিলো আমার কাছে বিষয়টা।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
যাইহোক এরপর সন্ধ্যা নামার একটু আগে রওনা দিলাম আর বাড়ির দিকে আসার সময় আমাদের এখানে স্টেশন এর পাশে একটি মাঠে কিছু ছেলেরা একসাথে খেলাধুলা করছিলো আর আমি সেটা দেখার জন্য সেখানে দাঁড়িয়ে পড়লাম। আমার আবার ক্রিকেট খেলা হলে না দেখে থাকতে পারিনা, খেলতেও অনেক ভালো লাগে। সময়ের অভাবে অনেকদিন হলো ক্রিকেট খেলা থেকে বিরত হয়ে আছি, তাই এখন শুধু খেলা হলেই দেখে আনন্দটা উপভোগ করি।
All photos what3words location: https://w3w.co/storyboards.fangs.clinical
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
ক্যামেরা | রেডমি নোট ৭ |
---|---|
ক্যাটাগরি | ফোটোগ্রাফি |
লোকেশন | পশ্চিমবঙ্গ, ইন্ডিয়া |
তারিখ | ০৬.০২.২০২২ |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
গ্রামের সৌন্দর্যের প্রেমে পরে নাই এমন লোক খুজে পাওয়া খুব কষ্টকর। প্রকৃতির মাঝে আলাদা একটা ফিলিংস পাওয়া যায় তা শুধু প্রকৃতিতেই গেলে বুঝা যায়। আপনার গ্রামটি অনেক সুন্দর দেখছি দাদা। ভালো লেগেছে পুরা বিষয়টি সম্পর্কে। ভালোবাসা অবিরাম প্রিয় দাদা।
দাদা গ্রামের সৌন্দর্য মানেই একটা আলাদা সৌন্দর্য। যেখানেই দু চোখ যায় খালি সবুজের সমারোহ। গ্রাম আমার সেই ভাবে দেখা হয়নি আপনার এই প্রকৃতির ছবি গুলো আমার কাছে খুব ভালো লাগলো প্রত্যেকটি ছবি ভীষণ সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন আমাদের কাছে। আসলেই গ্রামের শাক সবজি মানেই টাটকা।
অনেক ধন্যবাদ দাদা গ্রামের সৌন্দর্য মুহূর্তগুলো আমাদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
দাদা,গ্রামের রাস্তার দুইপাশের পরিবেশ উপভোগ করতে আমার খুবই ভালো লাগে।হেঁটে হেঁটে বেশি ভালো লাগে, তাছাড়া গ্রামের মধ্যে বাজারগুলোতে টাটকা সবজি কমদামে পাওয়া যায়।আমার তো শীতকালের সবজি ক্ষেতের মধ্যে দিয়ে হাঁটতে ও ক্ষেতগুলি দেখতে মন জুড়িয়ে যায়। ফুলকপি, পেঁয়াজ কালী, বেগুন এই তিনটি সবজিই আমার ভীষণ প্রিয়।আপনি দারুণ সময় উপভোগ করেছেন।ফটোগ্রাফিগুলো অসাধারণ ছিল,আমিও সুন্দর দৃশ্যগুলি উপভোগ করলাম।সবুজে ঘেরা পরিবেশ খুবই ভালো লাগে আমার, ধন্যবাদ আপনাকে দাদা।শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
গ্রামের সুন্দর্য দেখে এমন কোনো মানুষ নেই যে তার মন গলে যাবে না। গ্রাম্য প্রকৃতির একটা মায়া আমাদের মনকে মোমের মতো গলিয়ে দেয়। ফটুগ্রাফি গুলো অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ দাদা।
দাদা আমি মনে করি মাঝে মাঝে গ্রামে যাওয়া প্রত্যেকের জন্যই ভালো। এতে একদিকে যেমন ফ্রেশ অক্সিজেন পাওয়া যায় তেমনি মনটাও ভালো থাকে। বিশেষ করে শীতের এই সময়টিতে গ্রামের মাঠ ঘাট থাকে ফসলে ভরপুর। যাইহোক আপনার এক ঢিলে দুই পাখি মারা হয়ে গেছে। গ্রামও দেখা হল সেইসাথে কিছু ফ্রেশ সবজিও কিনতে পারলেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
গ্রামের প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখে আমরা সবসময়ই মুগ্ধ হই। কারন গ্রামের সাথে রয়েছে আমাদের নাড়ির টান। গ্রামের মাটিতে মিশে রয়েছে মিষ্টি গন্ধ। আর গ্রামের মৃদু বাতাসে সবসময় ভেসে বেড়ায় মন মাতানো সুভাষ। যে সুভাষ মনের সকল গ্লানি নিমিষেই দূর করে দেয়। শহরের চার দেয়ালের মাঝে বন্দী জীবন থেকে বেরিয়ে যদি গ্রামীণ পরিবেশে সময় কাটানো যায় তাহলে এই জীবনের সব হতাশা নিমেষেই দূর হয়ে যায়। শহরে যারা বসবাস করে তাদের মাঝে অনেকেই হতাশাগ্রস্ত জীবন যাপন করে। কিন্তু আমার জানামতে আমি এমন কোন মানুষকে পাইনি যারা গ্রামীণ পরিবেশে জীবনযাপন করে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। আমি মনে করি তার একটি কারণ হচ্ছে প্রকৃতির কোলে বড় হওয়া। যারা গ্রামের অপরূপ সৌন্দর্যকে আপন করে নিয়েছে ও প্রতিনিয়তই প্রকৃতির মাঝে বেড়ে ওঠে তারাই সবচেয়ে ভালো থাকতে পারে। গ্রামের এই কৃষকরা তাদের মাটিতে সোনালী ফসল ফলায়। আর এই সোনালী ফসল গুলো আমরা খুব সহজেই পেয়ে যাই। গ্রামের মাটিতে ফলানো সবজি একদম টাটকা ও সতেজ। গ্রামের মাঠ থেকে সবজি সংগ্রহ করার মজাই অন্যরকম। গ্রামের কৃষকরা তাদের ফলানো টাটকা সবজি গুলো যখন বিক্রি করে তখন তাদের কাছ থেকে সবজি নিলে অনেক ভালো সবজি গুলো পাওয়া যায়। দাদা আপনি গ্রামে বাজার করতে গিয়েছেন এটা দেখে ভালো লাগলো। গ্রামের মানুষের মধ্যে যেমন ভেজাল নেই তেমনি তাদের উৎপাদিত পণ্য এবং অন্যান্য দ্রব্য গুলোতেও ভেজাল নেই। এখানে সব কিছুই টাটকা ও সতেজ পাওয়া যায়। আপনি একদিকে যেমন অনেক টাটকা শাকসবজি এবং অন্যান্য বাজারগুলো সংগ্রহ করেছেন অন্যদিকে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করেছেন।গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে অতিবাহিত করার কিছু মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা।
ভাইয়া একদিন খেলেই ফেলেন।তবে অবশ্যই তা আমাদের দেখার সুযোগ করে দিবেন অল্পস্বল্প।😋
গ্রামের টাটকা সব কিছুর তুলনাই হয়না।
দাদা আপনার এই কথাগুলোর সাথে আমি সহমত পোষণ করছি। আসলে দিনে দিনে আমরা খুবই অলস হয়ে যাচ্ছি। আগে একটুখানি সময় পেলেই গ্রামের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে চলে যেতাম দূর দূরান্তে। একদিকে তখন আমরা যেমন চঞ্চল ছিলাম তেমনি সকল কাজে উৎসাহ ছিল। কিন্তু এখন সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে আমরা যেমন ব্যস্ত হয়ে পড়েছি তেমনি আমাদের অলসতা বৃদ্ধি পেয়েছে। দাদা আপনি ঠিকই বলেছেন যদি একবার শুয়ে পড়ি তাহলে আর উঠতে ইচ্ছা করে না। তখনই ঘুমিয়ে পড়ি। তবে যাই হোক দাদা আপনি আপনার এই ব্যস্ত সময়ের মাঝেও গ্রামের পরিবেশে সময় কাটিয়েছেন এবং টাটকা শাক-সবজি সংগ্রহ করেছেন এটা দেখে ভালো লাগছে। গ্রামীণ পরিবেশ আমাদের সকলেরই পছন্দ। শহরের কোলাহল আর গ্রামের নির্মল বাতাস যেন পৃথিবীর দুই প্রান্ত। শহরে কোলাহল লেগেই রয়েছে। আর গ্রামের মৃদুমন্দ বাতাস যেন মনকে শান্ত করে দেয়। একদিকে যেমন গ্রামের অপরূপ সৌন্দর্য সকলকে মুগ্ধ করে তেমনি গ্রামের খোলা হাওয়া মনকে শীতল করে। দাদা আপনি অনেক সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন এটা বোঝাই যাচ্ছে। আপনি আপনার কাটানো সুন্দর মুহূর্ত গুলো স্মরণীয় করে রাখার জন্য ফটোগ্রাফি করেছেন এটা আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। আসলে যখন সুন্দর মুহূর্তগুলোকে ক্যামেরায় বন্দী করে রাখা হয় তখন সেই মুহূর্তগুলো সারা জীবন মনে থাকে। যখন আমাদের মন খারাপ হবে তখন যদি আমরা আমাদের কাটানো প্রিয় মুহূর্তগুলো মনে করি এবং স্মৃতির অ্যালবাম ঘেটে দেখি তাহলে মন ভালো হয়ে যাবে। তবে যাই হোক দাদা গ্রামীণ পরিবেশে ও প্রকৃতির খুব কাছাকাছি গিয়ে অনেক সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন এটা দেখে অনেক ভালো লাগলো। আর সবচেয়ে বেশি ভালো লাগলো আপনি আপনার সুন্দর মুহূর্তগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। দাদা আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।