ওল্ড মুভি রিভিউ( 1955 ): "বিধিলিপি"

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আমি আজকে আপনাদের সাথে একটা বাংলা মুভি রিভিউ শেয়ার করবো। এই মুভিটি বহু পুরোনোদিন আগের। অনেকে সম্ভবত দেখেননি। আমিও দেখিনি আগে, আজকে প্রথম দেখলাম। এই মুভিটির নাম হলো "বিধিলিপি"। এই মুভিটি উত্তম কুমারের অভিনীত একটি মুভি। পারিবারিক মতো কাহিনীটা। তখনকার সময়ে সাদা-কালো পর্দায় উত্তম কুমারের মুভি বেশ জনপ্রিয় ছিল। সাদা-কালো পর্দায় যেরকম অভিনয় তিনি করেছেন তা আজকের রঙ্গিন পর্দায় কেউ সেইরকম ভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারিনি। তখন দুই বাংলায় উত্তম কুমারের চলচিত্র বেশ চলতো। যাইহোক এখন আমি রিভিউ এর দিকে চলে যাবো। আশা করি এই মুভি রিভিউটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।


ছবি: ইউটিউব থেকে স্ক্রীনশর্ট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে


☬কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:☬

মুভির নাম
"বিধিলিপি"
পরিচালকের নাম
মনু সেন
প্রোডিউসার
ভবেন্দু দত্ত
গল্প
বিজয় গুপ্ত
সঙ্গীত পরিচালক
কালিপদ সেন
গানের কথা
প্রনাব রায়, গৌরী প্রসন্ন মজুমদার, পুলক বন্দোপাধ্যায়, বিজয় গুপ্ত
অভিনয়
উত্তম কুমার, সন্ধ্যা রানী, সাবিত্রী চ্যাটার্জি, ছবি বিশ্বাস, কমল মিত্র, বিকাশ রায় ইত্যাদি
মূল ভাষা
বাংলা
কান্ট্রি অফ অরিজিন
ইন্ডিয়া
সময়
১ ঘন্টা ৫৩ মিনিট
মুক্তির তারিখ
০১ জানুয়ারি ১৯৫৫(ইন্ডিয়া)


✔মূল কাহিনী:


ছবি: ইউটিউব থেকে স্ক্রীনশর্ট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে

মুভির শুরুতে দেখা যায় উত্তম কুমার এর বউ ভোর রাতে ঠাকুরের কাছে গিয়ে প্রার্থনা করে এবং কান্নাকাটি করতে লাগে। এইরকমটার কারণ তাদের অনেকদিন হয়ে গেছে কিন্তু তাদের কোল জুড়ে কোনো সন্তান এখনো আসেনি। আর এই বিষয়টা নিয়ে উত্তম কুমারের বউ শকুন্তলা খুব দুঃখ প্রকাশ করতে লাগে। উত্তম কুমার তারপর তাকে ঠাকুর ঘরের থেকে নিয়ে এসে বোঝাতে লাগে যে এইরকম করে কান্নাকাটি করলে তোমার ইচ্ছা কি পূর্ণ হবে !? সব কিছু বিধিলিপির হাতে। কিন্তু শকুন্তলার সন্তান না হওয়ার জন্য তার পরিবারের সবাই খারাপ নজরে দেখতে লাগে, নিজের শ্বাশুড়ি তার মুখ দেখতে চায় না। এইসব কথা ভাবনা চিন্তা করে করে মন খারাপ করে আর ভেঙে পড়ে। এরপর সকালে তার শ্বাশুড়ি মার সামনে গেলে মুখ দেখবে না বলে অপমান করে অন্য দিকে তাকিয়ে চলে যেতে লাগে আর সেই সময় শকুন্তলা হঠাৎ মাথা ঘুরে পড়ে যায়। এরপর সবাইকে ডেকে তাকে ধরে নিয়ে খাটে শুইয়ে দেয় আর ডাক্তার কে ডেকে আনে। ডাক্তার এসে জ্বর মেপে দেখে ১০২ এর উপরে জ্বর এবং অবস্থা খুব খারাপ বলে ধারণা করে। এরপর উত্তম কুমারের মা তাকে বলে কলকাতা থেকে বড়ো কোনো ডাক্তার ডেকে আনতে, কলকাতার থেকে ডাক্তার আনার পরে সবকিছু দেখে বললো রক্ত পরীক্ষা না করে কিছুই বলা যাবে না। এরপর রক্ত পরীক্ষা করার পরে দেখলো অবস্থা ভালো না, আর সাথে তার যে চোখের সমস্যা আছে সেটাও জানতে পারে। তবে তার চোখের সমস্যা অনেকদিন ধরে চিকিৎসাহীন থাকার কারণে চোখের অবস্থা খুব খারাপ পর্যায়ে চলে যায় আর অবশেষে ধীরে ধীরে চোখের ভিতরের কোষগুলো সব নষ্ট হয়ে যায়। ডাক্তারবাবুরা বললো এখন আর কোনো উপায় নেই, নতুন চোখ ছাড়া আর ভালো করা যাবে না এই চোখের জ্যোতি।


ছবি: ইউটিউব থেকে স্ক্রীনশর্ট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে

ডাক্তারবাবু ওই কথা বলে চলে যাওয়ার পরে উত্তম কুমার তার বউ শকুন্তলার কাছে আসলে যখন জিজ্ঞাসা করে আমার চোখ কি আর ভালো হবে না!? তখন উত্তম কুমার সত্যিটা জানা সত্বেও তাকে বলে ঠিক হয়ে যাবে কিন্তু সময় লাগবে। কারণ সত্যিটা বললে যদি খুব দুঃখ পায় এইজন্য কথাগুলো লুকিয়ে রাখে। এরপর তাকে সবসময় আনন্দ উল্লাসের মাঝে রাখার জন্য রুমে গান ছেড়ে দিয়ে রাখে যাতে এইসব কথাগুলো মনে করে করে মন খারাপ বা কষ্ট না পায়। এরপর উত্তম কুমার যখন খেতে বসে তখন তার মা তাকে বলে যে তোর বউ অন্ধ হয়ে গেছে ফলে তার সন্তানও অন্ধ হবে কারণ তাদের বংশের সবাই অন্ধ। তাই অন্ধ সন্তান দিয়ে বংশ রক্ষা হবে না, এইজন্য উত্তম কুমার কে আরেকটা বিয়ে করতে বলে। এই কথাগুলো আবার শকুন্তলা সব শুনে ফেলে কিন্তু প্রকাশ করে না উত্তম কুমারের সামনে। আর এই কথা তার মায়ের মুখে শোনার পরে রাগ করে উঠে চলে আসে। এরপর তাদের নায়েব সাহেব কে ডেকে বাড়িতে পাঠায় এবং তার মা বিষয়গুলো বলে। সব কথা শোনার পরে নায়েব সাহেবও বলে আরেকটা বিয়ে দিতে এবং এই বউকে বাপের বাড়ি কিছুদিনের জন্য পাঠিয়ে দিতে তাহলে বিয়েতে রাজি হবে। কিন্তু তার মাও একটু ভয়ে ভয়ে থাকে যে এইসব করার ফলে যদি আবার রাগ করে। এরপর উত্তম কুমারের মা তার বউমা শকুন্তলাকে বলে যেতুমি ওকে একটু বোঝাও যেনো আরেকটা বিয়ে করে কারণ তা না হলে যে তার পূর্বপুরুষের বংশ রক্ষা হবে না। এই কথা শোনার পরে শকুন্তলা কিছু বলে না। এরপর নায়েব সাহেব উত্তম কুমারকে ডেকে বলে যে আমাদের জমির মামলা নিয়ে একটু সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে তাই তোমাকে কলকাতা গিয়ে উকিলের সাথে কথা বলে বিষয়গুলো সমাধান করতে হবে। এই কথা শোনার পরে কিছুদিনের জন্য কলকাতা চলে যায়।


ছবি: ইউটিউব থেকে স্ক্রীনশর্ট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে

কলকাতায় প্রশান্ত নাম এ একটা ছেলেকে দেখা যায় কলেজের হোস্টেলে তার বন্ধুদের সাথে একটা বিষয় নিয়ে মজা করে সেটা হলো সন্ধ্যা নামক একটা মেয়ের ছবি তার ডায়েরির মধ্যে তারা দেখে ফেলে। আর এইটা নিয়েই তারা একটু প্রশান্তর সাথে আনন্দের সাথে মজা করে। সন্ধ্যা নামক এই মেয়েটাকে প্রশান্ত গান শিখাতো। এরপর সন্ধ্যা নামক মেয়েটি তার দাদুর সাথে গল্প করতে লাগে, তার দাদু আবার বেশ রসিক আছে বটে। যাইহোক সন্ধ্যা মেয়েটির পরীক্ষা সামনে চলে এসেছে আর এদিকে তার গানের মাস্টার প্রশান্ত এখনো আসেনি বলে রাগ করে। প্রশান্ত আসলেও রেগে গিয়ে আর গান গায় না, তারা দুইজন আসলে মনে মনে একজন আরেকজনকে পছন্দ করতো । এদিকে উত্তম কুমার শকুন্তলার জন্য চিঠি পাঠায় কিন্তু তার মা চিঠি ভুল পড়ে বলে যে তার আসতে সময় লাগবে তাই তোমাকে কিছুদিন তোমার ভাইয়ের কাছ থেকে ঘুরে আসতে বলে। এরপর পাঠিয়ে দিয়ে দেয় সবকিছু গুছিয়ে। এদিকে প্রশান্ত সন্ধ্যা কে গান শিখানোর জন্য তার বাড়িতে যায় এবং গিয়েই একটা রোমান্টিক গান শুরু করে দেয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে তার দাদু এসে পড়ে আর তাদের সাথে এই নিয়ে একটু রসিকতা করে আবার চলে যায়। এরপর সেই শকুন্তলা তার ভাইয়ের বাড়িতে আসার পরে তার দাদা বউদির সাথে দেখা করতে চায় কিন্তু তার বউদি একটু কঠোর মনের মানুষ, বড্ডো কড়া কড়া কথা বলে। এদিকে উত্তম কুমার কলকাতা থেকে কাজ সেরে বাড়িতে আসার পরে শকুন্তলাকে খুঁজতে লাগে কিন্তু না পেলে তার মা বলে যে বউমার এখানে একা একা ভালো লাগছিলো না তাই ভাইয়ের বাড়িতে চলে গেছে। এই কথা শোনার পরে উত্তম কুমার আবার রুমে গিয়ে একটু মন খারাপ করতে লাগে।


ছবি: ইউটিউব থেকে স্ক্রীনশর্ট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে

শকুন্তলা তার ভাইয়ের বাড়িতে বসে দিন গুনতে থাকে কখন তার স্বামী উত্তম কুমার তাকে নিতে আসবে বা দেখা করতে আসবে কিন্তু অনেকদিন হয়ে যাওয়ার পরেও সে আসেনি। এরপর কিছুদিন যেতেই উত্তম কুমার শকুন্তলার ভাইয়ের সাথে দেখা করে শকুন্তলাকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কিন্তু তার সাথে যেতে দেয় না কারণ তারা বাড়ির থেকে এখানে পাঠিয়ে দিয়েছে অন্ধ বলে, তাই যতক্ষণ না তাকে যোগ্য সম্মান দিয়ে নিয়ে যাবে ততক্ষন সে যাবে না বলে দেয়। শকুন্তলার দাদা ছিল পেশায় একজন হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার। যাইহোক এরপর উত্তম কুমার সেখান থেকে চলে বাড়ি যায় এবং বাড়ির থেকে বন্দুক নিয়ে শিকারে বেরিয়ে যায়। এদিকে তাদের নায়েব সাহেব সন্ধ্যার মায়ের কাছে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যায় এবং এতে সন্ধ্যার মা একটু খুশি হয় যে তার মেয়ে জমিদার বাড়ির বউ হবে। কিন্তু এদিকে তার দাদুর সাথে কথা বললে সে প্রশান্তর কথা বলে আর এতে সন্ধ্যার মায়ের দ্বিমত আছে কারণ প্রশান্তর বাড়ি নেই থাকে হোস্টেলে এই নিয়ে। এদিকে শকুন্তলা যে মা হতে চলেছে সেই সুখবরটা তার দাদা চিঠি লিখে ওই বাড়িতে পাঠায় কিন্তু নায়েব সাহেব চিঠি টাকে পড়ে কথাগুলোকে উত্তম কুমারের মায়ের সামনে এমনভাবে মিথ্যা সাজালেন যেন বিশ্বাস না করে। যদিও তার মায়ের একটু বিশ্বাস হচ্ছিলো কিন্তু নায়েব সাহেব সেই চিন্তায় জল ঢেলে দিলেন কথা ঘুরিয়ে। এদিকে উত্তম কুমার আর তার মা সন্ধ্যাদের বাড়িতে বেড়াতে যায়, মূলত তার মা প্ল্যান করে উত্তম কুমারকে তাদের ওখানে নিয়ে যায়।


ছবি: ইউটিউব থেকে স্ক্রীনশর্ট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে

সন্ধ্যাদের বাড়িতে তারা সবাই পৌঁছানোর পরে অতিথিদের আপ্যায়ন করার জন্য তার মা সন্ধ্যাকে বলে কিন্তু সে রেগে গিয়ে হাতের থেকে খাবারের পাত্র ফেলে দেয়। এরপর উত্তম কুমারের মা আর সন্ধ্যার মা গঙ্গা স্নান এর জন্য চলে যায় আর সন্ধ্যাকে বাড়িতে রেখে যায় উত্তম কুমারকে দেখাশোনা করার জন্য। এরপর সন্ধ্যা প্ল্যান করে প্রশান্তর সাথে দেখা করতে যাবে এই ফাঁকে তাই সে একটা চিঠি লিখে প্রশান্তর কাছে পাঠিয়ে দেয়। এদিকে মাঝে শকুন্তলার ছেলে হয় আর তাই নিয়ে বাড়ির সবাই খুব মাতামাতি করে। যাইহোক এরপর সন্ধ্যা যখন গান গাইতে গাইতে সাজছিলো তখন সেই গানের সুর উত্তম কুমারের কানে গিয়ে পৌঁছায় আর তাকে গিয়ে গানটা আবারও গাইতে বলে। এরপর সন্ধ্যার সাথে তার আর তার বউ শকুন্তলার কথা তাকে বলে। এদিকে প্রশান্ত সেখানে এসে তাদের একসাথে দেখে কিছু একটা ভুল বুঝে চলে যায়। এরপর উত্তম কুমারকে তাদের বিষয়টিও সন্ধ্যা বলে। এদিকে তার মা যখন তাদের বিয়ের কথা বলতে আসে তখন বিয়ে করা তার পক্ষে সম্ভব নয় বলে সেখান থেকে চলে যায়। এদিকে শকুন্তলা তার ছেলেকে দোলনায় দোলানি দিতে থাকে আর গান গাইয়ে ঘুম পড়ানোর চেষ্টা করে। এদিকে উত্তম কুমার বিয়ে করবে না বলে তার মা নাওয়া খাওয়া ছেড়ে দিয়ে ঠাকুর ঘরে নিজেকে বন্দি করে রাখে। এরপর উত্তম কুমার কোনোমতে ডেকে ডেকে দরজা খোলায় আর বুদ্ধি করে বলে দেয় যে সন্ধ্যার বিয়েও আটকাবে না আর তোমার মিথ্যাবাদীও হতে হবে না তাদের সামনে অর্থাৎ এখানে সন্ধ্যা আর প্রশান্তের বিয়েটা দিয়ে দেবে উত্তম কুমার। এদিকে বিয়ের কথা শুনে সন্ধ্যা ট্যাক্সি নিয়ে ছুটে চলে যায় প্রশান্তের কাছে এবং এই বিয়ে বন্ধ করতে বলে। সেখানে প্রশান্তর বন্ধুরা সাহায্য করে অর্থাৎ শকুন্তলার বাড়িতে গিয়ে তাদের বাড়িতে ফিরিয়ে আনে এবং ছেলেটিকে যখন তার শ্বাশুড়ির হাতে দিয়ে দেয় তখন সাথে উত্তম কুমারকে ফিরিয়ে আনতে বলে। উত্তম কুমার সন্ধ্যাদের বাড়িতে দাঁড়িয়ে থেকে শেষ পর্যন্ত প্রশান্তের সাথে বিয়ে দিয়ে বাড়িতে চলে আসে।


✔ব্যক্তিগত মতামত:

এই মুভিটা প্রথম বার দেখে যে এতো ভালো লাগবে বুঝতেই পারিনি। দারুন একটা মুভি। ১৯৫৫ সালের মুভিগুলোর কাহিনী সাদা-কালো পর্দায় অসাধারণ। এইসব কাহিনীতে অভিনয় করা আসলেই উত্তম কুমারের দ্বারাই সম্ভব। সাদা-কালোয় পর্দায় মুভিটি খুব আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে প্রতিটা পার্টের বিষয়গুলো।


✔ব্যক্তিগত রেটিং:
০৮/১০


✔মুভির লিঙ্ক:


শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  
 2 years ago 

আমি উত্তম কুমারের বেশ কয়েকটি ছবি দেখেছি আমার খুব ভালো লেগেছে উনার অভিনয় বাকপটুতা। আসলে মুভি রিভিউ পড়ে আমি জানতে পারলাম শকুন্তলার সন্তান না হওয়ার বিষয়টি নিয়ে পরিবারের সবাই অসন্তোষ কিন্তু সন্তান হওয়া না-হওয়া বিধির খেলা সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। আমাদের সমাজে প্রথম স্ত্রীর সন্তান না হলে পরিবারের বিশেষ করে মা তাদের ছেলেকে আবার বিয়ে করতে পারে এবং তা যখন তার স্ত্রীকে বলতে বলে সেটা সত্যি কষ্টকর। কিন্তু একটা সময়ে এসে শকুন্তলার যখন মা হতে চলেছে তখন আমাদের কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে গেল অর্থাৎ পুরাতন মুভিগুলোতে আমরা দেখতে পাই এই বিষয়গুলো সবথেকে বেশি ঘটে। রিভিউ টি অনেক সুন্দর হয়েছে ভাইয়া ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

আমাদের সমাজে প্রথম স্ত্রীর সন্তান না হলে পরিবারের বিশেষ করে মা তাদের ছেলেকে আবার বিয়ে করতে পারে এবং তা যখন তার স্ত্রীকে বলতে বলে সেটা সত্যি কষ্টকর।

এই বিষয়গুলো সেই সময়ে খুব প্রচলিত ছিল। তখন সব বিষয়ে কঠিন আর কড়াকর ছিল। আমাদের এখন বর্তমান সমাজেও কিছু কিছু পরিবারে এটা হয় শ্বাশুড়ীদের দ্বারা। আর উত্তম কুমারের সাদা-কালো পর্দার মুভিগুলো তখনকার সময়ে চমৎকার ছিল। আর এইসব মুভিগুলো দেখেও অনেক ভালো লাগে। আপনি রিভিউটি সম্পূর্ণ পড়েছেন জেনে ভালো লাগলো।

 2 years ago 

এই মুভিটা খুবই সুন্দর।আসলে পুরোনো সব মুভিই মানুষের মন ছুঁয়ে যায়।খুবই ভালো লাগে এদের অভিনয় দেখতে।আমি মাঝে মাঝে দেখি,খুবই সুন্দরভাবে রিভিউ দিয়েছেন।ধন্যবাদ দাদা।

 2 years ago 

হ্যা এইসব পুরনো মুভির আকর্ষণ এখনো সবার মাঝে আছে। সেই সময়ের মুভিগুলোর কাহিনী আর অভিনেতাদের অভিনয় দেখলে চেয়ে থেকে দেখতে ইচ্ছা করে। আমার কাছে অনেক ভালো লাগে এইসব মুভি।

 2 years ago 

ওল্ড ইজ গোল্ড দাদা। মহানায়ক উওম কুমার আমার খুবই পছন্দের একজন অভিনেতা। তার অনেক ছবি আমি দেখেছি। কিন্তু এই ছবিটি আমি দেখিনি। এবং ঠিকই বলেছেন আগেকার মুভিগুলো পারিবারিক হতো।

মুভিটার কাহিনি টা আমার বেশ ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মুভির রিভিউ দেওয়ার জন্য। সময় পেলেই মুভিটা দেখব।।

 2 years ago 

ওল্ড ইজ গোল্ড

এইটা একদম খাঁটি কথা। পুরাতন মুভির সাথে আজকালকার মুভি পাল্লা দিয়ে পারবে না। তখনকার অভিনেতাদের অভিনয় ছিল চমৎকার যেটা সাদা-কালো পর্দায় করে দেখিয়েছে। উত্তম কুমারের মুভি মানে দারুন। তার এই মহানায়ক হওয়ার পিছনে অনেক কাহিনী আছে। আপনি দেখবেন সময় করে, অনেক ভালো। তবে ধৌর্য ধরে দেখতে হবে এইসব মুভি, না হলে বোঝা যাবে না।

 2 years ago 

ঠিক আছে দাদা🙂🙂

 2 years ago 

আমি সাদা কালো পর্দার মুভি খুব কমই দেখেছি বলা যায়।
আপনার রিভিউগুলো দেখে দেখে এখন পুরনো মুভি গুলোর প্রতি ভালোলাগা তৈরি হচ্ছে।

 2 years ago 

আমি কালারের পাশাপাশি সাদা-কালো পর্দার মুভি অনেক দেখেছি। বিশেষ করে উত্তম কুমারের অভিনীত মুভিগুলো। অনেক ভালো আকর্ষণীয় ভাব ফুটিয়ে তুলতে পারে উত্তম কুমার তার অভিনয়ের মাধ্যমে বিষয়গুলো।

 2 years ago 

বাপরে , দাদা এতো পুরান মুভি। কিন্তু রিভিউ পরে মনে হচ্ছে অনেক সুন্দর। তবে দাদা আমি মুভির নায়ক নায়িকা সুন্দর না হলে মুভি দেখে মজা পাইনা। আর এতো পুরান মুভি তো নাই ই। তবে ভালো লাগলো দাদা।

 2 years ago 

অনেক আগের মুভি, ৬৬ বছর হয়ে গেছে বয়স। উত্তম কুমারের মুভি ভালো হতেই হবে। এইসব মুভি দেখার জন্য আগে সবাই হিড়িক জমিয়ে ফেলতো বাড়ি বাড়ি। আমি নতুনের থেকে পুরাতন মুভি বেশি দেখি।

 2 years ago 
দাদা,আমি এত পুরনো মুভি কখনো দেখি নি।তবে আপনার মুভির রিভিউ পরে বুঝতে পারলাম খুবই সুন্দর এবং সামাজিক একটি মুভি বিধিলিপি। দাদা মুভির প্রথম অংশটি যখন পড়ছিলাম তখন মনে হচ্ছিল সত্যিই অনেক সুন্দর যতই পড়ছি ততই পড়ার আগ্রহ বাড়ছে। উত্তম কুমার এপার বাংলা ওপার বাংলার খুবই জনপ্রিয় অভিনেতা।তার অভিনয় গুলো সব সময় অনেক সুন্দর এবং নিখুঁত হয়ে থাকে অনেকের মুখে এখনো উত্তম কুমারের কথা শুনি।
ধন্যবাদ দাদা, এত সুন্দর একটি মুভির রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
 2 years ago 

হুম অনেক সুন্দর আর সামাজিক বিষয়বস্তু এই মুভির কাহিনীতে। উত্তম কুমার এর মুভি সেই সময় বিশাল জনপ্রিয় ছিল, সবাই তার মুভি দেখার জন্য পাগল হয়ে যেত তখন। এতো বছর হয়ে যাওয়ার পরেও তার মহানায়ক এর জয়গান এখনো অব্দি সবার মাঝে টিকে আছে, পরেও থাকবে। জীবনে এটাই একটা বড়ো সাফল্য অর্জন করে গেছে, সে আজ না থাকলেও সবার মাঝে বেঁচে আছে।

Coin Marketplace

STEEM 0.28
TRX 0.12
JST 0.032
BTC 66900.39
ETH 3114.95
USDT 1.00
SBD 3.77