একটি কাল্পনিক চিত্রাঙ্কন ।। অরিজিনাল আর্টওয়ার্ক- #03
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে একটা আর্ট শেয়ার করে নেবো। আজকে একটা কাল্পনিক চিত্র অঙ্কন করেছি। আমাদের এদিকে এই ২-৩ দিন এতো ঠান্ডা পড়েছে যে এখন ঠান্ডায় বসে থাকা খুব সমস্যা রাতের দিকে, তাও কাজ কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত থাকতেই হয়। গতকাল খানিকটা করে রেখেছিলাম আর সকালে আর অল্প কিছু বাকি ছিল সেটা কমপ্লিট করলাম। এই কাল্পনিক চিত্রাঙ্কনটি একটি গ্রামকে কেন্দ্র করে তৈরি করেছি। এটা বলা যেতে পারে একটা বিকালের দৃশ্য। আর এখানে অঙ্কনটা একটু নির্জন পরিবেশের মতো তৈরি করেছি অর্থাৎ বাইরে কোনো লোকজন নেই, এইরকম একটা বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করেছি অঙ্কনের মাধ্যমে। আশা করি আজকের এই কাল্পনিক চিত্রাঙ্কনটি আপনাদের ভালো লাগবে। এখন অঙ্কনটির মূল পর্বের দিকে চলে যাবো।
☬উপকরণ:☬
✎এখন অঙ্কনের ধাপগুলো নিচের দিকে তুলে ধরবো---
➤প্রথম ধাপে পুরোপুরিভাবে দুটি ঘর তৈরি করে নিয়েছিলাম। এরপর ঘরের দুই পাশ দিয়ে আঁকাবাঁকা করে দাগ টেনে মাঝ বরাবর একটা রাস্তা মতো তৈরি করেছিলাম এবং অন্য পাশে ভূমির মতো তৈরি করেছিলাম। ঘরের পিছনে একটা খড়ের গাদার মতো তৈরি করেছিলাম এবং দূরে মেঘের মতো দেখতে এঁকে রেখেছিলাম।
➤দ্বিতীয় ধাপে আঁকাবাঁকা যে দাগটা টেনেছিলাম সেখানে ছোট করে একটা হ্রদের মতো দেখতে তৈরি করেছিলাম এবং সেই হ্রদের পাশে ভূমিতে একটা গাছের মতো এঁকে দিয়েছিলাম। এরপর দুটি ঘরের পিছনে দুটি কলা গাছ এঁকে দিয়েছিলাম। আগে যে মেঘের মতো দৃশ্য এঁকেছিলাম সেই মেঘের আড়ালে একটা সূর্যের দৃশ্য এঁকেছিলাম।
➤তৃতীয় ধাপে কালার দিয়ে আকাশের দৃশ্য ফুটিয়ে তুলেছিলাম এবং পরে গোধূলি বেলার একটা দৃশ্যও দেখিয়েছি।
➤চতুর্থ ধাপে কলা গাছ দুটিতে কালার দিয়ে পরিপূর্ণ করেছি এবং পরে সূর্যটিতে কালার করে দিয়েছিলাম।
➤পঞ্চম ধাপে হ্রদের পাশে অঙ্কন করা গাছের পাতাগুলোতে কালার করে দিয়েছিলাম এবং মেঘের মতো অঙ্কন করা দৃশ্যতেও কালার করে দিয়েছিলাম।
➤ষষ্ঠ ধাপে খড়ের গাদার মতো যেটা এঁকেছিলাম সেটাতে পরিপূর্ণ কালার দিয়ে খড়ের গাদার মতো দেখতে তৈরি করেছিলাম। এরপর দুটি ঘরের ছাউনিতে কালার করে দিয়েছিলাম।
➤সপ্তম ধাপে ঘরের দেওয়াল এবং জানালায় কালার করে দিয়েছিলাম।
➤অষ্টম ধাপে রাস্তার দুই পাশে পড়ে থাকা সমস্ত ভূমিতে কালার করে ঘাসের প্রতিচ্ছবি তুলে ধরেছিলাম।
➤নবম ধাপে রাস্তাটিতে সম্পূর্ণ কালার করে দিয়েছিলাম। এরপর গাছের গায়ে সম্পূর্ণ কালার করে দিয়েছিলাম।
➤দশম ধাপে হ্রদের মতো জায়গায় কালার দিয়ে জলের দৃশ্য দেখিয়েছিলাম এবং ঘরের দরোজায় কালার দিয়ে অঙ্কনটিকে এখানে সমাপ্ত করেছিলাম।
আর্ট বাই, @winkles
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমাদের এদিকেও কিছুদিন ধরে খুব ঠান্ডা পরছে। আজকে যদিও দুপুরের পরে একটু রোদ উঠেছে। বেশি ঠান্ডা পরলে লেপের নিচ থেকেই উঠতে ইচ্ছা করে না আর টেবিল চেয়ারে বসে এরকম আর্ট করা তো আরো বেশি কষ্টকর। আপনার কাল্পনিক গ্রামের দৃশ্যটি খুব সুন্দর হয়েছে । বিশেষ করে প্রতিটি কালার একদম পারফেক্ট হয়েছে। লাল টুকটুকে সূর্যটা খুব ভালো লাগছে দেখতে। তাছাড়া গাছ গুলো নদী রাস্তা সব মিলিয়ে খুব চমৎকার লাগছে কাল্পনিক চিত্রটি।
ঠান্ডার সময় আর্ট করা সত্যিই অনেক ঝামেলার কাজ। আর্ট শেষ না করা পর্যন্ত ওঠাও যায় না। আর ঠান্ডায় হাত একেবারে জমে যায়। তাই তো ভালোভাবে আর্ট কমপ্লিট করতে গেলেও সময় দিতে হয়। যাইহোক দাদা গ্রামের আঁকাবাঁকা মেঠো পথ আর শেষ বিকেলের অপরূপ সৌন্দর্য মিলেমিশে কিন্তু দারুণ এঁকেছেন। ছোট ছোট ঘর গুলো গ্রামীণ প্রকৃতিকে আরো সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছে। আর নদীর কূল ঘেঁষে গড়ে ওঠা গ্রাম দেখতে কিন্তু ভীষণ ভালো লাগছে দাদা। মন চাচ্ছে সেখানে গিয়ে ঘর বাঁধতে। যেখানে নেই কোন কোলাহল। নেই কোন হিংসা বিদ্বেষ। শুধুই প্রকৃতি আর নীরবতা। দারুন একটি চিত্র অঙ্কন করে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা।
আজ দুইদিন যাবত আমাদের এখানে ও প্রচন্ড শীত পড়ছে বাইরে টিকে থাকাই অসম্ভব। লেপের ভিতর ছাড়া কোন জায়গায় শান্তি পাচ্ছিনা। যাইহোক, কাল্পনিক চিত্র অংকন গ্রাম্য পরিবেশের দৃশ্য খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। মাঝে মাঝে খুব সুন্দর চিত্র অঙ্কন করে থাকেন বেশ ভালো লাগে দাদা।
দাদা আরো একটি অসাধারণ অংকন আমাদের উপহার দিলেন।
আমাদের এদিকে তীব্র শীত পরেছে কদিন ধরেই। ঠান্ডার কারনে স্বাভাবিক কাজ করা বেশ কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে গেছে। আপনি এই তীব্র শীতের মধ্যে কষ্ট করে এই চমৎকার অংকনটি করেছেন দাদা, সত্যিই প্রশংসনীয় কাজ এটি। বাড়িঘর এবং টুকটুকে লাল সূর্যটি দারুন লেগেছে আমার কাছে।
দোয়া রইল পুরো পরিবারের জন্য 🥀
দাদা কেমন আছেন এই শীতে?? আমাদের ঢাকায় ও ২/৩ দিন ধরে বেশ শীত পরেছে। আপনার মত আমিও রাতে কিছু লিখে রাখি। যাক আপনি সকালে বাকিটুকু শেষ করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন,খুব ভালো লাগলো। আপনি কল্পনা থেকে একটি গ্রামীন দৃশ্য এঁকেছেন। নিরিবিলি বিকেলের দৃশ্য। লোকজন তেমন নেই বাইরে।আপনি বরাবরই ভালো আঁকেন। এটা আর নতুন করে কি বলব, খুব সুন্দর এঁকেছেন।এমন গ্রামের দৃশ্য আমার খুবই ভাল লাগে। 😍 কালার কম্বিনেশনটাও কিন্তু দারুন হয়েছে। 👌 পুকুরের পানি টলমল করছে। খরের গাদাটা খুব সুন্দর লাগছে। সবকিছু খুব সুন্দরভাবে আপনি ফুটিয়ে তুলেছেন। সূর্যিমামাকেও দারুন এঁকেছেন। সুন্দর একটি গ্রামের দৃশ্য এঁকে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ দাদা। অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ঠিক বলছেন দাদা আসলে শীতের পরিমাণ এত বেশি বেড়ে গেছে বসে কাজ করার মত পরিস্থিতি নেই।বেশিক্ষণ বসে থাকলে হাত পা একদম শীতল হয়ে যায়।আপনি বেশ সুন্দর করে একটি কাল্পনিক চিত্র তৈরি করেছেন।তবে কাল্পনিক হলেও এই ধরনের চিত্র গ্রামের দিকে বেশি লক্ষ্য করা যায়।যেসব গ্রাম গুলো নদীর কিনারায় থাকে সেসব ঘর বা গ্রাম এমন নির্জনে বেশির ভাগ দেখা যায়।আপনার কাল্পনিক চিত্র টি আমি বাস্তবতার সাথে মিল খুঁজে পেয়েছি।অনেক সুন্দর একটি দৃশ্য শেয়ার করেছেন দেখে অনেক ভালো লেগেছে।
এই কয়েকদিন সবখানেই বেশ ভালোই ঠান্ডা পড়ছে। আর বাইরে তো বের হওয়াই হচ্ছে না। কিন্তু গতকাল আমাদের এক আত্মীয় মারা যাওয়ার কারণে আমরা বের হয়েছিলাম। সিএনজিতে বসে যে বাতাসটা উপভোগ করেছি তাতে বুঝলাম উত্তরবঙ্গের মানুষের অবস্থা খুবই খারাপ। যাইহোক আজকে আপনি খুব সুন্দর একটি চিত্র অঙ্কন করেছেন দাদা। গ্রামীণ নির্জন পরিবেশের চিত্রটি খুব সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন। আর এই রং গুলো দেখলে আমার ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যায়। তখন এই রংগুলো দিয়েই আমি বেশিরভাগ রং করতাম। কিন্তু এখন জল রং ব্যবহার করার কারণে সেই রং গুলো দিয়ে করি না। তবে আমার কাছে মনে হয় জলরঙের থেকে এই রং গুলো দিয়ে রং করতে খুব বেশি সময় লাগে। আর এজন্যই এখন আর সেগুলো দিয়ে করা হয় না। তবে আমার খুব ভালো লাগতো যখন এই রংগুলো দিয়ে কোন দৃশ্য করতাম। বেশ দারুণ করে অঙ্কন করেছেন দাদা। কলা গাছগুলো খুব বেশি সুন্দর লাগছে।
গ্রামের অপরূপ সৌন্দর্যময় দৃশ্যের চিত্র অংকন করেছেন দাদা। এই চিত্রটি দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। সত্যিই একদম অরজিনাল হয়েছে। গ্রামের অপরূপ সৌন্দর্যময় প্রকৃতির এই সৌন্দর্যময় ফুটিয়ে তুলেছেন আপনার চিত্রের মাধ্যমে। দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। আসলে গ্রাম অঞ্চলের এই সৌন্দর্যময় প্রকৃতির দৃশ্য গুলো দেখতে আমার খুবই ভালো লাগে। আজকে আপনার চিত্রটি আমার খুবই ভালো লেগেছে, এত সুন্দর একটি চিত্র অংকন আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
সত্যি বলছেন দাদা গত ২/৩ দিন ধরে প্রচুর শীত লাগতেছে। শুনেছি তিন চার দিন থাকবে এমন শীত,তবে এখন শুনতেছি সময়টা আরো কিছুদিন বাড়বে। আর আপনার কাল্পনিক চিত্রাঙ্কনটি এক কথায় অসাধারন হয়েছে। প্রত্যেকটা অংশই পারর্ফেক্ট হয়েছে। তবে ঘরের পিছনে খড়ের গাদাটা দেখতে অনেক ভাল লাগতেছে। দেখতে কিছুটা লাটিমের মত লাগে। কালারটা সুন্দর ভাবে মিলিয়ে দিয়েছেন। আর নদী,গাছ,ঘর সব মিলিয়ে আপনার কল্পনাটা ধারুন ছিল। ধন্যবাদ দাদাদ।
অও,দাদা আপনার কল্পনার প্রশংসা করতে হয়।আপনি খুবই সুন্দর একটি গ্রামীন চিত্র অঙ্কন করেছেন।আসলে শৈশব কাটানো জায়গাগুলো এখন স্বপ্ন হয়ে দেখা দেয় চোখের পাতায়।আর ঠান্ডায় তো কম্বল থেকে হাত বের করতেই ইচ্ছে করে না।মনে হয় হাত বরফ হয়ে যাচ্ছে।আপনি দুইদিন ধরে এটি সমাপ্ত করেছেন তবুও এটি খুবই নিখুঁত ও সুন্দর হয়েছে।রঙের ব্যবহার জাস্ট অসাধারণ, ধন্যবাদ আপনাকে।