বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সামনে শেয়ার করতে এসেছি জসিম পল্লী মেলা ভ্রমণের শেষ পর্ব ।এর আগে আমি বেশ কয়েকটি পর্ব আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করেছি ।মেলার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। হয়তো আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে ।আজ আমি মেলার একদম শেষের ঘোরাঘুরি নিয়ে আলোচনা করব ।আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে ।দীর্ঘ সময় মেলায় ঘোরাঘুরির পর খিদে পেয়ে গেল ।তখন খাবারের দোকান গুলিতে গেলাম ।ওখানে বসেই খেতে চেয়েছিলাম কিন্তু তারপর মনে হল এখানে বসে না খেয়ে বিভিন্ন দোকান থেকে বিভিন্ন আইটেম কিনে বাসায় নিয়ে একবারে খাওয়া যাবে ।সে চিন্তা থেকেই সব দোকান ঘোরাঘুরি করে কিছু কিছু খাবার জিনিস কেনা হলো ।সেই ফটোগ্রাফি গুলোই আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব ।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে। তাহলে চলুন দেখে আসি মেলার খাবারের ফটোগ্রাফিগুলো। |
মেলায় আমি যখন গিয়েছিলাম তখন বেশ ফাঁকা ছিল। কিন্তু যখনই সময় গড়াচ্ছিল তখনই লোকজনের সংখ্যা বাড়ছিল ।লোকজনে ভরপুর ছিল পুরো মেলা জুড়ে। কিছুদূর হাঁটতে হাঁটতেই দেখতে পেলাম একটি চটপটি ও ফুসকার দোকান। রিপন ভাইয়ের চটপটি ও ফুচকার দোকান ।আমি কিন্তু আবার রিপন ভাইকে চিনি না, দোকানের নামটি লিখলাম ।মেলায় সাধারণত চটপটি, ফুচকা গুলোর দোকান বেশ দেখতে পাওয়া যায় ।যদিও আমি মেলা থেকে চটপটি ফুচকা কিছুই খাইনি। কেননা এরা প্লেটগুলো ধোয়ার কাজে নদীর পানি ব্যবহার করে, যেটা একেবারেই স্বাস্থ্যসম্মত নয় ।তবুও এই দোকানগুলোতে বেশ ভিড় লক্ষ্য করা যায় ।অনেকেই বসে বসে চটপটি ফুচকা খাচ্ছিল দেখতে পেলাম। |
এটি হচ্ছে মেলার আরো একটি খাবারের দোকান। বিভিন্ন ধরনের খুরমা এখানে পাওয়া যায় ।সেই ছোটবেলা থেকে যখনই মেলায় আসি তখনই এই দোকানগুলো দেখে আসছি ।আজও এর ব্যতিক্রম নয় ।আগে এই জিনিসগুলো খাবার প্রতি বেশ আগ্রহ ছিল কিন্তু ইদানিং এগুলো খাবার প্রতি তেমন একটা আগ্রহ নেই ।তারপরেও সব রকমের আইটেম থেকে একটু একটু করে কিনে নিয়েছিলাম ।যদিও বাসায় এসে সেগুলো খেতে পারিনি। একদমই ভালো লাগেনি। সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে খাবারের স্বাদেও পরিবর্তন আসে তাই বুঝতে পারলাম। |
এটিকে আমাদের এখানে বলে হাওয়াই মিঠাই । সমস্ত মেলাজুড়ে বেশ কয়েক জায়গায় এই হাওয়াই মিঠাই নিয়ে ছেলেগুলোকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলাম ।এটিও মেলার একটি পুরনো ঐতিহ্য বলা চলে ।মেলায় হাওয়াই মিঠাই থাকতেই হবে। এগুলো দেখলে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যায়। |
এটি একটি চিপসের দোকান ।এখানে একজন বয়স্ক লোক বসে বসে বিভিন্ন রকমের চিপস বিক্রি করছিল ।অনেকে এখান থেকে চিপসগুলো কিনছিল। এই দোকানটি দেখেও বেশ ভালো লাগলো। এর আগে কখনো এভাবে চিপসের দোকান মেলায় দেখিনি ।এবারই প্রথম দেখলাম। |
এখানে এক লোক বসে বসে পাপর বিক্রি করছিল।পাপর গুলো দেখলে আগেকার দিনের কথা মনে পড়ে যায় ।আগে যখন মেলায় যেতাম তখন প্রথমেই পাপড় কিনে সেই পাপড় খেতে খেতে সমস্ত মেলা ঘুরতাম। এখন আর সেটি করা হয় না তবুও ফেরার পথে কয়েকটি পাপড় কিনে নিয়ে আসি। পাপড়ের দোকানের সামনে আরো কিছু খাবারের দোকান ছিল ।যেখানে চটপটি, ফুচকা, বিভিন্ন ফাস্ট ফুডের দোকান, এমনকি মোগলাইয়ের দোকান ও ছিল। একটি মোগলাইয়ের দোকান থেকে মোগলাই পরোটা কিনেছিলাম ।মোগলাই পরোটা টা খেতে বেশ ভালই ছিল। |
এটি একটি ফাস্টফুডের দোকান। এখানে চিকেন দিয়ে বিভিন্ন আইটেমের জিনিস বানিয়ে রেখেছিল এবং বানাচ্ছিল। এখান থেকে আমরা কয়েক আইটেমের জিনিস কিনলাম ,আমাদের সামনে ভেজে দিল। কিন্তু সেগুলো বাড়িতে এনে খেয়ে দেখি স্বাদে খুবই জঘন্য।আমার কাছে একটুও ভালো লাগে নি। |
তারপরেও যখনই মেলায় যাওয়া হয় তখনই মেলা থেকে কিছু না কিছু জিনিস কেনা আমাদের সকলেরই অভ্যাস ।এভাবেই বিভিন্ন ধরনের জিনিস কিনে আমি মেলার ঘোরাঘুরি শেষ করলাম এবং বাসায় ফিরে এলাম ।আশা করছি আপনাদের কাছে আমার আজকের পর্বটি ভালো লেগেছে।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
🔚ধন্যবাদ🔚
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
@tipu curate
;)
--
This is a manual curation from the @tipU Curation Project.
Upvoted 👌 (Mana: 0/7) Get profit votes with @tipU :)
মেলার খাবারের দোকানগুলো সেই আগের মতনই আছে বেশিরভাগই। কিন্তু মাঝখানে কিছু নতুন খাবার আইটেম যোগ হয়েছে। সেগুলো দেখলাম যে চিকেন ফ্রাই, বার্গার জাতীয় আইটেম। আমরা যখন মেলায় যেতাম তখন এই টাইপের খাবার পাওয়া যেত না। তাছাড়া আপনি খুব ভালো কাজ করেছেন যে মেলা থেকে চটপটির ফুচকা খাননি। আসলেই প্লেট ধুতে নদীর পানি ব্যবহার করে। অন্যান্য দোকানগুলোর যে কি অবস্থা তা কে জানে। মেলার ছবিগুলো দেখে খুব ভালো লাগলো। ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল।
হ্যাঁ আপু মেলার দোকানগুলো ঠিক আগের মতই আছে ।তবে সামান্য পরিবর্তন হয়েছে। আমার ছবিগুলো দেখে আপনার ছোটবেলার কথা মনে পড়েছে জেনে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
অবশেষে দেখতে দেখতে আমরা জসীমউদ্দীন পল্লী মেলা ভ্রমণের শেষ পর্বে এসে উপস্থিত হলাম আপনার বিগত পর্বগুলো আমি দেখেছিলাম আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিল। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে আপনার এই সুন্দর মুহূর্ত পর্ব আকারে শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া আপনি আমার মেলার সবগুলো পর্ব দেখেছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো ।এইভাবে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সবসময় ভালো থাকবেন ,এই শুভকামনা রইল।
জসিম পল্লী মেলার ভ্রমণ কাহিনী অনেক সুন্দর ভাবে কিছু শব্দ ও আলোকচিত্রের মাধ্যমে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। মেলার খাবারের ছবিগুলো দেখে অনেক লোভ হচ্ছে, হাহা। এত সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
মেলার খাবারের ছবিগুলো দেখে আপনার লোভ লেগেছে জেনে বেশ ভালো লাগলো। আসলে এ ধরনের খাবার দেখলে লোভ লাগাটাই স্বাভাবিক ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।ভালো থাকবেন।
জসিমউদ্দিন পল্লী মেলায় আপনি তো দারুণ সময় কাটিয়েছেন এবং আজকে শেষ পর্ব দিয়ে দিলেন আপু। আসলে মেলায় গেলে বিভিন্ন ধরণের খাবার দেখলে সত্যিই খুবই লাগে খেতে ইচ্ছা করে। হাওয়াই মিঠাই আসলে বাচ্চাদের জন্য খুবই জনপ্রিয় একটি খাবার। ধন্যবাদ আপনাকে এই জসীমউদ্দীন মেলার কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ভাইয়া মেলায় বেশ ভালো সময় কাটিয়েছিলাম। ঠিকই বলেছেন মেলায় বিভিন্ন ধরনের খাবার দেখলে খেতে ইচ্ছে করে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।ভালো থাকবেন।