কাতল মাছ ভুনা রেসিপি||১০% বেনিফিশিয়ারি আমার প্রিয় @shy-fox এর জন্য
হ্যালো, বন্ধুরা আসসালামু আলাইকুম। সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই যে যেখানে আছেন ভালো আছেন সুস্থ আছেন ।আমিও আল্লাহর রহমতে বেশ ভাল আছি।
আজ আমি আপনাদের সামনে একটি মজার মাছের রেসিপি নিয়ে এসেছি। আর সেটি হচ্ছে কাতল মাছ ভুনা রেসিপি। আমরা বাঙালি আমাদের খাবারে মাছ না হলে চলে না ।আর কাতল মাছ খুবই পুষ্টিগুণসম্পন্ন একটি মাছ। কাতল মাছ আমাদের দেহের শক্তি বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতেও কাতল মাছ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।কাতল মাছের উপকারিতা রয়েছে প্রচুর। তাছাড়া এটি খেতে খুবই সুস্বাদু ।আর কথা না বাড়িয়ে চলুন তাহলে শুরু করি আমার আজকের রেসিপি কাতল মাছ ভুনা রেসিপি।
কাতল মাছ ভুনা রেসিপি
উপকরণ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
মাছ | ৫ পিছ |
পেঁয়াজ বাটা | ৩টেবিল চামচ |
আদা বাটা | ১চা চামচ |
রসুন বাটা | ১চা চামচ |
পেঁয়াজ কুচি | ৩টি |
কাঁচা মরিচ | ৪টি |
ধনিয়া পাতা | ২০গ্রাম |
লাল মরিচ গুঁড়া | ১চা চামচ |
হলুদ গুঁড়া | ১চা চামচ |
ধনিয়া গুঁড়া | ১চা চামচ |
জিরা গুঁড়া | ১চা চামচ |
লবণ | স্বাদমতো |
তেল | পরিমাণমতো |
প্রস্তুত প্রণালী
১ম ধাপ
প্রথমে একটি কড়াইয়ে তেল দিয়ে দেই। তেল গরম হলে মাছ গুলি হলুদ লবণ মাখিয়ে তেলে দিয়ে ভেজে নেই।
২য় ধাপ
মাছগুলি ভাজা হয়ে গেলে একটি বাটিতে তুলে নেই।
৩য় ধাপ
তারপর ওই তেলের মধ্যে পেঁয়াজ, মরিচ দিয়ে দেই ।পেঁয়াজ, মরিচ বাদামি করে ভেজে নেই।
৪র্থ ধাপ
পেঁয়াজ বাদামি করে ভাজা হলে তারপর পেঁয়াজ বাটা, আদা বাটা, রসুন বাটা দিয়ে দেই।
৫ম ধাপ
তারপর হলুদ গুঁড়া, লাল মরিচ গুড়া, ধনিয়া গুঁড়া, জিরা গুড়া ও লবণ দিয়ে দেই।
৬ষ্ঠ ধাপ
সব গুঁড়া মসলা দেওয়ার পর ভালো করে নেড়ে চেড়ে মশলাটা কিছুক্ষন কষিয়ে নেই।
৭ম ধাপ
মশাটা ভালোমতো কষানো হলে মাছ গুলি দিয়ে দেই ।মাছ গুলি দিয়ে মাছ গুলি মসলার সঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে নেই।
৮ম ধাপ
তারপর একটু পানি দিয়ে ঢেকে দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করি।
৯ম ধাপ
পানি একটু কমে আসলে ধনিয়া পাতা দিয়ে দেই।তারপর আরো কিছুক্ষণ রান্না করি।
১০ম ধাপ
পানি শুকিয়ে ঘন হয়ে এলে হয়ে গেল আমার কাতল মাছ ভুনা।
১১তম ধাপ
এখন একটি বাটিতে ঢেলে গরম গরম পরিবেশন করি ।এভাবে রান্না করে দেখবেন খুবই মজা লাগে ।
আজকের মত এ পর্যন্তই সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন ।আমার পোস্টটি পড়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এ৪০ |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
আপু এতো ভাল রেসিপি দিয়েছেন আমারতো জিভে জল এসে গেছে। এমনিতে কাতল মাছ আমার অনেক প্রিয় তার উপর এতো ভাল রেসিপি অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই ।অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন ।ভালো থাকবেন।
উফফ আপু কাতলা মাছ যে আমার কত প্রিয় তা কিভাবে বুঝাবো জানি না।আমার খুব বেশি প্রিয় এই মাছটা। আর মাছ যখন ভেজে রান্না করা হয় তখন ওইটা আমার প্রিয় হয়ে যায় কয়েকগুণ।ভেজে রান্না করলে মাছটা একদম নরম হয়ে যায়না আর খাওয়ার সময় একটা ক্রিস্পিনেস থাকে যা আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগে। সত্যিই আপু রেসিপিটা দারুণ হয়েছে।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু ।ভালো থাকবেন।
আপনার রেসিপিটি অনেক সুন্দর হয়েছে আপু। প্রত্যেকটি ধাপ আপনি দক্ষতার সাথে শেষ করেছেন। কাতল মাছ আমার অনেক পছন্দের। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই ।ভালো থাকবেন।
খুব সুন্দর হয়েছে রেসিপিটি।মাছের রংটি অনেক ভালো হয়েছে দেখেই লোভনীয় লাগছে।অনেক ধন্যবাদ তোমাকে।
তোমাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।
কাতল আমার খেতে বেশ লাগে। কাতল মাছ তরকারিতে ভালো লাগে, তবে আমি এই মাছ ভাজা করে খেয়ে ফেলি। ভাজা আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আপনি রেসিপিটি ভালোভাবে উপস্থাপনা করেছেন, দেখে ভালো লাগলো।
হ্যাঁ ভাইয়া আপনি ঠিকই বলেছেন ,কাতল মাছ তরকারি তে ভালো লাগে ।আসলে কাতল মাছ যেভাবে খাওয়া যায় সেভাবেই ভালো লাগে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
কাতল মাছ ভুনা রেসিপি দেখে লোভ সামলাতে পারছি না। দেখেই বুঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আপুর আপনার রেসিপি অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো
হ্যাঁ ভাইয়া খুবই সুস্বাদু হয়েছে। আপনিও এভাবে করে দেখবেন খুবই ভালো লাগবে। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
অনেক সুন্দর রেসিপিটি আপু।আপনি অনেক সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন।রুই ও কাতল মাছ সবারই প্রায় পছন্দের।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনার কাতলা মাছের ভুনা রেসিপি অনেক সুন্দর হয়েছে। আর এবং অনেক দক্ষতার সাথে ও মেহনতের সাথে আপনার রেসিপি টি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। তাই আপনাকে প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা রইল।
ভাই আপনি খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন ।আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।
দারুন হয়েছে কাতলা মাছের ভুনা। এক কথায় অসাধারণ রেসিপি। আমাদের সাথে ভাগ করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপনার মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
কাতল মাছ আজকে প্রথম নাম শুনলাম এবং অনেক সুন্দর ছিল আপনার রেসিপিটি। বিভিন্ন ধাপে ধাপে আপনি রান্না করেছেন। পরিবেশনটা অনেক সুন্দর লেগেছে আমার।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা।