মাকে নিয়ে দীর্ঘদিন পর ঘুরাঘুরি ও খাওয়া দাওয়া (পর্ব-১)
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
মাকে নিয়ে দীর্ঘদিন পর ঘুরাঘুরি ও খাওয়া দাওয়া (পর্ব-১)
নিজের পরিবারের সবাই মিলে একসঙ্গে ঘুরতে বের হলে অন্যরকম একটা ভালো লাগা কাজ করে। যদিও মাকে নিয়ে অনেকদিন পর বেরিয়েছি তার কারণে অনেক বেশি ভালো লাগছিল ।সঙ্গে ভাই বোন ছিল যার কারণে আরো বেশি ভালোলাগা কাজ করছিল। পুরো পরিবার একসাথে হলে অন্যরকম একটা ভালোলাগা কাজ করে ।যদিও এখন আর শত চেষ্টা করলেও পুরো পরিবার এক হওয়া সম্ভব না। কেননা আমার বাবা আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন। তারপরেও সবকিছু ভুলে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হয়। এটাই জীবনের নিয়ম।যাই হোক তারপর আমরা ফুচকার দোকানে বসলাম, সেখানে সারিবদ্ধ অসংখ্য দোকান ছিল।
মূলত এই এলাকাটা এখন চটপটি ফুচকার এরিয়া বলা যায় ।এখানে অসংখ্য সারি সারি দোকান রয়েছে ।শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে সবাই এখানে আসে চটপটি ফুচকা খাবার জন্য ।এখানে মাটির ভারে তান্দুরি চা ও পাওয়া যায় ।যাই হোক আমরা আমাদের জন্য ফুচকা অর্ডার করলাম। কিন্তু বাচ্চারা বার্গার খেতে চাইলো। যার কারণে ওদের জন্য বার্গার অর্ডার করা হলো। এখানে চটপটি ফুচকার পাশাপাশি বার্গার, স্যান্ডউইচ আরো বিভিন্ন ধরনের খাবার ছিল।
রাতের বেলায় জায়গাটা দেখতে কিন্তু ভীষণ চমৎকার লাগে ।সাথে সাথে দোকানের লাইট আর পাশে রয়েছে বিশাল বড় লেকের মত ।সেই লেকেরই পাশেই অসংখ্য দোকানগুলো গড়ে উঠেছিল। তারপর কিছু সময় পর আমাদের খাবারগুলো দিয়ে গেল এবং আমরা গল্প করতে করতে খাবার গুলো খেতে লাগলাম ।যদিও ভীষণ গরম ছিল।
তবে এখানে যতবার এসেছি ততবারই প্রচুর ভিড় লক্ষ্য করেছি ।কেননা চটপটি ফুচকা খাবার জন্য সবাই যেন অস্থির থাকে। তাই এই জায়গাগুলোতে প্রচুর পরিমাণে লোক সমাগম হয় ।আর সবাই এসে চটপটি ফুচকা খায় । বাচ্চারা বার্গারটা বেশ মজা করে খেয়েছিল ।আর আমরা ফুচকা খেয়েছিলাম। এগুলো খেতে বেশ ভালই ছিল।
ফুচকা গুলোর সঙ্গে তিন রকমের টক দিয়েছিল ।যার কারণে খেতে অনেক বেশি ভালো লেগেছিল ।এই গরমে টক জাতীয় যে কোন খাবার খেতে ভীষণ ভালো লাগে। যদিও এখন যে পরিমাণ গরম পড়ছে তখন এতটা গরম ছিল না ।এতটা গরম হলে বাইরে বের হওয়া সম্ভব ছিল না। ঈদের দুদিন পর ওয়েদার মোটামুটি ছিল। যাই হোক সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া করার পর তান্দুরি চায়ের খোঁজ নিলাম ।কিন্তু সেদিন দুঃখের বিষয় তান্দুরি চা ওয়ালা দোকান আগেই শেষ করে চলে গিয়েছে। কেননা এখানে প্রচুর লোক সমাগম হয়। যার কারণে আগেই তার বিক্রি শেষ হয়ে গিয়েছিল ।
যাইহোক তারপর আমার সিদ্ধান্ত নিলাম যেহেতু খুবই গরম আমরা তাহলে ঠান্ডা জাতীয় কিছু খাই ।পাশের দোকানে দেখলাম লাচ্চি পাওয়া যায় লেখা রয়েছে ।সেখানে যেয়ে খোঁজ নিতে জানতে পারলাম তাদের টাও শেষ হয়ে গিয়েছে। মূলত আমাদের তখন রাত হয়ে গিয়েছিল। যার কারণে মোটামুটি সব খাবার শেষের পথে ছিল। যাই হোক একটা লোক আমাদেরকে তখন বলল দু মিনিট সামনে এগুলোই লাচ্চির চমৎকার একটি দোকান রয়েছে। সেখানে হরেক রকমের লাচ্ছি রয়েছে। আপনারা সেখান থেকে খেতে পারেন। তারপর লোকটির কথা মত আমরা সেখানে যাবার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। সেই গল্প আরেক দিন আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | OPPO Reno8 T |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি একজন হাউজ ওয়াইফ। সমাজবিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স করেছি।ঘুরে বেড়াতে , ঘুমাতে এবং গান শুনতে আমি ভীষন পছন্দ করি।বাগান করা আমার শখ।এছাড়াও আর্ট , বিভিন্ন রেসিপি ট্রাই করতেও ভালো লাগে। আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
আসলেই সেদিনকার আবহাওয়াটাও ভালো ছিল এবং অনেক আনন্দও পেয়েছিলাম। রিকশা করে ঘুরতে পারলে অবশ্য ভালো হতো তবে সবাই মিলে তো রিকশায় হয়না অটোতেই ভালো হয়েছিল । সত্যি সেদিনের খাওয়াটা কিন্তু মোটামুটি ভালোই ছিল । বার্গারের ছবিটা সেদিন আমার তোলা হয়নি আপনি তো ঠিকই তুলে নিয়েছিলেন । ভালো লাগলো আবার সেদিনের কথা গুলো মনে পড়ে । আর পরিবারের লোকজন সব সময় যদি একসাথে থাকতে পারতাম তাহলে মনে হয় ভালো হয় তবে এটা তো আর সম্ভব না ।
পরিবারের লোকেরা সব সময় একসঙ্গে থাকার আনন্দ আসলেই অন্যরকম, যা কখনোই এখন আর সম্ভব নয় । যাইহোক সেদিন বেশ ভালো সময় কাটিয়েছিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
আপু এটা ঠিক বলেছেন পুরো পরিবার আগের মতো একসাথে কখনো হওয়া যাবে না ঠিকই কিন্তু হতে পারলে খুব ভালো হতো। সবাই একসাথে হলেও একজন মানুষের জন্য যেন সবাই আলাদা রয়েছি। আপনার মতো আমারও বাবা নেই তাই যখন পরিবারের বাকি সবাই একসাথে হই তখন মনে হয় এই একজন মানুষ কে ছাড়া পরিবার যেনো অসম্পূর্ণ রয়ে গিয়েছে। যাই হোক অনেক দিন পর আপনার মা কে নিয়ে ভাই বোনেরা মিলে ঘুরতে গিয়েছেন জেনে খুব ভালো লাগলো। রাতের বেলা অটোরিকশায় এভাবে ঘুরতে আমার কাছেও অনেক ভালো লাগে। তবে রিকশা হলে আরও ভালো হয় কিন্তু মানুষ বেশি থাকলে অটোরিকশাই ভালো। আপনার ফুচকার কথা শুনে তো আমার খুব খেতে ইচ্ছে করছে। রাতের বেলা রাস্তার পাশে বসে ভাইবোনেরা মিলে এভাবে ফুচকা খাওয়ার আনন্দই আলাদা। ঘোরাঘুরি করে আপনার মা নিশ্চয়ই অনেক খুশি হয়েছে। আপনারা এরপর লাচ্ছি খেতে পেরেছেন কিনা জানার অপেক্ষায় রইলাম।
আপু যেহেতু আপনার বাবা নেই তাহলে আপনি আমার অনুভূতিটা বুঝতে পেরেছেন ।আর হ্যাঁ সেদিন মা বেশ খুশি হয়েছিল অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য। সময় পেলে আপনিও আপনার মাকে নিয়ে ঘুরে বেড়াবেন।
পরিবারের সদস্যের সাথে কোথাও গেলে আলাদা মজা হয়। সেই সাথে ঘোরাফেরা শেষে এরকম খাওয়া-দাওয়া সব মিলিয়ে সুন্দর সময় পার করেছেন। তবে মাকে নিয়ে ঘুরতে গিয়েছেন এই বিষয়টা আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে।
হ্যাঁ ভাইয়া মাকে সময় দেওয়াটা আমাদের সবার জন্য জরুরী এবং সবাই একসঙ্গে ঘুরতে বেরিয়ে দেখলাম মা ও বেশ খুশি হয়েছিল ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
সত্যি ই আপু ঈদের পরের দুইদিন আবহাওয়াটা সহনীয় ই ছিল।ঈদের সময়টাতে ভাই, বোন আর মা মিলে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। আসলে চাইলেও সবাই এখন আর একসাথে হওয়া যায় না।আমিও আমার আম্মুকে নিয়ে এবার টুকিটাকি কেনাকাটা করতে গিয়েছিলাম।দিনের বেলা রোজা তাই কিছু খাওয়া হয়নি। বাইরের খাবার আমি আর আম্মু আমরা কেউ ই তেমন পছন্দ করিনা।তবে রোজা না হলে আইসক্রিম ঠিক খাওয়া হতো।আপনারা এতো রাতে গেলেন তাইতো সব বিক্রি করে দোকানের লোকজন চলে গেছে।আপনারা চটপটি খেতে পারলেও চা খেতে তাই পারেননি।এরপর কোথায় গেলেন তা হয়তো পরের পর্বে জানা যাবে।ধন্যবাদ আপু মায়ের সাথে কাটানো সুন্দর মূহুর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু সবাই মিলে কাটানো মুহূর্তটা সত্যি অন্যরকম ছিল ।অনেক দিন পর যার কারণে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
ফ্যামিলির মানুষদের সাথে বাইরে কোথাও বের হলে অনেক ভালো সময় কাটানো যায়। আর অনেকদিন পর আপনারা আপনাদের মায়ের সাথে বাহিরে ঘুরাঘুরি করেছেন, শুনে খুবই ভালো লেগেছে আপু। আপনি এবং তৌহিদা আপু, সাথে আপনার আম্মু আর ভাই ছিল, শুনে খুব ভালো লাগলো। আপনার আম্মুর কাছেও নিশ্চয়ই খুব ভালো লেগেছিল রাতের বেলায় ঘুরাঘুরি করতে পেরে। এরকম জায়গাগুলোতে ফুচকা চটপটে বসে খেতে অনেক বেশি ভালোই লাগে। সম টা খুব ভালো কাটলো দেখেই বুঝতে পারতেছি। বাচ্চারা মজা করে বার্গার খেয়েছিল নিশ্চয়ই। লাচ্ছি খাওয়ার মুহূর্তটা আশা করছি তাড়াতাড়ি আমরা পড়তে পারবো।
হ্যাঁ আপু সবাই মিলে রাতের বেলায় এভাবে ঘোরাঘুরি করতে বেশ ভালো লেগেছিল ।আমার আম্মাও মনে হয় খুশি হয়েছিল। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
রাতের বেলায় ঘুরাঘুরি করতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। তাই আমি রাতের বেলায় ঘুরাঘুরি করে থাকি অনেক সময়। ঈদের পরে দেখছি আপনি আপনার আম্মুকে নিয়ে আর তৌহিদা আপুর সাথে ঘুরাঘুরি করেছিলেন। আর সবাই মিলে একসাথে ফুচকা খেয়েছিলেন শুনে তো খুবই ভালো লেগেছে, সাথে একটু লোভ লেগে গিয়েছে। বাচ্চারা যেহেতু বার্গার পছন্দ করে, তাই বার্গার খেয়েছে শুনে ভালো লেগেছে। এরকম সময় কিন্তু ঠান্ডা জাতীয় কোন কিছু না খেলে ভালোই লাগে না। যদিও লাচ্চির খোঁজ করছিলেন কিন্তু প্রথম দোকানটাতে পাননি, পরবর্তী দোকানে নিশ্চয়ই পেয়েছিলেন।
হ্যাঁ ভাইয়া রাতের বেলায় ঘোরাঘুরি করার মজা অন্যরকম । আর লাচ্ছি পরের দোকানে পেয়েছিলাম।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন সব সময়।