জসীম মেলা ভ্রমণ (পর্ব-৩)
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
বন্ধুরা আজ আবারো আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজ আমি মূলত আমাদের শহরের ঐতিহ্যবাহী মেলা ভ্রমণ নিয়ে হাজির হয়েছি।এটি আমাদের শহরের ঐতিহ্যবাহী একটি মেলা ।পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের স্মরণে তারই বাড়ির সামনে নদীর পাড়ে বিশাল মেলার আয়োজন করা হয়। যদিও মাঝে দু তিন বছর মেলার আয়োজন বন্ধ ছিল বিভিন্ন জটিলতার কারণে। তখন মনে হতো জসিম মেলা মনে হয় শেষ হয়ে গেল। আর কখনো হবে না। কিন্তু পরবর্তীতে আবার শুরু হয়েছে মেলা। জসিম পল্লী মেলা তার ঐতিহ্য ধরে চলেছে দীর্ঘদিন থেকে। কয়েকদিন আগে আমি আপনাদের সঙ্গে এই মেলা ভ্রমণের দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করেছিলাম ।আজ আবার তৃতীয় পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছি। যাইহোক আর কথা না বাড়িয়ে চলে যাচ্ছি মেলা প্রাঙ্গণে।
জসীম মেলা ভ্রমণ (পর্ব-৩)
আমার কাছে জসিম মেলায় গেলে মনে হয় যেন প্রতিবারই একই ধরনের স্টল দেখি। একই জিনিস ঘুরেফিরে দেখা হয় যার কারণে মেলায় আমার খুব একটা যেতে ইচ্ছে করে না। কিন্তু মেয়ে যাবার জন্য কয়েকদিন থেকে বেশ বায়না করছিল। যার কারণে আমাদের মেলায় যাওয়া হয়েছিল। তবে বাচ্চারা এই ধরনের মেলায় গেলে বেশী হয়। যদিও কেনার মত তেমন কিছুই খুঁজে পায়না তার পরেও যেতে বেশ আগ্রহী থাকে।
আমরা বিকেলের আগেই মেলায় গিয়েছিলাম যার কারণে বেলায় তেমন একটা ভিড় ছিল না ।তবে লোকজন একেবারেই যে ছিল না সেটা নয় ।মোটামুটি বেশ ভালই লোকজন ছিল। তবে সন্ধ্যার দিকে মেলায় প্রচুর লোক সমাগম হয়। আমরা তো গিয়েছিলাম বিকেল চারটার দিকে।এই সময়টা মেলায় যাবার জন্য বেশ ভালো। কেননা লোকজনের হুড়োহুড়ি থাকে না।
তারপর হাঁটতে হাঁটতে আমরা এই দোকানটির সামনে এসে দাঁড়ালাম। দেখলাম এখানে বিভিন্ন ধরনের খাবার জিনিস সাজিয়ে রাখা হয়েছে ।যে খাবার গুলো শুকনা খাবার। খেতে বেশ ভালোই লাগে। প্রতিটি খাবার প্যাকেট করা। যেখানে ঝাল ,মিষ্টি সব ধরনের খাবারই ছিল। এখান থেকে কিছু খাবার আমরা কিনেছিলাম।
যেকোনো মেলায় বাচ্চাদের এই হাড়ি পাতিল গুলো থাকবেই। আর এখনকার বাচ্চাদের এই হাঁড়ি-পাতিলের প্রতি তেমন একটা নেশা লক্ষ্য করা যায় না ।আগের দিনে দেখা যেত আমরা এই ছোট ছোট হাড়ি পাতিল দেখলে কেনার জন্য পাগল হয়ে যেতাম এবং সবাই মিলে এই হাড়ি পাতিল দিয়ে রান্না বান্না খেলাধুলা করতাম। কিন্তু এখনকার বাচ্চারা হাড়ি পাতিল দিয়ে কিভাবে খেলা করতে হয় সেটিই তারা জানে না। এই ছোট ছোট হাড়ি পাতিল দেখলে তারা বেশ অবাক হয়।
জসিম মেলায় এই দোকানগুলো সেই ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি এবং আমি যখন ছোটবেলায় মেলায় যেতাম তখন হাতে এই ছাপগুলো নিতাম। তখন ভীষণ ভালো লাগতো। হাতে ছাপ দিতে বেশ ভালো লাগতো ।কিন্তু এখনকার দিনে এই জিনিসগুলো কেউ মনে হয় লাগায় না।এগুলো আর সেই আগের মতো ভালো লাগে না। তবে এই দোকানটি দেখে পুরনো সেই স্মৃতি গুলো মনে পড়ে গেল।
এই দোকানগুলোতে গৃহস্থালির প্রয়োজনীয় কিছু জিনিসপত্র ছিল। যেখানে মেলামাইন , কাচের মগ, প্লেট, বাটি আরো বিভিন্ন ধরনের জিনিস ছিল ।এই দোকানগুলো আমরা ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগলাম। যদিও এখান থেকে তেমন কিছু কেনা হয়ে ওঠেনি ।তবে এগুলো দেখতে বেশ ভালই লাগে।
তারপর আরো কিছুদূর এগোতে এগোতে আমরা এই পার্স এর দোকানে যেয়ে হাজির হলাম। এখানে বিভিন্ন ধরনের হ্যান্ড ব্যাগ ছিল। যদিও এগুলো আমার কাছে খুব একটা ভালো লাগেনি ।কেননা কেনার মত সুন্দর ছিল না ।তবে মেলায় সব সময় এই ব্যাগের দোকান গুলো থাকে। যেখানে প্রতিবারই যাওয়া হয় ।ছোটবেলায় এই দোকান গুলো থেকে ছোট ছোট ব্যাগ কিনতাম । এখন আর তেমনটা কেনা হয়ে ওঠে না।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | OPPO Reno8 T |
লোকেশন | জসিম মেলা, ফরিদপুর |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি একজন হাউজ ওয়াইফ। সমাজবিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স করেছি।ঘুরে বেড়াতে , ঘুমাতে এবং গান শুনতে আমি ভীষন পছন্দ করি।বাগান করা আমার শখ।এছাড়াও আর্ট , বিভিন্ন রেসিপি ট্রাই করতেও ভালো লাগে। আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
![witness_proxy_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRXkkCEbXLYwhPEYqkaUbwhy4FaqarQVhnzkh1Awp3GRw/witness_proxy_vote.png)
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
বিগত সপ্তাহেও দেখেছি পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের মেলার পর্ব ৷ আজকে তৃতীয় পর্বে দারুন কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন৷ আসলে মেলা মানে বিভিন্ন রকমের দোকান যেগুলো ভালো লাগে ৷ আশা করি আপনি অনেক ভালো অতিবাহিত করেছেন ৷ অসংখ্য ধন্যবাদ আপু পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের কাটানো মুহুর্ত অনুভুতি সাথে ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য ৷
হ্যাঁ ভাইয়া বেশ ভালো সময় কাটিয়েছিলাম মেলায় ।আসলে মেলায় ঘুরাঘুরি করতে বেশ ভালই লাগে ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
আসলে মেলাগুলো যদি অনেকদিন স্থায়ী হয় তবে সেই মেলার মাঝামাঝি সময় থেকে যত সময় বাড়তে থাকে ততই লোকের সংখ্যা কমতে থাকে। আসলে সবাই তো এখন কর্মব্যস্ত থাকে তাই ছুটির দিনগুলো ছাড়া কেউ মেলায় যাওয়ার সুযোগ পায় না। আসলে মেলাতে যে বিভিন্ন ধরনের দোকানগুলো রয়েছে সেই দোকানগুলো ঘুরতে ঘুরতেই অনেকটা সময় পার হয়ে যায়। আসলে বর্তমান কার সময়ে মেলা থেকে তেমন একটা জিনিস আর কিনতে ইচ্ছা হয় না। কিন্তু মেলা ঘুরে দেখতে সবার খুব পছন্দ হয়। আশা করি আজকের পোস্টটি পড়ে আমার মনে হচ্ছে যে আপনারও মেলায় ঘুরতে অনেক বেশি ভালো লাগে।
হ্যাঁ ভাইয়া ঠিকই বলেছেন মেলায় কেনাকাটা করার থেকে ঘুরে বেড়াতেই বেশি ভালো লাগে ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
আমার কাছেও মনে হয় যেকোনো মেলায় একইরকম স্টল থাকে এখন। আগে দেখতাম মেলায় কতো সুন্দর সুন্দর হাতে তৈরি জিনিসপত্র পাওয়া যেতো, যেগুলো মার্কেটে পাওয়া যেতো না। কিন্তু এখন মার্কেটে যা পাওয়া যায়, মেলায় ঠিক সেগুলোই পাওয়া যায়। তবে মেলায় জিনিসপত্রের দাম তুলনামূলক ভাবে বেশি হয়ে থাকে। তাই বেশিরভাগ মানুষ মেলায় ঘুরতে যায় এবং পছন্দ হলে টুকিটাকি জিনিসপত্র কিনে। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো আপু। অনেকদিন পর হাতে ছাপ দেওয়ার সরঞ্জামাদি দেখে খুব ভালো লাগলো। ছোটবেলায় মেলায় গিয়ে প্রথমেই হাতে ছাপ দিতাম। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
হ্যাঁ ভাইয়া ঠিকই বলেছেন মেলায় মার্কেট থেকে একটু ব্যতিক্রমধর্মী জিনিস হলে সেগুলো কেনার ইচ্ছা থাকে। কিন্তু একই জিনিস বেশি দাম দিয়ে কেনার আগ্রহ সবারই হারিয়ে যায়। যাই হোক আপনিও মেলায় যেয়ে হাতে ছাপ দিতেন জেনে ভালো লাগলো ।ধন্যবাদ আপনাকে।
এই মেলা ভ্রমণের প্রথম দুটি পর্ব আমি পড়েছিলাম৷ আজকে এর তৃতীয় পর্ব পড়েও খুবই ভালো লাগছে৷ আসলে মেলায় অনেক সুন্দর সুন্দর জিনিস থাকে এবং নতুন নতুন দোকান থাকে৷ যেখানে আমরা অনেক কিছু দেখে থাকি৷ আপনিও সেরকমই নতুন এবং আমাদের পরিচিত সকল কিছুই আপনার এই পোস্টের মাধ্যমে শেয়ার করেছেন যা দেখে খুবই ভালো লাগছে৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷
ভাইয়া মেলায় গেলে প্রতিবারই আমার তো মনে হয় একই রকমেরই দোকান। নতুনত্ব কিছু খুঁজে পাই না ।যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
তবে আমার কাছে অনেক কিছুই নতুন মনে হয়।
এই মেলার প্রথম পর্ব যদিও দেখা হয়েছে মাঝে একটা পর্ব বাদ পড়ে গেল। আজকে অন্য আরেকটি পর্ব দেখতে পেয়ে ভালো লাগছে। খুব সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন মেলায়। ছোটবেলায় আমিও যতবারই মেলায় যেতাম হাতের উপর রঙের বিভিন্ন ডিজাইনের এই ছাপ গুলো নিতাম। আমার কাছে এগুলো খুবই ভালো লাগতো। তবে হ্যাঁ এখন হয়তো মানুষেরা এই জিনিসগুলো তেমন একটা ব্যবহার করে না। সুন্দর মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
হ্যাঁ আপু ছোটবেলায় আপনার মত আমিও হাতে এই ছাপগুলো নিতাম। বেশ ভালো লাগতো ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।