হঠাৎ হনুমানের দেখা পাওয়া
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
বন্ধুরা আজ আবারো হাজির হয়েছি আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে । প্রতিদিন নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আপনাদের কাছে বেশ ভালো লাগে ।তাইতো প্রতিদিন চেষ্টা করি ভিন্ন ভিন্ন পোস্ট আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে। আজও তেমনি একটি অন্যরকম পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি ।আজকের পোস্টটি বেশ মজার একটি পোস্ট । বেশ কিছুদিন আগে আমি আমার নানু বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম । সেখানে যাবার পর আমি দুদিন সেখানে ছিলাম । একদিন হঠাৎ করেই বাচ্চাদের চেঁচামেচি শুনতে পেলাম পাশের বাড়িতে নাকি হনুমান এসেছে ।আমিও বেশ আগ্রহ নিয়ে বাচ্চাদের কাছে জিজ্ঞাসা করলাম কি হয়েছে ? তারা বলল পাশের বাড়িতে হনুমান এসেছে সবাই দেখতে যাচ্ছে, আমরাও দেখতে যাব । সেই হনুমান দেখার গল্পই আজ আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব । আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে ।
হঠাৎ হনুমানের দেখা পাওয়া
আসলে যখনই হনুমানের কথা শুনেছে তখনই আমার মেয়ে অস্থির করে তুলেছে হনুমান দেখতে যাবার জন্য । আসলে এই প্রাণীগুলো খুব একটা দেখা যায় না যার কারণে এদের দেখার আগ্রহ বাচ্চাদের থেকে শুরু করে বড়দের মধ্যেও দেখা যায় । যেমন আমার বেলায়ও ঘটেছিল । আমারও দেখার বেশ আগ্রহ হলো । তার কিছুক্ষণ পর আমার মামী ও বাচ্চাদের সঙ্গে নিয়ে আমরা হনুমান দেখার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লাম।
খুঁজতে খুঁজতে আমরা কয়েকটা বাড়ি পরই পেয়ে গেলাম হনুমানের দেখা । আসলে গ্রামে কোন একটা ব্যাপার হলে গ্রামের সব বাচ্চারা জড়ো হয়ে যায় ।এক্ষেত্রেও ঠিক তেমনটাই ঘটেছিল । গ্রামের বেশ কিছু বাচ্চা হনুমান দেখার জন্য জড়ো হয়েছিল । আমরা দেখতে পেলাম হনুমান টি একটি বড় আম গাছে বসে আছে । সেখানে বসে বসে মনের সুখে আম খাচ্ছে ।বিষয়টি দেখতে সত্যি ভীষণ ভালো লাগছিল । বাচ্চারা খুবই আনন্দ উপভোগ করছিল আর চিৎকার করছিল ।
এই হনুমান টি একা কোত্থেকে চলে এসেছে কে জানে । যাই হোক ভালো সময়ই এসেছে গ্রামে গাছে গাছে পাকা পাকা আম । বেশ আনন্দ করে আম খেতে পারবে । এখানেও দেখতে পাচ্ছিলাম একটার পর একটা পাকা আম খেয়ে যাচ্ছে ।আর আঠি নিচে ছুঁড়ে ফেলছে, এতে বাচ্চারা বেশ আনন্দ পাচ্ছে।
বেশ কয়েকটি আম খেয়ে হনুমান টি আস্তে আস্তে গাছ থেকে নামতে শুরু করল । তবে এই হনুমানটির লেজটি বেশ বড় ছিল । হনুমানের এত বড় লেজ দেখে বাচ্চারা সবাই অবাক হলো। তারপর আস্তে আস্তে গাছ থেকে নেমে হনুমানটি রাস্তা দিয়ে হেঁটে হেঁটে কোথায় যেন মিলিয়ে গেল । বাচ্চারাও পিছে পিছে যেতে শুরু করল । যদিও আমরা আমাদের বাচ্চাদেরকে নিয়ে আমাদের নানু বাড়িতে চলে এলাম । তবে সেদিন বাচ্চাদের সঙ্গে সঙ্গে ওই সময়টুকু আমরাও বেশ ভালো উপভোগ করেছিলাম ।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | স্যামসাং গ্যালাক্সি এ৪০ |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
আপনার শেয়ার করা হঠাৎ হনুমানের দেখা পাওয়া লেখাটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো। গ্রামের ছোট-বড় সবাই বেশ উপভোগ করেছেন। আসলে বন্য প্রাণীরা লোকালয়ে নিরুপায় হয়ে আসে। তাদের খাবার সংকট দেখা দিলে লোকালয়ে আসে। সবচেয়ে ভালো লাগলো গাছে উঠে আম খেয়ে নির্বিঘ্নে হনুমানটি ফিরে যেতে পেরেছে। ছবি গুলোও সুন্দর হয়েছে। লেখাটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
হ্যাঁ আপু আপনি ঠিকই বলেছেন এই বন্যপ্রাণী গুলো খাবারের খোঁজে লোকালয়ে আসে । এর আগেও আমি এদেরকে দেখেছিলাম অন্য জায়গায়। যাইহোক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
দেখেই তো সত্যি অনেক ভালো লাগলো আপু হনুমানের দৃশ্য। কারণ সেই বেচারা তো গাছে উঠলো আম খাবার জন্য মনের তৃপ্তি মিটিয়ে আম খাবার পরে কাছ থেকে নেমে চলে গেল। গ্রামে এরকম যদি কোন জীব জন্তু দেখা যায় তাহলে বাচ্চাদের একটা চেঁচামেচি শুরু হয়ে যা বেশ ভালই লাগে। আপনার ভাগ্য ভালো গ্রামে গিয়ে হনুমান দেখতে পেলেন অনেক সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করলেন পড়ে অনেক আনন্দ পেয়েছি।
হ্যাঁ আপু আপনি ঠিকই বলেছেন গ্রামে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে বাচ্চাদের বেশ চেঁচামেচি লেগে যায় ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।