আলু বেগুন দিয়ে চিতল মাছ রান্নার রেসিপি
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
আলু বেগুন দিয়ে চিতল মাছ রান্নার রেসিপি
উপকরণ | পরিমান |
---|---|
চিতল মাছ | ৬ পিছ |
আলু | ২ টি |
বেগুন | ২টি |
পেঁয়াজ কুচি | ৩ টি |
কাঁচা মরিচ | ৪ টি |
পেঁয়াজ বাটা | ৩ টেবিল চামচ |
আদা বাটা | ১ চা চামচ |
রসুন বাটা | ১ চা চামচ |
হলুদ গুঁড়া | ২ চা চামচ |
লাল মরিচ গুঁড়া | ১ চা |
ধনিয়া গুঁড়া | ২ চা চামচ |
জিরা গুঁড়া | ১ চা চামচ |
লবন | স্বাদমতো |
তেল | পরিমাণমত |
প্রুস্তুতপ্রণালী
ধাপ-১
প্রথমে একটি কড়াইয়ে তেল দিয়ে দেই । তেল গরম হলে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দেই । পেঁয়াজ কুচি বাদামি করে ভাজা হলে পেঁয়াজ বাটা , আদাবাটা ও রসুন বাটা দিয়ে দেই ।
ধাপ-২
তারপর লবন ও সব গুঁড়ো মসলা দিয়ে দেই ।
ধাপ-৩
তারপর মসলাটা ভালো মতো নেড়ে চেড়ে নেই ও সামান্য একটু পানি দিয়ে মশলাটা কিছুক্ষণ কষিয়ে নেই। মসলা কষানো হয়ে গেলে মাছগুলি দিয়ে দেই।
ধাপ-৪
তারপর মাছগুলো ভালোমতো মসলার সঙ্গে নেড়ে চেড়ে সামান্য একটু পানি দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করি ।
ধাপ-৫
মাছগুলো কষানো হয়ে গেলে একটি প্লেটে উঠিয়ে রাখি।
ধাপ-৬
তারপর ওই মসলার মধ্যে সবজিগুলো দিয়ে ভালো মতো নেড়ে চেড়ে নেই ।
ধাপ-৭
তারপর সামান্য একটু পানি দিয়ে সবজিগুলো সিদ্ধ করে নেই ।
ধাপ-৮
সবজিগুলো সিদ্ধ হয়ে গেলে ঝোলের জন্য বেশি পানি দিয়ে দেই ।
ধাপ-৯
তারপর পানি ফুটে উঠলে মাছগুলি দিয়ে দেই ও কয়েকটি কাঁচা মরিচ দিয়ে দেই ।
ধাপ-১০
তারপর জিরা গুঁড়ো দিয়ে আরো বেশ কিছুক্ষণ রান্না করি । ব্যাস এভাবেই তৈরি হয়ে গেল আমার আলু বেগুন দিয়ে চিতল মাছ রান্না ।
ধাপ-১১
এখন একটি বাটিতে বেড়ে গরম গরম পরিবেশন করতে হবে । আশা করছি আপনাদের কাছে আমার রেসিপিটি ভালো লেগেছে ।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | স্যামসাং গ্যালাক্সি এ৪০ |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
ঠিকই বলেছেন আপনি চিতল মাছ খুবই সুস্বাদু চিতল মাছের ভুনা খেয়েছি কিন্তু কখনো আলো বেগুন দিয়ে রেসিপি প্রস্তুত করে খাওয়া হয়নি।।
প্রথমবার আপনার এরকম রেসিপি প্রস্তুত করা দেখলাম আলো বেতন দিয়ে চিতল মাছের তবে আপনার প্রস্তুত প্রণালী পড়ে এতটুকুনি বুঝতে পেরেছি যে খেতা খুব মজা হবে।।।
আসলে নদী অথবা সমুদ্রের মাছ খেতে আলাদা একটি মজা লাগে আমার কাছে ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।।।
ভাইয়া মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ । তবে মন্তব্য করার সময় দাড়ি কমার ব্যবহারটা একটু ভালো ভাবে করবেন তাহলে বুঝতে সুবিধা হবে এবং লেখার মধ্যেও অসংখ্য ভুল ছিল । লেখার পরে দয়া করে আবার একটু পড়ে নিবেন । ধন্যবাদ আপনাকে ।
ঠিক কথা বলেছেন আপু চিতল মাছগুলো এতটাই সুস্বাদু যা খেলেই জিভে লেগে থাকে। আর বেগুন দিয়ে রান্না করলে তো তার স্বাদ দ্বিগুণ হয়ে যায়।
আমাদের গ্রামেও চিতল মাছ গুলো আমরা বেশিরভাগ সময় বেগুন দিয়ে রান্না করতে দেখে থাকি। চিতল মাছের সাথে বেগুনের জন্য অন্য রকমের একটা সম্পর্ক রয়েছে।
আপনাদের গ্রামেও চিতল মাছ আপনারা বেশিরভাগ বেগুন দিয়ে রান্না করেন জেনে ভালো লাগলো । মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে । ভালো থাকবেন ।
আলু বেগুন এর স্বাদের সাথে চিতল মাছের সুস্বাদু রেসিপি। এ যেনো ইউনিক এক রেসিপি।আমার কাছে অবশ্য ইউনিক লেগেছে কারন এই রকম রেসিপি আগে কখনো খাইনি। তবে শুনেছি চিতল মাঝের সাথে নাকি বেগুন সেই জমে। দারুন হয়েছে রেসিপিটি।
হ্যাঁ ভাইয়া খেতে বেশ সুস্বাদু হয়েছিল
। রেসিপিটি আপনার কাছে ইউনিক লেগেছে জেনে ভালো লাগলো । ধন্যবাদ আপনাকে ।
আলহামদুলিল্লাহ আপু,ভালো আছি আপু চিতল মাছ খুবই পুষ্টিকর একটি মাছ এই মাছ আমি সচরাচর ভুনা অথবা পাতলা ঝোল করে খেয়েছি। তবে আপু,কখনও আমি কোন সবজি দিয়ে চিতল মাছ রান্না করে খাই নি। তবে আপনার রান্নাটা দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে আর চিতল মাছ দিয়ে বেগুন আলুর রেসিপির কালার টা অনেক সুন্দর দেখাচ্ছে।আপু,যদি কখনো ঘরে চিতল মাছ আনা হয় তাহলে আপনার মত করে রেসিপিটা তৈরি করে খেয়ে দেখব। ধন্যবাদ আপু, এতো সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।।
হ্যাঁ আপু অবশ্যই একবার এভাবে খেয়ে দেখবেন ।নিশ্চয়ই আপনার কাছেও ভালো লাগবে । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য । ভালো থাকবেন ।
আলু বেগুন রান্না খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। আর চিতল মাছ দিয়ে রান্না করলে তো কথাই নেই। দেখে খেতে ইচ্ছে করছে খুব। চিতল মাছ খেতে খুবই সুস্বাদু হয়ে থাকে। রেসিপিটি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে সুস্বাদু হয়েছে। রান্নার ধাপ গুলি খুব সুন্দরভাবে শেয়ার করেছেন আপনি।
আপু আমার রেসিপিটি দেখে আপনার খেতে ইচ্ছে করছে জেনে বেশ ভালো লাগলো । আসলে এটি খেতে কিন্তু বেশ সুস্বাদু হয়েছিল । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য । ভালো থাকবেন ।
ওয়াও আপু আপনি তো আজকে আমাদের মাঝে আলু বেগুন দিয়ে চিতল মাছের অসাধারণ রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করেছেন। সত্যি বলতে আপু চিতল মাছ কিছুদিন আগে আমাদের পুকুর থেকে আমি একটা ধরে গিয়েছিলাম বাড়িতে আসলে চিতল মাছ খেতে খুবই সুস্বাদু ছিল। আপনার রেসিপি তৈরির কালার দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুব সুস্বাদু ছিল । ঠিক বলেছেন আপু আপনি চিতল মাছ এমনিতেই খুব সুস্বাদ।
চিতল মাছ পুকুরেও এখন পাওয়া যাচ্ছে এটি আমার জানা ছিল না । বেশ ভালোই হয়েছে আপনিও নিজেদের পুকুরের মাছ খেয়েছেন । আর আমার রেসিপিটি ভালো লেগেছে জেনে বেশ ভালো লাগলো । অসংখ্য ধন্যবাদ ।
চিতল মাছ খেতে ভীষণ সুস্বাদু লাগে। আপনি আজকে আলু বেগুন দিয়ে চিতল মাছ রান্নার রেসিপি শেয়ার করেছেন। দেখে তো দুপুর বেলায় লোভ সামলাতে পারলাম না খেতে ইচ্ছা করছে আপু। সব গুলো উপকরণ সঠিক ভাবে দিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে
আমার রেসিপিটি দেখে আপনার লোভ লেগেছে যে ভীষণ ভাল লাগল । অসম্ভব ধন্যবাদ ভাইয়া । ভালো থাকবেন ।
বেশ অনেকদিন আগে চিতল মাছ খেয়েছিলাম শীতল মাস আমার কাছে খুবই সুস্বাদু লাগে। আপনি আলু এবং বেগুন দিয়ে চিতল মাছ রান্না করেছেন, এর আগে আমি যখন চেয়েছিলাম তখন ঠিক আপনার মত করেই খেয়েছিলাম খুবই সুস্বাদু লেগেছিল আমার কাছে। অনেকদিন বাদে এই রেসিপিটি দেখে আবার জিভে জল এসে গেল আপু। মজাদার এই চিতল মাছ রেসিপি রান্না করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
হ্যা এই মাছটি খেতে কিন্তু বেশ মজাই লাগে । আপনার কাছে আমার রেসিপিটি ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো । ধন্যবাদ আপনাকে ।
আপু আপনি একদম ঠিক বলেছেন চিতল মাছ খুবই সুস্বাদু এবং মজার একটি মাছ। আমার কাছে চিতল মাছ খেতে খুবই ভালো লাগে। আপনি চিতল মাছ দিয়ে বেগুন দিয়ে খুব সুন্দর করে মজা করে রান্না করেছেন। রেসিপি কালার টি খুবই সুন্দর লাগছে। আলু বেগুন প্লাস চিতল মাছ অসাধারণ একটি রেসিপি।
আপু আপনার কাছে আমার রেসিপিটি অসাধারণ লেগেছে জেনে সত্যিই ভীষণ ভালো লাগছে । এত সুন্দর একটি মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ । সবসময় ভালো থাকবেন ।
আলু দিয়ে চিতল মাছ ভুনা খেয়েছি অনেকবার। কিন্তু বেগুনের সংমিশ্রণে কখনো খাওয়া হয়নি। এই দেশীয় মাছগুলো খেতে অনেক সুস্বাদু লাগে আমার কাছে। আপনার রন্ধন প্রণালী টা খুবই সহজে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। দেখতে যেমন লোভনীয় লাগছে আশা করি খেতে অনেক সুস্বাদু হবে।
ভাইয়া এভাবে যেহেতু কখনো খাননি অবশ্যই একবার এভাবে খেয়ে দেখবেন । আর আমার রেসিপিটি আপনার কাছে লোভনীয় লেগেছে জেনে ভালো লাগলো । খেতে কিন্তু সুস্বাদু হয়েছিল । ধন্যবাদ আপনাকে ।