জসীম মেলা ভ্রমণ (পর্ব -৫)
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
জসীম মেলা ভ্রমণ (পর্ব -৫)
যেকোনো মেলায় ঘুরতে গেলে বিভিন্ন দোকান ঘোরাঘুরির পাশাপাশি সবথেকে বেশি আকর্ষণ কাজ করে চুরি এবং কসমেটিক্স এর দোকানগুলোতে। বিভিন্ন রংবেরঙের চুরি দেখে যে কারোরই ভীষণ ভালো লাগে। একটা সময় ছিল যখন মেলায় গেলে হাত ভর্তি রংবেরঙের বিভিন্ন ধরনের চুরি কিনে আনতাম ।অজস্র চুরি দিয়ে ঘর ভরে ফেলতাম । যদিও এখনো আমার অনেক চুরি হয়েছে ।কিন্তু এখন আর আগের মত চুরি পড়া হয়ে উঠে না ।কেননা এখন বোরখা পরি যার কারণে চুরি পরা হয়ে ওঠে না। কিন্তু এখনো চুরির প্রতি আমার ভীষণ নেশা কাজ করে ।যেহেতু পড়া হয়না তার কারণে কেনাও হয়ে ওঠে না। তবে দেখতে কিন্তু ভীষণ ভালো লাগে।
এবারও যখন মেলায় প্রতিটা স্টল ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম হঠাৎই আমার চোখ পড়ল চুরির স্টলের দিকে। সেখানে দেখলাম বিভিন্ন কালারের চুরি রয়েছে। দেখে ভীষণ কিনতে মন চাইছিল। কিন্তু যেহেতু পড়া হয়না তার কারণে কেনা বাদ দিয়েছিলাম। তবে বেশ কিছু সময় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে চুড়িগুলো দেখছিলাম ।কেননা চুরি গুলো দেখতেও আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগছিল। যাই হোক যেহেতু কিনবো না সেহেতু বেশি সময় এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকা সম্ভব হয় না, তারপর গেলাম অন্য একটি স্টলে।
চুরির দোকান থেকে ঘুরে তারপর এই কানের দুলের স্টলে আসলাম।এখানে হরেক রকমের কানের দুল ঝুমকা ছিল। যেগুলো দেখে যে কারোরই ভালো লাগবে। এখান থেকে বেশ কিছু ঝুমকো আমার খুব ভালো লাগলো। কিন্তু ওই এক সমস্যা বোরখা পরি যার কারণে কানের দুল কিনেও লাভ হয় না। আমার অসংখ্য কানের দুল ছিল যেগুলো এখন আর পড়া হয়ে ওঠে না যার কারণে অন্যদেরকে দিয়ে দিচ্ছি। এই এমিটিশনের কানের দুল একটা সময় প্রচুর পরিমাণে কেনা হতো এবং ড্রেসের সঙ্গে মিলিয়ে মিলিয়ে এই ঝুমকো গুলো পড়তাম। তখন ভীষণ ভালো লাগতো। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সবকিছুই পরিবর্তন হয়েছে। আসলে পর্দা করলে নিজের কিছু কিছু ইচ্ছে গুলো কেউ জলাঞ্জলি দিতে হয়। ভালো কিছুর জন্য এটুকু কষ্ট তো করাই যায়।
তারপর এলাম এই সিটি গোল্ডের চুরির দোকানে। এই চুড়িগুলো মায়ের জন্য কেনা যেত কিন্তু দেখলাম যে এরা মার্কেট থেকেও প্রচুর পরিমাণে দাম চাইছে। যার কারণে আর এদের থেকে কেনা হয়ে উঠল না। তারপর দেখতে পেলাম নেইলপলিশ, লিপিস্টিকের দোকান। যেখানে খুবই নরমাল কিছু নেইলপলিশ, লিপিস্টিক ছিল। আমি সাধারণত ব্রান্ডের নেইলপলিশ, লিপস্টিক গুলো কিনে থাকি ।তাই এই অর্ডিনারি নেইলপলিস, লিপিস্টিক আর কেনা হয়ে ওঠেনি। তবে দেখতে কিন্তু ভীষণ ভালো লেগেছিল।
তারপর ঘুরতে ঘুরতে এই স্টলে এলাম ।আসলে মেলায় দেখা যায় হরেক রকমের দোকান। তবে কেনার মত সেরকম কিছুই খুঁজে পাওয়া যায় না। কেননা এদের জিনিসগুলো খুব একটা মানসম্মত হয় না। আবার দামও এরা যে কোন মার্কেট থেকে বেশি চায়। সাধারণত মেলায় জিনিসপত্রের দাম একটু কম হলে আমার মনে হয় বিক্রি বেশি হতো। কিন্তু এখানে উল্টো হয় , সবকিছুর দাম বেশি থাকে। যে কারণে মনে হয় বিক্রিও কম হয় ।যাইহোক আশা করছি আপনাদের মেলার আজকের পর্ব টা ভালো লেগেছে।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | OPPO Reno8 T |
লোকেশন: | জসিমপল্লী মেলা, ফরিদপুর |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি একজন হাউজ ওয়াইফ। সমাজবিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স করেছি।ঘুরে বেড়াতে , ঘুমাতে এবং গান শুনতে আমি ভীষন পছন্দ করি।বাগান করা আমার শখ।এছাড়াও আর্ট , বিভিন্ন রেসিপি ট্রাই করতেও ভালো লাগে। আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
আসলে মেয়ে মানুষের চুরির প্রতি দূর্বলতা অনেক, একটা সময় আমি চুরি পরতাম।এখন বাচ্চা কাচ্চা নিয়ে চুরি পরতে ভালো না।মেলায় ব্যান্ডের জিনিস পাওয়া যায় না।আমারও ঝুমকার প্রতি দুর্বলতা কাজ করে এখনও। যাই হোক ভালো লাগলো।ধন্যবাদ
হ্যাঁ আপু এখন আমারও আগের মত চুড়ি পরা হয় না। তবে সে দুর্বলতা টা এখনো হয়ে গিয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
সত্যি কথা বলতে কি আপু মেলা ভ্রমন করতে গেলে একদম মন জুড়িয়ে যায়। সেখানে বিভিন্ন প্রকার জিনিস এত এত বেশি দেখতে পাওয়া যায় যদি কোন কিছু কেনার উদ্দেশ্যে যাওয়া যায় তাহলে মনে হয় কোনটা রেখে কোনটা নেব। অনেক ভালো লাগলো বিভিন্ন পর্যায়ের চুরি প্লাস কসমেটিক সামগ্রী দেখে।
হ্যাঁ ভাইয়া মেলায় গেলে মনে হয় কোনটা রেখে কোনটা নিব ।পরে কিনতে গেলে কিছুই কেনার মত খুঁজে পাওয়া যায় না ।ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
প্রতিটা মেয়েরই ছোট থেকেই চুরির প্রতি একটা দুর্বলতা থেকে এজন্যই হয়তো সব মেয়েরাই ঘুরেফিরে শুধু চুরির দোকানের দিকেই এগিয়ে যায়। যেমন পোস্টে আপনি নিজেই স্বীকার করেছেন ছোট থেকে আপনার চুরি কেনার প্রতি আগ্রহ বেশি।
হ্যাঁ ভাইয়া চুরির প্রতি অনেক বেশি নেশা ছিল। এখন অবশ্য পড়া হয়না যার কারণে কেনাও হয়ে ওঠে না ।ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
জসিম মেলায় ভ্রমণ করার অনেক সুন্দর একটা মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এর আগেও জসিম মেলায় ভ্রমণ করার অনেকগুলো পর্ব আমি পড়েছি। আর আজকে আপনি পঞ্চম পর্ব টা শেয়ার করলেন, দেখে খুব ভালো লাগলো। অনেক কসমেটিক্সের দোকান দেখতে পাওয়া যায় মেলায় গেলেই। যেগুলো দেখলে অনেক বেশি সুন্দর লাগে। অনেক সুন্দর সুন্দর কসমেটিক্স পাওয়া যায়। যদিও কসমেটিক্স আমি খুব একটা কিনি না। তবে আগে মাঝেমধ্যেই কেনা হতো। চুরি আমি নিজেও অনেক বেশি পছন্দ করি। মেলায় গেলে আগে তো চুরি কেনা ছাড়া আসতামই না। বোরকা পরায় আমারও এখন চুরি পড়া হয় না। তবে শাড়ির সাথে চুরি পড়লে অনেক ভালো লাগতো, অথবা জামার সাথে। ভালো লাগলো আপনার মুহূর্তটা।
হ্যাঁ আপু আগে শাড়ির সঙ্গে সেলোয়ার কামিজের সঙ্গে চুড়ি মিলিয়ে মিলিয়ে পড়তাম ।এখন বোরখা পরার কারণে আমারও পড়া হয়ে ওঠে না ।ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
মেলায় ঘুরতে যেতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। মেলায় ঘুরতে গেলে খুবই ভালো সময় অতিবাহিত করা যায়। আপনারা জসিম মেলায় গিয়ে খুব ভালো সময় কাটিয়েছিলেন। মেলায় তো শুধু মেয়েদের কসমেটিক্স বেশি পাওয়া যায়, আমাদের ছেলেদের তো বেশি কিছু পাওয়াই যায় না। অনেক রকমের কসমেটিক্স এর আপনি ফটোগ্রাফি করেছেন, যেটা আমার খুব ভালো লেগেছে। রংবেরঙের চুড়ি দেখতে তো অনেক সুন্দর লাগতেছে। চুড়ি পড়লে প্রত্যেকটা মেয়েকেই খুব ভালো লাগে।
হ্যাঁ ভাইয়া মেলায় গেলে বেশ ভালো সময় কাটানো যায় ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আপনারে জসীম মেলা ভ্রমণের পর্বগুলো আমি দেখে আসছি৷ আজকে এর পঞ্চম পর্ব দেখে খুবই ভালো লাগলো৷ খুব সুন্দর ভাবে আপনি এখানে অনেক কিছুই ফুটিয়ে তুলেছেন এবং এই মেলায় আপনি সুন্দর সুন্দর সময় অতিবাহিত করে তা আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো৷ অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য৷
হ্যাঁ ভাইয়া মেলায় বেশ ভালো সময় কাটিয়েছিলাম ।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য ।ভালো থাকবেন।
পর্ব আকারে প্রত্যেকটা মেলার ছবি আমাদের সাথে শেয়ার করছেন দেখে অনেকদিন পরে জসিম মেলা আবার দেখার সুযোগ হয়ে উঠল । আমি ফরিদপুরে যখন যাই তখন তো আর মেলা থাকে না এজন্য আর যাওয়া হয়না । ছোটবেলা এই মেলার সাথে আমাদের কত স্মৃতি জড়িয়ে আছে বিশেষ করে আব্বুর কথা খুব মনে পড়ে এই মেলা দেখলে । মেলায় এ ধরনের চুরির দোকানগুলো ভর্তি হরেক রকম চুড়ি দিয়ে ভরা থাকে দেখতেও ভালো লাগে ঘুরে ঘুরে । আমরা তো ছোটবেলায় এ মাথা থেকে ওমাথা ঘুরে বেরিয়েছি কত ।
হ্যা আপু মেলার সঙ্গে আমাদের ছোটবেলার অসংখ্য স্মৃতি জড়িত। মেলায় গেলে আমারও আব্বুর কথা ভীষণ মনে পড়ে ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।