বাণিজ্য মেলার লোভনীয় কিছু আচারের ফটোগ্রাফি
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
বন্ধুরা আজ আবারো আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে ।আজ আমি মূলত বাণিজ্য মেলার আরো কিছু লোভনীয় আচারের ফটোগ্রাফি নিয়ে হাজির হয়েছি। কেননা কয়েকদিন আগে আচারের আরো কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছিলাম। তাই আজ বাকি আচারের ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করলাম। ইদানিং দেখা যাচ্ছে যে কোন মেলায় বা যেকোনো লোক সমাগম হয় সেই স্থানে এই আচারের দোকানগুলো বসে যায়। আর হরেক রকমের আচার দেখা যায় ।যে আচারগুলো এর আগে কখনোই খাওয়া হয় না। ইদানিং এত নতুন নতুন জিনিসের আচার যে তৈরি হচ্ছে তা দেখে সত্যি অবাক হয়ে যাই। আসলেই সেই আচারগুলো খাওয়া যায় কিনা সেটাই আমার কাছে মনে হয় ।কেননা কিছু কিছু জিনিস থাকে যেগুলোর আচার মোটেই ভাললাগার কথা নয়। তারপরেও দেখি সেই জিনিসগুলো দিয়েও আচার তৈরি করে। তবে বাইরে থেকে আচার গুলো দেখতে কিন্তু বেশ লোভনীয় দেখা যায়। যদিও খেতে অতটা টেস্টি হয় না ।আমি বেশ কয়েকটি আচার টেস্ট করে দেখেছি ।হাতেগোনা দুই একটি ছাড়া বেশিরভাগই খেতে ভালো লাগে না। যাই হোক আর কথা না বাড়িয়ে চলে যাচ্ছি মূল আচারের ফটোগ্রাফিতে।
বাণিজ্য মেলার লোভনীয় কিছু আচারের ফটোগ্রাফি
প্রথমে যে আচারটি দেখা যাচ্ছে সেটি হচ্ছে খেজুর তেতুঁল আচার। তেতুলের আচার খেতে খুবই ভালো লাগে ।কিন্তু খেজুর তেতুলের আচার এর আগে আমি কখনো খাইনি। খেজুরের সাথে তেতুলের আচার আমার মনে হয় না খেতে খুব একটা ভালো লাগবে ।যাই হোক আমি আর এই আচারটি খেয়ে দেখি নি।
এটি হচ্ছে আলু বোখারা আচার ।আলু বোখারা এমনিতেই খেতে খুবই মজার ।আর সেটি দিয়ে আচার তৈরি করা হলে খেতে আমার মনে হয় না খুব একটা খারাপ লাগবে। যদিও আমি কখনো খাইনি। তবে আমার কাছে মনে হয় খেতে বেশ ভালই লাগবে ।যেহেতু আলু বোখারা খেতে মজার।
এটি হচ্ছে সরিষা তেতুঁল আচার। সরিষা দিয়ে যেসব আচার তৈরি করা হয় সে আচারগুলো খেতে বেশ ভালো হয়ে থাকে। তবে কেমন খেতে তা আমার জানা নেই । তবে তেতুলের সঙ্গে সরিষা কেমন যেন । কম্বিনেশনটা খুব একটা ভালো লাগলো না আমার কাছে। যাই হোক আচারগুলো দেখতে কিন্তু বেশ লোভনীয়।
এটি হচ্ছে আমড়ার মোরব্বা আচার ।আমড়ার আচারগুলো খেতে কিন্তু বেশ ভালো লাগে। যখন স্কুলে পড়তাম তখন স্কুলের গেটের সামনে আমড়ার আচার নিয়ে বসে থাকতো। তখন অনেক খেয়েছি। খেতে ভীষণ ভালো লাগতো। জানি না এখানের আচারগুলো খেতে কেমন।
তেতুঁল আচার কথাটি বলতেই যেন মুখে জল চলে আসে। তেতুলের আচার আমার খুবই পছন্দ ।এই আচার টি দেখতে ভীষণ লোভনীয় লাগছে। যদিও এটি খাওয়া হয়নি ।প্রত্যেকটি আচার খেয়ে দেখা সম্ভব নয় যার কারণে আমরা কয়েকটি টেস্ট করেছিলাম। তবে এই আচারটি টেস্ট করা হয়নি ।যাইহোক খেতে মনে হয় ভালই লাগবে।
এটি হচ্ছে তেলে ডোবানো জলপাইয়ের আচার ।এই আচারগুলো খেতে খুবই মজার হয়ে থাকে, সঙ্গে সরিষা বাটা দিলে এর স্বাদ আরো বেড়ে যায় ।এবার জলপাই এর সিজনে আমি এই আচারটি তৈরি করেছিলাম । খেতে ভীষণ মজার হয়েছিল। তবে এদের আচার কেমন ছিল সেটি আমার জানা নেই।
শেষের এই আচারটির নাম হচ্ছে কাশ্মীরি আমের আচার । প্রতি বছর আমের সিজনে মনে হয় সবার বাড়িতেই এই আচারটি তৈরি করা হয়। আমি তো প্রতিবছরই এই আচারটি তৈরি করি ।ডাল ভাতের সঙ্গে এই আচার খেতে কিন্তু খুবই মজার । নিশ্চয়ই আপনাদের কাছেও এই আচারের ফটোগ্রাফি গুলো ভালো লেগেছে।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | OPPO Reno8 T |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি একজন হাউজ ওয়াইফ। সমাজবিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স করেছি।ঘুরে বেড়াতে , ঘুমাতে এবং গান শুনতে আমি ভীষন পছন্দ করি।বাগান করা আমার শখ।এছাড়াও আর্ট , বিভিন্ন রেসিপি ট্রাই করতেও ভালো লাগে। আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
আসলে কোথায়ও কোন অনুষ্ঠান কিংবা মেলা অনুষ্ঠিত হলে সেখানে বিভিন্ন ধরনের আচার দোকান বসে। আচার আমার অনেক বেশি প্রিয়। আমি ও রংপুর বাণিজ্য মেলায় গিয়ে বেশ কয়েক ধরনের আচার মিশ্রণ করে নিয়ে খেয়েছিলাম। আপনি বাণিজ্য মেলায় ঘুরতে গিয়ে বেশ অনেক গুলো আচারের ফটোগ্রাফী শেয়ার করেছেন আমাদের মাঝে। আপনার তোলা প্রতিটি আচারের ফটোগ্রাফী আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগলো।
আপনার কাছে আমার আচারের ফটোগ্রাফি গুলো ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
মাঝে মাঝে আমিও আপনার মত কিছু কিছু আচারের রেসিপি দেখে মাঝে মাঝে অবাক হয় যে এগুলো দিয়েও আচার তৈরি করা যায়..!! আমিও সেটাই মনে করি যে এই আচারগুলো বাহির থেকে দেখতে যেমনটা সুন্দর মনে হয় খেতে হয়তবা ততটা বেশি সুস্বাদু লাগে না কারণ এর আগে এরকমই এক কাহিনী হয়েছিল আমার সঙ্গে। সে যাই হোক মজাদার কিছু আচারের ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন বাণিজ্য মেলায় ঘুরতে গিয়ে, ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে চমৎকার ভাবে তুলে ধরার জন্য।
ভাইয়া আমি তিন-চারটা টেস্ট করেছি। একটা ভালো লেগেছে ।বাকিগুলো খাওয়া যায় না। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
আমি সাধারণত খেয়াল করেছি বাণিজ্য মেলায় আচারের দোকান গুলো একদম সারিতেই হয়ে থাকে এবং এগুলো দেখতে এত লোভনীয় লাগে। যদিও খেতেও অনেক বেশি মজার হয়।নানা ধরনের আচার থাকে এখানে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে তো আরো লোভ লেগে গেছে আপু। এত সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আপু দেখতেই বেশি সুস্বাদু মনে হয় ।খেতে কিন্তু অতটা সুস্বাদু নয়। আমি খেয়ে দেখেছি। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
আচারগুলি বেশ লোভনীয়। বাণিজ্য মেলায় কখনো যাওয়া হয় নাই, খুব ইচ্ছে করে যেতে। খেজুর ও তেঁতুল আচার একসাথে মিক্স করে বানানো হয়েছে, এটা তো বেশ দারুন।ঠিক কথা মেয়েরা বিশেষ করে তেঁতুল আচারটি পছন্দ করে । আমি খুব একটা খেতে পারি না, টক হয়ে যায় খুব। সর্বোপরি অনেক আচার দেখলাম। আমের আচারও দেখলাম কাশ্মিরি বেশ ভালো লাগলো।
ভাইয়া ইদানিং আজব আজব আচার বানিয়ে বিক্রি করে ।খেজুর তেতুল আচার আমার মনে হয় না খুব একটা ভালো লাগবে ।যাই হোক খেয়ে দেখিনি। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
কি আচারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন আপু লোভ সামলানো যাচ্ছে না। বিশেষ করে বাণিজ্য মেলার আচারে দৃশ্য গুলো খুবই ভালো লাগে। তাছাড়া এত স্বাদের হয় উনারা কিভাবে তৈরি করে জানিনা। কিন্তু আমরা ঘরে তৈরি করলে তাদের মত স্বাদ আনতে পারি না। অনেক ভালো লেগেছে আপনার শেয়ার করার আচারের ফটোগ্রাফি গুলো। যদি সম্ভব হতো তাহলে নিয়ে খেয়ে নিতাম।
আপু আচার গুলো দেখতে যতটা লোভনীয় লাগে আসলে কিন্তু এতটা লোভনীয় হয় না ।আমি বেশ কয়েকটা টেস্ট করেছি তার মধ্যে একটা আমার কাছে ভালো লেগেছিল এবং সেটা কিনেছিলাম। সবগুলো কিন্তু সুস্বাদু হয় না ।ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
বাণিজ্য মেলা গিয়ে বেশ সুন্দর সময় উপভোগ করেছেন। আচার খেতে ভীষণ মজা লাগে। আপনার পোস্ট এর মাধ্যমে তো আজকে অনেক ধরনের আচারের ফটোগ্রাফি এবং নাম জানতে পারলাম। বর্ননা সহকারে পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
ভাইয়া আচার খেতে আপনার কাছে ভালো লাগে জেনে ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
বাণিজ্যক মেলায় অনেক সুন্দর ভাবে আপনি এই আচার রেসিপি ফটোগ্রাফি করেছেন এবং সেই ফটোগ্রাফির বর্ণনা করেছেন। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি দেখে খুবই ভালো লাগলো এবং বিভিন্ন ইউনিক ইউনিক আচার রেসিপি দেখতে পেলাম। বিশেষ করে খেজুরের তেঁতুলের আচার রেসিপি আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে। আর এই আচার রেসিপি গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া এখন মেলায় বেশ আজব কিছু আচার দেখা যায় ।যেগুলো আদৌ খাওয়া যায় কিনা সন্দেহ ।যাই হোক আপনার কাছে খেজুর তেতুলের আচার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
আচার একটি লবণীয় খাবার তাই হয়তো প্রত্যেকটা মেলাতে আচারের দোকান রাখে যাতে লোকজন আসে এবং কিনেও অনেক বেশি । আপনার আগের আচারের ছবিগুলো আমি দেখেছিলাম । আজকে আবার অনেক লোভনীয় কিছু ছবি শেয়ার করেছেন । আচারগুলো দেখলেই তো খেতে ইচ্ছা করে । আর এটা ঠিক যে কোন আচারের ভেতরে সরিষা বাটা দিলে এর স্বাদ অনেক বেড়ে যায় । ভালো লাগলো আপু আপনার আচারের ছবি গুলো দেখে ।
আপু এই আচারগুলোর মধ্যে সব আচার আবার টেস্টি হয় না। কিছু কিছু আচার আবার বেশ ভালো হয়। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
যে কোন মেলায় অনেক লোভনীয় আচারের সমারোহ লক্ষনীয়।আচার মানেই জিভে জল তবে কিছু কিছু আচার আছে যা কখনোই খাওয়া হয়নি। খাওয়া যায় কি না তা সন্দেহ থেকে যায়।কিছু কিছু আচার ভীষণ টেষ্টি হয়ে থাকে।বানিজ্য মেলায় হরেকরকম আচার ওঠে আমিও কিছু দিন আগে কয়েক প্রকারের আচার কিনেছিলাম। প্রচুর দাম আচারের। আপনার আচারের ফটোগ্রাফি ও আচারের বিস্তারিত জেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ
হ্যাঁ আপু আপনি ঠিকই বলেছেন ইদানিং কিছু কিছু আচার দেখা যায় যেগুলো খাওয়া যায় কিনা সন্দেহ, যেমন চেরির আচার। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
আমি একদিন ওয়াজ মাহফিলের মেলাতে এমন বিভিন্ন প্রকার আচারের সমরহ দেখেছিলাম। বেশি লোভনীয় বিভিন্ন প্রকার আচার এর মেলা সত্যিই ভালো লাগে দেখতে। খুব সুন্দর সব লোভনীয় আচারগুলো আমাদের মাঝে ব্লগ আকারে শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো আপু।
ভাইয়া এখন সব ধরনের মেলায়ই এভাবে আচারের দোকানগুলো থাকে। যেগুলো দেখতে বেশ ভালই লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।