বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সামনে কিছুদিন আগে আমার মেলায় ঘুরতে যাওয়ার কিছু মুহূর্ত নিয়ে হাজির হয়েছি। আমাদের শহরে কিছুদিন আগে একটি মেলার আয়োজন করা হয়েছিল।আর সেটি হচ্ছে পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের স্মরণে আয়োজিত মেলা ,যেটির নাম হচ্ছে পল্লী জসিম মেলা ।প্রতিবছর জানুয়ারি মাসের 1 তারিখে এই মেলার আয়োজন করা হতো। বেশ কয়েক বছর বিভিন্ন জটিলতার কারণে মেলার আয়োজন বন্ধ ছিল ।কয়েক বছর পর এইবার আবার মেলা শুরু হলো। তবে নির্দিষ্ট সময়ে নয় । |
আমার জন্মের পর থেকে আমি দেখে আসছি এই মেলা। সেই ছোটবেলা থেকেই মেলায় যাওয়ার অভ্যাস। এবার যখন মেলায় গেলাম তখন পুরনো স্মৃতি বেশ মনে পড়ছিল। ছোটবেলা থেকেই সবসময় আমার আব্বুর সঙ্গে আমরা কয়েক বোন মিলে মেলায় যেতাম। কি যে আনন্দ হতো। আজ সেগুলো শুধুই স্মৃতি। সময়ের সাথে সাথে সব কিছু পাল্টে গেছে। এখন আমি আমার হাসবেন্ড ও মেয়ের সঙ্গে মেলায় গিয়েছিলাম । আমার মেলায় কাটানো কিছু মুহূর্তের ফটোগ্রাফি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করছি। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। |
এটি হচ্ছে জসীম পল্লী মেলার মূল প্রবেশদ্বার ।এখান দিয়েই মেলায় প্রবেশ করতে হয়। গেট দিয়ে ঢুকতেই সিঁড়ি দিয়ে নিচে নেমে বিশাল মাঠ প্রাঙ্গনে মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এটি কবি জসিম উদ্দিনের বাড়ির সামনের মাঠে নদীর পাড়ে এই মেলাটির আয়োজন করা হয়। একটা সময় এই মেলায় অনেক কিছু থাকতো ।সার্কাস, পুতুল নাচ, যাত্রাপালা আরো বিভিন্ন ধরনের জিনিস থাকতো। কিন্তু এখন কালের বিবর্তনে সবকিছু হারিয়ে গিয়েছে। এখন শুধু সার্কাস রয়েছে এবং এখানে একটি মঞ্চ তৈরি করা হয় যেখানে প্রতিদিনই অনুষ্ঠান হয় ।শিল্পকলা একাডেমি থেকে বেশি অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়। |
এটি হচ্ছে কবি জসীমউদ্দীনের বাড়ি প্রবেশ করার মূল গেট। এখান দিয়েই কবির বাড়ীতে প্রবেশ করতে হয়। পাশের গ্রিল দিয়ে ঘেরা কবির পারিবারিক কবরস্থান। যেখানে কবির কবর কবিতায় যেভাবে কবর গুলির বর্ণনা দেওয়া আছে তার মিল খুঁজে পাওয়া যায়।ডালিম গাছের নীচেও কবর দেখতে পাওয়া যায়। |
এভাবে সিঁড়ি দিয়ে নীচে নামতেই বিশাল মেলা দেখতে পাওয়া যায় ।যেখানে রকমারি দোকান নিয়ে সবাই বসে আছে ।বিভিন্ন ধরনের জিনিস রয়েছে এই মেলাতে। আমরা প্রথম থেকে শুরু করে সমস্ত দোকানগুলো ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগলাম ।বেশ ভালই লাগছিল দেখতে। দীর্ঘদিন পর আবার মেলায় যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল তাই আনন্দটা একটু অন্যরকম ছিল। আমার মেয়ে তো বেশ খুশী হয়েছিল কারন ও এই প্রথমবার মেলায় এসেছে। |
প্রথমে সিঁড়ি দিয়ে নামতেই দেখতে পেলাম এক লোক বাবল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।ফু দিয়ে বাবল বানিয়ে বানিয়ে আশেপাশের জায়গাটা ভরে ফেলেছে ।যেটি দেখে আমার মেয়ে খুবই খুশি হল এবং সে একটি বাবল সেট কিনতে চাইল ।তারপর তাকে কিনে দিলাম ।সত্যিই এই জিনিসগুলো দেখতে বেশ ভালই লাগে ।সব জায়গার মেলায় এই জিনিসটি দেখতে পাওয়া যায়। আমার কাছেও বেশ ভালই লাগে। এভাবেই আমরা আমাদের মেলায় ঘোড়া শুরু করলাম। পরবর্তী পর্বে আপনাদের সঙ্গে মেলার আরো কিছু মুহূর্ত শেয়ার করব। |
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
ডিভাইস: | স্যামসাং গ্যালাক্সি এ৪০ |
স্থান | অম্বিকাপুর কবি জসীমউদ্দীনের বাড়ি ফরিদপুর |
🔚ধন্যবাদ🔚
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
আপু আপনার জসীম পল্লীমেলার ছবিগুলো দেখে আমারও তো সেই আগেকার কথাগুলো মনে পড়ে গেল। আগেকার দিনগুলো আসলে অনেক ভালো ছিল কতবার গিয়েছি আগে সবাই মিলে এখন তো আর যাওয়াই হয়না ।আপনি তো তাও কাছে থাকার কারণে যেতে পারলেন। আমরাতো দূর থেকে শুধু দেখেই গেলাম । সেই পুতুল নাচ ছারকাছ কতকিছু দেখেছি ।ভালই হলো আবার আপনার মাধ্যমে মেলাটা ঘুরে দেখা হয়ে গেল।
আপু আমার মাধ্যমে আপনি মেলাটি ঘুরে দেখতে পেরেছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো। আসলেই পুরনো স্মৃতিগুলো বেশ আনন্দের ছিল। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
জসীম পল্লী মেলা নিয়ে ফটোগ্রাফি দেখে ও লেখাগুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো। পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের বাড়ির কবর স্থানের বর্ণনা খুব চমৎকার করে দিয়েছেন। এটা জেনে বেশি ভালো লাগলো যে বিখ্যাত সেই ডালিম গাছের স্মৃতি এখনো আছে। আপনার নিশ্চয়ই জসীম পল্লী মেলা ঘুরে বেশ আনন্দই করেছেন। মূহুর্তগুলো শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাইয়া সেই ডালিম ডালিম গাছটি এখনো আছে ।আর আমরা মেলাটি ঘুরে বেশ আনন্দই পেয়েছিলাম আপনি ঠিকই বলেছেন। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপনি জসীম পল্লী মেলা ঘুরতে গিয়েছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো আপু। আমিও কিছুদিন আগে মেলার মধ্যে ঘুরতে গিয়েছে তবে বাণিজ্য মেলায়। আমাদের এইদিকে প্রতি বছর বাণিজ্য মেলা হয়। মেলার মধ্যে ঘুরতে গেলে সত্যি পুরনো দিনের অনেক কথাই মনে পড়ে। ধন্যবাদ আপু জসীম পল্লী মেলা ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
আপু আমাদের এদিকেও বাণিজ্যমেলা হয়। তবে এ বছর হয়নি ।আপনিও যে মেলায় ঘুরতে গিয়েছিলেন জেনে বেশ ভালই লাগলো ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
এর আগে ফেরদৌস ভাইয়ের পোষ্টের মাধ্যমে জসীম পল্লীমেলার কিছু ফটোগ্রাফি দেখেছিলাম। আজ আবার আপনার পোষ্টের মাধ্যমে দেখতে পেলাম। আমাদের এদিকে জসীমপল্লী মেলা কখনোই হয় না।
পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের পারিবারিক কবরস্থান সম্বন্ধে জানতে পেরে ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ আপু ফটোগ্রাফি গুলো সুন্দর বর্ণনা সহ শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনাদের ওইদিকে এই জসীম পল্লীমেলা কি করে হবে?কবি জসীমউদ্দীনের বাড়ি তো আমাদের এই দিকে ।তার বাড়ির সামনেই এই মেলাটির আয়োজন করা হয়। আর কোথাও এই মেলাটির আয়োজন করা হয় না। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনি জসীম পল্লী মেলা ভ্রমণ করতে গিয়ে চমৎকার ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। দেখে অনেক ভালো লাগলো। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকুন।
ভাই আপনার কাছে আমার মেলার ছবিগুলো ভালো লেগেছে জেনে সত্যি অনেক ভালো লাগলো। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন।
রূপক ভাই এবং শুভ ভাই দুইজনের পোস্টে এই মেলা নিয়ে অনেক কিছু দেখেছি। বেশ ভালো একটা আইডিয়া হয়েছে। আর আমি নিজেও এই মেলার নামটা এর আগে অনেকবার শুনেছি। এই বছর যেতে পারলাম না। ইচ্ছা আছে পরের বার গিয়ে ঘুরে আসব। অনেক চমৎকার ভাবে মেলার পরিবেশটাকে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন আপু।
সবাই আমার আগে শেয়ার করে ফেলেছে দেখছি। আমিতো পিছনে পড়ে গেলাম ।তারপরেও হয়তো আমার পোস্টটির থেকে নতুন কিছু জানলেও জানতে পারেন ।তাই পাশে থাকবেন ভাইয়া।আর অবশ্যই পরেরবার মেলা দেখতে আসলে আমাদের এদিক দিয়ে ঘুরে যাবেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
একদম আপু। দোয়া করবেন পরের বার যেন সুস্থ শরীরে আপনাদের সবাইকে নিয়ে একসাথে ঘুরে আসতে পারি মেলা থেকে।
অবশ্যই অবশ্যই।
আপনি খুবই চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে জসীমউদ্দীন মেলা ভ্রমণ পর্বের প্রথম পর্বটি শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। যদিও এখন পর্যন্ত যাওয়া হয় নি তবে আপনার এই ভ্রমণ পর্ব দেখে যেতে খুব ইচ্ছে করছে। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে আপনার মুহুর্ত শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া যেহেতু আপনার এই মেলায় ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছা হচ্ছে তাহলে অবশ্যই একবার এসে ঘুরে যাবেন আগামীবার ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপনি মেলা থেকে সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। আমাদেরকে মুগ্ধ করেছেন। আমার খুবই ভালো লেগেছে আপনার এত সুন্দর ব্লক দেখে।
আমার মেলার ফটোগ্রাফি গুলো আপনাকে মুগ্ধ করেছে জেনে বেশ ভালো লাগলো ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য ।ভালো থাকবেন।
পল্লী জসিম মেলা আর অনেকগুলো পোস্ট পেয়েছি এবং সবাই খুব সুন্দর করে জসিম মেলা বিস্তারিত লিখেছেন। সেই সাথে আজকে আপনার থেকেও পেলাম পল্লী জসিম মেলা দারুন একটা পোষ্ট উপহার। সেখানে রয়েছে আপনার অনুভূতি গুলো এবং দারুন দারুন ফটোগ্রাফি। মেলায় অনেক স্মৃতি মনে করিয়ে দেয় বিশেষ করে সোনালী অতীতের। শুভেচ্ছা রইল আমাদের সাথে আপনার অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ভাই আপনি ঠিকই বলেছেন মেলায় অনেক স্মৃতি মনে করিয়ে দেই। সকলেরই মেলা নিয়ে সোনালী অতীত থাকে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আসলে জসীম পল্লী মেলা প্রতিবছর জানুয়ারি মাসের 1 তারিখে হয় ।কিন্তু বিভিন্ন সমস্যার কারণে কয়েক বছর পরে একটু দেরিতে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু তার পরেও যে অনুষ্ঠিত হয়েছে এতেই আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আসলে আমরা সকলেই আব্বু আম্মুর সাথে মেলায় যে থাকি এবং সেখানে বিভিন্ন ধরনের মজা হয়ে থাকি ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ।আপনার জন্য শুভকামনা রইল।