নদীর পাড়ে ঘোরাঘুরি ও খাওয়া দাওয়া
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি। তবে আমার হাজবেন্ড খুব একটা ভালো নেই । গতকাল থেকে জ্বর । জ্বর বেড়েই চলেছে কমছে না । একবার জ্বর ছেড়ে যায় তো আরেকটু পরে আবার আসে । বেশ ঝামেলার মধ্যে আছি । যার কারণে সময় মতো পোস্টটি করতে পারিনি । আসলে চারিদিকে ডেঙ্গুর প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে । আমাদের শহর রেডজনে আছে । হসপিটাল গুলোতে ডেঙ্গু রোগীতে ভরা । যার কারণে একটু জ্বর হওয়ার কারণে সবাই বেশ আতঙ্কে আছি । কারণ এখনকার দিনে জ্বর মানে ডেঙ্গু হওয়ার সম্ভাবনা । যাইহোক আশা করছি আল্লাহর রহমতে সব কিছু ভালই হবে ।কালকে টেস্ট করাবো। আপনারা দোয়া করবেন।
বন্ধুরা আমি বেশ কিছুদিন আগে নদীর পাড়ে ঘুরতে গিয়েছিলাম এবং সেখানে বেশ কিছু খাবার খেয়েছি, বেশ ভালো ঘোরাফেরা করেছি সেগুলোরই ফটোগ্রাফি নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি ।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
নদীর পাড়ে ঘোরাঘুরি ও খাওয়া দাওয়া
বন্ধুরা আমরা যখন নদীর পারে পৌঁছাই তখন পৌঁছানোর পরে দেখতে পেলাম নদীর পাড় এ যেন একটি মেলা বসেছে । যেখানে হরেক রকমের খাবার দোকান যেমন রয়েছে, তেমনি বাচ্চাদের খেলাধুলা করার জন্য বিভিন্ন রকমের খেলনার দোকান বসেছে ।এছাড়াও এর আগে আপনাদেরকে একটি পার্কের বিভিন্ন রাইড দেখিয়েছিলাম সেগুলোও চালু করেছে। সবকিছু মিলিয়ে একটা জমজমাট পরিবেশ। তো প্রথমে আমার চোখে পড়ল গোল্লা আইসক্রিম। যেটি এর আগে কখনো খাইনি ।তবে নদীর পাড়ে এর আগে অনেকবার এটি দেখেছি ।তাই এবার ভাবলাম যে একবার একটু খেয়ে দেখি আসলে এর টেস্ট কেমন ।তারপর আমরা গোল্লা আইসক্রিম দুটো অর্ডার করলাম । দোকানদার বলল কোন ফ্লেভারের নেবেন ।সেখানে বেশ কয়েকটি ফ্লেভার ছিল । আমরা অরেঞ্জ ফ্লেভারের অর্ডার করলাম । তবে আমি মনে করেছিলাম খেতে আহামরি স্বাদ হবে । কিন্তু খেতে মনে হল যেন মিষ্টি অরেঞ্জ ফ্লেভারের বরফ খাচ্ছি ।খেতে মোটেই ভালো লাগেনি। তবে এক একটি আইসক্রিম 100 টাকা করে নিয়েছিল । দুটি আইসক্রিম 200 টাকা । দামটা আমার কাছে অতিরিক্ত মনে হয়েছে । রঙিন বরফের দাম এত হওয়ার কথা না।
তারপর আমরা বেশ কিছু প্লাস্টিকের ও মাটির খেলনার দোকান দেখতে পেলাম। যেখানে হরেক রকমের খেলনা রয়েছে অনেকে যেটা কিনছে। ছোট ছোট হাড়ি পাতিল গুলো দেখতেও বেশ ভালো লাগছিল ।তবে আমার মেয়ে বায়না ধরল সে একটি রাইডে চড়বে।তারপর তাকে একটি রাইডে চড়ালাম। এছাড়াও সেখানে নৌকা নাগরদোলা ছিল।
তারপর নদীর পাড় দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে আমরা বেশ কিছুদূর সামনে গেলাম । কিছুদূর সামনে যেতেই একটি কুলফি আইসক্রিমওয়ালা দেখতে পেলাম ।তারপর তার থেকে কুলফি কিনে খেলাম। তবে কুলফির স্বাদ সেই আগের দিনের কুলফির স্বাদ। খুবই চমৎকার খেতে।
ঘুরতে ঘুরতে আমাদের সন্ধ্যা হয়ে গেল ।তারপর আমরা এই রেস্টুরন্টটিতে গেলাম এবং সেখানে অনেক সময় কাটালাম।সেখানে ফুসকা,চটপটি, ড্রিংক খেলাম।
ফেরার পথে এই দোকান টি দেখতে পেলাম ।মেয়ে বাবল খেলনা কিনলো।
রাতের বেলায় নৌকা টি দেখতে বেশ ভালো লাগছিল।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | স্যামসাং গ্যালাক্সি এ৪০ |
লোকেশন | ফরিদপুর পদ্মার পাড়, ধলার মোড় |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
আপু চারিদেকে জ্বর, সর্দি।ঘরে ঘরে এই অবস্থা। ভাইয়ার জ্বর শুনে খুব খারাপ লাগলো।আশাকরি খারাপ কিছু হবে না।আল্লাহ হেফাজত করবে, আমিন।টেস্ট করান, আশাকরি বিপদ কেটে যাবে।
আপনি বেশ কিছু দিন আগে নদীর পাড়ে ঘুরাঘুরি আর তার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন।সেখানে গোল্লা আইসক্রিম দেখতে পেয়ে খেয়েছেন। আসলে আপু আমার ছেলেও স্কুল থেকে বের হয়ে এই গোল্লা আইসক্রিমের বায়না ধরতো খেতে। আমি প্রথমে বোঝার চেষ্টা করলাম।পরে দেখি রঙ আর বরফ আর কিছুই না।আমি ওকে দুইদিন দিয়েছি।এখন চাইলেও দেইনা।তার চাইতে কুলফি বললেন তা অনেক গুন ভালো। আর এই গোল্লা আইসক্রিমের দাম ২০ টাকা করে নেয়।ওখানে দামটা বেশিই নিয়েছে।যাই হোক আপনার ফটোগ্রাফি গুলো বেশ ভালো লাগলো। অনেক দোকান দেখা যাচ্ছে।সবাই টুকটাক কেনাকাটা করছে ও।আপনারা সন্ধ্যায় রেস্টুরেন্টে গিয়ে ফুচকা,চটপটিও খেয়েছেন।ভালো লাগলো আপু আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে।
হ্যাঁ আপু আপনি ঠিকই বলেছেন এই আইসক্রিম গুলো বরফ আর রং ছাড়া কিছুই থাকে না । দামগুলো অতিরিক্ত নেয়। আর খেয়েও মজা নেই ।বাচ্চাদের না দেওয়াই ভালো । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
ভাইয়া জন্য দোয়া রইল তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবেন ইনশাআল্লাহ । নদীর পাড়ে ঘুরতে ভীষণ ভালো লাগে। তবে নদীর পাড়ে মেলা বসেছে জেনে খুশি হলাম। আপনার লেখা গুলো পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। বোঝা যাচ্ছে চমৎকার মহূর্ত উপভোগ করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
হ্যাঁ ভাইয়া নদীর পাড়ে বেশ মেলার মতোই জমে উঠেছে ।লোকজনের বেশ আনাগোনা। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
প্রথমেই ভাইয়ার সুস্থতা কামনা করছি। ভাইয়া এরকম অসুস্থ রয়েছে এটা জেনে খুবই খারাপ লেগেছে আমার কাছে। সৃষ্টিকর্তা যেন ওনাকে খুব দ্রুত সুস্থ করে দেন এটা এই কামনা করছি। নদীর পাড়ে ঘোরাঘুরি বেশ ভালোভাবে করেছিলেন বুঝতে পারছি। তবে এই আইসক্রিমটার দাম তো এত বেশি নেওয়ার কথা না। আমি একবার খেয়েছিলাম তখন আমাদের কাছ থেকে ৩৫ টাকার মতো নিয়েছিল এই আইসক্রিম। তবে খেতে একেবারেই বাজে ছিল।
আপু আপনাদের ওদিকে তো আইসক্রিম টার দাম বেশ কমই দেখলাম । কিন্তু আমাদের এখানে এত টাকা কেন নিল বুঝতে পারলাম না । যাই হোক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
বর্তমানে জ্বর মানে আপু অনেক আতন্কের মধ্যে থাকতে হয়। তবে টেস্ট করে দেখলে অনেক ভালো হয় তাহলে নিশ্চিত হওয়া যায়। কিন্তু নদীর পাড়ে গিয়ে অনেক সুন্দর খাওয়া দাওয়া করলেন। আইসক্রিম দেখে তো লোভ সামলানো যাচ্ছে না। তাছাড়া বিভিন্ন জায়গার ফটো দেখে ভাল লাগলো।
হ্যাঁ আপু আপনি ঠিকই বলেছেন এখন জ্বর মানে অনেক ভয়ের ব্যাপার । টেস্ট করাই নিরাপদ । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য । ভালো থাকবেন।