ক্রিয়েটিভ রাইটিং :- বর্ষায় উড়ন্ত বক লাফিয়ে ধরা।
আমি @tuhin002, আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগনকে আমার পক্ষ থেকে জানায় সালাম," আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহুর অশেষ রহমতে ভাল আছি। আজকে আমার আলোচনার বিষয়টি হলো বর্ষায় উড়ন্ত বক লাফিয়ে ধরা। আশা করি আজকের বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনাটি আপনাদের ভালো লাগবে। তাই শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ...
অনেকদিন আগের কথা, সে সময় বর্ষার প্রবল চাপ থাকতো। অর্থাৎ বর্ষা নামলে থামতে চাইতো না । কখনো একটানা সাত দিন ধরে আবার কখনো পনেরো দিন ধরে বর্ষা চলতো। আনন্দ উপভোগ করার জন্য চেষ্টা করত সেই সময়ের মানুষগুলো বেশ মজার ছিল। ছোট জায়গা গুলোতে মাছ ধরতো ছোট ছেলেরা। বিলের মধ্যে আপা কেটে রাখতো সেখানে প্রচুর পরিমাণে মাছ ধার পড়তো। যাই হোক বর্ষা কলে মাছ ধরার গল্প হয়তো অনেক শুনেছেন। কিন্তুু বর্ষা কালে উড়ন্ত বক ধরার বাস্তব ঘটনা কি শুনেছেন। জি হা ঠিক এমন একটি ঘটনা আজকে আমি আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো। ঘটনাটি প্রায় দের যুগের আগে। এতদিন হয়ে গেলেও ঘটনাটি আমার খুব ভালো হবেই মনে আছে। আশা করি এটি আপনাদের শুনে ভালো লাগবে যদিও ছোট্ট একটা ঘটনা তারপরও আশা করি ভালো লাগবে।
সময় বর্ষাকাল প্রচুর পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে এমন সময় আমরা মাছ ধরার জন্য বিলের মাঝখানে চলে যাই। ঠিক তখনই বৃষ্টির পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণ ঝড় হচ্ছিল। আমরা বেশ কয়েকজন ছেলে গিয়েছিলাম তার মধ্যে আমাদের একজন চাচা ছিল নাম তার আয়নাল হক। সবাই তাকে বেকা বলে ডাকত। আসলে তার কিছু কার্যক্রম ছিল যেগুলো সত্যি অবিস্মরণীয় এবং খুবই মারাত্মক টাইপের। তো আমরা সবাই মাছ ধরা নিয়ে ব্যস্ত এমন সময় প্রবল বৃষ্টিতে আমরা মাঠের মধ্যে একটু ভীতশস্ত্র হয়ে পড়ি। ভীষণ বৃষ্টি পাশাপাশি মেঘ ডাকছিল। এমন অবস্থাই আমরা বাড়িতে ফিরে আসতেই দেখি অনেক গুলো বক আকাশে উড়ে যাচ্ছে আবার কিছু বসে আছে। পানি ও বাতাসের জন্য তারা উপরে ভালো করে উড়ে যেতে পারছে না। হঠাৎ চুপ করে একটা শব্দ আসলো। পাশে দিকে তাকিয়ে দেখে আমাদের সেই চাচা বক ধরেছে। বক ধরাটা স্বাভাবিক কিন্তু উড়ে যাচ্ছিল যেই বক্স সেই বক লাফিয়ে ধরাটা অস্বাভাবিক ব্যাপার। জিহা এটা কিন্তু সত্য কথা আমরা যখন ফিরছিলাম ঠিক তখনই সেই চাচা ঝাঁপ মেরে একটা বক ধরে ফেলেছিল উড়ন্ত বক। এটা দেখে আমরা সবাই বিস্মিত হয়েছিলাম এবং তাকে বলেছিলাম এর জন্যই তো তোমাকে বেকা আয়নাল বলে ডাকে।
এরপর এরপরে তার এই কান্ড দেখে আমরা তার এই কাণ্ড দেখে সবাই আমরা অবাক হয়ে গিয়েছিলাম এবং তাকে বলেছিলাম তুমি কিভাবে করলে এটা। আসলে ভাবতে গেলে বিষয়টা কঠিন একটা ব্যাপার যে উড়ন্ত বক লাফ দিয়ে ধরে ফেলাটা। যদিও আমরা এই বিষয়টা জানি তার কাছে এসব খুব অস্বাভাবিক ব্যাপার না খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার কারণ সে এর থেকে অনেক কঠিন কঠিন কাজ করেছে যেগুলো সত্যি শুনলে অবাক হয়ে যাবেন। আসলে সেই সময়টা ছিল অনেক মধুর এবং এই মধুময় জীবনটা পার করেছি অনেক আগেই। আসলে সেই সময় সে মধুময় জীবন গুলো এখন আর নেই। কিভাবে জীবনকে উপভোগ করতে হয় এই বিষয়টি মানুষ জানেই না।
আজ এই পর্যন্ত। সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ডিভাইস | poco M2 |
---|---|
লোকেশন | মেহেরপুর |
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এমন স্মৃতিচারণমূলক পোস্টগুলো আমার খুব ভালো লাগে। বেশ অজানা অনেক কিছু জানার সুযোগ হয়। অনেক অনেক ভালো লাগলো আপনার সুন্দর এই পোস্ট পড়ে। যেখানে আপনি খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন মাছ ধরতে যাওয়ার গল্প বক ধরার গল্প। মনে হচ্ছে যেন আমি আপনাদের সাথে ছিলাম গল্প করতে করতে আমিও চলে গেছি আপনাদের মধ্যে।