ক্রিয়েটিভ রাইটিং :- সম্পদ স্থায়ী, আপনি কি স্থায়ী?
আমি @tuhin002, আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগনকে আমার পক্ষ থেকে জানায় সালাম," আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহুর অশেষ রহমতে ভাল আছি। আজকে আমি আলোচনা করবো একটি গল্প , আর এই গল্পের নাম সম্পদ স্থায়ী, আপনি কি স্থায়ী? আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। তাই শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ...
জন্ম নিলে মরিতে হবে ইহাতে কোন সন্দেহ নাই। প্রত্যেকটা জীবের মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। জন্ম এবং মৃত্যুর মাঝামাঝি মানুষ কিছু সময় পার করে। মৃত্যু জন্মের মাঝখানে যে সময়টা পার করে এই সময়টাকে বলে তার জীবনের আয়ু। অর্থাৎ সে কতটুকু বেঁচে থাকবে সেটা এর মধ্যে নির্ধারণ থাকে। কোন মানুষ স্থায়ী হয় না। প্রতিটা মানুষ মৃত্যুর সাথে সাথে তার জীবনের সবকিছু শেষ হয়ে যায়। কিন্তু ওই মানুষ জীবিত অবস্থায় থাকাকালে সে যেসব ধন-সম্পদ গুলো তৈরি করে ওইগুলো থেকে যায়। এর অর্থ সম্পদ স্থায়ী। এখানে স্থায়ী বলতে বোঝানো হয়েছে যে কোন মানুষের কাছেই তো সম্পদ থাকে। এভাবে বোঝানো হয়নি যে কারোর কাছে সম্পদ সবসময় স্থায়ী থাকে। কোন মানুষের একসময় সম্পদ থাকে না সে সম্পদশালী হয় আবার সম্পদশালী লোক গরিব হয়ে যায়। এখন সম্পদ স্থায়ী আপনি কি স্থায়ী এই প্রশ্নের উত্তরে আপনি কি বলবেন? জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণের এই সময়টা আপনি কিভাবে চলবেন? এই প্রশ্নটা আপনার নিজের কাছে ঘোষিত রাখবেন এবং প্রতি উন্নত প্রশ্নটাকে মনের মধ্যে লালন করবেন এবং সেভাবে চলার চেষ্টা করবে তাহলে মানুষ সফলকাম হবে।
এখন আসা যাক মূল কথায়। পৃথিবীতে বহু মানুষ রয়েছে যার অবৈধভাবে টাকা পয়সা ইনকাম করে। এখন আমি বা আপনি সবার কাছে একটা প্রশ্ন এভাবে টাকা ইনকাম করে আপনি কি এই টাকা কে স্থায়ীভাবে ধরে রাখতে পারবেন না আপনি সারা জীবন বেঁচে থাকবেন? নিশ্চয়ই আপনি বা আমি উভয় মৃত্যুবরণ করবো। এখন জন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে যদি আমাদের আয়ের উচ্চতা যদি পাপ পথে হয় তাহলে এই পাপের হিসাব আমাদেরকে দিতে হবে। যে জিনিস আপনার না যেটা স্থায়ী না সেটা কেন আমরা বাড়াবাড়ি করি। এখানে একটা ঘটনা বলে, একটা গ্রামে ৪০ বিঘা জমিনের তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এতে দুইটা পক্ষ থাকে এক পক্ষ বলে আমাদের জমি আরেক পক্ষ বলে আমাদের জন্য। কাগজে-কলমে আসলে দুই পক্ষ টানাটানি করে কেউ মেনে নিতে চায় না। একটা সময় এই নিয়ে তাদের মধ্যে কলহ সৃষ্টি হয়। এমনকি এই কলহ একটা সময় মারামারি হানাহানিতে পৌঁছে যায়। আর এর ফলে একজন মানুষ মৃত্যুবরণ করে। এরপর থেকে উভয়ে আইনের দ্বারস্থ হয়। আইনের দ্বারস্থ হওয়ার পরে আইন তার গতির অনুযায়ী কাজ করতে থাকে।
আইন যখন উভয়পক্ষের এই বিষয়টা নিয়ে তারা এগোবে নিশ্চয় দুইটা পরিবারের উপর একটা ঝড় আসবে। আইনের লোক যখন তাদেরকে ধরতেছে তখন তোরা বাড়িছাড়া হয়ে যায়। কেউ তারা বাড়িতে থাকতে পারে না এভাবে বছরের পর বছর চলে যায়। সেই জমি কিন্তু কেউ ভক্ষণ করতে পারে না। অর্থাৎ ওই সম্পদটা স্থায়ীভাবে যেখানকার জায়গায় সেখানে রয়ে গেছে কিন্তু সেখানকার মানুষ কিন্তু এখন আর বসবাস করতে পারছে না। তাহলে এখানে আমরা কি বুঝি সম্পদ স্থায়ী কিন্তু আমি আপনি স্থায়ী নয়। বর্তমান পৃথিবীতে বহু মানুষ রয়েছে যারা সম্পদের ভাইয়ে ভাইয়ের আত্মীয়-স্বজনের সম্পর্ক নষ্ট হচ্ছে। কিন্তু আমরা যদি গভীরভাবে একবার চিন্তা করে দেখি এই সম্পদের জন্য কেন আমরা আমাদের মধ্যে এমন বিভেদ সৃষ্টি করব। সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে আজকে বাঁচিয়ে রেখেছেন আগামীকাল তোমরা নাও থাকতে পারি। কিন্তু এই সম্পদ পড়ে থাকবে মাঝখানে আমাদের আত্মীয়তার সম্পর্কটা নষ্ট হবে। মানুষের জীবনে সব কিছু পড়ে থাকবে শুধু আপনি থাকবেন না আমি থাকবো না।
অতএব আমার দৃষ্টিকোণ থেকে আমি মনে করি প্রত্যেকটা মানুষের উচিত মানুষের সাথে সম্পর্ক বজায় রেখে চলা। সম্পদের জন্য নিজেদের মধ্যে কোন রেষারেষি বা হানাহানি করা উচিত না। কারণ সম্পদ স্থায়ী হয় আমার কাছে থাকবে না আপনার কাছে থাকবে কিংবা তৃতীয় পক্ষের নিকট থাকবে। সৃষ্টিকর্তার এই সম্পদ গুলো থেকে যাবে কিন্তু আমি আপনি থাকবো না। কিন্তু মাঝখানে আপনার আর আমার সাথে যে সম্পর্ক নষ্ট হবে এটা একটা দাগ পড়ে যাবে। তাই এই পৃথিবীতে সুন্দর হবে আমরা বসবাস করবো নিজেদের সম্পর্ক ভালো রাখবো নিজেদের আত্মীয়তা বজায় রাখবো। এতে নিজেরা যেমন সুখে থাকবো তেমন সৃষ্টিকর্তা আপনার আমার প্রতি সহায় হবে এবং আমাদেরকে ভালবাসবে। একটা হাদিস আছে যে আত্মীয়তার সম্পর্ক নষ্ট করলো সে আমার সাথে সম্পর্ক নষ্ট করল। সুতরাং আমরা সবসময় চেষ্টা করব সম্পদের দিকে না তাকিয়ে আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখতে। কারণ সম্পদ স্থায়ী আমি আপনি কখনো স্থায়ী নয়।
ভূল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
আজ এই পর্যন্ত। সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ডিভাইস | poco M2 |
---|---|
লোকেশন | মেহেরপুর |
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি আবুল বাশার খাইরুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
অনেক মানুষ রয়েছে যারা টাকা রোজগার করে ঠিক আছে, তবে সেই টাকাগুলো খরচ করারই আর সময় পায় না। কারণ তার আগেই তারা এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যায়। আমাদেরকে সবসময় এটা ভাবতে হবে যে, এগুলো স্থায়ী হবে নাকি সারা জীবন আমরা স্থায়ী থাকবো। আমরা কখনোই এই পৃথিবীতে স্থায়ী না। আপনি সত্যি অনেক সুন্দর একটা পোস্ট লিখেছেন যেটার মধ্যে বাস্তবিক কথা গুলোকে তুলে ধরেছেন। আপনার লেখা পড়ে সত্যি খুব ভালো লাগলো।
ভাই পৃথিবীতে এমন মানুষ রয়েছে যারা বেঁচে রয়েছে প্রচুর টাকা ইনকাম করে কিন্তু সেই টাকা খরচ করতে পারে না বেঁচে থেকেও। এমন একটি ঘটনা রয়েছে ইনশাল্লাহ একদিন শেয়ার করব।
https://twitter.com/ABashar45/status/1749040951946080535?t=eFGaUu1hekxihGcdv7AFFw&s=19
খুব সুন্দর কিছু কথা শেয়ার করেছেন আপনি। আসলে সম্পদ কখনো চিরজিবনের জন্য থাকে না।সম্পদশালী হওয়ার জন্য অনেকে অবৈধ পথ অবলম্বন করে থাকে।হানাহানি কাটাকাটি করে সম্পদের পাহাড় গড়ে।কিন্তুু এই সম্পদের পিছনে না ছুটে পারিপার্শ্বিক সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা দরকার। ধন্যবাদ সুন্দর কথা গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ করার জন্য।
কোন কিছু স্থায়ী হলেও একটা মানুষ কিন্তু কখনোই স্থায়ী না। কারণ একটা মানুষকে এখান থেকে চলে যেতে হবে সেই না ফেরার দেশে। মানুষ বেঁচে থাকতে সম্পদশালী হওয়ার জন্য অনেক কিছুই করে। কিন্তু দিনশেষে দেখা যায় সেই সম্পদ গুলো তারা খরচ করতে পারে না। সম্পদ উপার্জন করার পেছনেই নিজেদের জীবনের সবটুকু সময় দিয়ে দিয়েছিল। যার কারণে শেষে তারা সেগুলো আর ভোগ করতেই পারেনি। আপনার লেখাগুলোর মধ্যে বাস্তবিক কথা ফুটে উঠেছে। আর এটা আমার কাছে ভালো লেগেছে।
চেষ্টা করেছি আপু এই লেখার মধ্যে কিছু বাস্তবিক কথা তুলে ধরার জন্য। মানুষ যখন বাস্তব মুখী হয় তখন সে বাস্তবতা শেখে এবং বাস্তব কথাগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আমরা মনে করি পৃথিবীর সবকিছু স্থায়ী। তবে আমরা যারা এই কথাটি মনে করি তারা এই পৃথিবীতে একদমই স্থায়ী নয়। আমাদের সকলকে এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হবে৷ তবে আমরা সবসময়ই এই অস্থায়ী সম্পদ এর প্রতি মায়া জমিয়ে এই সম্পদগুলো শুধু বাড়ানোর চেষ্টা করি৷ সম্পদ একদিন বাড়াতে বাড়াতে যে লোকের সম্পদ বাড়িয়েছিল সেই অস্থায়ী হয়ে যায়৷ ফলে সে তার সম্পদগুলো কখনোই ভোগ করতে পারেনা৷ জীবনের বেশিরভাগ সময়ই এই সম্পদ অর্জনের ক্ষেত্রে ব্যয় করে দেয়৷ অনেক বাস্তবের কিছু কথা ফুটিয়ে তুলেছেন আপনি আজকের এই পোস্টের মধ্যে৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷
সত্যি বলতে পৃথিবীতে যা কিছু আছে সবই অস্থায়ী। কিন্তু একটা মানুষের জীবনে স্থায়ী এবং অস্থায়ী ভেদ রয়েছে। যেমন আমি মানুষ আমি অস্থায়ী কিন্তু আমার সম্পতগুলো স্থায়ী। কারণ ওই সম্পদ গুলো আমার সন্তানরা ভোগ করবে। চেষ্টা করেছি ভাই বাস্তবতাটা সামনে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আজকে আপনার টপিক পড়ে খুব ভালো লাগলো। মানুষ জন্ম গ্রহণ করলে মৃত্যুর স্বাদ একদিন গ্রহণ করতে হবে। তবে অনেক মানুষ আছে অবৈধ পথে টাকা পয়সা ইনকাম করে। তবে আমাদের এদিকেও এরকম আছে জায়গা সম্পত্তি নিয়ে ঝগড়া করে থাকে। অথচ জমির জন্য মানুষ পর্যন্ত জীবন থেকে চলে গেল। আসলে কোন কিছু স্থায়ী নয়। আর আমরা এ নিয়ে অনেক বাড়াবাড়ি করে থাকি। তবে এটি ঠিক জায়গা সম্পত্তি নিয়ে যখন আইনের কাছে গেল। আইনের গতিতে চলবে কিন্তু মানুষগুলো একদিন থাকবে না। পোস্টটি শেয়ার করেছেন তাই সুন্দর করে ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রতিটা মানুষ যদি মৃত্যুর ভয় পেতো তাহলে পৃথিবীর বুকে তারা কোন কিছু নিয়ে ফ্যাসাদ সৃষ্টি করত না। আসলে আপু আমরা যে মরবো সে কথাটা ভুলে গেছি শুধু সম্পত্তির মোহে নিজের ক্ষমতার জন্য।