ক্রিয়েটিভ রাইটিং :- বর্তমান আবহাওয়ায় সন্তানের যত্ন নিন।
আমি @tuhin002, আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগনকে আমার পক্ষ থেকে জানায় সালাম," আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহুর অশেষ রহমতে ভাল আছি। আজকে আমার আলোচনার বিষয়টি হলো বর্তমান আবহাওয়ায় সন্তানের যত্ন নিন। আশা করি আজকের বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনাটি আপনাদের ভালো লাগবে। তাই শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ...
বর্তমানে আবহাওয়া টা বেশ ভালো নয় এই সময় মানুষের অসুস্থ বেশি হয়ে থাকে। ছোট থেকে বড় বৃদ্ধ সবারই একই অবস্থা হয়ে থাকে। আসলে এই সময় সন্ধ্যার কোলে কোলে গরম লাগে এবং দিনের বেলা অবশ্য গরম থাকে কিন্তু শেষ রাতের দিকে ঠান্ডা পরে সব মিলে একটা বিপর্যয় অবস্থা হয়ে থাকে। আপনি সন্ধ্যার পরে দেখবেন প্রচন্ড গরম পরছে এতে করে আপনার ফ্যান জোরে দিয়ে থাকে এবং এভাবেই হয়তো একটা মানুষ ঘুমিয়ে পড়ে সকালবেলায় যখন সে ঘুম থেকে জাগে দেখে শীতে তার নাকি পানি চলে এসেছে। আসলে এই বিষয়টা কার হয় জানি না তবে আমার হয়ে থাকে আর সেই বাস্তবতা থেকেই আমি এখানে লিখছি। তবে এ আম হয় যে কতটা মানুষ অসুস্থ হয় সেই বিষয়টি আরো ভালোভাবে বোঝা যায় যদি আপনি কোন ডাক্তারের চেম্বারে গিয়ে থাকেন তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন। তবে আর যাই হোক এই আবহাওয়া আমাদের বেশি সতর্ক থাকতে হবে তা না হলে সবাই অসুস্থ হওয়ার প্রবণতাটাই বেশি থাকবে।
তবে বড় বা বৃদ্ধ বয়স্ক মানুষের কথা নয় নাই বললাম কিন্তু ছোট বাচ্চাদের কথা না বললেই নয়। এই যেমন আমার ছেলের কথাই বলি গতকাল থেকে অসুস্থ এখন পর্যন্ত সে অসুস্থ। আসলে বাচ্চারা যখন হাঁটাহাঁটি করতে শেখে তখন তাদেরকে ধরে রাখা বেশ কঠিন। ইচ্ছা করলেই তাদেরকে এই অসুস্থতার হাত থেকে রক্ষা করা অনেকটা হিমশিম খেতে হয় বাবা-মাকে। তারপরও যদি আবহাওয়া ভালো হয় তাও বা হয় কিন্তু সেটা হয় না। এ সময় প্রচন্ড গরম পরের দিনের বেলা এবং রাতের অর্ধেক ভাব এবং শেষ ভাগের দিকে ঠান্ডা পড়ে। আর এই বিষয়টি হলো সব থেকে বেশি খারাপ। যদি স্বাভাবিকভাবে ঠান্ডা পড়ে তাহলে মানুষ তার সেই প্রটেকশন অর্থাৎ সেই ঠান্ডা পড়ার মতো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে কিন্তু গরম পড়ার কারণে মানুষ ঠান্ডার দিকে বেশি নজর দেয় না আর এ কারণেই মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে বেশি। এইতো কয়দিন আগেই একটা বড় ভাই বলছিল যে ঠান্ডা লেগেছে আসলে এই সময়টা বড় ছোট বৃদ্ধ কাউকে সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ে। সেই ছোটকাল থেকেই দেখছি মানুষ সব সময় ভালো থাকলেও এই সময় অসুস্থ হয়।
বেশ কিছুদিন আগের কথা আপনারা জানেন অসুস্থতা মানুষের কতটা নির্দয় হিসেবে কাজ করে মানুষের শরীরে। কিছুদিন আগে আমার শ্বশুরের কাছ থেকে জানতে পারলাম তার কাছে যদি প্রতিদিন ১০০ এর উপরে রোগী যায় তার মধ্যে একটি থেকে ৯০% মানুষ হচ্ছে ছোট বাচ্চা। অর্থাৎ ছোট বাচ্চাদের এখন বর্তমান খুবই ক্রিটিকাল সময় যাচ্ছে। আক্ষরিক অর্থে যদি তাদেরকে ঠিক রকম ভাবে যত্ন না নেওয়া যায় তাহলে তারা অসুস্থ হবেই। তবে একটা বিষয় আপনি আমার সাথে একমত হবেন সেটা হল তাদেরকে ঠিক রকম যত্ন নেয়াটাও বেশ কঠিন। কারণ আপনি চাইলে যে আপনার মতো করে সে চলবে সেটা কিন্তু কখনই তারা চলে না। আর না চলার কারণেই কিন্তু এই সমস্যাটা বেশি হয়ে থাকে।
তবে বর্তমান আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে আমাদের চলতে হবে আর এই চলাচলের মধ্য দিয়ে নিজেরা নিজেদের বাচ্চা বাবা-মা মুরুব্বিদের সুস্থ রাখার চেষ্টা করতে হবে। আমি প্রথমেই বলেছি যদিও এটা করা আমাদের জন্য অসম্ভব হয়ে পড়ে তারপরও আমাদের চেষ্টা ত্রুটি রাখা যাবে না। কারণ ছোট বাচ্চাদের অসুস্থ হলে বাবা-মায়ের অনেক কষ্ট হয়ে যায় শুধু বাবা-মাই নয় বাড়ি প্রত্যেকটা মানুষেরই অনেক কষ্ট হয়। তাই আমাদের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করতে হবে বর্তমান সময় সন্তানদের বাড়তি একটু বেশি যত্ন নেওয়া। যতটুকু সম্ভব তাদেরকে ঠিকভাবে দেখভাল করা আর এর মধ্যে দেই তাদের ভালো রাখার চেষ্টা করা।
আজ এই পর্যন্ত। সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ডিভাইস | poco M2 |
---|---|
লোকেশন | মেহেরপুর |
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
বেশ কিছুদিন ধরে আমার ছেলেটা খুব কাশছে। ঠান্ডা হাওয়া চলে আসছে তো এইজন্য আমাদের সকলের উচিত নিজের বাবুদের যত্নে রাখা। যত বেশি সজাগ থাকা যাবে ততই আমাদের সন্তানদের জন্য ভালো। আপনি কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ একটা পোস্ট করেছেন ভাইয়া। এত সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য ধন্যবাদ।
আসলে বর্তমানে ঠান্ডা এবং গরম আবহাওয়ার কারণে এই অবস্থা হচ্ছে তবে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে এটাই।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া বাচ্চারা যখন একটু বসা বা হাঁটাহাঁটি করা শেখে তখন তারা বেশি অসুস্থ হয় মনে হয়। আর বর্তমান আবহাওয়াটা খুবই খারাপ। আপনার ছোট ছেলে সুস্থতা কামনা করছি। এখন এই আবহাওয়াতে ফ্যান না দিলে গা ঘেমে যাচ্ছে আবার ফ্যান দিলে শীত শীত লাগছে। সব মিলিয়ে এই আবহাওয়াটা ছোট বড় সবার জন্য অনেক খারাপ। আপনার পোস্ট করে বেশ ভালোই লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য।
আসলে সত্যি বলতে এই আবহাওয়াটার সাথে টিকে থাকাটা বেশ কঠিন। সর্তকতা থাকা পরেও অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। তবে এর মধ্যে দিয়ে চেষ্টা করতে হবে এটাই।
আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে সাথে ছোট-বড় সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। বিশেষ করে বাচ্চারা এবং বৃদ্ধ মানুষরা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এই সময় তাদের প্রতি আরো বেশি যত্নশীল হওয়া উচিত এবং খেয়াল রাখা উচিত। অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাইয়া।
আপনাকে ধন্যবাদ গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য।
এখন কিন্তু সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। যেহেতু আর কয়েকদিন পর শীতের আগমন তাই এই ওয়েদার পরিবর্তনের কারণে কমবেশি সবারই অসুস্থতা দেখা দিচ্ছে। আজ বেশ কয়েকদিন হল অনেক কাশি কমছে না আমার। বাচ্চাদের যত্ন নিতে হবে যেহেতু বাচ্চারা অনেক ছোট মানুষ তারা কিছু বুঝতে পারে না।
বর্তমান সময়ে ছোট বড় বৃদ্ধ সবাইকে একইভাবে যত্ন নেওয়া উচিত এবং নিজের সাবধানতা থাকা উচিত।
আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্য আমার মেয়েটার অনেক সমস্যা হয়েছিল। কবে যাই হোক মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবানীতে এখন যথেষ্ট সুস্থ আছে। তবুও নিজের সাধ্যমত চেষ্টায় রয়েছি তাকে যখন আপনি রাখার। অনেক অনেক ভালো লেগেছে আপনার সুন্দর এই সচেতন দৃষ্টিভঙ্গি দেখে।
আমাদের নিজের সাধ্যমত চেষ্টা করতে হবে বাকিটা উপর আল্লাহর বিষয়।