"আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা - ৫২ || ভ্যালেন্টাইন্স ডে উপলক্ষে প্রিয়জনের জন্য কার্ড তৈরি
|| আজ ৮ ফেব্রুয়ারী,২০২৪ || রোজ: বৃহস্পতিবার ||
হ্যাল্লো বন্ধুরা
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার আশির্বাদে ভালো আছি। আজ আপনাদের সাথে একটি নতুন পোষ্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। টাইটেল দেখেই ইতিমধ্যে বুঝে গেছেন, শেষ মুহূর্তে প্রতিযোগিতার পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আশা করছি আমার আজকের পোষ্টটি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিযোগিতা মানেই দারুণ দারুণ আইডিয়ায় তৈরি অসাধারণ কিছু দেখার সুযোগ সকলের জন্য! যদিও আমিও মনে করি ভালোবাসার জন্য স্পেশাল কোন দিনের প্রয়োজন হয় না। ভালোবাসার মানুষ গুলোর জন্য সারা বছর, প্রতিদিনই ই ভালোবাসাময় হয়ে থাকুক সকলের, এই শুভকামনা। তবুও, কিছুমিছু স্পেশাল দিনগুলোতে ভালোবাসার মানুষ টিকে আরো একটু স্পেশাল ফিল করানোতেও তো আলাদা রকম আনন্দ রয়েছে! আমার আজকের কার্ড টি ও তাই আমার স্পেশাল ভালোবাসার মানুষ টির রুচিবোধ কে মাথায় রেখেই তৈরি করেছি, যেন সেই মানুষ টি ভীষণ অবাক আর ভীষণ খুশি হয়ে যায়।
উপকরণ
- বিভিন্ন রঙের কাগজ
- শক্ত সাদা কাগজ
- পাটের বস্তা
- লাল রঙের উল সুতা ও সুই
- পোষ্টার রঙ
- আঠা
- এন্টিকাটার /কেচি
- আমাদের একটি কাপল ছবি
ধাপ-১
প্রথমে কলমের সাহায্যে আমাদের কাপল ছবিটির বর্ডার এঁকে নিয়ে কেচির সাহায্যে কেটে নিবো। একটি লাল রঙের কাগজে আঠার সাহায্যে ছবিটি লাগয়ে নিবো।
ধাপ-২
এবারে দুটি রঙিন কাগজ এ Together এবং Forever লাল রঙের জেলপেন দিয়ে লিখে নিয়েছি। কেচির সাহায্যে সাবধানতার সাথে পাটের বস্তা থেকে রঙিন কাগজ দুটির চে কিছুটা বড় করে মাপ মতো দুইটি অংশ কেটে নিয়েছি। এক্ষেত্রে খেয়াল করে পাটের বস্তা কাটতে হবে যেন ধারগুলো এক সমান হয়... তারপর সেই পাটের কাটা অংশের উপর আমার কাগজ দুটি লাগিয়ে নিলাম। এরপর আমি আমাদের ছবির দুইপাশে সেই লেখাগুলো আঠার সাহায্যে লাগিয়ে দিলাম।
ধাপ-৩
এবারে কালো রঙের একটি কাগজে লাভ আকৃতি এঁকে নিয়েছি প্রথমে। তারপর লাল রঙের উল সুতার সাহায্যে আমি সেই লাভ টা সেলাই করে নিয়েছি। নিচের অংশে বেশ দারুণ একটি ম্যাসেজ লিখে দিয়েছি।
ধাপ-৪
এবারব আবারো দুইটি একই আকৃতির রঙিন কাগজ নিয়ে নিবো। একটি কাগজে ভালোবাসায় মাখামাখি কিউট একটি কাপল এর ছবি এঁকে রঙ করে নিবো। উপরের দিকে বেশ কয়েকটি লাভ এঁকে নিবো। আরেকটি কাগজে আমি আবারো একটি ম্যাসেজ লিখে নিয়েছি। এই ম্যাসেজটি আমাদের সাথে খুব যায়। আমি মনে করি, যে কোন কাপলের। আঝেই রাগারাগি বা মান-অভিমান লেগেই থাকে। তবে সেগুলো ৩য় ব্যাক্তির কাছে না গিয়ে নিজেরা নিজেরাই বোঝাপড়া করে নিয়ে একসাথে থাকাটাই আসল ভালোবাসা। ভালোবাসায় হাল ছেড়ে দেয়া বলে কিছু থাকতে পারে না বলেই আমার বিশ্বাস। যাই হোক, আমি দুটি কাগজেই লাল বর্ডার দিয়ে আরেকটু আকর্ষণীয় করে নিয়েছি। এবারে কালো কাগজের উপর এই কাগজ দুইটি আঠার সাহায্যে লাগিয়ে দিয়েছি।
ধাপ-৫
আমি একটি শক্ত সাদা কাগজ নিয়ে আমার আগের তৈরি করা ৩ টি মাপ অনুযায়ী ভাজ করে নিয়েছি। এবং একে একে ৩ টি অংশ আঠার সাহায্যে ভেতরের দিকে লাগিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৬
আমি উপরের অংশ প্রথমে লাল রঙের করে নিয়েছি। রঙ শুকিয়ে গেলে এবারে আবারো কেচির সাহায্যে পাটের বস্তার একটি অংশ কেটে নিয়ে উপরের এক অংশে আঠার সাহায্যে লাগিয়ে দিলাম। তারউপর আমি আরেকটি সাদা কাগজে তৈরি করা ম্যাসেজ লাগিয়ে দিয়ে এই পার্ট টি আমি কমপ্লিট করে ফেললাম।
ধাপ-৭
এখন আমি একটি রঙিন কাগজে আরেকটি লাভ এঁকে কেচি দিয়ে কেঁটে নিয়েছি। সাদা কাগজে লাগিয়ে নিয়ে নিচের দিকটা ডিজাইন করে নিয়েছি। সাথে উল সুতা ও পাটের সুতার সাহায্যে তৈরি করা একটি বো লাগিয়ে দিলাম। এর মাধমেই আমার কার্ড বানানোর প্রতিটি ধাপ ই সম্পন্ন হলো।
ফাইনাল লুক
পরিশেষে একটিই কথা বলি, কার্ডটি বানাতে আমার একটা দিন পুরো লেগেছে। এবং এই কার্ডের লেখা ম্যাসেজ গুলো প্রতিটিই আমাদের জন্য খুবই সত্য। নিজের হাতে আমার স্পেশাল মানুষ টির জন্য এমন একটি কার্ড বানাতে পেরে আমি নিজে ভীষণ খুশি। অসংখ্য ধন্যবাদ @tangera আপুকে এবারের প্রতিযোগিতা এমন দারুণ একটি বিষয়ে আয়োজন করার জন্য। 😍
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼
VOTE @bangla.witness as witness OR @rme as your proxy
আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি।
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।
Posted using SteemPro Mobile
হ্যাল্লো বন্ধুরা
উপকরণ
- বিভিন্ন রঙের কাগজ
- শক্ত সাদা কাগজ
- পাটের বস্তা
- লাল রঙের উল সুতা ও সুই
- পোষ্টার রঙ
- আঠা
- এন্টিকাটার /কেচি
- আমাদের একটি কাপল ছবি
ধাপ-১
ধাপ-২
ধাপ-৩
ধাপ-৪
ধাপ-৫
ধাপ-৬
ধাপ-৭
ফাইনাল লুক
পরিশেষে একটিই কথা বলি, কার্ডটি বানাতে আমার একটা দিন পুরো লেগেছে। এবং এই কার্ডের লেখা ম্যাসেজ গুলো প্রতিটিই আমাদের জন্য খুবই সত্য। নিজের হাতে আমার স্পেশাল মানুষ টির জন্য এমন একটি কার্ড বানাতে পেরে আমি নিজে ভীষণ খুশি। অসংখ্য ধন্যবাদ @tangera আপুকে এবারের প্রতিযোগিতা এমন দারুণ একটি বিষয়ে আয়োজন করার জন্য। 😍
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼
আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি।
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।
বাহ্ চমৎকার দিদি। এত দেখি ভালোবাসার এক অভায়ব বাসস্থান। এত ভালোবাসা দেখে তো মুগ্ধ হয়ে গেলাম। দারুন করেছেন ডিজাইনটি। অনেক ভালোবাসা না থাকলে এমন সুন্দর করে কাড তৈরি করাটাই বেশ কষ্টের। দোয়া রইল আপনার জন্য এমন ভালোবাসা যেন টিকে থাকে সারা জীবন। আশা করি ভালো একটি পজিশনে থাকবেন।
হি হি হি.... একটু থু থু দিয়ে যান, কারোর নজর না লাগুক। 🫣🫣
আপু আপনার তৈরি করা কার্ড অনেক সুন্দর হয়েছে। একেবারে ভিন্ন রকমের একটি কার্ড ছিল। আর প্রিয় মানুষটিকে এই কার্ড উপহার দিবে অনেক খুশি হবে। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
প্রিয় মানুষ টি খুশী হলেই আমার পরিশ্রমের স্বার্থকতা আপু। দোয়া করবেন 🙏🙏
ভ্যালেন্টাইন্স ডে উপলক্ষে প্রিয়জনের জন্য খুব সুন্দর কার্ড তৈরি করেছেন। কার্ডটি খুবই সুন্দর হয়েছে এবং দেখতে খুবই সুন্দর দেখাচ্ছে। কাগজের কালার কম্বিনেশন খুবই ভালো ছিল। তৈরি করার প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও ধন্যবাদ আপু এমন ধাপে ধাপে সবকিছু দেখে আপনার মতামত জানানোর জন্য। আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
আপনার তৈরিকৃত এই কার্ড দেখে তো আমি চোখ ফেরাতে পারছিলাম না। এই প্রতিযোগিতার জন্য আপনি যে এত সুন্দর একটা কার্ড তৈরি করেছেন, এটা দেখে অসম্ভব ভালো লেগেছে। আপনাদের বিবাহের একটা সুন্দর ছবি বসানোর কারণে আরও বেশি সুন্দর লাগতেছে। খুবই সুন্দর করে কিউট কার্টুনের চিত্র এঁকেছেন যেগুলো কেও অনেক সুন্দর লাগতেছে। সব মিলিয়ে পুরো কাজটা আমার কাছে এক কথায় অসাধারণ লেগেছে।
আপনার মূল্যবান মতামত এর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ রকিভাই 😍 আপনার থেকে এমন দারুণ মতামত পেয়ে ভীষণ ভালো লাগছে।
আমার কাছেও দিদি মনে হয় যে ভালোবাসার জন্য স্পেশাল কোন দিনের প্রয়োজন হয় না। প্রত্যেকটা দিনই ভালোবাসা দিবস হয়, যদি প্রিয় মানুষটা অনেক ভালো হয়। ভ্যালেন্টাইন্স ডে উপলক্ষে প্রিয়জনের জন্য আপনার তৈরি করা কার্ডটা অনেক সুন্দর হয়েছে দিদি। বিশেষ করে কার্ডের উপর লেখা কথাগুলো আমার কাছে অনেক সুন্দর লাগলো। তবে সাদা কালো ফটোর পরিবর্তে রঙিন ফটো দিলে মনে হয় আরেকটু ভালো হতো। যদিও সাদা কালোর ভেতরেও একটা স্পেশালিটি রয়েছে, সেটা বলতেই হয়। আপনার উপস্থাপনাও অনেক সুন্দর ছিল দিদি।
আমাদের রঙিন ছবি কাটতে বেশি মায়া হতো দাদা! আর এই ছবিটা আমার কাছে নরমাল কাগজেই প্রিন্ট করা ছিলো অনেক আগে থেকেই, তাই এই ছবিটিই কাজে লাগিয়েছি। সাদা কালো হলেও ছবিটায় তাকালেই আমাদের হাস্যজ্জল মুখের দিকেই ফোকাস বেশি যাবে বলে আমার মনে হয়। আপনার মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
তাহলে কি নজর লাগার ভয়ে রঙ্গিন ছবি দেননি, এটা ভেবে নেবো দিদি আমরা?🤭🤭
আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা - ৫২ ভ্যালেন্টাইন্স ডে উপলক্ষে খুবই সুন্দর একটি কার্ড তৈরি করেছেন। আপনি আপনার কার্ড তৈরি করার আইডিয়াটা আমার কাছে অনেক বেশি ইউনিক লেগেছে আর দেখতেও অনেক বেশি সুন্দর লাগছে। খুবই সুন্দরভাবে একটি ভ্যালেন্টাইন্স ডের কার্ড তৈরি করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি কার্ড আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ আপু। আমি একদম আমার মাথায় যা এসেছে, তেমন করেই কার্ডটি তৈরি করেছি।