রেসিপি:- মসুর ডাল দিয়ে কলার থোর এর মজাদার রেসিপি
হ্যাল্লো বন্ধুরা
|| আজ ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪|| মঙ্গলবার ||
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার আশির্বাদে পরিবারসহ বেশ ভালোই আছি। আজ আবারো আপনাদের সামনে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। পোষ্টের ভিন্নতা আনার জন্য চেষ্টা করছি একেক দিন একেক ধরনের পোস্ট করার জন্য। আজ অবশ্য একটি মজাদার রেসিপি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি । আজকের রেসিপি মসুর ডাল দিয়ে কলার থোর। কলার থোর হচ্ছে কলা গাছের কান্ডের একদম ভেতরের মজ্জার অংশ টি। এই থোর আমাদের শরীরের জন্য ভীষণ ভীষণ পুষ্টিকর একটি খাবার। কিডনীর স্টোন বা পাথর জমতে বাঁধা দেয়, শরীরের টক্সিন বের করতে সাহায্য করে, গ্যাস্টিক এর উপশম করে, ওজন কমাতে সাহায্য করে, এর মাঝে থাকা আয়রন হিমোগ্লোবিন বাড়াতে ভীষণ উপকারী। এক কথায় ম্যাজিকাল ফুড ও বলা চলে! সত্যি কথা বলতে, আমার আগে কখনো থোর খাওয়া হয় নি। সেদিন বাজারে পেয়ে যাওয়ায় কিনে এনে মায়ের থেকে রেসিপি নিয়ে বানিয়ে ফেলেছি মসুর ডাল দিয়ে কলার থোর। আশা করবো আজকের পোষ্ট টি আপনাদের ভালো লাগবে। তো আর কথা না বাড়িয়ে চলুন সরাসরি রান্নায় চলে যাই। তার আগে এক নজরে রান্নার উপকরণ গুলোও দেখে নেই....
উপকরণ সমূহঃ | |
---|---|
কলার থোর | ১ টা |
মসুর ডাল | ১ কাপ |
টমেটো | ১ টা |
লবণ | পরিমাণ মতো |
হলুদ | পরিমাণ মতো |
সয়াবিন তেল | সামান্য |
জিরা গুড়া | ১ চামচ |
গোটা জিরা | সামান্য |
শুকনো মরিচ | ১ টি |
কাচামরিচ | ৪/৫ টি |
পেয়াজ কুচি, রসুন কুচি | পরিমান মতো |
ধনিয়াপাতা | এক মুঠ |
রন্ধনপ্রণালীঃ
ধাপ-১ :
প্রথমে আমি কলার থোড় এর চারপাশের আশ এর অংশটুকু ফেলে দিয়ে একদম ভেতরের নরম মজ্জা টুকু বের করে কেটে হলুদ জলে কেটে রেখেছি। সবটুকু কাটা হয়ে গেলে পানিতে কিছুক্ষণ ভাপ দিয়ে নিয়েছি। হালকা ভাপ দিয়ে পানি ছেঁকে নিয়েছি।
ধাপ-২ :
এবারে একটি হাড়িতে লবণ এবং কাচামরিচ দিয়ে মসুর ডাল ভালোভাবে সিদ্ধ করে নিবো।
ধাপ-৩ :
এবারে একটি কড়াইতে তেল গরম করে তাতে গোটা জিরা, শুকনো লংকা দিয়ে ভালো করে ফোড়ন দিবো। তারপর কেটে রাখা পেয়াজ, রসুন দিয়ে ভালো করে ভাজতে থাকবো।
ধাপ-৪ :
এরপর টমেটো কুচি এবং ভাপ দিয়ে রাখা কলার থোর যোগ করে ভেজে নিবো। কিছুক্ষণ ভালো করে ভাজার পর গুড়া মসলা - হলুদ এবং জিরা গুড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে থাকবো!
ধাপ-৫ :
কলার থোর ভালো করে ভাজি ভাজি হয়ে এলে আগে থেকে সিদ্ধ করে রাখা ঘন মসুর ডাল টা যোগ করে দিবো। বেশ কতক্ষণ ফুটে পানি শুকিয়ে এলে সর্বশেষ এ কিছুটা ধনিয়াপাতা যোগ করে দিলেই মজাদার মসুর ডাল দিয়ে কলার থোর পরিবেশন এর জন্য প্রস্তুত।
পরিবেশনঃ
সেদিন মসুর ডাল দিয়ে কলার থোড় এর মজাদার রেসিপির সাথে আরোও বেশ কয়টি ডালের বড়ি ভাজি, নাপা শাক, মাছ দিয়ে গুছিয়ে নিয়ে খেতে বসেছিলাম। সব মিলিয়ে পাতে যা ছিলো, সবকছুর জন্যই মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞতা। 😇
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼
আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শিক্ষাগত যোগ্যতা : একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি।
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আহা 😋
এতো রাতে এই লোভনীয় খাবার দেখে পেট চুই চুই করছে 😄
তবে খাবারটির পুষ্টিগুণ শুনে আরো দারুন লাগলো।
বেশ চমৎকার গুছিয়ে রেসিপি উপস্থাপন করেছেন। দেখি আমিও চেষ্টা করবো একদিন।
মসুর ডাল দিয়ে কলার থোর এর মজাদার রেসিপি দেখে আমার খেতে ইচ্ছা করলো। আমি খুবই পছন্দ করি কলার থোরের রেসিপি। তাই আপনার রেসিপির পরিবেশনে আমার ভালো লেগেছে।
মসুর ডাল দিয়ে কলার থোর এর লোভনীয় একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আপু। দেখতে অনেক লোভনীয় হয়েছে খেতেও নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু হয়েছে। রেসিপির প্রতিটি ধাপ ধারাবাহিকভাবে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন আমাদের মাঝে আপু। মজাদার এই মসুর ডাল দিয়ে কলার থোর রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আমার কাছে তো এরকম রেসিপি খেতে অসম্ভব ভালো লাগে। দেখে তো বুঝতেই পারছি এটা অনেক বেশি মজাদার হয়েছিল। সবাই একসাথে খেতে অসম্ভব ভালো লাগবে। এখন যদি পেতাম তাহলে তো মজা করে খেতে পারতাম। যারা কখনো এই রেসিপিটা তৈরি করেনি তারা সহজে এটা শিখে নিতে পারবে। নিশ্চয়ই মজা করে খেয়েছেন এই মজার রেসিপিটা। সবার মাঝে ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
খুবই মজাদার একটা রেসিপি তৈরি করেছেন আপনি। আপনার তৈরি করা রেসিপি আমার তো খুব দারুণ লেগেছে দেখে। এই রেসিপিটা আগে কখনোই খাওয়া হয়নি আমার, এমন কি তৈরি করা হয়নি। দেখেই বুঝতে পারছি এটা খেতে দারুন লেগেছিল। পরিবেশন টা দারুন ভাবে করেছেন। ইচ্ছে করছে প্লেটটা নিয়ে এখন খেয়ে ফেলি। দুপুরবেলায় হওয়া একটু বেশি লোভ লাগছে।
সুন্দরভাবে সাজানো খাবারের থালাটা দেখেই তো খেতে ইচ্ছা করছে আপু। আপনি সবসময় নতুন নতুন রেসিপি উপস্থাপন করেন। আর আপনার রেসিপিগুলো আমার কাছে খুবই ভালো লাগে আপু। দারুন হয়েছে আজকের রেসিপি।