প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করছি আপনারা সকলেই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় পরিবারসহ সুস্থ আছি, ভালো আছি। আশা করছি সবাই জেকে বসা শীতকে বেশ ভালোই উপভোগ করছেন! যদিও আজ কিছুটা রোদ উঠেছে। বাতাস এবং শীতের ভাবটা কিছুটা কমেছে মনে হলো আমার কাছে।যাই হোক, আজ আপনাদের সাথে নতুন একটি পোষ্ট শেয়ার করতে চলে এসেছি। পোস্ট টি আপনাদের কেমন লাগলো জানাবেন অবশ্যই। তো চলুন, আর বেশি কথা না বাড়িয়ে চলে যাই আজকের পোষ্ট টি তে.... ৷

বছরের ১ম জার্নি করলাম আজ। তাও একা একাই এবং একদম হুট করে একদম লাস্ট মোমেন্ট এর প্ল্যান। একা একা বলতে ঢাকায় বাস স্টপেজ পর্যন্ত তো বরমাশাই ই তুলে দিয়েছেন, ওদিকে নামার সময়েও স্টপেজ থেকে কাজিন এসে রিসিভ করে নিয়ে গেছে। এসেছি নাটোরে। নাটোরে মূলত আমার ছোট পিসির বাড়ি। আজ প্রায় ১২/১৩ বছর পর এলাম ছোট পিসির বাড়ি!! সেই ২০১৩ সালে ভর্তি পরীক্ষার সময় পরীক্ষা দিতে এসেছিলাম, তাও ছিলো এক দিনের ই জন্যে! এছাড়া ছোট বেলায় মাঝে মধ্যে আসা হতো! তখন কার কিছু কিছু স্মৃতি মনের মাঝে রয়ে গিয়েছে অমূল্য রতন হিসেবে! কেন যেনো সেই ২০১৩ সালের পর আর আসা হয়ে উঠে নি!

আজ যে নাটোরে আসবো, সেটা ঠিক হলো গতকাল রাত ৯ টার দিকে। মূলত আমার বাবা-মা একটা কাজে রংপুর থেকে নাটোরে এসেছে গতকাল। মা যদিও আগেই বলেছিলো যে এই সুযোগে যাবো নাকি নাটোরে, অনেক বছর তো আসা হয় না! তখনো ভাবি নি যে নাটোরে আসা হবে!পরে গতকাল রাতে পিসি যখন কল দিলো, তখন মন টা কেমন করে উঠলো যে যাই, এই সুযোগে যেয়ে ঘুরে আসি! ছোটবেলার কত স্মৃতি, এই সুযোগে আরেকবার ঘুরে আসি! আজ সকালে সাড়ে নয় টায় বাস ছিলো কল্যাণপুর থেকে। বাসে একা একা সাধারণত চোখ বন্ধ করেই থাকি, নইলে মাথা ব্যাথা করে। হুট করে বাহিরে তাকিয়ে দেখি সারি সারি হলুদ সরিষা ফুলের বাহারি ক্ষেত 😍। সরিষা ফুল কিংবা সরিষা ক্ষেতের প্রতি আমার এমনিতেই আলাদা দুর্বলতা রয়েছে। সামনাসামনি তখন ই প্রথম দেখলাম, আমার তো খুবই মন খুশী হয়ে গিয়েছিলো। বেশির ভাগ নদী বা জলাশয়গুলো অনেকখানি শুকিয়ে গিয়েছে শীতের জন্য! ওদিকে টাঙ্গাইলের পর থেকে সড়কে কাজ চলছে তো চলছেই বহু বছর থেকেই! তাই ঢাকা থেকে নাটোর আসতে মোট ৬ ঘন্টার মতো লেগে গিয়েছে। অথচ এতক্ষণ সময় লাগার কথা না দূরত্ব অনুযায়ী। এসে ১ম দিন যথেষ্ট ভালো গেলো! সেসব নিয়ে পরে বিস্তারিত শেয়ার করবো অবশ্যই আপনাদের সাথে।